উত্তর-পূর্বাঞ্চল
উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে: এফএফডব্লিউসি
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)।
এতে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলায় যমুনা নদীর পানি কিছুটা বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
এছাড়া কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির সামান্য অবনতি হতে পারে।আরও পড়ুন: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ১৬
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকতে পারে। একই সঙ্গে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, ভূগাই ও কংশ নদীতে পানি কমছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা কুশিয়ারা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও এর উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত এবং আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।আরও পড়ুন: সিলেটে তৃতীয় দফা বন্যায় পানিবন্দি ৭ লাখ মানুষ
৪ মাস আগে
উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আরেক দফা বন্যার আশঙ্কা
বন্যায় বিধ্বস্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষ এখনো বেঁচে থাকার জন্য হিমশিম খাচ্ছেন। এমন সময়ে আগামী কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে এই অঞ্চলে আরেক দফা বন্যার পূর্বাভাস দিচ্ছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, আগামী কয়েকদিন সিলেট বিভাগে ভারী থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী একেএম নিলয় পাশা বলেন, ‘ভারতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে উজান থেকে আসা পানি সিলেট অঞ্চলকে প্লাবিত করতে পারে।’
এছাড়া বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (বিডব্লিউডিবি) জানিয়েছে, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম ও হিমালয় পাদ্দেশীয় পশ্চিমবঙ্গের (জলপাইগুড়ি, সিকিম) বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলাসহ উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের নিচু এলাকার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে বলে সর্বশেষ সতর্কবার্তায় জানিয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: বন্যায় আরও একজনের মৃত্যু, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৮
তবে স্বাধীন আবহাওয়া গবেষণা দল বাংলাদেশ ওয়েদার অবসেরভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছে, জুলাইয়ের মাঝামাঝি পরে বন্যা পরিস্থিতির আর অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর ফলে সুরমা, জাদুকাটা, চিলাই, খাসিয়ামারা, চেলাসহ জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বুধবার দুপুরে সুরমা নদীর পানি ছাতক উপজেলায় বিপৎসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার এবং দিরাই উপজেলায় বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে সুনামগঞ্জ শহরে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যায় ঘরবন্দী সাড়ে ৪ লাখ শিক্ষার্থী
গত দুই দিনে সুরমা নদীর পানি ২২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানায় সংস্থাটি।
এদিকে সিলেট জেলায় মঙ্গলবার সকালে ও রাতে বৃষ্টি হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
প্রায় দুই সপ্তাহ পর সিলেটের অধিকাংশ এলাকায় বন্যার পানি নেমে গেছে। তবে সিলেটের বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর, ফেঞ্চুগঞ্জ, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট এখনো বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে।
এসব এলাকার বাসিন্দারা এখন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
দুই দফা বন্যায় ইতিমধ্যে বোরো ও আমন ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি কৃষি, মৎস্য ও পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
২ বছর আগে
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী
হেলিকপ্টার থেকে ‘লো-ফ্লাই মুডে’ মঙ্গলবার সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও তৎসংলগ্ন এলাকার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি লো-ফ্লাই মুড বা নিচু হয়ে উড়েছিল। এতে তিনি দুর্গত এলাকা প্রত্যক্ষ করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে সিলেট সার্কিট হাউসে যান। যেখানে বিভাগীয়, জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
এর আগে, বন্যার পানিতে বিস্তীর্ণ এলাকা সমুদ্রে পরিণত হওয়ায় বিশেষ করে সিলেটের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার্তদের সরিয়ে নিতে এবং অসহায় মানুষকে সহায়তার জন্য বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে কর্তৃপক্ষ সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানায়, একইসাথে নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর ইউনিটগুলোকে ডাকা হয়েছে।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার ১৫ থেকে ১৮ জুন বন্যাকবলিত জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকদের তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা হিসেবে নগদ ২২.৫ মিলিয়ন টাকা, ৪০০ মেট্রিক টন চাল এবং ৪১ হাজার প্যাকেট শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ দিয়েছে।
পড়ুন: সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় বন্যার্তরা ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে: বিএনপি
সিলেটে কমছে বন্যার পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ
২ বছর আগে