তত্ত্বাবধায়ক
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক: জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলকে আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সোমবার (১৩ নভেম্বর) জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে জানিয়েছেন, বিরোধী দল বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি ‘সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও বেআইনি’।
বাংলাদেশের স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার জনগণের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর)-এ অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রী ২৮-২৯ অক্টোবর বিএনপির সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ তুলে ধরেন।
একজন পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা ছাড়াও তারা প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারকদের বাসভবনে হামলা চালায় এবং পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নির্বিচারে কোনো গ্রেপ্তার করা হয়নি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দেশের আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় (বাংলাদেশ সময়) শুরু হওয়া পর্যালোচনা বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আইনমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পুলিশ সদস্য হত্যার বিচার দ্রুত গতিতে করা হবে: আইনমন্ত্রী
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং জেনেভায় জাতিসংঘ কার্যালয়ে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ সুফিউর রহমানসহ অন্যরা অংশ নিচ্ছেন।
ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, মোট ১১১টি দেশ বৈঠকে যোগ দিয়েছে এবং ৯০ শতাংশ দেশ মানবাধিকার ফ্রন্টে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেছে।
তিনি বলেন, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার মতো দেশগুলোও বাংলাদেশের সমালোচনা করেনি, বরং তারা কিছু গঠনমূলক সুপারিশ নিয়ে এসেছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ মানবাধিকার সংক্রান্ত সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো দেশ রাজনৈতিক সংলাপের বিষয়টি তুলেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংলাপের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।
আইনমন্ত্রী বলেন, পরশু জানতে পারবেন বাংলাদেশ কতগুলো সুপারিশ পেয়েছে।
বাংলাদেশ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলকে জানাবে যে তারা কোন কোন সুপারিশ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া ব্রিফিংয়ে যোগ দিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, তারা ইউপিআরের আগে সব অংশীজনদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা আজ এটি দেখেছেন ও শুনেছেন। এবং আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে ইউপিআর একটি সুন্দর প্রক্রিয়া, যা প্রতিটি দেশকে একই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে নিয়ে আসে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতকালের তুলনায় আগামীকাল বাংলাদেশকে আরও ভালো অবস্থানে দেখাই তাদের লক্ষ্য। ‘এটাই স্পিরিট। আমরা আমাদের অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েছি।’
পর্যালোচনা সভায় আইনমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, সরকার যে কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতি বজায় রেখেছে এবং বিরোধী দলগুলোকে রাজনৈতিক স্থান দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছে।
তিনি রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়েও কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একা মিয়ানমারের চাপিয়ে দেওয়া সংকট সমাধান করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: ইসির তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বাংলাদেশের ধারাবাহিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথাও তুলে ধরেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে আরও সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য করতে নির্বাচনী এলাকা সীমাবদ্ধকরণ আইন-২০২১, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ আইন-২০২২ এবং সংসদ নির্বাচন (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) বিধিমালা-২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছিল এবং রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এবং নির্বাচন পরিচালনা বিধি-২০১৮ সাল থেকে সংশোধন করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)ও নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিয়োগ আইন ২০২২ একটি নিরপেক্ষ ও সক্ষম ইসি নিশ্চিত করে এবং এটি দেশের পাশাপাশি উপমহাদেশে এই ধরনের প্রথম আইন।
বাংলাদেশের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ইউপিআরগুলো হয়েছিল যথাক্রমে ফেব্রুয়ারি ২০০৯, এপ্রিল ২০১৩ ও মে ২০১৮ সালে।
তার পেশ করা জাতীয় প্রতিবেদনে, বাংলাদেশ বলেছে এটি মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষার জন্য তার প্রতিষ্ঠান এবং পদক্ষেপগুলোকে শক্তিশালী করতে থাকবে।
ইউপিআর ওয়ার্কিং গ্রুপে মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪৭টি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে। তবে, জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিটি দেশ পর্যালোচনায় অংশ নিতে পারে।
যে নথিগুলোর উপর ভিত্তি করে পর্যালোচনাগুলো করা হয় তা হলো:
১) জাতীয় প্রতিবেদন - পর্যালোচনাধীন রাষ্ট্র প্রদত্ত তথ্য
২) স্বাধীন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ এবং গোষ্ঠীর প্রতিবেদনে থাকা তথ্য, বিশেষ প্রক্রিয়া, মানবাধিকার চুক্তি সংস্থা ও জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা হিসেবে পরিচিত
৩) জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল অনুসারে জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা, আঞ্চলিক সংস্থা এবং সুশীল সমাজের গোষ্ঠীগুলোসহ অন্যান্য অংশীজনদের দ্বারা প্রদত্ত তথ্য।
ইউপিআর হলো ১৯৩টি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রের মানবাধিকার রেকর্ডের সমকক্ষ পর্যালোচনা।
২০০৮ সালের এপ্রিলে এর প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের সবকটিকে নিয়ে তিনবার পর্যালোচনা করা হয়েছে।
ইউপিআর মানবাধিকার কাউন্সিলের একটি অনন্য প্রক্রিয়া। যা জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রকে প্রতি সাড়ে ৪ বছরে তার মানবাধিকার রেকর্ডগুলো সমকক্ষ পর্যালোচনা করার আহ্বান জানায়।
২০০৬ সালের মার্চ মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬০/২৫১ রেজোলিউশনে প্রতিষ্ঠিত ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর) প্রতিটি দেশে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষাকে সমুন্নত, সমর্থন ও প্রসারিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ দেয়নি মার্কিন প্রতিনিধিদল, শুধু জানতে চেয়েছে: আইনমন্ত্রী
১১ মাস আগে
বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক, বেআইনি: জাতিসংঘকে আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সোমবার (১৩ নভেম্বর) জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে জানিয়েছেন, বিরোধী দল বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি ‘সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও বেআইনি’।
বাংলাদেশের স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার জনগণের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর)-এ অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রী ২৮-২৯ অক্টোবর বিএনপির সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ তুলে ধরেন।
একজন পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা ছাড়াও তারা প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারকদের বাসভবনে হামলা চালায় এবং পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নির্বিচারে কোনো গ্রেপ্তার করা হয়নি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দেশের আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় (বাংলাদেশ সময়) শুরু হওয়া পর্যালোচনা বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আইনমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং জেনেভায় জাতিসংঘ কার্যালয়ে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ সুফিউর রহমানসহ অন্যরা অংশ নিচ্ছেন।
আইনমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, সরকার যেকোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতি বজায় রেখেছে এবং বিরোধী দলগুলোকে দেওয়া রাজনৈতিক স্থান তুলে ধরেছে।
আরও পড়ুন: পুলিশ সদস্য হত্যার বিচার দ্রুত গতিতে করা হবে: আইনমন্ত্রী
তিনি রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়েও কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একা মিয়ানমারের চাপিয়ে দেওয়া সংকট সমাধান করতে পারবে না।
আইনমন্ত্রী বাংলাদেশের ধারাবাহিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথাও তুলে ধরেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে আরও সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য করতে নির্বাচনী এলাকা সীমাবদ্ধকরণ আইন-২০২১, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ আইন-২০২২ এবং সংসদ নির্বাচন (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) বিধিমালা-২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছিল এবং রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এবং নির্বাচন পরিচালনা বিধি-২০১৮ সাল থেকে সংশোধন করা হয়েছিল।
১১ মাস আগে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফেরার উপায় নেই, ভয়েস অব আমেরিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উচ্চ আদালতের রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংবিধান সংশোধন করে বাতিল করা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘একমাত্র জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে। জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে সে সরকার গঠন করবে। এটিতে (তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা) ফিরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই।’
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রচারিত ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা পরিষেবাকে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা, মানবাধিকার, বিদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সংবিধানসহ বিভিন্ন বিষয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দেন।
সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের উদ্যোগ নেওয়া বা বিরোধী জোটের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচন জনগণের অধিকার। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হলে হাইকোর্ট একটি রায় দেয় যে কখনোই আর অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে না। হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। রায়ের পর সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন হাইকোর্টের রায় কীভাবে বাতিল করব? নাকি সংবিধান সংশোধন করবেন? এবং কেন আমরা তা করব? আমাদের অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল। আমাদের দেশের ইতিহাসে আমরা দেখেছি সামরিক আইন, সামরিক স্বৈরাচার এবং তাদের অধীনে বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে প্রহসনমূলক নির্বাচন।’
বিএনপি একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যখন বিএনপির ভোট কারচুপির প্রতিবাদ করেছিলাম; তখন বিএনপি নেত্রী (খালেদা জিয়া) বলেছিলেন, শিশু ও পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। তারা এটা বলেছিল, তারা এর বিরুদ্ধে ছিল।’
আরও পড়ুন: বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার আগে খালেদাকে কারাগারে ফিরতে হবে: ভয়েস অফ আমেরিকাকে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। তারা তখন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে এবং এখনও তারা একই জিনিস দাবি করছে। ভবিষ্যতে তারা কী করবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।’
বিএনপির কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা তাদের পছন্দের সরকার গঠন করতে চেয়েছিল। তার জন্য বিচারকের বয়স বাড়ানো, ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি এবং অনেক ভয়ঙ্কর অপরাধ করেছে। কিন্তু কোনোটাই কাজ করেনি, কারণ মানুষ তা গ্রহণ করেনি।’
২০০৮ সালের নির্বাচন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেখেছিল। তারা ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত তাদের শাসনামলে অনেক ভয়ঙ্কর অপরাধ করেছিল। এরপর একটি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল। তারা দুই বছর কোনো নির্বাচন করেনি এবং আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট সংসদে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল এবং পুনর্নির্বাচনে আরও একটি আসন পেয়েছিল। ‘তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও এটাই তাদের বাস্তবতা। এজন্য তারা ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিল এবং অগ্নিসংযোগের অবলম্বন করেছিল…তারা তিন হাজার মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। তারা ৫০০টি ভোটকেন্দ্র ও বিদ্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষ করেছে। তারা নির্বাচন বয়কট করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন তারা হঠাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করছে কেন? আর প্রশ্ন হল তাদের নেতা কে? কাকে (জনগণ) ভোট দেবে? জনগণ নেতৃত্ব দেখতে চায়। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তাদের কোনো ভাল নেতা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন একটি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে... ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য অনেক প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। সেসব কাটিয়ে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। এটি বজায় রাখার জন্য আমাদের একটি নির্বাচিত সরকার দরকার।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী
খালেদাকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাস্তবায়নে ‘এক দফা’ আন্দোলনের ধরন ভিন্ন রকম হবে: ফখরুল
সরকার পদত্যাগের এক দফা আন্দোলনের ধরন ‘ভিন্ন রকম’ হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি মানতে বাধ্য হবে, কারণ তাদের দল জনগণকে সম্পৃক্ত করে ‘ভিন্ন রকম’ আন্দোলন করতে যাচ্ছে।
শনিবার দলীয় চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি আশ্বস্ত করেন যে তারা রাস্তায় সহিংসতা এড়াতে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন না।
এই বিএনপি নেতা বলেন, নিঃসন্দেহে আগের আন্দোলন থেকে কিছুটা ভিন্ন হবে এবং জনগণের সম্পৃক্ততাও বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, ‘সেটা নিসন্দেহে গত আন্দোলনগুলোর চাইতে ধরনও হবে একটু ভিন্ন এবং জনগনের সম্পৃক্ততাও বাড়বে। একটা ব্যাপারে আমরা নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, আমাদের এই আন্দোলন প্রথম থেকেই যেটা শুরু করেছি সেটা হচ্ছে যে জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলন। এই আন্দোলনে জনগনের অনেক বেশি সম্পৃক্ততা আসবে। আমি বিশ্বাস করি যে এই আন্দোলনের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে সরকার বাধ্য হবে নতি স্বীকার করে পদত্যাগ করে একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে।’
আরও পড়ুন: আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেব না: মির্জা ফখরুল
আরেক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি, আমরা হরতাল-অবরোধের মতো কোনো কর্মসূচিতে সচেতনভাবে চাচ্ছি না। আমাদের ভায়োলেন্সে যাওয়া প্রশ্নই উঠতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘সরকার যদি কোনোভাবে ওইসব দিকে ঠেলে দেয় তা সরকারের দায়। শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনটা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে যেতে চাই।’
ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সরকার শেষ পর্যন্ত নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের জন্য পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে।
তিনি দাবি করেন, বিভিন্ন শহর ও জেলায় তাদের দলের সাম্প্রতিক যুব সমাবেশ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘সামনে আমাদের পদযাত্রার কর্মসূচি শুরু হবে। আমরা আশা করি যে এক দফাতে আমরা আন্দোলন শুরু করব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে ১০ দফা, অন্যান্য যুগপত আন্দোলনকারী দলগুলো আছে তাদের দফাগুলো মিলিয়ে একটা দফায় আন্দোলনে যাবো…সেটা হচ্ছে যে, এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠান… এগুলোকে নিয়ে আমরা একটা জায়গায় আসছি… সেটা হচ্ছে যে, মূলত এই সরকারের পদত্যাগ।’
নতুন ধরনের আন্দোলনের ধরন সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা বলেন, হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি তারা সচেতনভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন।
ঈদুল আজহা উদযাপন শেষে নিজ জেলা ঠাকুরগাঁও থেকে বিকালে ঢাকায় ফিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: পতনের আশঙ্কায় সরকার দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে: মির্জা আব্বাস
‘শিগগিরই’ বিএনপি এক দফা আন্দোলন শুরু করবে: ফখরুল
১ বছর আগে
বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মাঠে মারা গেছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি যে মাঠে মারা গেছে সেই বাস্তবতা মেনে নিয়ে আগামী নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণের অনুরোধ জানাই।'
শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর শরৎকালীন সেমিস্টার শুরু উপলক্ষে সীতাকুন্ডের কুমিরা ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম নিহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। এই ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত মূল আসামিসহ অনেককেই দ্রুততার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য যা কিছু দরকার সবকিছুই করা হবে। এবং এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে সেজন্য আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।'
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আন্তর্জাতিক মহলের হাতে-পায়ে ধরে বিভিন্ন সময়ে তুলে ধরেছে। কিন্তু কোনো দেশ তাদের এ দাবি সমর্থন করে নাই এবং সরকারকেও কেউ বলেনি যে নির্বাচনকালীন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার করতে হবে। অর্থাৎ তাদের এ দাবি মাঠে মারা গেছে, শুধু মির্জা ফখরুল সাহেবসহ তাদের নেতাদের মুখে আছে।'
হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই, যে নির্বাচনের আয়োজক হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী দিনের সরকার নির্বাচিত হোক, সেটিই আমরা চাই। কিন্তু বিএনপি নির্বাচন কমিশনের কাছে, বিদেশিদের হাতে-পায়ে ধরে নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি চায়। কিন্তু বিএনপিকে তো নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং বিদেশিরাও দিতে পারবে না। তারা আসলে নির্বাচনকে ভয় পায়।'
আরও পড়ুন: আমরা চাই বিএনপি পূর্ণশক্তিতে নির্বাচনে অংশ নিক: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান বলেন, ‘চট্টগ্রামে বিএনপি তারুণ্যের সমাবেশের কথা বলে যেভাবে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা যুক্ত ছিলেন তাদের প্রতিকৃতি ভাঙচুর করেছে, এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপি তরুণদেরকে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য শিক্ষা দিচ্ছে। তারুণ্যের সমাবেশের নামে তারা পেটুয়া বাহিনী ও নৈরাজ্য শিক্ষার সমাবেশ করেছে। তারা আসলে সারাদেশে সন্ত্রাসীদের সমাবেশ ঘটাচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।'
এর আগে আইআইইউসি’র নতুন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'স্বপ্ন দেখতে হবে, স্বপ্নের সাথে প্রচেষ্টাকে যুক্ত করতে হবে। স্বপ্নের সাথে যদি প্রচেষ্টাকে যুক্ত করা না হয় তাহলে শুধু স্বপ্ন দেখে কোন লাভ নেই। মানুষ যখন স্বপ্ন দেখে স্বপ্নের সাথে যখন প্রচেষ্টা যুক্ত হয়, তখন তার মধ্যে ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক শক্তি জন্ম নেয়। সেই শক্তি তাকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দেয়।'
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম, বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের জীবনসংগ্রামের উদাহরণ তুলে ধরে মন্ত্রী হাছান বলেন, 'জীবন হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্র। নিরন্তর উজানের বিপরীতে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং প্রতিনিয়ত প্রতিকূলতার সাথে এগিয়ে যাওয়ার নাম হচ্ছে জীবন। যে সেভাবে জীবনকে নিবে, সে জীবনে অনেক দূর এগোতে পারবে। যে প্রতিনিয়ত জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করার মানসিকতা নিয়ে জীবনযুদ্ধে নামবে সে জীবনকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবু রেজা মো. নেজাম উদ্দিন নদভী এমপি, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এমপি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জামায়াতকে দিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রতিহত করার বিষয়ে বলিয়েছে বিএনপি: হাছান মাহমুদ
নির্বাচনের খেলা থেকে পালিয়ে যাবেন না: বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের জন্য বিচারপতি খায়রুলকে ইতিহাস ক্ষমা করবে না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের জন্য 'অনৈতিকভাবে' (রাজনীতির) মাঠ তৈরি করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার জন্য ইতিহাস কখনই সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে ক্ষমা করবে না।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য হাস্যকর: মির্জা ফখরুল
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সচেতন নাগরিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ এবং তাদের অস্তিত্ব সাধারণ নির্বাচন পরিচালনায় একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘সংসদ আইন পাস করেছে (তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে), কিন্তু বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক এর জন্য ভিত্তি তৈরি করেছেন। এর জন্য ইতিহাস তাকে কখনো ক্ষমা করবে না। তিনি প্রথমে একটি সংক্ষিপ্ত রায় দিয়েছিলেন এবং পরে অবসর গ্রহণের ১৬ মাস পর বেসামরিক হিসেবে সংক্ষিপ্ত সংস্করণটি পরিবর্তন করে অনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ রায় দিয়েছিলেন।’
নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের দাবি নিয়ে আসে এবং ১৭৩ দিন হরতাল (সাধারণ ধর্মঘট) জারি করে। সে সময় তাদের দাবি ছিল দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।
পরে ফখরুল বলেন, দেশ স্বাধীনের পর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ বিকাশ না হওয়ায় বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিবেচনায় খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন বিএনপি সরকার সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করে।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চারটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ২০৪১ সাল পর্যন্ত জনগণের ভোট ছাড়াই ক্ষমতায় থাকার এবং বিরাজনীতিকরণের চক্রান্তের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ এটি (তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা) বাতিল করে দেয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে তারা শ্মশান করে দিয়েছে: চট্টগ্রামে মির্জা ফখরুল
দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৬৫ শতাংশ যুবক উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সুস্থ রাজনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য তরুণদের সংগঠিত করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, যারা বলপ্রয়োগ ও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতায় থেকেছে অতীতের সব ঔপনিবেশিক ও পাকিস্তানি নিয়ম এবং এইচ এম এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনকে ছাড়িয়ে গেছে আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসন। ‘আওয়ামী লীগ সরকার তার দুঃশাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’
ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ করা উচিত:
‘বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প সরকারের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে’- সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, অপরিকল্পিত এই প্রকল্পের কারণে যাত্রীরা দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি দেখছি বিআরটি প্রকল্পের রাস্তার মাঝখানে দোকান এবং টিকিট কাউন্টার তৈরি করা হচ্ছে… আমি বুঝতে পারছি না তারা ঠিক কী নির্মাণ করছে। ওবায়দুল কাদের আজ (রবিবার) বলেছেন যে এটি (বিআরটি) গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা একটা নির্লজ্জ মন্তব্য। তারা নিজেরাই এই প্রকল্প নিয়েছে, তাই এই মন্তব্য করার আগে তার পদত্যাগ করা উচিত ছিল।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকার গাজীপুর থেকে বিআরটি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১০ বছর ধরে ঢাকা নগরবাসীকে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের সদস্যরা সরকারের অপকর্ম ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন না। ‘এই সরকার কী ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে আমরা এখন তাদের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করতে ও স্বাধীনভাবে লিখতে ভয় পাচ্ছি। সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। বাংলাদেশের এমন পরিস্থিতি আমরা কখনো কল্পনাও করিনি।’
বিচার বিভাগকে রাজনীতিকরণ থেকে মুক্ত করে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য তরুণ আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: পুলিশ ‘অবৈধভাবে’ বিরোধীদের তথ্য সংগ্রহ করছে: মির্জা ফখরুল
২ বছর আগে
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আকবর আলী খান
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলী খানকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শুক্রবার বিকালে দাফন করা হয়েছে।
জুমার নামাজের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে মসজিদ প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
জানা যায়, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের (জিকে) প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউর রহমান অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: আকবর আলী খানের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
আগের দিন আকবর আলি খানের মরদেহ গুলশানে তার বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার আত্মীয়স্বজন, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং সর্বস্তরের মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানান।
আকবর আলী দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর গতকাল রাতে ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
তার মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ(টিআইবি) ও বাংলাদেশ ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠন শোক ও গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আকবর আলী খান ১৯৪৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্সের উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এরপর তিনি কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেন এবং অর্থনীতিতে এমএ এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: আকবর আলী খানের মৃত্যুতে জিএম কাদেরের শোক প্রকাশ
কর্মজীবনে ড. আকবর আলী খান টানা তিন সরকারের মেয়াদে সাড়ে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় অর্থ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০১ সালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব নিযুক্ত হয়ে ২০০২ সালে এই পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
চাকরি জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ, পরিকল্পনা, বাণিজ্য, ডাক, টেলিগ্রাফ এবং টেলিফোন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নিযুক্ত হন। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ব্যর্থতার প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। এরপর ২০০৭ সাল থেকে ২০০৯ সময়কালে তিনি রেগুলেটরি রিফর্ম কমিশনের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশের অর্থনীতি ও ইতিহাসে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০১০ সালে বাংলা একাডেমির ফেলো নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধীদের স্বীকৃতি দেয়া উচিৎ: আকবর আলী খান
২ বছর আগে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য পদত্যাগ করলে আপনাদের সঙ্গে চা খাব: প্রধানমন্ত্রীকে ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী নির্বাচন তদারকিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে চা খেতে তাদের কোনো সমস্যা নেই।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি প্রথমে বলেন যে আপনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মেনে নিয়েছেন। আপনি এই ঘোষণা দিন, তারপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে তার সঙ্গে চা খেতে আমাদের কোনও সমস্যা হবে না।’
রবিবার রাজধানীর প্রেসক্লাবে ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ ও জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার গঠনই দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের একমাত্র সমাধান।
তিনি আরও বলেন, সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না হওয়ায় দেশ এখন ব্যাপক দুর্নীতির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি।
আরও পড়ুন: আ.লীগের ‘মেগা দুর্নীতি’ দেশকে অন্ধকার খাদের প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে: ফখরুল
এই বিএনপি নেতা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘সুতরাং, আমরা বলতে চাই, চা খেতে দেয়ার মতো হাস্যকর মন্তব্য করার কোনো মানে হয় না। আমরা একটি কথা বলতে চাই যে আপনি একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করুন এবং একটি নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করুন এবং এভাবে বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনুন।’
এর আগে শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বিএনপি নেতারা তার কার্যালয় (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) ঘেরাও করতে এলে তিনি চা খাওয়াবেন।
আওয়ামী লীগের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ শাখার এক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যা বলতে চায় আমি তাদের কথা শুনব। আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।’
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন নিশ্চিত করতে ঐক্য গড়তে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, ‘ভয়ঙ্কর শাসন থেকে মুক্তি পেতে আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমি দেশবাসীকে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে পরাজিত করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি এবং এভাবেই দেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে চাই।’
আরও পড়ুন: সিইসির প্রশংসা করলেও বর্তমান ইসির সঙ্গে সংলাপে যোগ দেবে না বিএনপি
আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো ইসিই বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না: বিএনপি
২ বছর আগে
বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যেহেতু দেশের সর্বোচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন, সেহেতু দেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার যেহেতু আইনের শাসনে বিশ্বাস করে, তাই সর্বোচ্চ আদালতের ওই রায় মান্য করে। এসময় তিনি আশ্বস্ত করেন, দেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিশ্চয়ই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ন্যাশনাল স্টেকহ্ল্ডোর কানসালটেশন অন ইনস্টিটিউশনাল অব প্যারালিগ্যাল অ্যাপ্রোচ’ শীর্ষক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ, যেখানে আইনের মাধ্যমে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই নির্বাচন কমিশন জনগণকে সুষ্ঠু- নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবে। এটার জন্য কারও দরজায় গিয়ে তদবিরের দরকার হবে না।বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়। এভাবেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশেও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। ভোট হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচনের সময় যে সরকার থাকবে তারা শুধু দৈনন্দিন কাজ করবার জন্যই থাকবে। সেটা আইনের মধ্যেই আছে। আমরা আশা করবো সবাই নির্বাচনে আসবে।বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ যদি বিনা অপরাধে কারাগারে থেকে থাকে, রাজনৈতিক কারণে থেকে থাকে অবশ্যই মুক্তি পাবে। কিন্তু কেউ যদি মামলার আসামি হিসেবে থেকে থাকে, তাহলে আদালত ছাড়া তার মুক্তি সম্ভব না।মামলাজট কমাতে সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সম্প্রতিককালে মামলা বেশি হচ্ছে। মামলাজটের সঠিক পরিসংখ্যান জানতে একটা কমিটি করা হয়েছে। তারা প্রকৃত মামলার পরিমাণ আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে জানাতে পারবে।অনুষ্ঠানে আইনি সহায়তাকারী বা প্যারালিগ্যাল কর্মীদের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। ২০০৮ সাল থেকে বিভিন্ন এনজিও’র সহায়তায় ৪০টি জেলায় প্যারালিগ্যাল কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে ১০টি জেলায় এ কার্যক্রম রয়েছে। জার্মান দাতা সংস্থা জিআইজেড’র আর্থিক সহায়তা এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার, জি আই জেড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আন্দ্রেয়াস কুক ও রুল অব ল প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম হেড প্রমিতাসেন গুপ্তা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
২ বছর আগে
শনিবার শেখ হাসিনার কারবন্দি দিবস পালন করবে আ.লীগ
২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস শনিবার।
আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো দিনটিকে ‘শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস’ হিসেবে পালন করে।
১/১১-এর সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ধানমন্ডির সুধা সদনের বাসা থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে দলটি বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বেলা ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সভা পরিচালনা করবেন উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।
এছাড়া আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দিবসটি পালনের জন্য আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এদিকে, কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ এক বিবৃতিতে, যার যার অবস্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মহান আল্লাহর কাছে দেশবাসীকে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল বাঙালি হৃদয়ে দেশপ্রেমের বহ্নিশিখা প্রজজ্বলিত করে সংকট জয়ের ঐক্যবদ্ধ সুরক্ষা ব্যুহ সৃষ্টি করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান।
প্রায় ১১ মাস বন্দি থাকার পর ২০০৮ সালের ১১ জুন জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে স্থাপিত বিশেষ সাব-জেল থেকে মুক্তি পান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
পড়ুন: দেশের অর্থনীতি নিয়ে জিএম কাদের ও রিজভীর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা তথ্যমন্ত্রীর
বাংলদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে: জিএম কাদের
২ বছর আগে