চার্লস হোয়াইটলি
বর্তমান পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান দেখতে চায় বাংলাদেশের বন্ধু ও অংশীদাররা: হোয়াইটলি
বাংলাদেশের সব বন্ধু ও অংশীদার বর্তমান পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান এবং আরও সহিংসতা ও রক্তপাত এড়াতে চায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
বুধবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে নিজের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেয়ার করেন তিনি।
হোয়াইটলি লেখেন, 'এই সপ্তাহে আমি অনেক মেধাবী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সঙ্গে দেখা করেছি। আগামী সপ্তাহে তারা ইউরোপে পড়তে আগে সব বাংলাদেশি ইরাসমাস স্কলারদের একসঙ্গে করবেন।’
তিনি পোস্টে আরও লেখেন, ‘সব বন্ধু ও অংশীদার বর্তমান পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান এবং আরও সহিংসতা ও রক্তপাত এড়াতে চায়।’
৫ মাস আগে
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গতিপথ 'নিঃসন্দেহে চিত্তাকর্ষক': চার্লস হোয়াইটলি
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও হেড অব ডেলিগেশন চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গতিপথ 'নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়'। তবে টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্রয়োজন দক্ষ ও উপযুক্ত জনশক্তি।
তিনি বলেন, 'আমরা এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের দিকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রূপান্তরকে সমর্থন অব্যাহত রেখেছি। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ইইউয়ের পারস্পরিক সুবিধাজনক অংশীদারিত্ব অব্যাহত রয়েছে।’
রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বলেন, বাংলাদেশের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংস্কার ও শক্তিশালীকরণের অগ্রযাত্রায় ইইউ অবিচল অংশীদার।
আইএলওর শেয়ার করা এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘কৌশলগত বিনিয়োগ, সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং নীতি সহায়তার জন্য আমরা দেশটির জনগণকে দক্ষ করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করেছি।’
আরও পড়ুন: শিগগিরই অংশীদারিত্ব সহযোগিতা চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করবে ইইউ: চার্লস হোয়াইটলি
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগ করে প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির নতুন সুযোগ উন্মোচন করতে পারে তরুণরা। যা সবার জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করবে।
তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা একসঙ্গে আরও দক্ষ, সহনীয় ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে যাই।’
রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে দক্ষতা উন্নয়ন ও টিভিইটি খাতে উল্লেখযোগ্য অর্জনে ইইউ সন্তুষ্ট।
তিনি বলেন, এই সাফল্য এই সময়ে ইইউ ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি ও টেকসই অংশীদারিত্বের একটি প্রমাণ।
রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সঙ্গে আমাদের সহযোগিতাও এই অর্জনগুলো উপলব্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।’
আরও পড়ুন: আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন পিটার হাস ও চার্লস হোয়াইটলি
৬ মাস আগে
আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন পিটার হাস ও চার্লস হোয়াইটলি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বন্ধু ও অংশীদারদের অব্যাহত শুভেচ্ছার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করবেন।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচিত বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
পরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি দুপুর ১টায় মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে মন্ত্রীর কর্মসূচিতে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১১ জানুয়ারি নতুন ও পুরাতন মুখের সমন্বয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেন।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, নির্বাচন ‘অবাধ বা সুষ্ঠু’ হয়নি, তবুও তারা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও অংশ নেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের প্রত্যাশা পূরণে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলায়নি: যুক্তরাষ্ট্র
নির্বাচনের একদিন পর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে অবাধ ও উন্মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশে মানবাধিকার ও সুশীল সমাজের সমর্থনে জনগণের সঙ্গে জনগণের ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও গভীর করতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।’
ইইউ বলেছে, তারা জিএসপি প্লাস অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য স্কিমে দেশের সম্ভাব্য প্রবেশাধিকারসহ রাজনৈতিক, মানবাধিকার, বাণিজ্য ও উন্নয়ন ক্ষেত্রে তাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে চিহ্নিত করে এমন অগ্রাধিকারের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখবে।
জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৯তম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে বুধবার রাতে উগান্ডার উদ্দেশে রওনা করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি: যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বিবৃতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১১ মাস আগে
রোহিঙ্গা সংকটে ‘নিজেদের সমর্থন অব্যাহত রাখছে’ ইইউ: রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সফররত প্রতিনিধি দল সোমবার (১৩ নভেম্বর) ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে এবং তাদের সহায়তার অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি সফররত প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন।
হোয়াইটলি বলেন, ‘ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিস (ইইেএস) পাওলা পাম্পালোনির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপব্যবস্থাপনা পরিচালকের বাংলাদেশে আজকের কর্মসূচি ছিল রোহিঙ্গা শিবিরসহ নারী শরণার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়, স্কুল, রোহিঙ্গা সাংস্কৃতিক স্মৃতি কেন্দ্র ও খাদ্য কেন্দ্র পরিদর্শন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ, রোহিঙ্গা রিফিউজি রেসপন্স সেন্টার, জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় কমিশনের (ইসিএইচও) মানবিক সহায়তা বিভাগকে ধন্যবাদ জানান।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রোহিঙ্গা সংকটে ‘তার সমর্থন বজায় রাখছে’।
ইইএএস-এর উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনির নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি দেশের শ্রম খাতে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করতে রবিবার ঢাকায় এসেছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ব্রাসেলস থেকে প্রতিনিধি দলের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, 'শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার বিষয়ে বাংলাদেশের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য সদ্য ঢাকায় এসেছি।
তারা ঢাকার বাড্ডায় প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য একটি স্কুল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: শ্রম পরিস্থিতি মূল্যায়নে ইইউ প্রতিনিধি দল ঢাকায়
ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনি বলেন, 'ঢাকায় আসতে পেরে আমি আনন্দিত।’
বুধবার তারা সরকারের শ্রম, বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র সচিবদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ইউএনবিকে বলেন, শ্রম খাতের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে 'অগ্রগতি পর্যালোচনা' করার লক্ষ্যে এই সফর।
বাংলাদেশ শ্রম খাতে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০২১-২০২৬) গ্রহণ করেছে এবং এই পরিকল্পনাটি আইএলও গভর্নিং বডির কাছে বাংলাদেশ সরকারের জমা দেওয়া রোডম্যাপের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত।
রোডম্যাপের লক্ষ্য হলো সংগঠনের স্বাধীনতা এবং সম্মিলিত দরকষাকষির অধিকারসহ দেশের শ্রম অধিকারগুলো পালনের উন্নতি করা।
গত মাসে রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বলেছিলেন, বাজারে প্রবেশাধিকার, জিএসপি প্লাসের জন্য বাংলাদেশের আবেদন বিবেচনায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এবং কমিশনের জন্য আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে শ্রম আইনকে একত্রিত করা একটি ‘অপরিহার্য উপাদান’ হবে।
ঢাকায় এক সেমিনারে তিনি বলেন, 'এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) এর পর জিএসপি প্লাসে যোগদানের বিকল্প বাংলাদেশের রয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রম খাতে অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে রবিবার ঢাকায় আসছে ইইউ দল
শ্রম খাতের অগ্রগতি পর্যালোচনা: আগামী সপ্তাহে আসছে পাওলা পাম্পালোনির নেতৃত্বে ইইউ প্রতিনিধি দল
১ বছর আগে
তৃতীয় টার্মিনাল বাংলাদেশের যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতাকে বদলে দেবে: ইইউ রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধনের ফলে বাংলাদেশের যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বদলে যাবে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ইইউ রাষ্ট্রদূত তার এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী হাসিনার চিত্তাকর্ষক নতুন বিমানবন্দর টার্মিনালের উদ্বোধন প্রতি বছর ২৪ মিলিয়ন যাত্রী পরিচালনা করার সম্ভাবনাসহ বাংলাদেশের যাত্রী ও কার্গো সক্ষমতাকে বদলে দেবে।’
তাকে নতুন টার্মিনালে বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুরের সঙ্গে সেলফি তুলতে দেখা গেছে, যা তিনি তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন।
জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন জ্যান জানোস্কি তৃতীয় টার্মিনাল পরিদর্শন করার অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেছেন। শনিবার এর সফট-ওপেনিং হয়েছে।
তিনি তার পোস্টে লিখেছেন, ‘শিগগিরই বাংলাদেশের (তৃতীয় টার্মিনাল থেকে) বিমান চলাচল শুরু হবে। ঢাকার হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন তৃতীয় টার্মিনালের সৌন্দর্যে আমি স্তম্ভিত। এটির বাস্তবায়নে প্রচুর জার্মান প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। এখানে ফার্স্ট এয়ারবাস ৩৮০ অবতরণ দেখার তর সইতে পারছি না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (৭ অক্টোবর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং করে বলেছেন, বাংলাদেশের রিসোর্ট শহর কক্সবাজার বা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শিগগিরই বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে একটি আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে।
১ বছর আগে
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ৬ সদস্যের চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মতামত প্রকাশিত হয়েছে, ইউএনবিকে রাষ্ট্রদূত
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্য (এমইপি) ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ/ভাইস-প্রেসিডেন্ট জোসেপ বোরেল ফন্টেলেসকে সম্ভববত নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সাধারণ নির্বাচন নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এই এমইপিরা হলেন- ইভান শটেফানেক (ইপিপি, স্লোভাক প্রজাতন্ত্র), মাইকেলা সোজড্রোভা (ইপিপি, চেক প্রজাতন্ত্র), আন্দ্রে কোভাতচেভ (ইপিপি, বুলগেরিয়া), কারেন মেলচিওর (রিনিউ, ডেনমার্ক), জাভিয়ের নার্ট (রিনিউ, স্পেন) এবং হেইডি হাউটালা (গ্রিন/ইএফএ, ফিনল্যান্ড)।
ইইউ হাই রিপ্রেজেন্টেটিভের কাছে এক চিঠিতে ছয়জন এমইপিও ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং চলমান সংকটের একটি টেকসই ও গণতান্ত্রিক সমাধান খুঁজে বের করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং অন্যান্য প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের সম্পৃক্ততার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতাবাস অবশ্য এই চিঠিকে এতে স্বাক্ষরকারী ছয় এমইপির মতামত হিসেবে বর্ণনা করেছে।
আরও পড়ুন: বৃহত্তর বৈশ্বিক স্বার্থে বহুপাক্ষিকতাকে সমুন্নত রাখুন: জি২০ সভায় মোমেন
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ইউএনবিকে বলেছেন, ‘আমি শুধু বলব যে এই চিঠিটিতে এতে স্বাক্ষরকারী ৬ জন এমইপির মতামত প্রকাশ করা হয়েছে।’
স্বাক্ষরকারী এমইপিরা জানান, বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতায় দীর্ঘ সময়ের অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জোরালো কারণ রয়েছে ইই’র।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এভাবে ইইউকে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মানবাধিকার প্রসঙ্গে শুধুমাত্র বারবার সংলাপে সীমাবদ্ধ থেকে নয়, বরং বাস্তব পদক্ষেপও নিতে হবে।’
তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ও জড়িতদের জন্য ইইএ জোনে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার মতো সম্ভাব্য পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছেন, বা এটা জিএসপিপ্লাস প্রণোদনার নিয়মিত শর্তগুলোর কথাও স্মরণ করিয়ে দেওয়া, যেখানে অংশগ্রাহক হিসেবে বাংলাদেশকে মূল্যায়ন করা হতে পারে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এ বিষয়ে আমরা ইইউ-বাংলাদেশ যৌথ কমিশন এবং সুশাসন ও মানবাধিকার বিষয়ক বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ মিলে এই বিষয়ে (এবং সম্ভবত অন্যান্য আরও কিছুক্ষেত্রে) নেওয়া উদ্যোগের ফলাফল সম্পর্কে আরও জানতে পারলে খুশি হব।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে শক্তিশালী সমর্থন চায় বাংলাদেশ
কোনো দেশ বা সংস্থার কাছ থেকে সংবিধানের বাইরে গিয়ে রাজনৈতিক সংলাপের প্রস্তাব পাইনি: শাহরিয়ার
১ বছর আগে
সবুজ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের যাত্রায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে পেরে গর্বিত: ইইউ
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বৃহস্পতিবার বলেছেন, টিম ইউরোপের মাধ্যমে একটি সবুজ এবং আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে বাংলাদেশ সরকারের পাশে দাঁড়াতে পেরে ইইউ গর্বিত।
রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকার এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের কাছে এনার্জি স্টোরেজ রোডম্যাপ উপস্থাপন করতে পেরে আনন্দিত।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল (ইইউডি) রাজধানীর একটি হোটেলে এনার্জি স্টোরেজ রোডম্যাপ প্রেজেন্টেশন অ্যান্ড হ্যান্ডওভার: ড্রাইভিং ইনভেস্টমেন্টস অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন’- অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এই ইভেন্টটি বাংলাদেশের টেকসই জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রায় জ্বালানি সঞ্চয়ের কৌশলগত গুরুত্বকেই তুলে ধরেনি বরং এই গুরুত্বপূর্ণ খাতে সহযোগিতা ও বিনিয়োগের ভিত্তিও তৈরি করেছে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
ড. চৌধুরী গবেষণার জন্য তার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং অন্যান্য দেশ এবং ইউরোপে বিদ্যমান এবং সম্ভাব্য ব্যাটারি জ্বালানি সঞ্চয় অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে আরও জানার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
তিনি ইইউ এবং এর সদস্য দেশগুলোকে বাংলাদেশে অন্যান্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রয়োগে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করেন।
আরও পড়ুন: এলডিসি উত্তোরণে বাংলাদেশকে সহায়তায় ইইউ’র প্রতি বিজিএমইএ প্রধানের আহ্বান
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের (এমওপিইএমআর) অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা-২, পাওয়ার বিভাগ) তানিয়া খান এবং পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক ইঞ্জি. মোহাম্মদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
টেকসই ও নবায়নযোগ্য শক্তি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এসআরইডিএ) এর চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সরকারি স্টেকহোল্ডার, বিদ্যুৎ বিভাগ, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো), পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান (বিআরইবি), ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (আইডিসিওএল), বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) এবং পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) এর প্রতিনিধি এবং এইখাত সংশ্লিষ্ট দাতা যেমন- জিআইজেড, এএফডি, এডিবি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ইইউ সদস্য রাষ্ট্র, মার্কিন দূতাবাস এবং দুটি বেসরকারি কোম্পানিসহ জ্বালানি সঞ্চয়স্থান সমাধানে সম্ভাব্য বিনিয়োগে আগ্রহী ৪০ জন উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিকে একত্র করা হয়।
দ্য এনার্জি স্টোরেজ রোডম্যাপের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো সমীক্ষা দলের নেতা মোহাম্মদ আরবাজ নাঈম উপস্থাপন করেন, যিনি দর্শকদের প্রশ্ন ও মন্তব্যও তুলে ধরেন।
এই সমীক্ষা টিম ইউরোপ ইনিশিয়েটিভ অন গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশনের কাঠামোর মধ্যে এবং ইইউ গ্লোবাল গেটওয়ে কৌশলের অংশ হিসেবে সংগঠিত হয়েছিল।
অতিরিক্ত সচিব তানিয়া খান এবং ডিজি পাওয়ার সেল উভয়েই এই গবেষণার জন্য অর্থ প্রদানের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে তাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তারা গবেষণায় বর্ণিত প্রকল্পগুলোতে ইইউ-এর সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ঢাকায় ইইউ দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশে সবুজ উত্তরণে সহায়তার জন্য ইইউ জড়িত এবং আর্থিক প্রতিশ্রুতি বিদ্যুৎ খাতের বিভিন্ন দিককে কভার করে।
এই বছর, ইইউ বাংলাদেশের গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশনের জন্য ইইউ অনুদান সহায়তার একটি ব্যাপক অর্থায়ন প্যাকেজ ডিজাইন করেছে।
ইইউ একটি নতুন পাইপলাইন প্রকল্পের মাধ্যমে জ্বালানি এবং জ্বালানি একীকরণ সমর্থন করার লক্ষ্য রাখে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ইইউ 'দ্রুত সময়ে' অংশীদারিত্ব সহযোগিতা চুক্তি চালু করতে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
ইইউ’র সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক একটি বহুমাত্রিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব: ইইউ
১ বছর আগে
ইইউ বাজারে জিএসপি প্লাস বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, ইইউ বাজারে দ্রুত জিএসপি প্লাস পাওয়ার প্রস্তুতি বাংলাদেশের ভবিষ্যত অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরবর্তী বড় ভূমিকা রাখবে।
২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উন্নীত হওয়ার অর্থ হল বর্তমান এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) থেকে উন্নীত হওয়া, ইইউ এর বাংলাদেশকে দেয়া একতরফা বাণিজ্য অগ্রাধিকার, যা বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে ইইউ রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গ্র্যাজুয়েশনের ফলে দেশের জিডিপিতে একটি উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য ক্ষতি এবং গুরুতর ধাক্কা লাগবে। যা জিএসপি প্লাস ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে কমানো যেতে পারে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, আইবিএফবি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার, আইবিএফবি সভাপতি হুমায়ুন রশীদ এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট এমএস সিদ্দিকী বক্তব্য দেন।
রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বলেন, একক খাত আরএমজি রপ্তানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে এবং শিল্প বৈচিত্র্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞানকে আকৃষ্ট করা হবে।
তিনি বলেন, এটি করার জন্য দেশি-বিদেশি উভয় ক্ষেত্রেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রয়োজন। ‘বিদ্যমান বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সমস্যার সমাধান করাও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সংলাপে এই এলাকার সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জড়িত থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে বিক্ষোভ-সম্পর্কিত সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ ইইউ’র
২ বছর আগে
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ইস্যুতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দল ঢাকায়
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিটির একটি প্রতিনিধি দল সোমবার তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।
হেইডি হাউতালা এমইপি বাংলাদেশে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
সফরে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রধানত বাণিজ্য ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সাথে সাম্প্রতিক বৈঠকের পর বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা ইইউ এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক অনুসরণ করতে আগ্রহী যা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে বাড়ছে।’
তিনি বলেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের (এমইপি) সদস্যদের প্রতিনিধি দল বিভিন্ন মন্ত্রী ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে দেখা করবে।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, উভয় পক্ষই জিএসপি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিনিধি দল ব্যক্তিমালিকানাধীন কারখানা পরিদর্শন করবে এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করবেন।
পড়ুন: ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ ডিজি পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন শুরু
মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে ৪ দিনের আসাম সফরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল
২ বছর আগে