হাওয়া
‘হাওয়া’র বিরুদ্ধে মামলা, জানেন না পরিচালক
মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ সিনেমার বিরুদ্ধে আবারও মামলা দায়ের করা হলো। তামাক নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অমান্য করার অভিযোগে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। যেখানে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যে সিনেমায় বিধি অনুসারে ধূমপানের ক্ষতিকর সতর্কবার্তা প্রদান করা হয়নি।
এই অভিযোগে চলচ্চিত্রটির পরিচালক, প্রযোজক, মূল চরিত্র এবং সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার জুয়েল সরকার।
আরও পড়ুন: ‘হাওয়া’য় মেতেছে দর্শক
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জুয়েল সরকার বলেন, ‘বেশকিছু দিন ধরে সিনেমার প্রযোজক ও পরিচালককে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হলেও তারা বিধি অনুসারে সতর্কবার্তা সংযোজন করেননি। তাই তামাক বিরোধী কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও চলচ্চিত্রটির নির্মাতা-প্রযোজকের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।’
নোটিশে বলা হয়, ‘হাওয়া’ সিনেমায় বিধিমালার চরম অবমাননা দেখা গেছে। সিনেমার মূল চরিত্র জনাব চঞ্চল চৌধুরী দেশের সব শ্রেণির, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব। চলচ্চিত্রটির বিভিন্ন স্থানে অপ্রয়োজনে ধূমপানের যেসব দৃশ্য সংযোজিত হয়েছে, তার সঙ্গে ধূমপানের ক্ষতিকর সতর্কবার্তা বিধি অনুযায়ী প্রদান করা হয়নি।
আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে ‘হাওয়া’র পরিচালক মেসবাউর রহমান সুমনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু আমরা জানি না। আমাদের প্রযোজকের কাছেও এমন কোনো নোটিশ আসেনি।’
আরও পড়ুন: মার্কিন বক্স অফিসের শীর্ষ ৩০-এ 'হাওয়া': পরিবেশক সংস্থার দাবি
আইনি নোটিশের বিষয়গুলো মেসবাউর রহমান সুমনকে জানানো হলে উল্লেখ করা বিষয়গুলো ভিত্তিহীন বলে তার দাবি।
এ নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সতর্কবার্তা নিয়ে এখানে যে অভিযোগ রয়েছে পুরোটা ভিত্তিহীন। যারা সিনেমাটি দেখেছেন বিষয়টি অবশ্য জানেন যে ধূমপানের প্রতিটি দৃশ্যে সতর্কবার্তা দেয়া আছে। আর বিষয়টি সেন্সরবোর্ডেও নজর রাখা হয়।’
মামলা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই বলেন আরও জানান ‘হাওয়া’র পরিচালক।
আরও পড়ুন: হাওয়ার প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ
২ বছর আগে
আমার সিদ্ধান্তে কোনো ভুল ছিল না: নাসির উদ্দিন খান
বয়স বা সময় কোনটিই বাঁধা মানে না, লক্ষ্যকে ছোঁয়ার ইচ্ছা যখন প্রবল থাকে। অভিনেতা নাসির উদ্দিন খানের ক্যারিয়ার গ্রাফ দেখলে বিষয়টা হয়তো আরও পরিষ্কার হবে। ‘মহানগর’ ওয়েব সিরিজ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পরিচিতি বাড়লেও অভিনয়কে আঁকড়ে ধরে আছেন দুই যুগের বেশি সময় ধরে।
সময়টা ১৯৯৫ সাল। চট্টগ্রামের ‘তির্যক নাট্যগোষ্ঠীতে’ যোগ দেন নাসির উদ্দিন খান। অভিনয়ের জন্য একসময় মন বসেনি পড়াশোনায়। এরপর চাকরিতেও বসাতে পারেননি মন। এদিকে, এতদিনে অভিনেতার সংসার হয়েছে, রয়েছে দুজন সন্তান। অনেকটা সময় পেরিয়েও গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিলেন চাকরি আর করবেন না। অভিনয় নিয়ে বাকি জীবনটা কাটাবেন নাসির উদ্দিন।
আর নাসির উদ্দিনের সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না তা আজ প্রমাণিত। ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে অভিনেতা বলেন, ‘আমি যখন ঢাকায় আসি তখন পর্যন্ত সামনে কী হবে জানতাম না। পরিচিত অনেকে বলেছেন, খরচের জন্য একটা চাকরি করতে। কিন্তু আমার লক্ষ্য ছিল অভিনয়। সেজন্যই ২০১৬ সালে ঢাকায় আসা। অনেকে হয়তো ভেবেছিল এই সময়ে এমন সিদ্ধান্ত ঠিক হচ্ছে না। কিন্তু আমি আত্মবিশ্বাসি ছিলাম। আমার সিদ্ধান্তে কোনো ভুল ছিল না।’
আরও পড়ুন: মার্কিন বক্স অফিসের শীর্ষ ৩০-এ 'হাওয়া': পরিবেশক সংস্থার দাবি
২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে অভিনয় জগতের সময়টা খারাপ গেলেও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের এক জোয়ার শুরু হয়। সেই জোয়ারে বাংলাদেশেও তৈরি হয় ভিন্ন এক সম্ভাবনা। বিশেষ করে এদেশে ওয়েব সিরিজ নির্মাণ শুরু হওয়ার পর নতুন এক হাওয়া বইতে থাকে ইন্ডাস্ট্রিতে। এতে যেমন একাধিক নির্মাতার মুন্সিয়ানা দেখেছে দর্শক, তেমনি অনেকগুলো নতুন মুখ পেয়েছে তারকাখ্যাতি।
বলা যায়, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম অনেক সম্ভাবনাময় অভিনেতার জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। নাসির উদ্দিন খান বলেন, ‘তখন পুরো বিশ্বের শোবিজ অঙ্গন ক্রান্তির মধ্য দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু ওটিটি প্ল্যাটফর্ম দর্শকদের বিনোদনের জন্য সেই চাহিদা পূরণ করেছে। বাংলাদেশেও এমনটাই হয়েছে। আমিও ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের সুযোগ পাই। সেটি ক্যারিয়ারের জন্য নতুন মোড় তৈরি করেছে।’
আরও পড়ুন: ওয়েব সিরিজ ‘বলি’: অভিনব চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী
সম্প্রতি নাসির উদ্দিন খানকে নিয়ে পুরো আলোচনা ‘হাওয়া’ নিয়ে। এতে তার অভিনয় দর্শকদের মনে নতুনভাবে জায়গা করে নিয়েছে। অনেকে বলছে অভিনেতার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট এই সিনেমা। কিন্তু নাসির উদ্দিন এতে ঠিক এক মত নন। তিনি বলেন, ‘জীবনেতো কখনও সরল পথে চলা যায় না। ভালো বা খারাপ দুটো নিয়েই চলতে হয়। ক্যারিয়ারটা সেভাবে দেখি। এখানে অনেক উচু-নিচু সময় পাড়ি দিতে হবে। ‘হাওয়া’আমার ক্যারিয়ারকে সামনে এগিয়ে নিতে অন্যতম ভূমিকা রাখবে অবশ্যই। কিন্তু সেটি ঠিক টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে ভাবি না।’
বর্তমান সময়টা বেশ ব্যস্ততায় কাটছে নাসির উদ্দিন খানের। একদিকে যেমন ‘হাওয়া’র প্রচারণা। অন্যদিকে নতুন সিনেমার কাজ। তিনি জানান, সামনে আরও দুটি সিনেমা ও কয়েকটি ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে তাকে। তবে সে সম্পর্কে জানাতে আরও কিছুদিন অপেক্ষায় রাখতে চান এই অভিনেতা।
আরও পড়ুন: বছরের আলোচিত ৫ বাংলা ওয়েব সিরিজ
২ বছর আগে
মার্কিন বক্স অফিসের শীর্ষ ৩০-এ 'হাওয়া': পরিবেশক সংস্থার দাবি
দেশের পর এবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ব্যাপক প্রশংসিত মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত 'হাওয়া'। বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা হিসেবে 'হাওয়া' মার্কিন বক্স অফিসের শীর্ষ ৩০-এ স্থান করে নিয়েছে বলে দাবি করেছে সিনেমাটির পরিবেশক সংস্থা।
গত ২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ৭৩টি ও কানাডার ১৩টি হলে মুক্তি পায় সিনেমাটি। বাংলাদেশের মতো সেখানেও আলোচিত 'হাওয়া'।
উওর আমেরিকায় সিনেমাটির পরিবেশক স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো’র প্রেসিডেন্ট মো. অলিউল্লাহ সজীব বলেন, 'হাওয়া' হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা, যেটি মার্কিন বক্স অফিসের শীর্ষ ৩০-এ স্থান করে নিয়েছে।
তিনি বলেন, 'কানাডা ও আমেরিকার বাংলাদেশের সিনেমার দর্শকদের আগ্রহে বক্স অফিসে একটি ঘুর্ণিঝড়ের সংকেত দেখেছিলাম আমরা। সে ঝড় যে এত বড় হবে তা ছিল আমাদের কল্পনারও বাইরে। এই আনন্দের ক্ষণে আমি প্রথমেই টিম ‘হাওয়া’ এবং টিম ‘স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো বাংলাদেশ’কে অভিনন্দন জানাই। সেই সঙ্গে উত্তর আমেরিকার দর্শকদের জানাই কৃতজ্ঞতা।'
তিনি জানান, ‘হাওয়া’র গ্রস বক্স অফিস কালেকশন দুই লাখ ১৩ হাজার ৪৬১ ডলার। যার মধ্যে কানাডায় ৮৬ হাজার ৩১২ ডলার, আমেরিকায় আয় করেছে এক লাখ ২৭ হাজার ১৪৯ ডলার।
আরও পড়ুন:মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব: এবার বিশেষ জুরি পুরস্কার পেল ‘আদিম’
‘হাওয়া’ হল চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র যা উত্তর আমেরিকায় বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়েছে। চঞ্চল ও জয়া আহসান অভিনীত ২০১৮ সালের চলচ্চিত্র 'দেবী'র লাইফটাইম গ্রস বক্স অফিস আয় ছিল এক লাখ ২৫ হাজার ৪১৪ ডলার। 'দেবী'র এই সম্পূর্ণ আয়ের রেকর্ড 'হাওয়া' মাত্র তিন দিনেই অতিক্রম করেছে। 'হাওয়া'র তিন দিনের আয় এক লাখ ৫৯ হাজার ৭৫২ ডলার।’
এক বেদে (জিপসি) নারীকে অনুসরণ করে, যাকে একটি মাছ ধরার নৌকায় উদ্ধার করা হয় এবং আশ্রয় দেয়া হয়, জাদু বাস্তবতার স্টাইলে ‘হাওয়া‘র গল্প এগিয়ে যায়।
সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরিফুল রাজ, সোহেল মণ্ডল, সুমন আনোয়ারসহ অনেকেই।
আরও পড়ুন:এবার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ‘পরাণ’
‘বিউটি সার্কাস’ মুক্তি পাবে ২৩ সেপ্টেম্বর
২ বছর আগে
সমঝোতার ভিত্তিতে ‘হাওয়া’র বিরুদ্ধে মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগ
২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিচ্ছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
রবিবার মন্ত্রণালয়টির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাওয়া টিম স্বীকার করে যে তারা আইনের বিধান সম্পর্কে অবগত ছিল না । তাই সিনেমার পরিচালকের আপোষ নিষ্পত্তি করার আবেদনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের অধীনে বন্যপ্রাণী অপরাধ প্রতিরোধ ইউনিটের করা মামলাটি প্রত্যাহারের পদক্ষেপ নেয়া হবে।
রবিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য হাওয়া’র পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের আপিল গ্রহণ করেন।
যেহেতু মামলাটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এর ধারা ৪৩ এবং সিআরপিসি’র ২৪৮ ধারা অনুযায়ী জটিলতাপূর্ণ, আপিল জমা দেয়া হয়েছিল।
আদালত আপিলের শুনানি করে এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
২৯ জুলাই মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি দেখে গত ১৭ আগস্ট বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের চার কর্মকর্তা মামলাটি করেন।
২২ আগস্ট, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের জন্য হাওয়া চলচ্চিত্রের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করার জন্য একটি আইনি নোটিশ দেয়া হয়।
নোটিশে সিনেমাটির লাইসেন্স প্রত্যাহার এবং শুধু স্থানীয়ভাবে নয়, বিশ্বব্যাপী এর প্রদর্শন নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে।
এছাড়া বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্য, আইনজীবী ও পরিবেশবিদদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করা উচিত বলেও জানানো হয়েছে।
উপরন্তু, ভবিষ্যতে কোন সিনেমাকে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র দেয়ার আগে, এটি নিশ্চিত করতে হবে যে চলচ্চিত্রটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সুরক্ষা আইন-২০১২-এর কোনও ধারা লঙ্ঘন করে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিনেমায় ট্রলারে শালিক পাখিকে খাঁচায় বন্দি অবস্থায় দেখা যায়। এক পর্যায়ে পাখিটিকে মেরে খেয়ে ফেলা হয়।
এছাড়া সিনেমাটিতে বেশ কিছু দৃশ্য রয়েছে যা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সুরক্ষা আইন, ২০১২ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এর ফলে মানুষ পাখি শিকার, খাঁচায় বন্দি ও নিধনে উৎসাহিত হবে।
এই দৃশ্য প্রচারের জন্য বন বিভাগ থেকে কোন অনুমতি নেয়া হয়নি, বিজ্ঞপ্তিতে যোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাওয়ার প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ
‘হাওয়া’য় মেতেছে দর্শক
২ বছর আগে
‘হাওয়া’ ও ‘শনিবার বিকেল’ নিয়ে শিল্পীদের প্রতিবাদ
একদিকে বাংলা সিনেমায় যেমন সুদিন চলছে,অন্যদিকে সিনেমাকে মামলার বেড়াজালে আটকে দেয়া হচ্ছে। কিছুদিন আগেই ‘হাওয়া’ সিনেমাটি বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও মোস্তফার সরয়ার ফারুকী নির্মিত ‘শনিবার বিকেল’কে সেন্সস বোর্ডে আটকে আছে গত তিন বছর।
সিনেমার এমন অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার হয়েছছেন অনেক তারকা। এমনকি অভিনয় শিল্পী ‘হোক প্রতিবাদ’ শিরোনামে একটি লিখিত প্রতিবাদ করেছে।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে চিলচ্চিত্রের শিল্পী, নির্মাতা ও কলাকুশলীদের ‘গল্প বলার স্বাধীনতা চাই’- শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নির্মাতা ও শিল্পী কলাকুশলীদের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা উপস্থাপনা করেন পরিচালক নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।
এই সংবাদ সম্মেলনের আরও উপস্থিত ছিলেন- মোরশেদুল ইসলাম, মেজবাউর রহমান সুমন, কামার আহমেদ সাইমন, অমিতাভ রেজা, পিপলু আর খান, নুরুল আলম আতিক, তারিক আনাম খান, চঞ্চল চৌধুরী, শম্পা রেজা, আফসানা মিমি, জয়া আহসান, আফরান নিশো, ইরেশ যাকের, আজমেরী হক বাঁধন ছাড়াও অনেকে।
চলচ্চিত্র পরিচালক নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, “বাংলা চলচ্চিত্র বিকাশের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক একটা পরিবর্তন ঘটেছে সাম্প্রতিক সময়ে। এমন সময় ‘হাওয়া’র বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করা হলো। ‘শনিবার বিকেলে’ মুক্তি পাচ্ছে না দুই বছর ধরে। তরুণরা নতুন সহস্রাব্দের চলচ্চিত্র নির্মাণ করছে।”
আরও পড়ুন: হাওয়ার প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ
সংবাদ সম্মেলনে জয়া আহসান বলেন, “প্রাণ-প্রকৃতি নিয়ে আমার নিজের একটা খাঁটি আবেগ আছে। সেই জায়গা থেকে প্রাণ-প্রকৃতি নিয়ে আমি আরও বেশি কথা বলবো। তাই বলে কি চলচ্চিত্র বন্ধ করতে হবে! বন উজাড় হচ্ছে, দিনের পর দিন পশুপাখির সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছে এগুলোর বেলায় বনবিভাগ বা প্রশাসন কোথায়! চলচ্চিত্রের বেলায় প্রশাসনের এই চাপ কেনো? চলচ্চিত্রের উপর অদৃশ্য চাপ বন্ধ করতে হবে। সব চরিত্র যদি নিয়ম মেনে চলতে থাকে তাহলে তো কোনো ফিকশনই তৈরি হবে না। আমরা কি তাহলে চলচ্চিত্র নির্মাণ করব না।”
দাবি আদায়ে প্রাথমিক কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলন থেকে।
জানানো হয়, আগামী সেপ্টেম্বরে একটি গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করা হবে। সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোতে স্মারকলিপি দেয়া হবে।
পাঁচ দফা দাবি হলো-
১. ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে করা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
২. ‘শনিবার বিকেলে’ চলচ্চিত্র কেন সেন্সর ছাড়পত্র পেল না তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা চাই।
৩. বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড বাতিল করতে হবে ও প্রস্তাবিত চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইনের ক্ষেত্রে সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে একটি আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন প্রণয়ন করতে হবে।
৪. প্রস্তাবিত ওটিটি নীতিমালার ক্ষেত্রে সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে একটি আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ওটিটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
৫. চলচ্চিত্র বা কনটেন্টবিষয়ক কোনো মামলা দায়ের করার আগে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের (যেমন- খসড়া ওটিটি নীতিমালায় প্ল্যাটফর্মগুলোতে আলাদা কমিশন বোর্ড তৈরির প্রস্তাব আছে এ জাতীয় কোনো কর্তৃপক্ষের) সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ফিল্মমেকিংয়ের চেয়ে বড় কোনো অপরাধ তো আর নাই: ফারুকী
‘হাওয়া’ এপিঠ ওপিঠে এরফান মৃধা শিবলু
২ বছর আগে
হাওয়ার প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ
বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে হাওয়া সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং তথ্য সচিব মো. মকবুল হোসেন ও সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মুহ. সাইফুল্লাহ বরাবর এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।
নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে হাওয়া সিনেমাটির ছাড়পত্র বাতিল করে বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের বাইরে প্রচার, সম্প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পাশাপাশি সেন্সরবোর্ড পুনঃগঠন করে বন্যপ্রাণি অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্য, আইনজীবী ও পরিবেশবিদদের সেন্সর বোর্ডের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে ভবিষ্যতে কোনো সিনেমার ছাড়পত্র দেয়ার আগে চলচ্চিত্রটিতে যেন ভায়োলেন্স পূর্ণ খুনের দৃশ্য, গালি এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর কোনো ধারার লঙ্ঘন না হয় সে ব্যাপারে বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়ে গত ২৯ জুলাই দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে মুক্তি পাওয়া মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ সিনেমায় ট্রলারে থাকা একটি খাঁচায় শালিক পাখি বন্দি অবস্থায় দেখা যায়। এক পর্যায়ে সেটিকে হত্যা করে খাওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়েছে।
'হাওয়া’ সিনেমার কয়েকটি দৃশ্য রয়েছে যা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে। বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত এ ধরনের অপরাধের ফলে সাধারণ মানুষ পাখি শিকার, খাঁচায় পোষা ও হত্যা করে খাওয়ায় উৎসাহিত হবে। এই দৃশ্য ধারণের জন্য বনবিভাগের কোনো অনুমতিও নেয়া হয়নি। বন্যপ্রাণী হত্যা এবং খাওয়ার দৃশ্য দেখে মানুষ মনে করতে পারেন যে, এটা করা যায়। তারা এগুলো দেখে উৎসাহিত হতে পারেন। সিনেমা নাটকে ধূমপানের দৃশ্যে যেমন লেখা থাকে যে, এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, কিন্তু ‘হাওয়া’ সিনেমার ওই অংশে এই ধরনের কোনো বার্তা ছিল না।
আরও পড়ুন:‘হাওয়া’ এপিঠ ওপিঠে এরফান মৃধা শিবলু
এছাড়া ‘হাওয়া’ সিনেমায় বেশ কয়েকটি খুনের দৃশ্য রয়েছে যা অতি ভয়ঙ্কর তথা ভায়লেন্স পূর্ণ। এছাড়া পুরো সিনেমায় নারী চরিত্রকে নেতিবাচক হিসেবে তুলে ধরার পাশাপাশি অসংখ্য গালি ব্যবহার করা হয়েছে। যা পরিবারের সদস্যরা বিশেষ করে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দেখা মোটেও উচিত নয়। এহেন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিশু-কিশোররা, তরুণ-তরুণীরা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে পারে। যা সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অথচ ‘হাওয়া’ সিনেমার কোথাও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দেখা নিষেধ এই কথাটিও উল্লেখ নেই। এই ধরনের চলচ্চিত্র শুধু বাংলাদেশেই নয় বর্হিবিশ্বেও প্রচার, সম্প্রচার ও প্রদর্শন হলে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার জন্ম দেবে।
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘হাওয়া’ সিনেমাটিতে ভায়লেন্স পূর্ণ খুনের দৃশ্য, গালি এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ধারা ৩৮(১), ৩৮(২), ৪০ ও ৪৬ ধারা লঙ্ঘন হলেও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এর সদস্যরা পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনকে হাওয়া সিনেমার বিতর্কিত দৃশ্যগুলো কর্তন বা আইন লঙ্ঘনের চিত্র সংস্কার করতে না বলে, বরং হাওয়া সিনেমাটিকে দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে ছাড়পত্র দিয়ে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন লঙ্ঘনে এবং সমাজে নেতিবাচক প্রভাব তৈরিতে উৎসাহ দিয়ে সমঅপরাধ সংঘটিত করেছেন।
উল্লেখ্য, এরইমধ্যে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের চার কর্মকর্তা ‘হাওয়া’ সিনেমাটি দেখে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ধারা ৩৮(১), ৩৮(২), ৪০ ও ৪৬ ধারা লঙ্ঘনের সত্যতা পেয়ে ১৭ আগস্ট আদালতে মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন:‘হাওয়া’য় মেতেছে দর্শক
মুক্তির আগেই আলোচনায় ‘হাওয়া’
২ বছর আগে
ভিডিও নিয়ে বিতর্কের জবাব দিলেন তুষি
সম্প্রতি ‘হাওয়া’ দিয়ে বেশ আলোচনায় এসেছেন অভিনেত্রী নাফিজা তুষি। সিনেমায় ‘গুলতি’ চরিত্রে অভিনয় দিয়ে যখন প্রশংসায় ভাসছেন তখনই একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে তাকে নিয়ে চলছে বিতর্ক। যেখানে দেখা যাচ্ছে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় ‘হাওয়া’র পোস্টারের সঙ্গে থাকা অন্য দুটি সিনেমা ‘পরাণ’ ও ‘দিন: দ্য ডে’র পোস্টার সরাতে বলছেন তিনি।
তবে ঘটনাটি কোন উদ্দেশ্য কেন্দ্র করে হয়নি। এমনটাই গণমাধ্যমে জানিয়েছেন নাফিজা তুষি।
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা নিয়ে যে এমন বিতর্ক তৈরি হবে সেটি ভাবতেই পারিনি। সবাই পেছনের ঘটনা না জেনে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। কিন্তু ঘটনা খুব স্বাভাবিক ছিল।’
তুষি আরও বলেন, ‘শ্যামলী সিনেমা হলে গিয়েছিলাম প্রচারণায়। সেখানে সাংবাদিকরা অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছেন। আমি যখন সাক্ষাৎকার দিতে চাই তখন চেয়েছিল পেছনে হাওয়া সিনেমার পোস্টার থাক। সবাই হয়তো এমনটাই চাইবেন। কিন্তু বাকি দুটি পোস্টার সরাচ্ছিলেন হলের লোকজন। যেহেতু সবাই অনেক্ষণ অপেক্ষা করছেন তাই আমি বলেছি যেন একটু দ্রুত সরায়। এটুকুই কিন্তু। এতেই বিতর্কের সৃষ্টি।’
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই মুক্তি পেয়েছে মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’। সিনেমাটি শিগগিরই মুক্তি পাবে উত্তর আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে।
পড়ুন: সাম্প্রতিককালে ইউটিউবে ঝড় তোলা জনপ্রিয় সব বাংলা নাটক
‘হাওয়া’ এপিঠ ওপিঠে এরফান মৃধা শিবলু
২ বছর আগে
‘হাওয়া’ এপিঠ ওপিঠে এরফান মৃধা শিবলু
সাম্প্রতিক বাংলা সিনেমার জোয়ারকে আরও উত্তাল করে দিয়েছে ‘হাওয়া’। মুক্তির আগে থেকেই এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যার শুরু হয় সিনেমার 'সাদা সাদা কালা কালা' গানটি দিয়ে।
মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ২৯ জুলাই মুক্তি পাওয়া ‘হাওয়া’ সিনেমার এই গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন এরফান মৃধা শিবলু। যদিও তা ছিল পুরোটাই কাকতালীয়। 'সাদা সাদা কালা কালা' গানের কারিগর হাশিম মাহমুদ। ইউএনবির সঙ্গে শিবলুর সাক্ষাতকারের প্রসঙ্গে শুরু হলো এই মানুষকে নিয়েই।
আরও পড়ুন: অনেকবার বাধার মুখে পড়েছি কিন্তু হাল ছাড়িনি: বান্নাহ
শিবলু বলেন, 'সাদা সাদা কালা কালা' এখন গণমানুষের কাছে জনপ্রিয় হলেও এটি কিন্তু অনেক আগেই এক কনসার্টে গেয়েছেন। তখন আমি অল্প বয়সী। টিএসসির এক কনসার্টে হাশেম ভাই কোনো ধরনের বাদ্যযন্ত্র ছাড়া গানটি গেয়েছিলেন। হাশিম ভাইকে আমি চিনি অনেক দিন। বিখ্যাত হওয়ার মানসিকতা তার কখনও ছিল না। তার ইচ্ছা প্রকৃতির মধ্যে ঘুরে বেড়ানো, মানুষের সঙ্গে মেশা। খুবই সরল মানুষ হাশিম ভাই।
গানটি সিনেমায় যুক্ত করার যেই পরিকল্পনা করেছিলেন পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন, তার শুরু থেকে শেষ অবদি ছিলেন এরফান মৃধা শিবলু। যেহেতু সিনেমার গল্প সমুদ্র ও জেলেদের নিয়ে গড়ে উঠেছে, তাই এক ফিশিং বোটে তিন দিনের জন্য গভীর সমুদ্রে পরিচালক সুমনের সঙ্গে যান শিবলু। দেখেন ৫০ ফুট একটি নৌকায় ২০-২৫ জন জেলে থাকেন। সেখানেই মাইজ ভাণ্ডারির একটি নৌকা ছিল, তাতে হারমোনিয়াম দেখতে পান তারা। যেখান থেকে একটি গানের পরিকল্পনা আসে নির্মাতার মাথায়। সেখান থেকেই নির্বাচিত হয় হাশিম মাহমুদের গানটি।
'সাদা সাদা কালা কালা' গানটি হাশিম মাহমুদের কণ্ঠেই রেকর্ড করা কথা ছিল শুরুতে। কিন্তু তার অসুস্থতার কারণে শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। গানটি পরবর্তীতে তৈরি প্রসঙ্গে শিবলু বলেন, গানটি নির্বাচনের পর সুমন ভাই সঙ্গীতায়োজনের দায়িত্ব দেন ইমন চৌধুরীকে। আর এর সঙ্গে বলেন দেন যে গানটিতে যেন খমক ছাড়া আর কোনো বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার না করা হয়। সেই চিন্তা থেকে ইমন যুক্ত করেন মাছ ধরার ট্রলারে অনেক ধরনের জিনিসপত্র। তেলের ড্রাম, প্লাস্টিক বল, মগ, বাঁশ, লাঠি ও টিনের অনেক কিছু দিয়ে সাউন্ড তৈরি করে গানে ব্যবহার করা হয়েছে। আর এর অন্যতম কারিগর মিঠুন চাকরা।
আরও পড়ুন: বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা
'সাদা সাদা কালা কালা' দিয়ে অনেকদিন পর সিনেমার কোনো গান এতটা আলোচনায় এসেছে। তবে অনেকের ধারণা এর পেছনে সিনেমাটির প্রচারণা ধরন। কিন্তু এমনটা একদম মনে করেন না এরফান মৃধা শিবলু।
শিবলু বলেন, আমি শুরুতে বলেছি এই গান দিয়ে বহু বছর আগে টিএসসির কনসার্টে মানুষের মন জয় করেছেন। আসলে গানটিই এমন। এছাড়া হাশিম ভাইয়ের লেখা এই গানের কথা-সুর খুবই সরল। এছাড়া গানটির সঙ্গীতায়োজনও ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা। রিদম এতটাই সহজ যে, কোনো বাদ্যযন্ত্র ছাড়াই কণ্ঠে তুলে ফেলতে পারেন।
'সাদা সাদা কালা কালা' গাওয়ার পাশাপাশি সিনেমায় গানটির দৃশ্যে ছিলেন এরফান মৃধা শিবলু। তবে একটি বিষয় হয়তো অনেকের অজানা, পুরো সিনেমার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পেছনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মুক্তির আগেই আলোচনায় ‘হাওয়া’
গানটি প্রসঙ্গে শেষ কথা বলতে গিয়ে শিবলু আবারও বলেন হাশিম মাহমুদকে নিয়ে। জানান, গানের এই গুণী কারিগরকে আবারও ফিরে পেতে চান তারা। তাকে সুস্থ করে তুলতে নিজেদের উদ্যোগও রয়েছে। এমন একজন উজ্জ্বল নক্ষত্রের আলোয় আরও আলোকিত হওয়া যে এখনও বাকি।
২ বছর আগে
‘হাওয়া’য় মেতেছে দর্শক
গত কয়েক বছর সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে যে হতাশার বাতাস বইছিল তা অনেকটা কেটে যায় এ বছর রোজার ঈদের মধ্য দিয়ে। অনেকদিন পর বাংলা সিনেমা নিয়ে দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ ফিরে আসে। কোরবানি ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘পরান’ দিয়ে উন্মাদনা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
ঈদের রেশ কাটতেই দর্শক মেতে ওঠে মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ নিয়ে। বাংলা সিনেমা নিয়ে দর্শকদের মধ্যে এমন উন্মাদনা চোখে পড়ল বহু বছর পর। সারা দেশের ২৪টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘হাওয়া’। আর প্রথম দিনেই সব শো হাউজফুল।
মুক্তির প্রথম দিন সিনেমা হলে ঘুরছেন ‘হাওয়া’র কলাকুশলিরা। দুপুরে শো দেখতে স্টার সিনেপ্লেক্সে উপস্থিত হয় চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, সুমন আনোয়ার, নাসির উদ্দিন, সোহেল রানা মন্ডল সহ সংশ্লিষ্ট অনেকে।
দেশব্যাপী এমন উন্মাদনার জন্য দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান চঞ্চল চৌধুরী।
তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘এই সফলতা পুরোটা দর্শকদের ভালোবাসা। সারাদেশের সিনেমা হলগুলোতে হাউজফুলের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এটা আসলে চিন্তাতেও ছিলা না। প্রথম দিনই আমাদের সময়টাকে এতো সুন্দর করে দিয়েছেন।’
চঞ্চল আরও বলেন, ‘কাজটি করতে আমরা কতটা কষ্ট করেছি সিনেমাটি দেখলে দর্শক বুঝবেন। সেই কষ্টের কাজটি দর্শক স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসে দেখছেন। এর চাইতে বড় কোনো পাওয়া আর হয় না। বাংলা সিনেমার পাশে এভাবে দর্শক থাকলে আমরা আরও এগিয়ে যাব।’
চঞ্চল চৌধুরী ছাড়াও সিনেমাটি নিয়ে নিজেদের উচ্ছ্বাসের কথা সাংবাদিকদের জানান ‘হাওয়া’ টিমের অনেকে।
আরও পড়ুন: মুক্তির আগেই আলোচনায় ‘হাওয়া’
সত্য ঘটনা অবলম্বে ‘তনয়া’
২ বছর আগে
মুক্তির আগেই আলোচনায় ‘হাওয়া’
মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ মুক্তি পাবে ২৯ জুলাই। তবে এ নিয়ে আলোচনা চলছে বেশ আগে থেকেই। সিনেমার ‘সাদা সাদা কালা কালা’ শিরোনামে একটি গানও এরই মধ্যে প্রকাশ হয়েছে, যা ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
‘হাওয়া’তে অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। তাদের মধ্যে রয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরীফুল ইসলাম রাজ, সুমন আনোয়ার, সোহেল মণ্ডল, নাসির উদ্দিন খান, রিজভী রিজু, মাহমুদ আলম, বাবলু বোস প্রমুখ।
সিনেমাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে প্রচারণা শুরু হয়েছে। শুটিংয়ের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা পোস্ট করছেন সংশ্লিষ্টরা। এমনকি দর্শকরাও ‘হাওয়া’ নিয়ে বেশ আগ্রহ প্রকাশ করছেন। বিশেষ করে ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটি প্রকাশের পর।
গানটির গীতিকার ও সুরকার হাশিম মাহমুদ। কণ্ঠ দিয়েছেন আরফান মৃধা। এ নিয়ে একটি লেখা ফেসবুকে পোস্ট করেন সিনেমার পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন। তিনি লেখেন, ‘আমি যখন চারুকলায় পড়তাম তখন অনেক অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা আর মানুষের সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল এবং তারা বেশিরভাগই গানের মানুষ ছিল। তখন আমরা কাঁধে গীটার নিয়ে সারাদিন ঘুরে বেড়াতাম, গান করতাম। চারপাশে অনেকেই তখন গান করত।’
হাশিম মাহমুদের সঙ্গে পরিচয়ের কথা বলতে গিয়ে পরিচালক লেখেন, ‘সেই সমইয়ের অনেকের গানই এখন খুব জনপ্রিয়। কিন্তু আমার কাছে হাশিম ভাই এর গান ছিল ভিন্ন কিছু। কত বিকেল পার করেছি হাসিম ভাইয়ের গানে। অনেক বছর আগে আমি আর শোয়েব, হাশিম ভাই কিছু গান রেকর্ডও করেছিলাম, কিন্তু পরে সেই রেকর্ডিংগুলি আমরা হারিয়ে ফেলি। আমি যখন হাওয়ার কাজ শুরু করবো, তখনই ঠিক করেছিলাম সাদা সাদা কালা কালা গানটা সিনেমাতে রাখতে চাই।’
মেজবাউর রহমান সুমন আরো লেখেন, ‘কিন্তু হাশিম ভাইকে আমার দীর্ঘদিন ধরে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। সে তখন আর চারুকলায় আসেনা। পরে জানতে পারি তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পরেছেন। অনেক খোঁজ খবর করার পর আমরা হাশিম ভাইকে খুঁজে পাই। হাশিম ভাইকে দিয়েই গানটি গাওয়াতে পারলে সবথেকে ভালো হতো। কিন্তু সেটা সম্ভভ হয়নি তার অসুস্থতার কারণে।’
‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটি প্রসঙ্গে পরিচালক জানান এতে খমক ছাড়া কোন বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। নৌকার সব কাঠ বাস হাড়ি পাতিল দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন ইমন চৌধুরী। আর যন্ত্রগুলো বাঁজিয়েছে মিঠুন চাকরা।
অতল সমুদ্রে গন্তব্যহীন একটি ফিশিং ট্রলারে আটকে পড়া আট মাঝি মাল্লা এবং এক রহস্যময় বেদেনীকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে ‘হাওয়া’ সিনেমার গল্প।
পড়ুন: কন্যার ছবি প্রকাশ্যে আনলেন তিশা
যুক্তরাষ্ট্রে শাকিব খানের প্রথম সিনেমা মুক্তি
২ বছর আগে