বন্ধুত্ব
ভারত বন্ধুত্ব চায় শুধু স্বৈরশাসক হাসিনার সঙ্গে, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়: রিজভী
মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ফজলে এলাহী আকবরের নেতৃত্বে সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধি দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে নিহত লেফটেন্যান্ট তানজিম সরওয়ার নির্ঝনের বাড়িতে গিয়ে শোকার্ত পরিবারকে সান্তনা দিয়েছেন।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা তানজিমের টাঙ্গাইলের বাড়িতে যান।
আরও পড়ুন: হাসিনার সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: রিজভী
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনার সময় ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন লেফটেন্যান্ট তানজিম।
সাবেক সেনা কর্মকর্তারা টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের কোরের বেতকা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তানজিমের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এরপর সফররত প্রতিনিধি দল ও বিএনপি নেতারা শহীদ সেনা কর্মকর্তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
প্রতিনিধি দলের অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তারা হলেন- কর্নেল শামসুজ্জামান খান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সিদ্দিকুর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইদুল আলম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মেজর সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক ও মেজর মো.গোলাম মান্নান চৌধুরী।
এ সময় টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির বিএনপি নেতা হাসানুজ্জামান শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালসহ স্থানীয় বিএনপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য ইসি দায়ী: রিজভী
অপরাধীদের ক্ষমা নয়, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া উচিত: রিজভী
১ মাস আগে
পূর্ব-পশ্চিমের সব দেশ আমাদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বহিরাগত চাপের কথা অস্বীকার করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিভক্ত বিশ্বের প্রেক্ষাপটেও ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’-এই পররাষ্ট্রনীতিতে অবিচল থাকবে বাংলাদেশ।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি)পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিমের সব দেশই আমাদের সরকারের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।দিন শেষে তারা আমাদের উন্নয়নের অংশীদার এবং আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে আ. লীগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্ব ধীরে ধীরে বিভক্ত হয়ে পড়ছে এবং এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এটি একটি চ্যালেঞ্জ।
বঙ্গভবনে নবনির্বাচিত সরকারের মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতসহ ঢাকায় নিযুক্ত সব রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন হাছান মাহমুদ
নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা সবাই বর্তমান সরকারকে অভিনন্দন জানাতে এসেছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রতিটি দেশের নিজস্ব ‘দৃষ্টিভঙ্গি ও বিবরণ (পারসপেক্টিভ অ্যান্ড ন্যারেটিভ)’ রয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকার সেই দৃষ্টিভঙ্গি ও বক্তব্যকে মূল্য দেয়।
নতুন ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয়। এটি একটি চ্যালেঞ্জ।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বিবৃতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বর্ণনা অনুযায়ী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের উন্নয়নের জন্য পাশ্চাত্য বা প্রাচ্য সব দেশের সঙ্গে কাজ করব। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বে বিশ্বাস করি, কারো সঙ্গে বৈরিতা করি নয়।’
তিনি বলেন, সরকার অর্থনৈতিক কূটনীতিতে মনোনিবেশ করবে এবং এই ক্ষেত্রে প্রচেষ্টা জোরদার করবে।
মন্ত্রী জানান, বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ সংকট মোকাবিলায় বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স নিশ্চিত করতে তিনি কাজ করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্য মন্ত্রণালয় একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। আপনাদের সহযোগিতায় আমি সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এটি অবশ্যই একটি চ্যালেঞ্জ এবং এখন বিশ্বের বিভিন্ন অংশে যুদ্ধ চলছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ঠিক আগে ট্রেনে আগুন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তের চূড়ান্ত অভিপ্রায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তারা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। ইনশাআল্লাহ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব এবং দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করব, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করব।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবায় ‘কল সেন্টার’ উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১০ মাস আগে
সংহতি ও বন্ধুত্ব থেকেই শ্রীলঙ্কাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়েছে বাংলাদেশ
দক্ষিণ এশিয়ার বন্ধুপ্রতীম দেশ শ্রীলঙ্কার জনগণের জন্য ১০ কোটি টাকার চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন,‘এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে সংহতি ও বন্ধুত্বের বহিঃপ্রকাশ।’
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার রুওয়ান্থি দেলপিটিয়া, এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মোমেন বলেন, কোভিড-১৯ এর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতের কারণে প্রতিটি দেশ বিভিন্ন মাত্রায় নিজস্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা বা বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এই কঠিন সময়ে পারস্পরিক সহযোগিতা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি প্রয়োজন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেকোনো দেশকে, বিশেষ করে তার প্রতিবেশী দেশগুলোকে তার সীমিত সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তা দিতে দ্বিধা করে না। ‘আমাদের কার্যক্রমের মূল ভিত্তি হলো বিশুদ্ধ সদিচ্ছা এবং সুতো ছাড়াই বন্ধুত্ব।’
সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তান, সিরিয়া, তুরস্ক ও সর্বশেষ ফিলিস্তিনকে ওষুধ ও অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর শ্রীলঙ্কায় অনুদান হিসেবে প্রায় ২০ কোটি টাকার ওষুধ পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ১.৭ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের
১ বছর আগে
সব সীমারেখার ওপরে মানুষের বন্ধুত্ব: রাজ
সম্প্রতি চিত্রনায়ক শরীফুল রাজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি ভিডিও পোস্ট হয়। যেখানে তার সঙ্গে দেখা যায় অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামালকে।
যাদেরকে একসঙ্গে ‘ন ডরাই’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল। আর তখন থেকে তাদের বন্ধুত্বের কথাও সবার জানা।
কিন্তু রাজের আইডি থেকে দুই জনের যেই ভিডিও পোস্ট হয় সেখানে দুই জনের অসংলগ্ন কথোকপথনও ছিল। যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: আমি রীতিমতো অবাক হয়েছি: শরীফুল রাজ
এই ঘটনার পর সুনেরাহ তার প্রোফাইলে একটি স্ট্যাটাস দেন। যেখানে রাজের স্ত্রী চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে তিনি ইঙ্গিতপূর্বক অভিযোগ লেখেন।
এই ঘটনার শুরুতে রাজ চুপ থাকলেও অবশেষে বিষয়টি নিয়ে তিনি সামনে আসেন।
এই নায়ক তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘মানুষ প্রতি মুহূর্তে একটু একটু করে পরিণত হয়। জন্মের পর নিজের পায়ে চলতে শিখতেও কয়েক বছর লেগে যায়। আর ঠিকঠাক কথা বলা শিখতে লেগে যায় আরও কিছু বছর। কিন্তু এই বলা আর চলার যাত্রা কখনো শেষ হয় না। তবে এ যাত্রায় আমরা কিছু মানুষের সঙ্গে পরিচিত হই, যাদের সঙ্গে সুখ-দুঃখ, কাজের আলাপ কিংবা কাজহীন দিনের আলাপ, সুস্থতা ও পাগলামী সবকিছুই ভাগ করে নেওয়া যায়। যাদের সঙ্গে চলার বা কথা বলার বিশেষ কোনো শর্ত থাকে না। শর্ত থাকে কেবল একটাই, সেটার নাম বন্ধুত্ব।
তার নিজের সমস্যায় পড়ার কথা উল্লেখ করে লিখেন, ‘নিশ্চয়ই আপনাদের প্রত্যেকেরই এমন অনেক বন্ধু রয়েছে- যাদের সঙ্গে আপনারা আভিধানিক শব্দে কথা বলেন না। একসঙ্গে পথ চলার সময় ভবিষ্যৎ ভাবনা নিয়ে পথ চলেন না। যাদের সঙ্গে অনেক বেফাঁস কথা বলেন। কারণ বন্ধুত্ব তো এমনই। লিঙ্গ, বর্ণ, বয়সসহ সব সীমারেখার ওপরে মানুষের বন্ধুত্ব। কিন্তু সমস্যা হয়, যখন কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে বন্ধুত্বের মতো সম্পর্কের মাঝখানে লৈঙ্গিক পরিচয়ের সীমারেখা টেনে ব্যাপারটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চায়। যখন কেউ বন্ধুদের মধ্যকার দ্বিধাহীন আড্ডার আলাপ টক অব দ্য টাউনে পরিণত করে। আমিও তেমনই এক সমস্যায় পড়েছি।’
রাজ আরও লিখেন ‘আমি গত কয়েকদিন ধরে সিনেমার ডাবিং নিয়ে ব্যস্ত। আমার সিনেমার কিছু গল্পের স্ক্রিপ্ট রিডিং করার কথা, এগুলো নিয়েই আমি ঠিকমতো সময় দিতে পারছি না। যখনই সময় পাচ্ছি গল্পের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছি, তার মধ্যে হঠাৎ করে কে বা কারা এসব করে আমাকে হেনস্তার শিকার করছে, যা ভাবতেই আমি হতবাক হয়ে গেলাম। আমাকে নিয়ে শেষ যতদিন থেকে নানাবিধ সত্য-মিথ্যার মিশ্রণে ঘটনার চাউর করছে আমি তার শুরু থেকেই নীরব ছিলাম। কিন্তু নীরবতা মানেই দুর্বলতা না।’
নিজের ফেসবুক প্রোফাইল হ্যাক হওয়া প্রসঙ্গে টেনে রাজ লিখেছেন, ‘আমার ফেসবুক প্রোফাইলের পাসওয়ার্ড বা অ্যাকসেস এমন কারও কাছে আছে অথবা হ্যাক করে কেউ আমার দীর্ঘকালের বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গের নিতান্ত বন্ধুত্বের আড্ডার ঘটনা লিক করে দেয়। যে বা যারা এ কাজ করেছে, তাদের উদ্দেশ্য ছিল আমাদের হেনস্তা করা। হয়তো তারা সফলও হয়েছে। আমি আমার তিন বন্ধু ও সহকর্মীর কাছে শর্তহীন দুঃখ প্রকাশ করছি; যারা আমার খুব ভালো বন্ধু দীর্ঘদিনের। সেই বন্ধুত্বের কোনো লিঙ্গ নেই। আমার কারণে তাদের হেনস্তার শিকার হতে হলো বলে। আমার সব শুভাকাঙ্ক্ষী, সমর্থক ও সমালোচকদের কাছেও আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। বন্ধুদের আড্ডার ঘটনা নোংরা উদ্দ্যেশে স্প্রেড করে মিসলিড করা হয়েছে বলে।’
শেষে তিনি লিখেন, ‘বহুবার হোঁচট খেয়েই তো হাঁটতে শিখেছি! আবারও হোঁচট খেলাম। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা সঙ্গে থাকলে নিশ্চয় আরও পরিণত হবো, শিখবো অতীতের ভুল থেকে। আমাকে আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় রাখবেন। কারণ আপনাদের সমর্থন ছাড়া একজন শরিফুল রাজ কিছুই নয়। জগতের সব প্রাণি সুখী হোক। সবাইকে ভালোবাসা ও শুভকামনা।’
আরও পড়ুন: পরীমণির অভিমান কি ঘুচল?
মিথ্যা বানোয়াট কথায় আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না: মিম
১ বছর আগে
হাতি ও মানুষের বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করতে হবে: বনমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, হাতি ও মানুষের মধ্যে দ্বন্ধ নিরসন করে বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করতে হবে। বন্য হাতির আবাসস্থল ছিল, কিন্তু আমরা তাদের আবাসস্থল ধ্বংস করে ফেলেছি। তাই বন্য হাতিরা বনে খাবার না পেয়ে লোকালয়ে আসছে।
তিনি বলেন, নতুন করে আমাদেরকে তাদের আবাসস্থলকে নিরাপদ রাখতে হবে। বনের মধ্যে আমাদের হাতির খাবার তৈরি করতে হবে। হাতি যে খাবারগুলো খায় সেই সকল গাছ রোপন করতে হবে।
আরও পড়ুন: পরিবেশ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: বনমন্ত্রী
শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকালে মন্ত্রী রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলায় বন্য হাতি ও মানুষের মধ্যে দ্বন্ধ নিসরনে সোলার ফ্রান্সিং প্যানেলের উদ্বোধন ও কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে বন্য হাতির আক্রমণে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর মাঝে ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তরকালে এই কথা বলেন।
তিনি বন্য এলাকায় বসবাসকারীদের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, হাতির সঙ্গে আপনারা দ্বন্ধে জড়াবেন না। আপনাদের যে ক্ষতি হবে সেই ক্ষতিপূরণ আমরা দেয়ার চেষ্টা করবো।
রাঙ্গামাটি অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমিন হোসাইন চৌধুরী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান বন সংরক্ষক বিপুল চন্দ্র দাস, রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল লতিফ, সিএমসি কমিটির সভাপতি বাবুল আক্তার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. শোয়েব খান।
আরও পড়ুন: বন আইন যুগোপযোগী করা হবে: বনমন্ত্রী
২০৩০ সাল পর্যন্ত গাছ না কাটার আহ্বান বনমন্ত্রীর
১ বছর আগে
পোকেমনে আর দেখা যাবে না অ্যাশ-পিকাচুর বন্ধুত্ব
হাসিমুখে চার পায়ে দৌড়ে হলুদ রঙের ছোট্ট এক প্রাণী এক বালকের কাঁধে উঠে বসল। বালকটি তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেই বলে উঠল ‘পিকা, পিকা…’। আশা করি এরপর আর বর্ণনা দিতে হবে না। কার্টুন যারা ভালোবাসেন তারা নিশ্চয়ই বুঝে নিয়েছেন পিকাচুর কথা বলা হচ্ছে। আর বালকটি হচ্ছে অ্যাশ কেচাম। নব্বইয়ের দশকের শিশুদের টেলিভিশন পর্দায় নিত্য সঙ্গী পোকেমন-এর মুখ্য দুই চরিত্র।
শুধু যে শিশুদের তা কিন্তু নয়, বড়রাও যারা অ্যানিমে পছন্দ করেন তারা দিব্বি দেখে চলেছেন পোকেমন। চলেছেন এ কারণে যে, এই কার্টুন সিরিজ বা অ্যানিমে সিরিজ এখনও চলছে। আরও অনেকদিন চলবে। তবে দুঃখ করেই বলতে হয় পোকেমনের প্রযোজকরা ঘোষণা দিয়েছেন যে অ্যাশ ও পিকাচুকে দেখা যাবে না নতুন পর্বগুলোতে। তারা জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের এপ্রিলে সিরিজটিকে নতুন আঙ্গিকে আনা হবে এবং সেখানে থাকবে না অ্যাশ-পিকাচু জুটি।
আরও পড়ুন: খাদ্যতালিকায় ৫ খাবার নিয়ন্ত্রণে রাখবে ডায়াবেটিস
২০০৬ সাল থেকে কেচামসহ বেশ কয়েকটি চরিত্রের ইংরেজি কণ্ঠ দেয়া অভিনেত্রী সারাহ নাটোচেনি বলেন, আমার জন্য এটি একটি অসাধারণ সুযোগ ছিল। শেষ অধ্যায়ে যাই থাকুক না কেন, অন্তত কয়েক প্রজন্ম ধরে বহু মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে অ্যাশ-পিকাচু।
জাপানি এই অ্যানিমে শুরু হয় ১৯৯৭ সালে। যার কয়েকটি সিনেমাও রয়েছে। অ্যাশের স্বপ্ন সে হবে পোকেমন মাস্টার। পোকেমন মাস্টারদের কাজ হচ্ছে পিকাচুর মতো পোকেমন সংগ্রহ করে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া এবং তাদের দিয়ে বিশ্বজুড়ে অন্যান্য মাস্টারদের পোকেমনের সঙ্গে লড়াই করা। ঠিকভাবেই বিশ্বজুড়ে পোকেমনের সেরা মাস্টার হওয়া যায়। সে লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার সময় মাত্র ১০ম জন্মদিনে তার দেখা হয় পিকাচুর সঙ্গে।
অ্যাশের স্বপ্ন গতমাসে পূরণ হয়েছে। ‘পোকেমন ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ’-এর খেতাব তার দখলে চলে এসেছে।
আগামী বছরে অ্যানিমেটিতে প্রধান নতুন দুই চরিত্র দেখা যাবে। লিকো নামের ছোট্ট এক মেয়ে এবং রয় নামের এক ছেলে। সঙ্গে থাকবে তিনটি ‘পালডে স্টার্টার পোকেমন’।
প্রযোজকরা বলেছেন, ‘এতে অ্যাকশন, অ্যাডভেঞ্চার, বন্ধুত্ব ও পোকেমন, অ্যানিমে অনুরাগীদের ভালবাসার সবকিছুই উপস্থাপন থাকবে।’
তার আগে, ১৩ জানুয়ারিতে দেখা যাবে ‘পোকেমন জার্নি ইন দ্য ওয়েস্ট’ শিরোনামে ১৩ পর্বের উপসংহার সিরিজ। যেখানে বলা হবে অ্যাশ ও পিকাচুর চূড়ান্ত অধ্যায়ের গল্প।
আরও পড়ুন: সাংস্কৃতিক চীন: কাল ও দেশের সীমা পেরিয়ে চীনা চায়ের সুবাস
প্যাকেটজাত আলুর চিপস কেন শরীরের জন্য ক্ষতিকর?
১ বছর আগে
বাংলাদেশ-জাপান বন্ধুত্বের ৫০ বছরপূর্তিতে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে সোমবার জাপান দূতাবাস এবং ইয়ুথ অপরচুনিটিজ যৌথভাবে ‘জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ কুইজ প্রতিযোগিতার’ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য একটি মজার শিক্ষামূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে এই দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে উপকারী বন্ধুত্ব সম্পর্কে বাংলাদেশি তরুণদের মধ্যে আরও ভাল সচেতনতা তৈরি করা।
আরও পড়ুন: জাপানি রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে ‘চিন্তিত নন’, তাকে সরল ও ভালো মানুষ বললেন মোমেন
সপ্তাহব্যাপী অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা ২৭ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর ২০২২ এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং সাত হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারীর মধ্যে সাতজন বিজয়ী হন।
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং অন্যান্য অতিথিরা।
রাষ্ট্রদূত নাওকি বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান এবং জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী বহুমুখী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনর্ব্যক্ত করে এই উদ্যোগের তাৎপর্যের ওপর জোর দেন।
ইয়ুথ অপরচুনিটিজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন নূর উল্লেখ করেছেন যে এই প্রতিযোগিতা হাজার হাজার বাংলাদেশি যুবককে যুক্ত করেছে এবং জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিষয়ে তাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করেছে। এটি একটি দুর্দান্ত সফল হওয়ায় তিনি আনন্দিত।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও জাপানের তরুণরা আমাদের বন্ধুত্বকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একসঙ্গে কাজ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণ ইউগলেনা, গ্রামীণ ইউনিক্লো, জাপানিজ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন ইন ঢাকা (জেসিআইএডি) এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রতিযোগিতার মিডিয়া পার্টনার ছিল ডেইলি স্টার ও দৈনিক বাংলা। অনুষ্ঠানে তাদের প্রতিনিধিরাও যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বিদায়ী জাপানি রাষ্ট্রদূতের আশা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে: ডেপুটি প্রেস সচিব
জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর: দেড় বিলিয়ন বিনিয়োগ ও লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের প্রত্যাশা
১ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফর: যৌথ সম্মতিতে যেসব সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ-ভারত
ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং বন্ধুত্বের সম্পর্কের প্রতি গুরুত্ব প্রদর্শনপূর্বক ভারতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক সফরে (৫০৮ সেপ্টেম্বর) দুই দেশ যৌথ সম্মতিতে একমত হয়েছে। সেগুলো হলো-
অবিচল বন্ধুত্ব
আঞ্চলিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য বন্ধুত্ব ও অংশীদারিত্বের চেতনায় বৃহত্তর সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রেল সংযোগ উন্নয়ন সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত
চলমান দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগের মূল্যায়ন, যেমন:
- টঙ্গী-আখাউড়া লাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর
- বাংলাদেশ রেলওয়েতে রেলওয়ে রোলিং স্টক সরবরাহ
- ভারতীয় রেলওয়ের স্বনামধন্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ
- বাংলাদেশ রেলওয়ের সেবার উন্নতি নিশ্চিতে আইটি-সংক্রান্ত সহযোগিতা প্রদান
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্যার্থীর সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ-ভারত রেল সংযোগের উন্নয়নে গৃহীত নতুন উদ্যোগ
- কাউনিয়া-লালমনিরহাট-মোগলঘাট-নিউ গীতালদহ রেল সংযোগ
- হিলি ও বিরামপুরের মধ্যে রেল সংযোগ স্থাপন
- বেনাপোল-যশোর রেল পথ ও সিগন্যালিং ব্যবস্থা এবং রেল স্টেশনের মানোন্নয়ন
- বুড়িমারী ও চ্যাংড়াবান্ধার মধ্যে রেল সংযোগ পুনঃস্থাপন
- সিরাজগঞ্জে একটি কন্টেইনার ডিপো নির্মাণ ইত্যাদি
বাংলাদেশের অনুরোধে অনুদানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ২০টি ব্রডগেজ ডিজেল লোকোমোটিভ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত।
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ধাক্কা প্রতিরোধ করা
ভারত থেকে বাংলাদেশে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, আদা এবং রসুনের মতো প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের আনুমানিক সরবরাহ নিশ্চিতে উভয় দেশের সরকারের মাঝে বিশেষ ব্যবস্থায় (জি২জি) দুদেশের মধ্যে পণ্য সরবরাহের সম্ভাবনা।
মানুষ এবং পণ্যের স্বাচ্ছন্দ্যপুর্ণ চলাচলের সুবিধা নিশ্চিতকরণ
আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে চলমান উন্নয়নমূলক কাজগুলো দ্রুত সম্পন্নকরণ, যার মধ্যে ৪,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের বিভিন্ন সীমান্ত ক্রসিংগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ অভিবাসন এবং বাণিজ্য-সম্পর্কিত অবকাঠামো রয়েছে।
আরও পড়ুন: আনুষ্ঠানিক মুক্তির আগে প্রধানমন্ত্রী দেখবেন ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’
সীমান্ত নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা
একটি শান্তিপূর্ণ এবং অপরাধমুক্ত সীমান্ত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য, ত্রিপুরা সেক্টর থেকে শুরু করে সমগ্র সীমান্তের কাঁটাতারবিহীন অংশগুলোতে কাঁটাতার নির্মাণের কাজ শেষ করার বিষয়ে উভয় নেতা একমত হয়েছেন।
সীমান্ত রক্ষাবাহিনী কর্তৃক পদক্ষেপের মাধ্যমে সীমান্তে মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাসকরণে সাহায্য করেছে। অস্ত্র, মাদক ও জাল টাকার চোরাচালান এবং পাচার রোধে বিশেষত নারী ও শিশুপাচার রোধে পারস্পরিক সহযোগিতাও প্রশংসিত হয়েছে।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াইয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
উভয় নেতাই সন্ত্রাসবাদের সকল রূপ ও অভিব্যক্তি নির্মূলে তাদের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এই অঞ্চল ও এর বাইরে সন্ত্রাসবাদ, সহিংস চরমপন্থা এবং মৌলবাদের বিস্তার প্রতিরোধ এবং সে সম্পর্কিত পদক্ষেপে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য যানবাহন সংগ্রহের পরিকল্পনাসহ ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিরক্ষা লাইন অফ ক্রেডিটের অধীনে প্রকল্পগুলোর প্রাথমিক চূড়ান্তকরণে সম্মত হয়েছে।
বর্ধিত সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২০১৯ সালে স্বাক্ষরিত উপকূলীয় রাডার সিস্টেম সমঝোতা স্মারকের প্রাথমিক কার্যকারিতা চূড়ান্তকরণ।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব চলে যাবে কি না, সে এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর: ওবায়দুল কাদের
নদীর পানি সংক্রান্ত সহযোগিতা
এক দশকেরও বেশি সময় পর যৌথ নদী কমিশনের মন্ত্রী পর্যায়ের সভা আহ্বান করা, যেখানে সব অভিন্ন নদীর ব্যাপারে সহযোগিতার অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়, যা প্রশংসিত হয়েছে।
আসাম রাজ্য সরকারসহ ভারতের সকল অংশীদারদের সহযোগিতায় কুশিয়ারা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটি শুষ্ক মৌসুমে উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশের জমিতে সেচ দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশি কৃষকদের সাহায্য করবে এবং একইভাবে, দক্ষিণ আসামও এর দ্বারা উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ফেনী নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের অনুরোধের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
ত্রিপুরার জনগণের জন্য খাবার পানি প্রকল্পটির মাধ্যমে এখন শিগগিরই ফেনী নদী থেকে এক দশমিক ৮২ কিউসেক পানি উত্তোলনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কর্তৃক প্রদত্ত অনুমোদন এবং ছাড়পত্রের ভিত্তিতে ২০১৯ এ স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক কার্যকর হবে৷
তথ্য বিনিময় এবং অন্তর্বর্তীকালীন পানি বণ্টন চুক্তির কাঠামো প্রণয়নের জন্য এখন আরও অন্যান্য নদীগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
গঙ্গার পানির সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য একটি সমীক্ষা পরিচালনা করতে যৌথ কারিগরি কমিটি গঠনে উভয় পক্ষই সম্মত হয়।
২০১১ সালে চূড়ান্ত হওয়া তিস্তা চুক্তি শেষ করার জন্য বাংলাদেশ পুনরায় অনুরোধ জানায়।
নদী দূষণ মোকাবিলা, নদীর পরিবেশ ও নাব্যতা উন্নয়নে সহযোগিতা বাড়াতে উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে।
বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা
সিঙ্ক্রোনাস গ্রিড কানেক্টিভিটির মাধ্যমে কাটিহার (বিহার) থেকে পার্বতীপুর (বাংলাদেশ) হয়ে বোরনগর (আসাম) পর্যন্ত একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ৭৬৫ কিলোভোল্ট ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপনে ‘স্পেশ্যাল পারপাজ ভেহিকল’ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ। এই সংযোগের মাধ্যমে মৌসুমী চাহিদামাফিক বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানি ও রপ্তানি উভয়ই সহজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নেপাল, ভূটান এবং বাংলাদেশকে সংযুক্তপূর্বক উপ-আঞ্চলিক পাওয়ার গ্রিড বাস্তবায়ন বেগবান হয়েছে। ভারত জানায়, যে এই জাতীয় নেটওয়ার্ক স্থাপনে অভ্যন্তরীণ নির্দেশিকা গৃহীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা বাই-ব্যাক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশে শিল্প স্থাপন করতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
জ্বালানি খাতে সহযোগিতা
বাংলাদেশের জ্বালানির চাহিদা মেটাতে সাহায্য করতে উভয় পক্ষই আন্তঃসীমান্ত ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইনের নির্মাণকাজ দ্রুত সমাপ্তির আশা করছে যার মাধ্যমে ভারত থেকে সরাসরি বাংলাদেশে উচ্চ গতির ডিজেল পরিবহন হবে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পেট্রোলিয়াম পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ভারত উভয় দেশের অনুমোদিত সংস্থার মধ্যে প্রাথমিক আলোচনা নিশ্চিতে সম্মত হয়েছে।
এই বছরের আসাম ও মেঘালয়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ভারত আসাম থেকে ত্রিপুরায় পেট্রোলিয়াম, তেল এবং লুব্রিক্যান্ট পরিবহনের সুবিধার্থে বর্ধিত সহায়তার জন্য বাংলাদেশের প্রতি ধন্যবাদ জানায়।
ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড (আইওসিএল), ভারত সরকারের একটি পিএসইউ, এখন বাংলাদেশে জি-টু-জি (সরকার থেকে সরকারে) ভিত্তিতে পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহ করার অনুমোদন লাভ করেছে৷
উন্নয়ন সহযোগিতা
বাংলাদেশ ভারত সরকারের সাথে যুক্ত লাইন অফ ক্রেডিট এর অধীনে, বিশেষত গত বছরের তহবিল বিতরণের কার্যকারিতা এবং গতির জন্য ভারতের প্রশংসা করেছে। বাংলাদেশকে প্রায় ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেয়াতি ঋণ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ভারতের শীর্ষ উন্নয়ন সহযোগী। ভারত কর্তৃক অন্যান্য দেশকে দেওয়া সকল উন্নয়ন অর্থায়নের প্রায় এক-চতুর্থাংশ বা ২৫% করে বাংলাদেশকে প্রদান করে।
আরও পড়ুন: আশা করি তিস্তা চুক্তিসহ সব অমীমাংসিত সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে: প্রধানমন্ত্রী
দ্বিপাক্ষিক ও উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্য এবং সংযোগ বৃদ্ধি
উভয় নেতা বাংলাদেশ-ভূটান-ভারত-নেপাল মোটরযান চুক্তি কার্যকর করার প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করতে সম্মত হয়েছেন। একবার সম্মত হলে, চারটি দেশের সীমান্তে ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক যানবাহন নিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করা সম্ভব হবে।
উপ-আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধিতে, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে মহেন্দ্রগঞ্জ (মেঘালয়) থেকে হিলিকে (পশ্চিমবঙ্গ) সংযুক্তকারী একটি নতুন হাইওয়ে নির্মাণকল্পে একটি বিশদ প্রকল্প প্রতিবেদন তৈরির প্রস্তাব করেছে ভারত। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিপক্ষীয় মহাসড়কেও তাদের অংশগ্রহণে প্রস্তাব উত্থাপন করেছে।
বাংলাদেশী ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে তার ভূখণ্ডে নির্দিষ্ট ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন/বিমানবন্দর/সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে ভারতের দেওয়া বিনামূল্যের ট্রানজিট ব্যবহার করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে, ভারত তৃতীয় কোনো দেশে বাংলাদেশী রপ্তানির সুযোগ করে দিয়েছে। এটি নেপাল এবং ভূটানে রপ্তানিকারী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদেরকে ইতিমধ্যেই দেওয়া বিনামূল্যের ট্রানজিট সুবিধার বহির্ভূত।
পারস্পরিক লাভজনক দ্বিমুখী বাণিজ্য
২০১৫ সালে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার সংক্রান্ত চুক্তির অধীনে সফল পরীক্ষামূলক চালান সম্পন্ন হয়েছে।
ভারতের ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশের সংযোগকারী মৈত্রী সেতুটিও চালু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে এবং ভারত বাংলাদেশকে রামগড়ে অবশিষ্ট অবকাঠামো, অভিবাসন এবং শুল্ক সুবিধা দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করেছে।
দ্বিমুখী ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য, ভারতীয় পণ্যের ওপর বাংলাদেশ কর্তৃক আরোপিত বন্দর নিষেধাজ্ঞা অপসারণে আবারও জোর দেওয়া হয়।
উভয় পক্ষের বাণিজ্য বিষয়ক কর্মকর্তাদেরকে ২০২২ সালের মধ্যে একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে এবং ২০২৬ সালের আগে এটি সম্পূর্ণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ২০২৬ বাংলাদেশ তার এলডিসি অবস্থা থেকে উন্নীত হবে এবং বর্তমানে ভোগ করা শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত সুবিধাগুলো ধরে রাখতে উদ্যোগ নেবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য চলাচলের সুবিধার্থে, দেশের ব্যস্ততম স্থলবন্দর, বেনাপোল-পেট্রাপোল আইসিপিতে একটি দ্বিতীয় মালবাহী গেট নির্মাণের উদ্দেশ্যে তহবিল গঠনের জন্য ভারতের দেওয়া প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
বঙ্গবন্ধুর ওপর যৌথভাবে নির্মিত বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ খুব শীঘ্রই শেষ হবে এবং আগামী বছর মুক্তি পেতে পারে।
মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্রের যৌথ প্রযোজনা এবং দুর্লভ ভিডিও ফুটেজের যৌথ সংকলনে সম্মত হয়েছে উভয় পক্ষ।
২০১৮ সাল থেকে বিনা মূল্যে ভারতের নামকরা হাসপাতালে ১০০ জনেরও বেশি মুক্তিযোদ্ধাকে চিকিৎসাসেবা প্রদানে ভারতের উদ্যোগ গভীরভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত প্রয়োজনে সব সময় বাংলাদেশকে সাহায্য করে: প্রধানমন্ত্রী
সহযোগিতার ভবিষ্যত ক্ষেত্র
ভারতে বাংলাদেশী স্টার্ট-আপ প্রতিনিধি দলের প্রথম সফর।
সুন্দরবন সংরক্ষণে যৌথ উদ্যোগ।
মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, গ্রিন এনার্জি, পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার এবং অর্থ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত পরিষেবাগুলোতে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
আঞ্চলিক সমস্যা
ভারত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত দশ লাখেরও বেশি মানুষকে আশ্রয় দেওয়া এবং মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেছে এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত এইসব লোকদের নিরাপদ, টেকসই এবং দ্রুত স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতে তার অব্যাহত প্রতিশ্রুতির ওপরে জোর দিয়েছে।
ভারত বিমসটেক সচিবালয়ের আয়োজনে এবং এর অবকাঠামোগত উন্নয়নে বাংলাদেশের অবদানের প্রশংসা করেছে। ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি ভারতীয় পক্ষ তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
২ বছর আগে
ভারতের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে: জিএম কাদের
ভারতের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
শুক্রবার (২২ জুলাই) এক অভিনন্দন বার্তায় ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতির সাফল্য, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন তিনি।
অভিনন্দন বার্তায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, বন্ধুপ্রতিম ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে দেশটি উন্নয়ন ও অগ্রতিতে আরও এগিয়ে যাবে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে। বন্ধুপ্রতিম দুটি দেশের অভিন্ন স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। এছাড়া আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষা ও অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতা অর্জনে বাংলাদেশ ও ভারত একযোগে কাজ করে যাবে।
অভিনন্দন বার্তায়, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাধারণ জনগণের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
পড়ুন: ভারতের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
২ বছর আগে