রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
রাজশাহীতে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শিশুর মৃত্যু
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শিশুটির নাম মো. সোয়াদ (৭)। সে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সানোয়ার আলীর ছেলে।
জানা যায়, এর আগে গত রবিবার সন্ধ্যায় তার শরীরে নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়। রামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চলতি বছরে রামেক হাসাপাতালে দুইজন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হলো।
হাসপাতলের আইসিইউয়ের ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, ‘গত শুক্রবার সকালে খেজুরের কাঁচা রস খেয়েছিল সোয়াদ। এরপর জ্বর ও খিচুনি দেখা দেয়। একপর্যায়ে সে অচেতন হয়ে পড়ে। শুক্রবার বিকালে তাকে রামেক হাসপাতালে আনা হয়। শনিবার সকালে হাসপাতালের শিশু আইসিইউতে তাকে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসকদের সন্দেহ হওয়ায় তার নিপাহ ভাইরাসেরর পরীক্ষা করা হয়। এতে নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি।’
এর আগে চলতি বছরের প্রথম সপ্তাহে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত এক নারীর মৃত্যু হয়।
মৃত ওই নারী রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটার বাসিন্দা ছিলেন।
১ বছর আগে
রামেকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবস্থা নেবে রাবি প্রশাসন
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার বিকালে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
অধ্যাপক পান্ডে বলেন যে রাবি শিক্ষার্থী এমজিএম শাহরিয়ারের মৃত্যুর কারণ তদন্তে কর্তৃপক্ষ একদিনের মধ্যে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদেরকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলবে।
তিনি বলেন, এই বিষয়ে অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের জন্য তারা ৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করবে।
আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
এর আগে বুধবার রাত ৮টার দিকে শহীদ হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে যান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র শাহরিয়ার।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে হাসপাতালে চিকিৎসা পেতে বিলম্বের অভিযোগ করেন রাবি শিক্ষার্থীরা। পরে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক, ওয়ার্ড বয় ও আনসার সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালালে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর হাতে রাবি শিক্ষার্থী লাঞ্ছিতের অভিযোগ
রাবির ছাত্রীকে ‘যৌন নিপীড়ন’ ঘটনায় মামলা
২ বছর আগে
রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এক দিনে ১৬ জনের মৃত্যু
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টার মধ্যে বিভিন্ন সময় তারা মারা যান। মৃতদের মধ্যে ৮ জনের করোনা পজেটিভ এবং বাকিরা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর মধ্যে ১১ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর ৮ জন, চাঁপাইনবাগঞ্জের তিনজন, নাটোরের দুইজন, নওগাঁর দুইজন ও ঝিনাইদহের একজন রয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন মারা যান আইসিইউতে। মৃতদের মধ্যে আটজনের বয়স ৬১ বছরের উপরে। বাকিদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিনজন এবং ৩১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে পাঁচজন।
আরও পড়ুন: করোনা: দেশে সিনোফার্মের টিকা দেয়া শুরু
তিনি আরও জানান, এ নিয়ে চলতি মাসের গত ২৩ দিনে (১ জুন সকাল ৬টা থেকে ২৩ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ২৪৫ জন। এর আগে সবচেয়ে বেশী মারা যান গত ৪ জুন ১৬ জন এবং সবচেয়ে কম ১২ জুন চারজন।
আরও পড়ুন: ফাইজারের টিকাদান সোমবার থেকে শুরু
শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬০ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ৪৪ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছয়, নাটোরের দুই, নওগাঁর পাঁচ, পাবনার দুই ও ঝিনাইদহের একজন। সুস্থ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪২ জন।
আরও পড়ুন: করোনা: দেশে একদিনে আরও ৭৬ মৃত্যু, শনাক্ত ৪৮৪৬
তিনি বলেন, হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সুবিধাসহ ৪৮ বেডের আরও একটি ওয়ার্ড মঙ্গলবার চালু করা হয়েছে। এ নিয়ে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বেডের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩৫৭টি। বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৩৫৭ বেডের বিপরীতে মোট চিকিৎসাধীন রোগী আছেন ৪১০ জন। বাকিদের মেঝে ও বারান্দায় অতিরিক্ত বেড তৈরী করে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ৪১০ জন রোগীর মধ্যে রাজশাহীর ২৭৪ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৬০ জন, নাটোরের ২৬ জন, নওগাঁর ৩৪ জন, পাবনার নয়জন, কুষ্টিয়ার তিনজন এবং চুয়াডাঙ্গার দুইজন রয়েছেন। আইউসিইউতে ভর্তি আছেন ২০ জন।
এদিকে, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃত্যু বাড়লেও রাজশাহীতে টানা চারদিন ধরে কমেছে করোনার সংক্রমণ। মঙ্গলবার দুইটি ল্যাবে রাজশাহীর ৪৫৭ টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। যা আগের দিনের চেয়ে দশমিক ৪৬ শতাংশ কমে করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ০৫ শতাংশ।
এর আগের দিন সোমবার ছিল ৩৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। এছাড়াও গত রবিবার রাজশাহীতে করোনা শনাক্তের হার ছিল ৪৩ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং শনিবার ৪৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
শামীম ইয়াজদানী জানান, মঙ্গলবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ল্যাবে ৫৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ এসেছে ১৭৬ জনের।
রাজশাহী ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এছাড়াও বিদেশগামী দুইজনের নমুনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ এসেছে।
রাজশাহীতে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় গত ১১ জুন থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রথমে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করা হয়। পরে তা আরেক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২৪ জুন রাত ১২টায় করা হয়।
৩ বছর আগে
রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১২ জনের মৃত্যু
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। বাকিরা মারা যান উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।
শুক্রবার হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: রামেক হাসপাতালে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু!
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬ টার মধ্যে বিভিন্ন সময় তারা মারা যান। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর ৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২ জন, নাটোরের ২ জন ও নওগাঁর ৩ জন ছিলেন। এ নিয়ে চলতি মাসের গত ১৮ দিনে এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ১৮৩ জন। এর মধ্যে শনাক্ত হওয়ার পর মারা গেছেন ১০২ জন। বাকিরা মারা যান উপসর্গ নিয়ে। এদের নমুনা পরীক্ষার পর দুই এক জন ছাড়া সবারই করোনা পজিটিভ এসেছে।
আরও পড়ুন: নাটোরের করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাতে তৎপর পুলিশ
শামীম ইয়াজদানী জানান, হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪১ জন। যা আগের দিন ছিল ৪৪ জন। আর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৫১ জন। যা আগের ২৪ ঘণ্টায় ছিল ৩১ জন। শুক্রবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩৪৯ জন। আগের দিন ভর্তি ছিলেন ৩৫৮ জন।
এদিকে, রাজশাহীতে করোনা শনাক্তের হার চল্লিশের ঘরেই উঠানামা করছে। বৃহস্পতিবার দুইটি ল্যাবে রাজশাহীর ৩৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৬১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: রামেক হাসপাতালে করোনায় ৯ জনের মৃত্যু
বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশিত নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, আগের দিনের চেয়ে ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে করোনা শনাক্তের হার হয়েছে ৪৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। যা আগের দিন বুধবার ছিল ৪১ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং এর আগের দিন মঙ্গলবার ছিল ৪৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
শামীম ইয়াজদানী জানান, বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ল্যাবে ৫৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ এসেছে ২২০ জনের। রাজশাহী ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫০ জন ও নওগাঁর ৩০ নমুনা পরীক্ষায় ৯ জনের পজিটিভ আসে। এছাড়াও বিদেশগামী ২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ এসেছে।
৩ বছর আগে
রাজশাহীতে করোনায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু, সংক্রমণের হার বেড়েছে
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টার মধ্যে বিভিন্ন সময় তারা মারা যান।
মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর ৮ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪ জন ও কুষ্টিয়ার ১ জন করে। এদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ৬ জন মহিলা। এ নিয়ে চলতি মাসের গত ১৬ দিনে মারা গেলেন ১৬১ জন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫ জনের করোনা পজিটিভ ছিল। বাকিরা শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। করোনা পজিটিভ মারা যাওয়া ৫ জনের মধ্যে রাজশাহীর ৩ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২ জন।
আরও পড়ুন: রামেক হাসপাতালের করোনায় ১২ মৃত্যু
তিনি আরও জানান, রোগীর চাপ বাড়ায় মঙ্গলবার এ হাসপাতালে বাড়ানো হয়েছে ২টি আইসিইউসহ ৩৪ বেড। এছাড়াও আরও ১৫ জন চিকিৎসক পাঠাতে স্বাস্থ্য দপ্তরে চিঠি দেয়া হয়েছে। এর সপ্তাহ খানেক আগে ১৫ জন চিকিৎসককে পেশনে এ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
শামীম ইয়াজদানী বলেন, বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২০টি আইসিইউসহ ৩০৫ বেডের বিপরিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৪৪ জন। বাকিদের মেঝেসহ অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে ভর্তি হয়েছেন ৪৮ জন।
আরও পড়ুন: সিনোফার্মের দ্বিতীয় দফায় ৬ লাখ টিকা দেশে পৌঁছেছে
এদিকে টানা দুইদিন সংক্রমণ কমার পর রাজশাহীতে ফের বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। মঙ্গলবার দুইটি ল্যাবে রাজশাহীর ৩৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৬২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় করোনা নিয়ন্ত্রণে লকডাউন শুরু
রাতে প্রকাশিত দুইটি পিসিআর ল্যাবের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, আগের দিনের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়ে করোনা শনাক্তের হার হয়েছে ৪৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। যা আগের দিন সোমবার ছিল ৩০ দশমিক ১৭ শতাংশ। এর আগে গত শনিবার রাজশাহীতে শনাক্তের হার ছিল ৫৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং রবিবার ৪১ দশমিক ১৮ শতাংশ।
মঙ্গলবার রাজশাহীর দুইটি ল্যাবে ৬৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ এসেছে ২২৯ জনের।
৩ বছর আগে
রাজশাহীতে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চক কাপাশিয়া গ্রামে আম কুড়ানোর সময় বজ্রপাতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ২ জন।
সোমবার বিকালে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ও ফেনীতে বজ্রপাতে নিহত ৫
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলে বজ্রপাতে মারা যান চককাপাসিয়া গ্রামের আজম আলীর স্ত্রী মুক্তা বেগম (৩৫) ও কাবিল উদ্দিনের স্ত্রী আলেয়া বেগম (৫৫)। এসময় আহত হন মাহাবুল হোসেনের শিশুপুত্র সোহান আলী (১০), উকিল হোসেনের ছেলে ভুট্টু আলী ( ২০) এবং জনি প্রমানিকের ছেলে পরশ আলী (১০)। আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় মারা যায় শিশুপুত্র সোহান ও পরশ।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ নিহত ৩
চারঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দা সামিরা জানান, ঝড়-বৃষ্টির সময় তারা সবাই একটি বাগানে আম কুড়াচ্ছিলো। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে আলেয়া ও মুক্তা মারা যান। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ৪ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সোহান ও পরশ।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে বজ্রপাতে কলেজছাত্রসহ নিহত ২
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নিহতদের দাফনের জন্য তাদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দেয়া হবে বলে জানান ইউএনও।
৩ বছর আগে
রাজশাহীতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ফ্রিল্যান্সারের আত্মহত্যা
রাজশাহীতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এক ফ্রিল্যান্সার আত্মহত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
নিহত আনারুল ইসলাম টুটুল নগরীর হোসেনীগঞ্জের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন:মাগুরায় গলায় ফাঁস দিয়ে স্কুলছাত্রের ‘আত্মহত্যা’
মারা যাওয়ার আগে রবিবার রাত ১১টা ১৩ মিনিটে আনারুল ইসলাম তার ফেসবুক এক্যাউন্টে লিখেছেন, তিনি ফ্রিল্যান্সিং করে অনেক টাকা আয় করেছেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় অসুস্থতার কারণে তিনি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কিছুটা সুস্থ হলে আবার তিনি ফ্রিল্যাসিং শুরু করেন। কিন্তু তিন মাস যেতে না যেতেই তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। এইজন্য তাকে কাজ বন্ধ রাখতে হয়।
আরও পড়ুন: ‘ফ্রি ফায়ার গেম’ খেলতে এমবি কেনার টাকা না দেয়ায় কিশোরের আত্মহত্যা!
এদিকে আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঋণগ্রস্থ থাকায় তার পরিবারে ব্যাপক অভাব-অনটন দেখা দেয়।
এছাড়া স্ট্যাটাসে উল্লিখিত আইটি প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা ১৭ লাখ টাকা না পাওয়ায় হতাশাবোধও তৈরি হয়। এসব কারণেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বলে স্ট্যাটাসে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে যুবকের ‘আত্মহত্যা
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মণ জানান, রবিবার দিবাগত রাত ৩ টার পরে যেকোনো সময় তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি যেহেতু সারা রাত জেগে সকালে ঘুমান তাই বাড়ির লোকজনের জানতে দেরি হওয়ায় আমাদেরকে জানাতে দেরি হয়েছে। বাসার লোকজনই সকাল ১১ টার দিকে জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেয়।
৩ বছর আগে
রাজশাহীতে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার
রাজশাহী নগরীতে টাকা দেয়ার লোভ দেখিয়ে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও তার ভিডিও ধারণের অভিযোগে এক কিশোরকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন এলাকাবাসী।
৩ বছর আগে
রাজশাহীতে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ২ জনের মৃত্যু
রাজশাহীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
৪ বছর আগে
রামেক হাসপাতালে করোনায় ইউপি সচিবের মৃত্যু
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে পাবনার এক ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের মৃত্যু হয়েছে।
৪ বছর আগে