শাহরিয়ার আলম
উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অংশীদারদের অব্যাহত সহযোগিতার ব্যাপারে আশাবাদী ঢাকা: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত দেশে পরিণত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার(৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ৩৩তম জার্মান ঐক্য দিবস উপলক্ষে ফ্রাঙ্কো-জার্মান দূতাবাসে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি আমাদের বন্ধু ও অংশীদাররা এই প্রচেষ্টায় আমাদের সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ জার্মান দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স জ্যান-রলফ জানোস্কি বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
শাহরিয়ার আলম বলেন, 'আমরা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করতে চাই।’
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বাংলাদেশের সভাপতিত্বের সময়, এটি দুর্বলতাকে সহনশীলতা ও স্থিতিশীলতার মাধ্যমে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শাহরিয়ার বলেন, 'আমাদের অর্থনীতি ও জ্বালানি খাতের সবুজ রূপান্তরের গৃহীত পরিকল্পনার আলোকে আমরা মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি।’
তিনি বলেন, জার্মানি প্রযুক্তি, জ্বালানি, পরিবহন, নগর উন্নয়ন, অবকাঠামো ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো খাতে সহযোগিতার মাধ্যমে সবুজ শিল্প রূপান্তরের মাধ্যমে অর্থনীতির সবুজ রূপান্তরে এই যাত্রায় অংশীদার হতে চায়।
শাহরিয়ার বলেন, বাংলাদেশ জার্মানির সঙ্গে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ ও ২০১৯ সালে জার্মানি সফর করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মুখপাত্র
রাষ্ট্রদূতদের ডেকে তাদের কার্যপরিধির বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছি: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, আমরা অতীতে কিছু কিছু রাষ্ট্রদূতকে এককভাবে ডেকে তাদের কার্যপরিধির বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছি। নির্বাচনের আগে তারা সতর্ক থাকবেন কারণ, অতীতে (৬ মাস আগে) যা বলেছেন এখন তার প্রভাবটা অনেক বেশি।
তফসিল নিয়ে রাষ্ট্রদূতের সীমার বিষয়ে তলব করা হবে কি না- বুধবার (৮ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবাই নির্বাচনমুখী হয়েছেন। যারা আন্দোলন করছেন তাদের ভাষায় তারা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছেন। আমি মনে করি না, তাদের তলবের প্রয়োজন হবে। যদি প্রয়োজন হয় তবে তা হবে দুঃখজনক।
শাহরিয়ার বলেন, আমরা যা সঠিক মনে করি তা করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় থাকবে না।
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অধিকারের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। আদালতে রিভিউ বিচারাধীন। নবায়নের জন্য আদালতে তারা একটি পিটিশন দিয়েছিলেন সেটিও খারিজ হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির এক দফা দাবি সংবিধানের পরিপন্থী: শাহরিয়ার আলম
তিনি বলেন, কোনো মানবাধিকার সংস্থা যদি অধিকারের বরাতে কোনো তথ্য উপস্থাপন করে, তাহলে সেটি আমরা সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগ করব এবং সেটির উত্তর দিতে আমরা বাধ্য নই। কিন্তু তারা একই জিনিস অন্যের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পারে। সেটিকে আমরা ভালোভাবে নেব যদি সেটি আমাদের সংবিধানের আলোকে হয়। সামাজিক ও ধর্মীয় বিশ্বাসগুলো আছে তার আলোকে যদি হয় তাহলে অবশ্যই আমরা তা আমলে নেব।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা সারাদিনের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে প্রতিফলিত করেনা: শাহরিয়ার
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী ঢাকা: শাহরিয়ার আলম
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাৎপর্যপূর্ণভাবে সাহায্য করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
রবিবার(২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের (আরওকে) জাতীয় প্রতিষ্ঠা দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক, দূতাবাসের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার সম্প্রদায়কে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী সৌদি আরবের অনেক নামকরা কোম্পানি: রাষ্ট্রদূত
দেশের স্বাধীনতার খুব প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯৭২ সালের ১২ মে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার স্বীকৃতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
শাহরিয়ার আলম ৫০ বছরের গৌরবময় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন এবং আরও গভীর, সবক্ষেত্রে সহযোগিতা তৈরি করে এই বন্ধুত্বকে আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি ভারতে জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের মধ্যে সাম্প্রতিক বৈঠকের উল্লেখ করেন।
প্রতিমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
‘বিএনপি ও তাদের পেইড এজেন্টরা শান্তিরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালনে আমাদের সেনাবাহিনীর যোগ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করছে’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালনে আমাদের সেনাবাহিনীর যোগ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করছে বিএনপি ও বিদেশে তাদের ‘পেইড এজেন্টরা’। এর মাধ্যমে সেনাবাহিনীর জন্য কী ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করছে তারা?
তিনি বলেন, সারাবিশ্বের কাছ থেকে সাধুবাদ পাওয়া বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ ও অবদনকে ক্ষুন্ন করতে চেষ্টা করছে শত্রুরা।
শান্তিরক্ষী কাযক্রম নিযে ষড়যন্ত্র সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, বিএনপি এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে এমন স্তরে নিয়ে গেছে যা এখন রাষ্টদ্রোহিতা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। এছাড়া এই কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।
এর আগে রবিবার সকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, যারা দেশ ও দেশের বাইরে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের জাতিসংঘে যাবতীয় অর্জনে কালিমালিপ্ত করবে তারা দেশের শত্রু।
কূটনীতিক প্রতিবেদকদের তিনি বলেন, এটি দুর্ভাগ্যজনক। তারা আমাদের গর্ব। আমাদের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বে দৃষ্টান্ত। যারা আমাদের অবদানকে কালিমালিপ্ত করতে চেষ্টা করবে তারা আমাদের বন্ধু নয়, শত্রু।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত কোনো বাহিনী তাদের সঙ্গে যুক্ত নয়: জাতিসংঘ
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনের প্রধান জ্যাঁ-পিয়েরে ল্যাক্রোইক্সের বাংলাদেশ সফরের আগে একটি চিঠি সামনে আসা এবং দুটি মানবাধিকার সংস্থার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শাহরিয়ার আলম এসব মন্তব্য করেন।
শান্তিরক্ষী প্রধান ল্যাক্রোইক্স জানান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেইনিং (বিআইপিএসওটি) ১০ হাজার নারী-পুরুষ সেনাকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এই ব্যাপার নিয়ে তিনি অভিভূত।
বাংলাদেশ এখন বিশ্বে শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ বৈশ্বিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে প্রথম পোশাকধারী সেনা মোতায়েন করে। এই মিশন ওই সময় ইরাক ও ইরানের মধ্যকার সংঘাত নিরসনে কাজ করছিল।
শাহরিয়ার আলম বলেন, এখন পর্যন্ত শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে অংশ নিয়ে ১৬৭ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারান।
আরও পড়ুন: শেষ হলো ঢাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের প্রস্তুতিমূলক সভা
‘বাংলাদেশ থেকে আরও শান্তিরক্ষী নিয়োগে জাতিসংঘ বিশেষ বিবেচনা করবে’
৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠিতে অতিরঞ্জন ও অসঙ্গতি রয়েছে: শাহরিয়ার আলম
ঢাকা, ৫ জুন (ইউএনবি)-বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ছয় কংগ্রেসম্যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে যে চিঠি দিয়েছেন সেটিতে অতিরঞ্জন ও অসঙ্গতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, ‘আমরা চিঠিটি সংগ্রহ করেছি। অন্য যেকোনও চিঠির মতো এখানে কিছু বাড়তি বলা হয়েছে। এমনকি তথ্যের বড় ধরনের ঘাটতি আছে, অসামঞ্জস্য আছে।’
সোমবার (৫ জুন) বিকালে শাহরিয়ার আলম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশেও রাজনীতিবিদেরা, সংসদ সদস্যরা বিশেষ করে অন্য দলের সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে অনেক কিছু বলেন। কেউ হয়তো লেখেনও, কিন্তু আমরা সেটি জানি না। হয়তো আমার বিরুদ্ধে বলেন বা লেখেন। এটি রাষ্ট্র বা সরকারের প্রধানের ওপর নির্ভর করে তিনি ওই চিঠি বা কথাগুলো বিবেচনায় নেবেন কি নেবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরকম চিঠি অতীতেও এসেছে, ভবিষ্যতে আরও বড় আকারে আসতে পারে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে এই ধরনের কার্যক্রম তত বাড়তে থাকবে।’
বিভিন্ন লবিস্ট ফার্ম বা শক্তি কাজ করছে। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারা তাদের কাজ করবে, আমরা আমাদের কাজ করবো। প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেন বাংলাদেশের মানুষ আমাদের শক্তি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে কারো কাছে ধর্না দিয়ে বা কারো চাপে পড়ে বা কারো সঙ্গে সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতেই হবে- এরকম কোনও নীতির প্রতি অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশের মানুষকে পেছনে ফেলে দেওয়ার নীতিতে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না।’
গত ২৫ মে ৬ জন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান এক চিঠিতে শেখ হাসিনার সরকার সম্পর্কে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য উল্লেখ করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অনুরোধ করেছেন।এমনকি এদের মধ্যে একজন কংগ্রেসম্যান এ চিঠি পাঠানোর বিষয়টি এক টুইটে জানান।
আরও পড়ুন: চীনের জিডিআই নিয়ে এখনই কিছু বলার নেই: শাহরিয়ার আলম
তিনি বলেন, ‘আমরা ওই কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গে কথা বলবো। শুধু তাই না, এ অঞ্চল নিয়ে যাদের আগ্রহ আছে বা এ ধরনের বিষয়ে যাদের আগ্রহ আছে-তাদের সকলকেই নিয়মিতভাবে আমাদের অবস্থান জানাবো।’
মার্কিন ভিসা নীতি
অঘোষিতভাবে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের জন্য ঘোষিত মার্কিন ভিসা নীতি অনুসরণ করবে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের বিষয়ে শাহরিয়ার বলেন, ‘এগুলো সব প্রপাগান্ডা। সরকারের বিরোধী শক্তিগুলো এগুলো করছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি দেশের ভিসা নীতি তার বৈদেশিক নীতির একটি নিয়ামক। তাই এটি মোটেও সকল দেশের বিষয় নয়।’
আরও পড়ুন: পৃথিবীর বর্ধিষ্ণু অর্থনৈতিক অঞ্চল হলো এশিয়া: শাহরিয়ার আলম
রাষ্ট্রদূতেরা সীমা লঙ্ঘন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে
সম্প্রতি একজন রাষ্ট্রদূতের বিএনপি চেয়ারপার্সনের অফিসে যাওয়া এবং ইসি অফিসে গিয়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ চাওয়ার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘৬ মাস আগে এমন একটা সময় গেছে। যদি কেউ বা কোনো দেশের রাষ্ট্রদূত আবার এমন কিছু করেন, যা তাদের সীমার বাইরে, আর তা যদি আমাদের চোখে পড়ে; তবে আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। তবে এরকম কিছু আমার এখনও জানা নেই।’
‘অখণ্ড ভারতের’ মানচিত্র
এবিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের সংসদ ভবনে ‘অখণ্ড ভারতের’ মানচিত্র স্থাপন বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা জানার জন্য দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই মানচিত্রে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপালকে অখন্ড ভারতের মানচিত্রে দেখানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার কোনও কারণ নেই। তারপরও অধিক ব্যাখ্যার জন্য আমরা দিল্লির মিশনকে বলেছি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলতে, তাদের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা কী তা জানার জন্য।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা জেনেছি তা হলো-ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন যে এটি অশোকা সাম্রাজ্যের মানচিত্র, এটি যিশু খ্রিস্টের জন্মের তিনশ’ বছর আগের। সেই সময়ের যে অঞ্চলটি ছিল, তার একটি মানচিত্র এবং এটি একটি ম্যুরাল। ওই ম্যুরালে বিভিন্ন অগ্রগতির যাত্রা চিত্রায়ণ করা হয়েছে। এখানে সাংস্কৃতিক মিল থাকতে পারে, কিন্তু এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।’
আরও পড়ুন: পশ্চিমাদের অবশ্যই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে হওয়া পাক গণহত্যার কথা স্বীকার করতে হবে: শাহরিয়ার
চীনের জিডিআই নিয়ে এখনই কিছু বলার নেই: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বুধবার বলেছেন, চীনের নেতৃত্বাধীন গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ বা বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ (জিডিআই) একটি নতুন ঘটনা এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কিছু না করা পর্যন্ত বলার মতো কিছু নেই।
তিনি বলেন, একটি কমিটি রয়েছে যারা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।
রাজধানীর একটি হোটেলে এক ইন্টারেক্টিভ সেশনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা জিডিআই-এর বিষয়ে এখনও এমন কোনো পর্যায়ে পৌঁছাতে পারিনি।’
দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথনের আয়োজন করে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী পরিচালক ও প্রকাশক তারিন হোসেন।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর বর্ধিষ্ণু অর্থনৈতিক অঞ্চল হলো এশিয়া: শাহরিয়ার আলম
শাহরিয়ার বলেন, বাংলাদেশ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে (বিআরআই) যোগ দিয়েছে এবং বিআরআই নিয়ে তাদের কোনো উদ্বেগ নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নতুন নিষেধাজ্ঞার কোনো কারণ দেখছি না।
তিনি আরও বলেন, সরকার কোথাও কোনো চাপে নেই।
একটি রাজনৈতিক প্রশ্নের বিষয়ে তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব রাজনৈতিক দলের সমান রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রয়োজন।
শাহরিয়ার আশা প্রকাশ করেন যে সব রাজনৈতিক দল তাদের অঙ্গীকারের পরিচয় দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে।
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে এবং সংকট সমাধানে বড় বড় দেশগুলোর সহযোগিতা কামনা করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা মানে কোনো জোটে যোগ দেওয়া নয়।
আরও পড়ুন: চারঘাট-বাঘায় ১০ হাজার অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করলেন শাহরিয়ার আলম
সুদানে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশিকে নিবন্ধন করার আহ্বান শাহরিয়ারের
বর্তমান পরিস্থিতিতে আফ্রিকার দেশ সুদানে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের সুদানস্থ দূতাবাসে গিয়ে নিবন্ধন করার আহ্বান জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের সুদান থেকে স্থানান্তরের বিষয়ে জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান তিনি।
তিনি জানান, সুদানে ১৫০০ বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছে এবং এখন পর্যন্ত তাদের মধ্যে ৭০০ জন সুদানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে নিবন্ধিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী ২ মে আমরা ইতোমধ্যে নিবন্ধিত ৭০০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
ব্রিফিংয়ের আগে তিনি মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় সভা করেন।
জানা যায়, বন্দর সুদান থেকে ৭০০ বাংলাদেশিকে প্রথমে সৌদি আরবের জেদ্দা বন্দরে নিয়ে যাওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বাকি বাংলাদেশি নাগরিকদের নিবন্ধন করার আহ্বান জানান কারণ কয়েকদিনের মধ্যেই স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ জন বাংলাদেশি নিরাপদে সুদান ছেড়েছেন।
আরও পড়ুন: সুদানে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের জেদ্দা হয়ে ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চলতি মাস বা আগামী মাসের প্রথম দিকে সুদানে বাংলাদেশিদের সরিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশা মিশন প্রধানের
সুদানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের অন্য দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে: শাহরিয়ার
চারঘাট-বাঘায় ১০ হাজার অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করলেন শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তার নিজ নির্বাচনী এলাকা রাজশাহীর চারঘাট ও বাঘায় ১০ হাজার অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন।
পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে গতকাল (শনিবার) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী চারঘাট ও বাঘা উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রান্তিক পর্যায়ের দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষদের মাঝে ১০ হাজার ব্যাগ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
এসব খাদ্যসামগ্রীর প্রতিটি ব্যাগে পাঁচ কেজি চাল, তিন কেজি আলু, আধা কেজি মসুর ডাল, এক লিটার সয়াবিন তেল, আধা কেজি চিনি, দুইশ’ গ্রাম সেমাই ও গুঁড়া দুধ রয়েছে।
চারঘাট-বাঘা এলাকা থেকে তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম অন্যান্য বছরের মতো এবারও পবিত্র রমজান মাসে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজ নির্বাচনী এলাকার অসহায় মানুষের মাঝে ঈদবস্ত্র হিসেবে শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি মিশনের সঙ্গে নথি শেয়ারের কারণ জানালেন শাহরিয়ার আলম
এছাড়া এবার চলমান বৈশ্বিক মন্দায় দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা যখন কিছুটা কমে গেছে এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ব্যক্তিগত উদ্যোগে নানারকম সহায়তা দিয়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
শনিবার শাহরিয়ার আলম রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ও মনিগ্রাম ইউনিয়নেও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় খাদ্যসামগ্রী সহায়তা পাওয়া খদেজা বেগম, আব্বাস আলী ও রশিদা বেওয়া বলেন, আমাদের মন্ত্রী শাহরিয়ার আলম অনেক ভালো মানুষ। তিনি প্রতি বছর সরকারি অনুদান ছাড়াও বিভিন্ন সময় ব্যক্তিগতভাবে আমাদের আর্থিক সহায়তা দেন। আমরা দোয়া করি আল্লাহ যেনো তাকে অনেক দিন বাঁচিয়ে রাখেন।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণের সময় আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ার দায় সরকার নেবে না: শাহরিয়ার আলম
বিদেশি মিশনের সঙ্গে নথি শেয়ারের কারণ জানালেন শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, সরকার ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি মিশনের সঙ্গে তথ্য শেয়ার করার তাগিদ অনুভব করেছে, যেন কোনো ‘ভুল তথ্য’ বা ‘শঙ্কা’ না থাকে।
তিনি বলেন, ‘এটা নতুন নয়, দেশে কিছু ঘটলে আমরা সবাইকে জানিয়ে রাখি। এটা স্বাভাবিক কূটনৈতিক চর্চার মধ্যে পড়ে। অতীতেও এটা হয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেন ঢাকায় অবস্থিত বিদেশি মিশনে নথি পাঠিয়েছে এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব কথা জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি সাতদিনই বিএনপি তাদের (কূটনীতিকদের) সঙ্গে বৈঠক করেছে। দেশে নির্বাচনের আগে এধরনের কর্মসূচি নিয়ে যেন কোনো ‘ভুল তথ্য’ বা ‘শঙ্কা’ না থাকে, তাই আমাদের উচিত প্রকৃত তথ্যটা তাদের (কূটনীতিকদের) জানিয়ে দেয়া।
তিনি বলেন, বিএনপি দেশে-বিদেশে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। তারা ১০ ডিসেম্বর বেছে নিয়েছিল কারণ বড় কিছু দেশ ৯ ডিসেম্বর নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছিল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি লবিস্টদের জন্য কোটি কোটি ডলার ও পাউন্ড বিনিয়োগ করেছে, যারা তাদেরকে আশ্বস্ত করেছে যে নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘এটিকে কেন্দ্র করে তারা একটি সেলিব্রেশনের মুডে ছিল এবং প্রমাণ করতে চেয়েছিল যে সরকারের কোন বন্ধু নেই।’
শাহরিয়ার বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ডিএমপি কমিশনার এবং অন্যান্যরা বলেছে যে কোনোভাবেই বিএনপির সমাবেশে যেন বিশৃঙ্খলা না হয়, সরকার সে নিশ্চয়তা দেবে। কিন্তু তারা সেটা না মেনে অতি উৎসাহিত হয়ে ৭ তারিখ থেকে রাস্তাঘাট ব্যারিকেড করে দখল করার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বিএনপিকে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল জনসমাবেশের জন্য তাদের জনসভা করার অনুমতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ার দায় সরকার নেবে না: শাহরিয়ার আলম
শাহরিয়ার বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো বিশাল একটি ঐতিহাসিক স্থানে বিএনপি সমাবেশ করতে চায়নি তার প্রথম কারণ হলো-তাদের যে নৈতিক স্থলন হয়েছে তার সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্পিরিট মেলেনা। দ্বিতীয়ত- তারা এত পরিমাণ মানুষের সমাবেশ করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, রাজনীতি পিকনিকের মতো নয় যে জনগণ চলাচলের রাস্তা অবরোধ করে বাধা সৃষ্টি করা হবে।
১২ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় অবস্থিত সকল বিদেশি মিশন ও জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের অফিসের সঙ্গে ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ক একটি নথি’ শেয়ার করেছে।
১৬ ডিসেম্বর গৌরবময় বিজয় দিবসকে সামনে রেখে রাজধানীর নিরাপত্তা, জননিরাপত্তা, সম্পত্তির নিরাপত্তা, জনসাধারণের চলাচল এবং সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়ন করে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই প্রস্তাব দেয়া হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি অনুসারে, ‘সম্ভবত, বিএনপি নেতারা অনুষ্ঠানস্থল থেকে রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল জনসাধারণের চলাচলের ব্যস্ত রাস্তায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করা, যেমন তারা ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে করেছিল।’
এতে উল্লেখ করা হয়, বিএনপি তাদের বেআইনি দাবি আদায়ের জন্য সাধারণ মানুষকে জিম্মি করতে চায়।
ইউএনবির দেখা নথি অনুসারে, বেআইনি ও সহিংস উপায়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সাংবিধানিক অধিকারের জন্য চাপ দেয়ার জন্য বিএনপি একটি চক্রান্ত করেছে।
পুলিশ জানায়, বিএনপি দলীয় কার্যালয়েও ককটেল পাওয়া গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি অনুসারে, পরিস্থিতি প্রমাণ করে যে বিএনপির প্রকৃত পরিকল্পনা ছিল নির্ধারিত জনসমাবেশের তিন দিন আগে জোরপূর্বক ও বেআইনিভাবে রাস্তা দখল করা।
পরবর্তীতে বিএনপি তাদের ১০ ডিসেম্বরের সভার জন্য একটি বিকল্প ভেন্যুর (গোলাপবাগ মাঠ) বিষয়ে রাজি হয় এবং কোনো বড় ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এটি মত প্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের সদিচ্ছা ও প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে।’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় বিশৃঙ্খলা না করার আহ্বান কাদেরের
বিএনপির ১০ দফার মধ্যে মেনে নেয়ার মতো দাবি আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ার দায় সরকার নেবে না: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, আগামী নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দল অংশ না নিলে সরকার তাদের দায় নিতে পারবে না। একই সঙ্গে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন উপসচিব ওয়েন্ডি শেরম্যানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার সাম্প্রতিক বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘তাদের (নির্বাচনে অংশ না নেয়া রাজনৈতিক দলসমূহের) দায়িত্ব নেয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি তাকে(শেরম্যান) নির্বাচন কমিশন গঠন, সার্চ কমিটি এবং রাষ্ট্রপতির সংলাপের বিষয়েও জানিয়েছেন। যাতে (রাষ্ট্রপতির সংলাপে) কিছু রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি।
এসময় চট্টগ্রামে এক রাজনৈতিক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
এক প্রশ্নোত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অতীতেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ছিল, আগামী নির্বাচনও গ্রহণযোগ্য হবে।
আরও পড়ুন: তিস্তা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে আবারও আশ্বাস দিয়েছে ভারত: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
খাদ্য ও কৃষি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে সরকার: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী