প্রাথমিক বিদ্যালয়
ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ মাসের জন্য স্থগিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম: হাইকোর্ট
তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে গত ১৪ জুন দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুসারে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য সুষ্ঠু পরীক্ষা অনুষ্ঠানে ব্যর্থতা বা নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভুত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ওই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে নতুন করে নিয়োগ পরীক্ষা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় হামলা বন্ধে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আদালতের আদেশ, যুক্তরাষ্ট্র আরও বিচ্ছিন্ন অবস্থানে
এ আদেশের ফলে তৃতীয় ধাপে (৩টি পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলায়) অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থীর ভাইভা পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গেল।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এ বিষয়ে রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। আর এই ফাঁস হওয়া প্রশ্নে অনেকে পরীক্ষা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এ কারণে প্রকাশিত ফল নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তাই প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার ঘটনার তদন্ত এবং পরীক্ষা প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ঢাকা ও চট্রগ্রামের কয়েকজন পরীক্ষার্থী। হাইকোর্ট তাদের আবেদন শুনেছেন এবং এই ধাপের নিয়োগ প্রক্রিয়া ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।
এর আগে গত বছরের ১৪ জুন তৃতীয় ধাপে নিয়োগের এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ২৯ মার্চ এই দুই বিভাগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষার ফল গত ২১ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল পরদিন প্রকাশ করা হয়। চলতি মাসের ৯ তারিখ থেকে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়।
এদিকে ‘মাদারীপুরে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন ঢাকায় সমাধান: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা (তৃতীয় ধাপ)’ শিরোনামে গত ২৫ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনটি যুক্ত করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রত্যাশী জুয়েল রতন দাশসহ ১৬ প্রার্থী চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট করেন। যে রিটের উপর মঙ্গলবার শুনানি হয়।
আরও পড়ন: নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের দাবির প্রতি বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তারেককে ফিরিয়ে এনে আদালতের সাজা কার্যকর করব: প্রধানমন্ত্রী
৫ মাস আগে
শৈত্য প্রবাহে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ
চুয়াডাঙ্গায় আবারও শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হাড় কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় জনজীবন স্থবীর হয়ে পড়েছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। তীব্র শীতে জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হলেও খোলা রয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
আরও পড়ুন: শৈত্য প্রবাহ থেকে ফসল রক্ষায় যে পরামর্শ দিল কৃষি মন্ত্রণালয়
সরেজমিনে জেলার কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো চলছে আগের নিয়মেই। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের ব্যাপারে আগে থেকে না জানায় তীব্র শীত উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ে আসে শিশু শিক্ষার্থীরা। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও দাপ্তরিক কার্যক্রম চালু থাকায় বিদ্যালয়ে এসেছেন শিক্ষকরা।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। ওই দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এরপর সারাদিনই আকাশ মেঘলাসহ কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়। শুক্রবার আকাশ পরিষ্কার হয়ে সূর্যের দেখা মিললেও ছিল না রোদের উত্তাপ। তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
একদিন পরই শনিবার এ জেলায় তাপমাত্রা ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বশেষ রবিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ সোমবার ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বদলি
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আজ বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এদিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান জানান, সোমবার চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে বার্তা পাঠিয়ে বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান জানান, সোমবার জেলার সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে। তবে তীব্র শীতের কারণে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, সোমবার সকাল ৬টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। আর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পশু-পাখির সুরক্ষা: বন্যা, খরা ও শৈত্য প্রবাহে করণীয়
৯ মাস আগে
মানিকগঞ্জের ঘিওরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
মানিকগঞ্জের ঘিওরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের ১৫ নম্বর পাচুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৌসুমী খান। তিনি জানান, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী পাশের মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ করে।
আরও পড়ুন: অবরোধ: টাঙ্গাইলে কমিউটার ট্রেনে আগুন
এতে কয়েকটি প্লাস্টিকের চেয়ার ও চিত্রাংকন ফেস্টুন পুড়ে গেছে এবং বিদ্যালয়ে কালো ধোয়ার আস্তরণ পড়েছে। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার পারভীন জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের অগ্নিসংযোগের কথা জেনেছি। তবে কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে দু’টি বাস ও পিকআপে আগুন
১ বছর আগে
ফরিদপুরে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ
ফরিদপুর সদর উপজেলার মুন্সিবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী (১০) নিখোঁজ রয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, স্কুল ছুটির পরে বাড়ি ফেরার পথে তাকে অপরহণ করা হয়।
এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: অপহরণ চক্রের ৯ সদস্য আটক, ৩ রোহিঙ্গা শিশু উদ্ধার ও নিখোঁজ ৬
ফরিদপুর পৌরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে শিশুটির বাড়ি। (প্রতিষ্ঠানের নীতিগত কারণে এই শিশুকন্যার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হলো)।
পরিবারের লোকজন জানান, ওই শিশু বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকাল ৯টায় বাড়ি থেকে স্কুলের উদ্দেশে রওনা হয়। তবে স্কুল ছুটির পরে আর বাড়ি ফিরেনি।
ওই স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা জানান, দেড় মাস আগে তাকে অজ্ঞাতনামা কয়েকটি ছেলে স্কুল ছুটির পরে মুন্সিবাজারের পাশের রাস্তা থেকে প্রাইভেটকারে করে তুলে নিয়ে যায়।
পরে শহরের কৃষি কলেজের সামনে গাড়ি দাঁড়ালে সুযোগ পেয়ে গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে আসে শিশুটি।
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার বিবরণ মেয়ের মুখে শোনার পর থেকে আমরা খুব সর্তকতা অবলম্বন করতাম। তবে কিছু দিন না যেতেই এমন ঘটনা আবার ঘটবে বুঝতে পারিনি। আমার মেয়ে নিখোঁজ হয়নি, তাকে অপহরণ করা হয়েছে।’
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী সকালে স্কুলে এসেছিল। তবে ছুটির পর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জেনেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তার বাড়িতে গেয়েও খোঁজ-খবর নিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অনুরোধ তারা যেন বিষয়টি গুরুত্বসহ দেখেন।’
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. আব্দুল গাফফার বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ৮ বছরের শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও হত্যা
রাঙামাটিতে অপহরণের দুইদিন পর ৩ শ্রমিক উদ্ধার
১ বছর আগে
পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
কুমিল্লার দেবিদ্বারে পানিতে ডুবে জুনায়েদ (৮) ও রিহান (৮) নামে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের নূর মানিকচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জুনায়েদ ওই গ্রামের আবু কালামের ছেলে এবং রিহান একই বাড়ির মুমিন মিয়ার ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই। উভয়ই নূরমানিকচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো।
ওই বাড়ির বাসিন্দা মনির হোসেন জানান, শিশু দুটি বিদ্যালয় থেকে ফিরে বাড়ির সংলগ্ন পুকুরে গোসল করতে যায়। শিশু জুনায়েদ পানিতে ডুবে যায়। এসময় তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে রিহানও ডুবে যায়।
তাদেরকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, শুনেছি চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু দুটিকে পাঠানো হয়েছে। খবর নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো।
আরও পড়ুন: খুলনায় পানিতে ডুবে মাদ্রাসারছাত্রের মৃত্যু
ওসমানীনগরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
২ বছর আগে
এক শিক্ষার্থীর জন্য ৩ শিক্ষক!
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ময়নাপুর গ্রামে ২৯টি পরিবারের বসবাস। গ্রামের বাসিন্দাদের শিশু সন্তানদের পড়াশোনার সুবিধায় ১৯৯১ সালে গড়ে ওঠে ময়নাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলটি ২০১০ সালে নিবন্ধিত হয়। ২০১৩ সালে হয় সরকারীকরণ।
কিন্তু বর্তমানে স্কুলটির দ্বিতীয় শ্রেণিতে আছে মাত্র একজন শিক্ষার্থী। তবে প্রতিষ্ঠানটিতে একজন শিক্ষার্থীর বিপরীতে রয়েছেন তিন শিক্ষক। এছাড়া উপজেলার আরও ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ জনের নিচে বলে জানা গেছে।
ডুমুরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার ২১৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে আগের ১১০টির সঙ্গে নতুন জাতীয়করণকৃত ১০৪টি বিদ্যালয়ে ২২ হাজার ৬১৭ জন ছাত্র-ছাত্রী আছে। এর মধ্যে ২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ জনের নিচে। এর মধ্যে ময়নাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে মাত্র একজন শিক্ষার্থী। ময়নাপুর স্কুল ছাড়াও উপজেলার আরও ২০টি স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ এরও নিচে রয়েছে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিফিন চালু হবে: প্রতিমন্ত্রী
ময়নাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্বপ্না রানী বলেন, ২৯টি পরিবার নিয়ে আমাদের ময়নাপুর গ্রাম। গত পাঁচ বছর গ্রামে কোনো শিশু জন্ম নেয়নি। এতে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়েনি।
ধীরে ধীরে স্কুলটির শিক্ষার্থী কমে এসেছে জানিয়ে ময়নাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার মন্ডল বলেন, ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠার সময় এ স্কুলে ১১৫ জন শিক্ষার্থী ছিল। তখন এ গ্রামে ৪১টি পরিবার ছিল। ২০১০ সালে নিবন্ধিত হওয়ার পর শিক্ষার্থী ছিল ৬৫। তখন এ গ্রামে মাত্র ২৯টি পরিবারে বসবাস ছিল। বাকি ১২টি পরিবার গ্রাম ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যায়। ২০১৩ সালে সরকারীকরণের পর শিক্ষার্থী ৫০-এর নিচে নেমে আসে। এরপর থেকে শিশু না জন্মের কারণে স্কুলে শিক্ষার্থী কমতে থাকে। এ বছর স্কুলে ভর্তি হওয়ার মতো ছয়টি শিশু ছিল। কিন্তু পাঁচ জনের জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই। এ কারণে তারা ভর্তি হতে পারেনি। ফলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে ওই একজন ছাত্রই রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাণীশংকৈলে অধিকাংশ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই
ডুমুরিয়া উপজেলার ময়নাপুর ক্লাস্টারের পরিবার পরিকল্পনা মাঠকর্মী সাদিয়া আক্তার শোভা বলেন, ময়নাপুর গ্রামে ২৯টি পরিবার রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে এ গ্রামে শিশু জন্মের হার খুবই কম। ২০১৯ সালে দুটি, ২০২০ সালে একটি, ২০২১ সালে একটি ও ২০২২ সালে একটি শিশুর জন্ম হয়। ফলে এ গ্রামে শিশুর সংখ্যা খুবই কম। গ্রামে জনবসতি কম ও পরিবার প্রতি সন্তান থাকায় নতুন শিশু নেয়ায় কম আগ্রহের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
এদিকে, শিক্ষার্থী কমে আসায় ময়নাপুর স্কুলটি বন্ধ করে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ডুমুরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিকদার আতিকুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থী সার্ভের পর গত মার্চ মাস ময়নাপুর স্কুলটি বন্ধের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসে চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও সিদ্ধান্ত আসেনি।
খুলনা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. সিরাজুদ্দোহা বলেন, ওই স্কুলটি বন্ধ করে সেখানকার শিক্ষকদের অন্যত্র বদলির জন্য ঢাকায় চিঠি পাঠিয়েছি। সিদ্ধান্ত বা নির্দেশনা পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ৩৬১ বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার!
২ বছর আগে
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে ছেলের বিয়ে দিলেন স্কুলশিক্ষিকা
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে নিজের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলের বিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানায়, গত ২০ মার্চ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ওই কিশোরীর সঙ্গে ছেলের বিয়ে দেন ওই শিক্ষিকা।
এ বিষয়ে জানতে সাংবাদিকরা ওই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে হাতে মেহেদী রং নিয়ে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করতে দেখা যায় বাল্যবিয়ের শিকার ওই স্কুলছাত্রীকে।
বিয়ের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ওই কিশোরী জানায়, ‘গত এক সপ্তাহ আগে ম্যাডামের ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। বর্তমানে সে (ছেলে) আমাদের বাড়িতে আছে। আমি বাড়িতে এসে স্কুলে ক্লাস করছি।’
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদরাসাছাত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
অভিযোগের বিষয়ে ওই শিক্ষিকা জানান, তার নিজ বাড়ির অবস্থা খুব একটা ভালো না। বিশেষ করে তার মায়ের খুব শরীর খারাপ। মায়ের ইচ্ছা নাতির বউ দেখার। মূলত মায়ের ইচ্ছা পূরণ করার জন্যই তিনি নিজের ছেলের সঙ্গে ওই ছাত্রীর বিয়ে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘একজন স্কুলশিক্ষিকার এ ধরনের অপরাধ কাম্য নয়।’
বিয়ের কাজি মফিজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো বিয়ে তিনি পড়াননি। তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’
বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘বেগমপুর ইউনিয়নকে বাল্যবিয়ে মুক্ত করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ বদ্ধপরিকর। একজন স্কুল শিক্ষিকা কিভাবে এই ধরনের কাজ করতে পারে আমার বুঝে আসে না।’
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বখাটের উত্ত্যক্তের জেরে মাদরাসা ছাত্রীর আত্মহত্যা!
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘তার (ওই শিক্ষিকা) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে পারিবারিক আদালতে মামলা করতে হবে। আর এই বিষয়টি আমাদের দেখার দায়িত্ব না।’
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভুইয়া বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে ঘটনার সত্যতা পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২ বছর আগে
২০ রমজান পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
২০ রমজান পর্যন্ত সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তোমরা এ দেশের ভবিষ্যৎ। তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে দেশ। তোমরা সুশিক্ষা অর্জন করে কেউ সচিব, কেউ চিকিৎসক, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ রাজনীতিবিদ, আবার কেউ হবে এদেশের প্রধানমন্ত্রী। তাই লেখাপড়া ভালো করে করতে হবে। লেখাপড়ার বিকল্প কিছু নেই।
শনিবার দুপুরে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার খনজনমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস ১ মার্চ থেকে
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এলাকার উন্নয়নে রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্টের উন্নয়নসহ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বছরের শুরুতে নতুন বই ও উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহীদুল ইসলাম মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার স্মৃতি, রংপুর বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা উপপরিচালক মোজাহিদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ও বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে উন্নীতের রায় বহাল
২ বছর আগে
ছুটি দিয়ে স্কুল মাঠে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন
বরিশালে স্কুল ছুটি দিয়ে বিয়ের আয়োজন করছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী মহল। পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকেও ছুটির জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নগরীর উত্তর আমানতগঞ্জ এলাকার মোফাজ্জেল হোসেন খান বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরো স্কুল মাঠ জুড়ে প্যান্ডেল করে বিয়ের আয়োজন করছে স্থানীয় ইয়ার হোসেন সিকদার। তার মেয়ে সাবরিনা আক্তার সুমির সঙ্গে পশ্চিম চর হোগলা গ্ৰামের আবুল হোসেনের ছেলে বিকাশ আহমেদ বাপ্পির এ বিয়ের আয়োজন চলে।
আরও পড়ুন: বিয়ের অনুষ্ঠান থামাতে ব্যর্থ করোনা!
বিদ্যালয় চলাকালীন মাঠে বিয়ের আয়োজনের অনুমতি প্রসঙ্গে মেয়ের বাবা জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি তাকে এ আয়োজনের অনুমতি দিয়েছে। তাছাড়া আমার মেয়ে এই বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল।
এ বিষয়ে মোফাজ্জেল হোসেন খান বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আসরাফুজ্জামান খান রনি জানান, আমি যেহেতু সোসাল ওয়ার্ক করি সেহেতু অনেকেই অনেক কিছুতে অনুমতি দিতে হয়।
এদিকে স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, বিয়ে উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের আগে ভাগেই ছুটি দিয়ে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে মোফাজ্জেল হোসেন খান বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনের ব্যবহৃত নম্বরে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল লতিফ হাওলাদার বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে অনুমতির জন্য আসছিল। তাদের অনুমতি দেয়া হয়নি। স্কুল চলাকালীন সময়ে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কোন কিছু করার বিধান নেই।
বিদ্যালয় পরিদর্শক খান রফিকুল ইসলাম বলেন, এটা পুরাই আইন বহির্ভূত। ম্যানেজিং কমিটি যদি অনুমতি দিয়েও থাকে তাহলে সেটা ঠিক করেনি।
২ বছর আগে
পাবনায় বোমা বিস্ফোরণে দুই শিশু শিক্ষার্থী আহত
পাবনার বেড়ায় দুটি পরিত্যক্ত বোমা বিস্ফোরণে দুই শিশু শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার নাটিয়াবাড়িতে সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজুর বাড়ির সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে রাখা এই বোমা দুটির বিস্ফোরণ ঘটে।
আহত দুজন হলো- চরকান্দি গ্রামের দিলীপ কুমার সূত্রধরের শিশু পুত্র অভি (১০) ও শিশু কন্যা মন্দিয়া (৮)। অভি নাটিয়াবাড়িয়া ২৮ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে অভি ও মন্দিয়া সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজুর বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় আগে থেকে বাড়ির সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে রাখা দুটি বোমা বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ৫৬
স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান বোমার আঘাতে দুই শিশু পড়ে আছে। তাদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় তারা। সেখান থেকে তাদেরকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও বিস্ফোরিত বোমার আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে সেখানে বোমা রেখেছিল বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে এবং নগরবাড়ি ঘাট দখল নিতে আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শনে আমার বাড়ি লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে। আমি অবিলম্বে এই বোমা হামলাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: লোহাগড়ায় বোমা বিস্ফোরণে যুবকের হাত বিচ্ছিন্ন
২ বছর আগে