প্রাথমিক বিদ্যালয়
১৫০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু হচ্ছে ‘মিড ডে মিল’ কর্মসূচি
সেপ্টেম্বরের শেষ বা অক্টোবরের শুরুতে দেশের ১৫০টি উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘মিড ডে মিল’ বা দুপুরের খাবার চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
‘মিড ডে মিল’ কর্মসূচি চালুর অগ্রগতি কতদূর— জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘মিড ডে মিলের কাজ এগোচ্ছে। ১৫০টি উপজেলায় শিগগির চালু হয়ে যাচ্ছে।’
চলতি বছরের জানুয়ারির মধ্যে দেশের ১৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল চালু করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেটি এখনো হয়নি— এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা ডিপিপি তৈরি করলাম। সেটি আগের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) রিপোর্ট অনুযায়ী তৈরি হলো। এরপর প্রক্রিয়া মেনে আমরা এটি একনেকে উপস্থাপন করলাম, তখন বিবিএসের নতুন পরিসংখ্যান বের হলো। তখন আমাদের বলা হলো, আপনারা এই (নতুন পরিসংখ্যান) অনুযায়ী করেন।’
একটা জেলার মধ্যে কোন অঞ্চলগুলো বেশি দরিদ্র, সেটি তো পরিবর্তন হয়েছে। নতুন করে আবার এটিকে ঠিক করে পাস করাতে হলো। এজন্য কিছুটা বিলম্ব হলো বলে জানান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: সাপ্তাহিক ছুটি দুদিনই, প্রাথমিকের অন্যান্য ছুটি কমবে: উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, ‘আর যে প্রক্রিয়াগুলো... প্রকিউরমেন্টে প্রক্রিয়া, ট্রেনিংয়ের বিষয়গুলো, সেগুলো চালু আছে। আশা করি আমরা পারব।’
কবে নাগাদ পারবেন— এমন প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আশা করি, সেপ্টেম্বরের শেষ ও অক্টোবরের শুরুতে দেশের ১৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালু করতে পারব।’
এই খাবারের মধ্যে ডিম, মৌসুমি ফল, বিস্কুট, দুধসহ পাঁচ ধরনের খাবার থাকবে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা।
৮৮ দিন আগে
সাপ্তাহিক ছুটি দুদিনই, প্রাথমিকের অন্যান্য ছুটি কমবে: উপদেষ্টা
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন বহাল রেখেই শিক্ষাপঞ্জির অন্যান্য ছুটি কমিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি মনে করি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মূল কাজই হচ্ছে স্বাক্ষরতা। স্কুল স্তরে যদি স্বাক্ষরতা করতে হয়, কতগুলো প্রতিবন্ধকতা আমাদের পার হতে হচ্ছে। কেন আমরা সহজে এগোতে পারছি না। এই বিষয়গুলো আমি আপনাদের সামনে প্রকাশ করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘স্কুলে যদি পড়াশোনা হতে হয় তবে প্রয়োজনীয় একটি শর্ত হচ্ছে কন্ট্রাক্ট আওয়ার, অর্থাৎ একজন শিক্ষক ছাত্রকে কতটুকু সময় দিতে পারছেন। এই কন্ট্রাক্ট আওয়ার প্রথমত নির্ভর করছে কত দিন স্কুল খোলা থাকে। আপনারা ক্যালেন্ডার দেখেন, ৩৬৫ দিনের মধ্যে আমার স্কুল খোলা থাকে মাত্র ১৮০ দিন। খেয়াল করেছেন ব্যাপারটা? পড়াশোনাটা যে হবে, স্কুল কত দিন খোলা পাচ্ছি? এর মানে আমাদের অনেক অপ্রয়োজনীয় ছুটি রয়ে গেছে।’
‘আমরা চেষ্টা করছি ছুটি যদি কিছু কমিয়ে আনা যায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে এটা করছি, কারণ বিচ্ছিন্নভাবে করলে হবে না।’
আরও পড়ুন: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতনস্কেল দশম গ্রেডে উন্নীত
ছুটি কমানোর ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন থেকে কমিয়ে এক দিন করার চিন্তা আছে কিনা— জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আপাতত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ক্যালেন্ডারে ছুটি কিছুটা কমানো। আমরা যদি সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিনকে এক দিন করতে চাই, সেটা সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেহেতু একই রকম তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলাদাভাবে করা কঠিন। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এক ধরনের দাবি আছে, শিক্ষকরা হচ্ছেন ভ্যাকেশন ডিপার্টমেন্টে, নন-ভ্যাকেশন হতে চাইলে এটা সঙ্গে সরকারের আর্থিক সংশ্লেষের প্রসঙ্গ আছে। ফলে এ ধরনের একটা চিন্তা আছে, তবে এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। তবে আমাদের ক্যালেন্ডারে যে ছুটি আছে সেক্ষেত্রে আমাকে কিছুটা কমিয়ে আনব।’
কোন কোন দিন ছুটি কমাবেন সেটা ঠিক হয়েছে কিনা— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা চূড়ান্ত হলে আপনাদের জানিয়ে দেব।’
৮৮ দিন আগে
প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদগুলো দ্রুত পূরণের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি।
বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান সম্পর্কে এবং কোন স্কুলগুলো ভালো করছে, সে ব্যাপারে মূল্যায়ন জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা।
এ সময় উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষাখাতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য অনেক অর্থ ব্যয় হয়েছে। কিন্তু মূল যে উদ্দেশ্য—শিক্ষার মান বৃদ্ধি, সেটি সাধন হয়নি। আমরা মূল্যায়ন করে স্কুলগুলোকে র্যাংকিং করছি। যেসব স্কুলের বাচ্চারা পিছিয়ে আছে, তাদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি নিচ্ছি।’
শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, মূল্যায়নে দেখা গেছে, যেসব স্কুলের মান ভালো সেখানে প্রধান শিক্ষকের যোগ্যতা ও তার সঙ্গে অন্য সহকর্মীদের সম্পর্ক, ব্যবহার ইত্যাদি বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। দেশের ৩২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ বর্তমানে শূন্য রয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান বলেও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন তিনি।
এ সময় প্রধান শিক্ষক পদে পদায়নের পাশাপাশি নতুন নিয়োগের বিষয়েও নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘স্কুলগুলোতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কীভাবে যোগ্যদের নিয়ে আসা যায়, সে বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে। কয়েকটা ক্যাটাগরি করে দিতে হবে। যারা বহু বছর ধরে শিক্ষকতা করে আসছেন, অভিজ্ঞ, তারা প্রাধান্য পাবেন। এর পাশাপাশি তরুণদেরও প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য সুযোগ দিতে হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে।’
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে সমন্বয় করে অতিদ্রুত বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্নের নির্দেশ দেন অধ্যাপক ইউনূস। এর পাশাপাশি শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রেও নীতিমালায় পরিবর্তন আনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘অনেক সময় এক উপজেলায় নিয়োগ পেয়ে পরে অন্য উপজেলায়, শহরের কাছে কোনো স্কুলে শিক্ষকরা বদলির জন্য চেষ্টা করেন, তারা সুপারিশ-তদবির নিয়ে বিভিন্ন মহলে ঘোরেন। এ ক্ষেত্রে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা ও প্রক্রিয়া থাকতে হবে। কেবল ওই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই তিনি বদলি হতে পারবেন।’
স্কুলগুলোতে মেয়েদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, স্কুলের অবকাঠামো নারীবান্ধব কিনা—এসব বিষয়েও জানতে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘স্কুলের ভবন নির্মাণের সময় কমিটিতে অন্তত একজন নারী স্থপতি রাখতে হবে যাতে নারীবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ হয়। পরিকল্পনায়, চিন্তায় ও বাস্তবায়নে মেয়েদের বিষয়ে আলাদা করে গুরুত্ব দিতে হবে, সব ব্যবস্থা রাখতে হবে।’
এ ছাড়া দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধারাবাহিকভাবে ইন্টারনেট সংযোগ ও মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ তৈরির বিষয়েও জোর দেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
১৪২ দিন আগে
প্রাথমিকে ছুটি কমিয়ে পাঠদানের সময় বাড়ানোর পরিকল্পনা
প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ছুটির পরিমাণ কমিয়ে পাঠদানের সময় বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বড়াইগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা লেখাপড়ার মানোন্নয়নের জন্য বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ নিচ্ছি। এর মধ্যে আমাদের এক নম্বর টার্গেট (লক্ষ্য) হচ্ছে, ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষকদের সময়টা, সেটা বাড়ানো।’
সেটি করতে গিয়ে শিক্ষকের অপ্রতুলতার মতো বিষয়টিও তুলে আনেন তিনি। বলেন, শিক্ষকদের সংখ্যা কোথাও বেশি আছে, কোথাও কম আছে। সেটিকে সামঞ্জস্য করার একটি বিষয় রয়েছে। এছাড়া রয়েছে শূন্য পদগুলো পূরণ করার মতো বিষয়।
ডা. বিধান রঞ্জন বলেন, আমাদের (শিক্ষকদের) উপর লেভেলে (উচ্চ পর্যায়ে) কিছু শূন্য পদ রয়ে গেছে, সেগুলোও পূরণ করতে হবে। এটি পদোন্নতি ও নিয়োগ—উভয় মাধ্যমেই করা হবে।
২০৫ দিন আগে
কাজে আসছে না ১৫০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ
কোনো কাজে আসছে না সিলেটের বিয়ানীবাজারের ১৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ। প্রযুক্তি ব্যবহার করে বড় পর্দায় (প্রজেক্টর) কোমলমতি শিশু-শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য এই প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। এ জন্য স্কুলগুলোর একজন করে শিক্ষককে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি ট্রেনিং) বিষয়ে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ স্কুলের ল্যাপটপ, প্রজেক্টর ও মডেম শিক্ষক ও নৈশপ্রহরীরা রেখেছেন নিজের বাড়িতে। ফলে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে শিক্ষালাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি ৩-৪) আওতায় বিয়ানীবাজারের ১৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেওয়া হয়েছে ল্যাপটপ, প্রজেক্টর, মডেম-সিম, ওয়াইফাই রাউটারসহ নানা সরঞ্জাম। প্রতিটি বিদ্যালয়ে ওয়াইফাই রাউটারের জন্য প্রতি মাসে ৪০০ টাকার প্যাকেজে ২০ জিবি ডেটাও সরবরাহ করা হচ্ছে। একটি ওয়াই-ফাই রাউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ সর্বোচ্চ ১০ জন শেয়ার করে ব্যবহার করতে পারে। আবার কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি থাকায় দুটি করে ল্যাপটপ দেওয়া হয়েছে। তবে বিতরণের আগে এসব বিদ্যালয়ের একজন করে শিক্ষককে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি ট্রেনিং) দেওয়া হয়েছে। এসব শিক্ষাসামগ্রী অনেক শিক্ষক রেখেছেন নিজের বাড়িতে। এতে করে বিদ্যালয়ের শিখন-কার্যক্রমের বাইরে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইউটিউব ব্যক্তিগত ডিভাইসে ব্যবহার করে শেষ হচ্ছে সরকারি টাকায় কেনা ডেটা।
আরও পড়ুন: ৩২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই: উপদেষ্টা
সরেজমিনে দেখা গেছে, কোনো বিদ্যালয় ল্যাপটপ পেয়েছে, কোনো বিদ্যালয় ল্যাপটপ পেলেও প্রজেক্টর পায়নি। আবার প্রজেক্টর পেলেও ল্যাপটপ পায়নি, এমন বিদ্যালয়ও আছে।
এ ছাড়া কিবোর্ড অকেজো, ব্যাটারি ও সাউন্ডে সমস্যার কথাও জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা। বিতরণ করা ল্যাপটপ, প্রজেক্টরের মধ্যে কতটি বর্তমানে সচল আছে, তার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি বিয়ানীবাজার উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মোতালেব।
বিভিন্ন বিদ্যালয়ে দেখা গেছে, ওয়াইফাই রাউটার বিদ্যালয়ের চেয়ারের নিচে কিংবা টেবিলে লাগানো রয়েছে। বন্ধের দিন রাউটার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ল্যাপটপ, প্রজেক্টর ও মডেমের অধিকাংশই পাওয়া যায়নি। শিক্ষকদের দাবি, স্কুলে চুরি যাওয়ার ভয়ে তারা এগুলো বাড়িতে নিয়ে রাখেন।
বিয়ানীবাজার উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা পারভেজ তালুকদার বলেন, ‘বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ডিজিটাল ক্লাসে শিক্ষকদের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। তবে উপজেলার সবকটি নয়, এখনও ১২-১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ডিজিটাল ক্লাসের আওতায় আসেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি ল্যাপটপ, প্রজেক্টর, রাউটার ও মডেম বিদ্যালয়ে থাকা বাধ্যতামূলক। প্রধান শিক্ষক ও নৈশপ্রহরীর বাড়িতে থাকার বিষয়ে কিছু জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
আরও পড়ুন: প্রাথমিকেও বৃত্তি চালু করতে যাচ্ছি: উপদেষ্টা
২০৬ দিন আগে
রেললাইনের পাশে প্রাথমিক বিদ্যালয়, নেই সীমানা দেওয়াল
কুমিল্লার লাকসামে রেললাইনের পাশে তপইয়া ময়ুরেন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে নেই কোনো সীমানা দেওয়াল। এর ফলে শব্দদূষণের পাশাপাশি ঝুঁকিতে রয়েছে শতাধিক শিক্ষার্থী।
লাকসাম-নোয়াখালী রেলরুটের পাশে লাকসাম উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের তপইয়া গ্রামের অবস্থিত তপইয়া ময়ুরেন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে ১১৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
তবে সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে অভিভাবকরাও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। ফলে কমছে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির পরিমাণ। অতি শিগগির বিদ্যালয়ে সীমানা দেওয়াল নির্মাণের দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ও এলাকার সচেতন মহল।
তপইয়া গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষানুরাগী আবদুল ওয়াদুদ খোকন বলেন, ‘এখানে মনপাল, তপইয়া ও কৃষ্ণপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে। সীমানা প্রাচীর না থাকায় শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিতে রয়েছে। এখানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
অভিভাবক রাশিদা খাতুন বলেন, ‘ছেলেকে স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকি—কখন না ট্রেন আসে, কখন আবার সে রেললাইনে উঠে পড়ে।’
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি শুরু ২০ জানুয়ারি, যেভাবে চলবে প্রক্রিয়া
স্কুলের শিক্ষক বিদ্যুৎ পাল বলেন, ‘ট্রেন এলে আমরা রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে যাই। যাতে শিক্ষার্থীরা রেল লাইনে উঠতে না পারে। এছাড়া এলাকাবাসীও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে তৎপর থাকে।’
প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘আমরা সীমানা প্রাচীর নির্মাণের বিষয়ে উপজেলায় আবেদন করেছি। দুই বছর ধরে এই বিষয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
উপজেলা শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, এই স্কুলের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ বিষয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সেটি পাস হবে।’
২৯৯ দিন আগে
ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ মাসের জন্য স্থগিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম: হাইকোর্ট
তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে গত ১৪ জুন দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুসারে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য সুষ্ঠু পরীক্ষা অনুষ্ঠানে ব্যর্থতা বা নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভুত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ওই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে নতুন করে নিয়োগ পরীক্ষা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় হামলা বন্ধে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আদালতের আদেশ, যুক্তরাষ্ট্র আরও বিচ্ছিন্ন অবস্থানে
এ আদেশের ফলে তৃতীয় ধাপে (৩টি পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলায়) অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থীর ভাইভা পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গেল।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এ বিষয়ে রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। আর এই ফাঁস হওয়া প্রশ্নে অনেকে পরীক্ষা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এ কারণে প্রকাশিত ফল নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তাই প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার ঘটনার তদন্ত এবং পরীক্ষা প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ঢাকা ও চট্রগ্রামের কয়েকজন পরীক্ষার্থী। হাইকোর্ট তাদের আবেদন শুনেছেন এবং এই ধাপের নিয়োগ প্রক্রিয়া ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।
এর আগে গত বছরের ১৪ জুন তৃতীয় ধাপে নিয়োগের এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ২৯ মার্চ এই দুই বিভাগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষার ফল গত ২১ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল পরদিন প্রকাশ করা হয়। চলতি মাসের ৯ তারিখ থেকে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়।
এদিকে ‘মাদারীপুরে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন ঢাকায় সমাধান: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা (তৃতীয় ধাপ)’ শিরোনামে গত ২৫ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনটি যুক্ত করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রত্যাশী জুয়েল রতন দাশসহ ১৬ প্রার্থী চলতি মাসে হাইকোর্টে রিট করেন। যে রিটের উপর মঙ্গলবার শুনানি হয়।
আরও পড়ন: নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের দাবির প্রতি বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তারেককে ফিরিয়ে এনে আদালতের সাজা কার্যকর করব: প্রধানমন্ত্রী
৫৫৫ দিন আগে
শৈত্য প্রবাহে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ
চুয়াডাঙ্গায় আবারও শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হাড় কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় জনজীবন স্থবীর হয়ে পড়েছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। তীব্র শীতে জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হলেও খোলা রয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
আরও পড়ুন: শৈত্য প্রবাহ থেকে ফসল রক্ষায় যে পরামর্শ দিল কৃষি মন্ত্রণালয়
সরেজমিনে জেলার কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো চলছে আগের নিয়মেই। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের ব্যাপারে আগে থেকে না জানায় তীব্র শীত উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ে আসে শিশু শিক্ষার্থীরা। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও দাপ্তরিক কার্যক্রম চালু থাকায় বিদ্যালয়ে এসেছেন শিক্ষকরা।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। ওই দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এরপর সারাদিনই আকাশ মেঘলাসহ কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়। শুক্রবার আকাশ পরিষ্কার হয়ে সূর্যের দেখা মিললেও ছিল না রোদের উত্তাপ। তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
একদিন পরই শনিবার এ জেলায় তাপমাত্রা ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বশেষ রবিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ সোমবার ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বদলি
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আজ বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এদিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান জানান, সোমবার চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে বার্তা পাঠিয়ে বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান জানান, সোমবার জেলার সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে। তবে তীব্র শীতের কারণে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, সোমবার সকাল ৬টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। আর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পশু-পাখির সুরক্ষা: বন্যা, খরা ও শৈত্য প্রবাহে করণীয়
৬৮২ দিন আগে
মানিকগঞ্জের ঘিওরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
মানিকগঞ্জের ঘিওরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের ১৫ নম্বর পাচুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৌসুমী খান। তিনি জানান, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী পাশের মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ করে।
আরও পড়ুন: অবরোধ: টাঙ্গাইলে কমিউটার ট্রেনে আগুন
এতে কয়েকটি প্লাস্টিকের চেয়ার ও চিত্রাংকন ফেস্টুন পুড়ে গেছে এবং বিদ্যালয়ে কালো ধোয়ার আস্তরণ পড়েছে। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার পারভীন জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের অগ্নিসংযোগের কথা জেনেছি। তবে কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে দু’টি বাস ও পিকআপে আগুন
৭৪৯ দিন আগে
ফরিদপুরে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ
ফরিদপুর সদর উপজেলার মুন্সিবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী (১০) নিখোঁজ রয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, স্কুল ছুটির পরে বাড়ি ফেরার পথে তাকে অপরহণ করা হয়।
এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: অপহরণ চক্রের ৯ সদস্য আটক, ৩ রোহিঙ্গা শিশু উদ্ধার ও নিখোঁজ ৬
ফরিদপুর পৌরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে শিশুটির বাড়ি। (প্রতিষ্ঠানের নীতিগত কারণে এই শিশুকন্যার নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হলো)।
পরিবারের লোকজন জানান, ওই শিশু বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকাল ৯টায় বাড়ি থেকে স্কুলের উদ্দেশে রওনা হয়। তবে স্কুল ছুটির পরে আর বাড়ি ফিরেনি।
ওই স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা জানান, দেড় মাস আগে তাকে অজ্ঞাতনামা কয়েকটি ছেলে স্কুল ছুটির পরে মুন্সিবাজারের পাশের রাস্তা থেকে প্রাইভেটকারে করে তুলে নিয়ে যায়।
পরে শহরের কৃষি কলেজের সামনে গাড়ি দাঁড়ালে সুযোগ পেয়ে গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে আসে শিশুটি।
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার বিবরণ মেয়ের মুখে শোনার পর থেকে আমরা খুব সর্তকতা অবলম্বন করতাম। তবে কিছু দিন না যেতেই এমন ঘটনা আবার ঘটবে বুঝতে পারিনি। আমার মেয়ে নিখোঁজ হয়নি, তাকে অপহরণ করা হয়েছে।’
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী সকালে স্কুলে এসেছিল। তবে ছুটির পর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জেনেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তার বাড়িতে গেয়েও খোঁজ-খবর নিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অনুরোধ তারা যেন বিষয়টি গুরুত্বসহ দেখেন।’
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. আব্দুল গাফফার বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ৮ বছরের শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও হত্যা
রাঙামাটিতে অপহরণের দুইদিন পর ৩ শ্রমিক উদ্ধার
৮৬০ দিন আগে