চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে নিজের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলের বিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানায়, গত ২০ মার্চ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ওই কিশোরীর সঙ্গে ছেলের বিয়ে দেন ওই শিক্ষিকা।
এ বিষয়ে জানতে সাংবাদিকরা ওই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে হাতে মেহেদী রং নিয়ে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করতে দেখা যায় বাল্যবিয়ের শিকার ওই স্কুলছাত্রীকে।
বিয়ের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ওই কিশোরী জানায়, ‘গত এক সপ্তাহ আগে ম্যাডামের ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। বর্তমানে সে (ছেলে) আমাদের বাড়িতে আছে। আমি বাড়িতে এসে স্কুলে ক্লাস করছি।’
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদরাসাছাত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
অভিযোগের বিষয়ে ওই শিক্ষিকা জানান, তার নিজ বাড়ির অবস্থা খুব একটা ভালো না। বিশেষ করে তার মায়ের খুব শরীর খারাপ। মায়ের ইচ্ছা নাতির বউ দেখার। মূলত মায়ের ইচ্ছা পূরণ করার জন্যই তিনি নিজের ছেলের সঙ্গে ওই ছাত্রীর বিয়ে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘একজন স্কুলশিক্ষিকার এ ধরনের অপরাধ কাম্য নয়।’
বিয়ের কাজি মফিজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো বিয়ে তিনি পড়াননি। তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’
বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘বেগমপুর ইউনিয়নকে বাল্যবিয়ে মুক্ত করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ বদ্ধপরিকর। একজন স্কুল শিক্ষিকা কিভাবে এই ধরনের কাজ করতে পারে আমার বুঝে আসে না।’
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বখাটের উত্ত্যক্তের জেরে মাদরাসা ছাত্রীর আত্মহত্যা!
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘তার (ওই শিক্ষিকা) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে পারিবারিক আদালতে মামলা করতে হবে। আর এই বিষয়টি আমাদের দেখার দায়িত্ব না।’
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভুইয়া বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে ঘটনার সত্যতা পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।