মাছ ধরতে গিয়ে
মাছ ধরতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ গেল কলেজছাত্রের
ঝালকাঠিতে পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে ওয়ালিদ সরদার (২০) নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সদর উপজেলার গগন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ওয়ালিদ ওই গ্রামের মোহাম্মদ সরদারের ছেলে। সে সদর উপজেলার বিনয়কাঠি শেরে বাংলা ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: নিজের পাতা ফাঁদেই বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ গেল বকুলের
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওয়ালিদের পারিবারিক পুকুরে মাছ ধরার জন্য সকাল থেকে ইলেকট্রিক পাম্প মেশিনে সেচের কাজ চলছিল।
এদিকে ওয়ালিদ সরদার সোমবার বিকালে পুকুরে মাছ ধরতে যান। একপর্যায়ে সে পাম্প মেশিনের পাইপের কাছে গেলে পানিতে বিদ্যুতায়িত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
পরে তাকে উদ্ধার করে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কলেজ ছাত্রের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে বিদ্যুতায়িত হয়ে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার
শেরপুর সীমান্তে বিদ্যুতায়িত করে হাতি হত্যার অভিযোগ
১ বছর আগে
সুন্দরবন থেকে অপহৃত ১১ জেলে উদ্ধার
সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার ১১ জেলেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) ভোরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জ এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া জেলেদের মধ্যে শরণখোলা থানা পুলিশ তিনজনকে এবং মোংলা থানা পুলিশ বাকিদের উদ্ধার করেছে।
তবে অপহরণের সঙ্গে জড়িত কোনো দস্যুকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারডুবি: ১৭ জেলে উদ্ধার
এর আগে ১৫ ডিসেম্বর বিকালে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের বেড়ির খাল ও হরমল খালে জেলেবহর থেকে ১১ জনকে অপহরণ করে দস্যুরা।
পরে একেকজন জেলের মুক্তির জন্য ১০ হাজার টাকা দাবি করে তারা।
শরণখোলা থানা পুলিশের অভিযানে উদ্ধার করা জেলেরা হলেন-হানিফ হাওলাদার (৪৮), সোহেল মল্লিক (২৮) এবং আসাদুল শেখ (৩২)।
মোংলা থানা পুলিশের উদ্ধার করা জেলেরা হলেন-মো. আকরাম হোসেন (৪২), আনিচ শেখ (২২), মো. মিলন শেখ (২৩), মো. রফিকুল ইসলাম খান (৩৫), শুকুর আলী বেপারি (৩০), মো. মনির বেপারী (৩৬), মো. অলি শিকদার (৪৮) ও মো. বকতিয়ার বেপারী (৩৫)।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের পরিদর্শক এসএম আশরাফুল আলম জানান, অপহৃত জেলেদের উদ্ধার এবং দস্যুদের ধরতে মঙ্গলবার সকালে শরণখোলা ও মোংলা থানা পুলিশ যৌথ ভাবে সুন্দরবনে বিশেষ অভিযান শুরু করে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হকের নেতৃত্বে ওই বিশেষ অভিযান সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় চলতে থাকে। পুলিশি অভিযান চলাকালে দস্যুদের কবল থেকে ১১ জেলেকে উদ্ধার করা হয়।
তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়ার পর থানায় রেখে জেলেদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পরিদর্শক এসএম আশরাফুল আলম আরও জানান, সুন্দরবনে কয়েক দফায় দস্যুদের হাতে মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত ১১ জেলের সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। দস্যুদের ধরতে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে।
তবে কোন জেলে দস্যুদেরকে অর্থ দিয়েছে কি না সে বিষয়ে পুলিশের কিছু জানা নেই।
এদিকে জেলেদের সুত্র জানায়, দস্যুরা সুন্দরবনে জেলেদের অপহরণ করার পর তাদের স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে টাকা দাবি করে। স্বজনদের প্রাণ বাঁচাতে তাদের মধ্যে কেউ কেউ দস্যুদেরকে মুক্তিপণ হিসেবে টাকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগর থেকে ৪৪ জেলে উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে ভোলার ৬ ট্রলারডুবি: নিখোঁজ ৫৯ জেলে উদ্ধার
২ বছর আগে
সুনামগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই সহোদরের মৃত্যু
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই সহোদর ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার শালদিঘা হাওরে সকালে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- খোকন মিয়া ও ঝিলন মিয়া (৩২)। তারা ওই উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বেখইজুড়া গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন:নাটোরে পৃথক বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ৭
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সকালে নৌকা ও বাঁশের ছাই নিয়ে হাওরে মাছ ধরতে যান তিন ভাই। একপর্যায়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই খোকন মিয়া ও ঝিলন মিয়া মারা যান। এ ঘটনায় আহত হন তাদের অপর ভাই। পরে স্থানীয় লোকজন লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন:সিলেটে বজ্রপাতে নিহত ২
২ বছর আগে