সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার ১১ জেলেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) ভোরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জ এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া জেলেদের মধ্যে শরণখোলা থানা পুলিশ তিনজনকে এবং মোংলা থানা পুলিশ বাকিদের উদ্ধার করেছে।
তবে অপহরণের সঙ্গে জড়িত কোনো দস্যুকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারডুবি: ১৭ জেলে উদ্ধার
এর আগে ১৫ ডিসেম্বর বিকালে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের বেড়ির খাল ও হরমল খালে জেলেবহর থেকে ১১ জনকে অপহরণ করে দস্যুরা।
পরে একেকজন জেলের মুক্তির জন্য ১০ হাজার টাকা দাবি করে তারা।
শরণখোলা থানা পুলিশের অভিযানে উদ্ধার করা জেলেরা হলেন-হানিফ হাওলাদার (৪৮), সোহেল মল্লিক (২৮) এবং আসাদুল শেখ (৩২)।
মোংলা থানা পুলিশের উদ্ধার করা জেলেরা হলেন-মো. আকরাম হোসেন (৪২), আনিচ শেখ (২২), মো. মিলন শেখ (২৩), মো. রফিকুল ইসলাম খান (৩৫), শুকুর আলী বেপারি (৩০), মো. মনির বেপারী (৩৬), মো. অলি শিকদার (৪৮) ও মো. বকতিয়ার বেপারী (৩৫)।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের পরিদর্শক এসএম আশরাফুল আলম জানান, অপহৃত জেলেদের উদ্ধার এবং দস্যুদের ধরতে মঙ্গলবার সকালে শরণখোলা ও মোংলা থানা পুলিশ যৌথ ভাবে সুন্দরবনে বিশেষ অভিযান শুরু করে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হকের নেতৃত্বে ওই বিশেষ অভিযান সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় চলতে থাকে। পুলিশি অভিযান চলাকালে দস্যুদের কবল থেকে ১১ জেলেকে উদ্ধার করা হয়।
তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়ার পর থানায় রেখে জেলেদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পরিদর্শক এসএম আশরাফুল আলম আরও জানান, সুন্দরবনে কয়েক দফায় দস্যুদের হাতে মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত ১১ জেলের সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। দস্যুদের ধরতে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে।
তবে কোন জেলে দস্যুদেরকে অর্থ দিয়েছে কি না সে বিষয়ে পুলিশের কিছু জানা নেই।
এদিকে জেলেদের সুত্র জানায়, দস্যুরা সুন্দরবনে জেলেদের অপহরণ করার পর তাদের স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে টাকা দাবি করে। স্বজনদের প্রাণ বাঁচাতে তাদের মধ্যে কেউ কেউ দস্যুদেরকে মুক্তিপণ হিসেবে টাকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগর থেকে ৪৪ জেলে উদ্ধার