সংগ্রহ
১৩২ গণহত্যার স্থানের মাটি সংগ্রহ করে শ্রদ্ধা
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে নওগাঁয় স্থানীয় সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদের আয়োজনে ১৩২টি গণহত্যার স্থানের মাটি সংগ্রহ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।
সোমবার সকালে শহরের মুক্তির মোড়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভের পাশে এভাবে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়। সেখানে ১৩২টি গণহত্যার স্থানের মাটি সংগ্রহ করে আলাদা আলাদা পাত্রে রেখে তাতে গোলাপ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য দেন একুশে পরিষদের সভাপতি আইনজীবী ডিএম আব্দুল বারি, সাধারণ সম্পাদক এম এম রাসেলসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা গণহত্যার ৬ বছর: সহিংসতায় জড়িতদের জবাবদিহি দাবি জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞের
এ সময় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ও মাটি সংগ্রহের একজন কর্মী এম, এম রাসেল বলেন, এখনো পর্যন্ত জেলায় জরিপ করে দেখা গেছে ১৩২টি স্থানে গণহত্যা চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এ গণহত্যার তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ, শহীদদের নাম, তাদের ঠিকানা, পেশা, বয়স এগুলো সংগ্রহ করতে প্রায় ১১ বছর ধরে কাজ করা হয়েছে। ১৩২টি গণহত্যা স্থানের যেসব মাটি এগুলো যেখানে বদ্ধভূমি বা গণকবর রয়েছে সেই স্থান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শহীদদের এই রক্তস্নাত মাটি সংগ্রহ করতে সময় লেগেছে দুই মাসের মতো। আজকে এই ১৩২টি স্থানের মাটি আলাদা আলাদা পাত্রে রেখে দিয়ে সেখানে একটি করে গোলাপ দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এম এম রাসেল আরও বলে, শুধু মাটি প্রদর্শন বা শ্রদ্ধা জানানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। আমাদের দাবি গণহত্যায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের স্বীকৃতি, গণহত্যার স্থানগুলোকে চিহ্নিত করে স্মৃতিফলক নির্মাণ এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদদের সম্মাননা দেওয়ার বা তালিকাভুক্ত করার দরকার।
এছাড়াও এই গণকবরগুলো অবহেলায় অযত্নে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেগুলো রক্ষায় সরকারকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সংগঠনটির সভাপতি আইনজীবী ডিএম আব্দুল বারি বলেন, যাদের জন্য আমরা স্বাধীন দেশ ও মুক্ত স্বদেশ পেয়েছি তাদের ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হচ্ছে। যাতে করে নতুন প্রজন্মকে গণহত্যা সম্পর্কে জানতে পারে।
আব্দুল বারি আরও বলেন, নওগাঁ জেলায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়। তাদের স্মৃতির চিহ্নগুলো একুশে পরিষদের উদ্যোগে প্রতিটি স্থানে গিয়ে শনাক্ত করে সরকারকে দেওয়া হয়েছে, বই লেখা ও লিফলেট বিতরণ করাসহ ১৩২টি জায়গায় স্থানীয়দের নিয়ে তারা যেন এই দিনটা গভীরভাবে শহীদদের স্মরণ করেন সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা হয়েছে। যাদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই দেশ, স্বাধীনতা। তাদের স্মরণ করতে হবে। এদের জাতীয়ভাবে সম্মান করতে হবে সবাইকে।
আরও পড়ুন: আজ গণহত্যা দিবস
আইসিজেতে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাম্বিয়ার সঙ্গে তথ্য বিনিময় করেছে
৮ মাস আগে
সরকার জলবায়ু কর্মসূচির জন্য ১৫ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করবে: পরিবেশমন্ত্রী
বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের জন্য পাঁচ বছরে ১৫ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহের চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে ‘ক্লাইমেট পার্লামেন্ট’ -এর চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়ের নেতৃত্বে ক্লাইমেট পার্লামেন্ট ও ব্লুমবার্গ ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কর্মকর্তাদের কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ আইনমন্ত্রীর
তিনি বলেন, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা এবং পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসরণ করে তার মন্ত্রণালয় একটি সুনির্দিষ্ট বাস্তবায়ন পরিকল্পনা তৈরি করবে।
মন্ত্রী জানান, একটি সহনশীল, জলবায়ু-স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি কর্মকাণ্ডকে সতর্কতার সঙ্গে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। যেটি হবে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং নিশ্চিত করবে সর্বোচ্চ প্রভাব।
পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো আমাদের অগ্রাধিকার। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সর্ব সাম্প্রতিক উদ্ভাবন এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করব।
তিনি বলেন, সমাধানগুলো প্রাসঙ্গিক হওয়ার পাশাপাশি আমাদের চাহিদা এবং ল্যান্ডস্কেপ অনুযায়ী তৈরি করা হবে। এই বিষয়ে সব পরামর্শকে স্বাগত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এবং বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাৎ
সভায় উভয় পক্ষই জ্ঞান বিনিময় এবং অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পরিবেশগত লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে নীতি বাস্তবায়নসহ সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য তার মন্ত্রণালয়ের ইচ্ছার বিষয়টি তুলে ধরেন।
জলবায়ু সমস্যা সমাধান এবং টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতে মন্ত্রণালয়, ক্লাইমেট পার্লামেন্ট এবং ব্লুমবার্গ ফাউন্ডেশনের মধ্যে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব বজায় রাখার অঙ্গীকার করা হয় সভায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক-বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে প্রত্যেক দেশই আগ্রহী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১০ মাস আগে
কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন প্রতিমন্ত্রী জাকির ও তার ছেলে
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ও তার ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
মঙ্গলবার জাকির ও তার ছেলে সাফায়াত বিন জাকির রৌমারী উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
আওয়ামী লীগ ২৯৮টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার ২ দিন পর মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন জাকির।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৯টি আসনে নতুন মুখকে মনোনয়ন দিয়েছে আ.লীগ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন বিপ্লব হাসান পলাশ।
রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিপ্লব হাসান দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন এবং জাকির ও তার ছেলে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করায় তা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার শামিল।’
কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিলহাজ উদ্দিন জানান, কুড়িগ্রাম-৪ আসনে প্রতিমন্ত্রীসহ ৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
আরও পড়ুন: নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন কিনেছেন যেসব তারকা
আ. লীগের ৬৯ জন সংসদ সদস্য এবার মনোনয়ন পাননি
১ বছর আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ এ. কে. একরামুজ্জামান।
সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে তার পক্ষে বকুল মিয়া মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এদিকে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে পুলিশের করা একটি বিস্ফোরক মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন একরামুজ্জামান। আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
নাসিরনগর থানা সূত্রে জানা গেছে, ২ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে নাসিরনগর উপজেলা সদরের কাশফুল রেস্তোরাঁর সামনে সরকারি কাজে বাধাদান ও বিস্ফোরক আইনে ৩৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রূপন নাথ।
আরও পড়ুন: হাসিনাকে সমর্থন দিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ভারত: রিজভী
সরকারি কাজে বাধা দান, হত্যার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরকদ্রব্য ব্যবহার ও পুলিশ সদস্যকে আহত করার অভিযোগে করা এ মামলায় একরামুজ্জামানকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আইনজীবী আলী আজমের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন আইনজীবী আদালতে তার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবী আলী আজম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় ঘটনার তারিখ ২ নভেম্বর উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ঘটনার সময় একরামুজ্জামান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপস্থিত ছিলেন না। কারণ ২ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি একটি মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার ওই আদালত তাকে জামিন দেন। এর প্রমাণপত্রসহ অন্যান্য প্রমাণপত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে পেশ করা হয়েছে। আদালত সব কিছু বিবেচনা করে বিস্ফোরক আইনের এ মামলায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবরে মহাসমাবেশ থেকে চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার, কারাগারে মৃত্যু
একরামুজ্জামান বলেন, ‘আমি জামিন পেয়েছি। ঢাকায় যাচ্ছি। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে এ মুহূর্তে বলার মতো কিছুই নেই। এখনই সব কিছু স্পষ্ট করতে চাচ্ছি না।’
তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. কাউসার আহমেদ বলেন, বিকালের দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সৈয়দ একরামুজ্জামানের নামে মনোনয়নপত্র তোলা হয়। তার পক্ষে মো. বকুল মিয়া নামে একজন মনোনয়নপত্রটি সংগ্রহ করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেওয়া তালিকা ধরে নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করবে ইসি: বিএনপি
১ বছর আগে
ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ২০ লাখ ব্যাগ স্যালাইন সংগ্রহ করবে সরকার
সারাদেশের সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি থেকে সরাসরি মোট ২০ লাখ (২ মিলিয়ন) ব্যাগ স্যালাইন সংগ্রহ করবে সরকার।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) অর্থনৈতিকবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
নীতিগত অনুমোদন অনুসারে, এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (ডিপিএম) মাধ্যমে ১০০০ মিলি ফ্লুইডের ১২ লাখ (১ দশমিক ২ মিলিয়ন) ব্যাগ সাধারণ স্যালাইন এবং ১০০০ মিলি আইভি তরল গ্লুকোজ স্যালাইনের 8 লাখ (৮ লাখ) ব্যাগ কেনা হবে।
সরকারি ও বেসরকাররি উভয় হাসপাতালে যেখানে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা চলছে সেখানে স্যালাইনের ব্যাপক সংকটের প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্যালাইন উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে ওষুধ কোম্পানিগুলো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রাজধানীতে ৩ হাজার ৮১৪ জনসহ মোট ১০ হাজার ১০২ জন ডেঙ্গু রোগী এখন সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ পর্যন্ত, ডিজিএইচএস চলতি বছরে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত এবং ১ লাখ ৬২ হাজার ৪৪৭ জন সুস্থ হওয়ার তথ্য নথিভুক্ত করেছে।
সেপ্টেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহে সারাদেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে ১৭৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। এ ছাড়া একই সময়ে ৩৩ হজার ৩৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ডিএনএস স্যালাইন সংকট, বিপাকে রোগীরা
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাহবুব খান জানান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী ডিজিএইচএস ইডিসিএলের মাধ্যমে স্যালাইন কিনবে।
তিনি অবশ্য ইডিসিএল থেকে কেনা স্যালাইনের দাম প্রকাশ করেননি।
তিনি বলেন, সারাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি মোকাবিলায় সরকার ইডিসিএল থেকে স্যালাইন কেনার উদ্যোগ নিয়েছে।
সিসিইএ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (ডিপিএম) মাধ্যমে চট্টগ্রাম সাইলোর ভারসাম্য, আধুনিকীকরণ, পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ (বিএমআরই) কর্মসূচি পরিচালনার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তরের একটি প্রস্তাবকেও নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে।
তবে এ বিষয়ে কোনো খরচ উল্লেখ করা হয়নি। তবে, প্রস্তাবের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে (সিসিজি) কবে খরচ হবে তা প্রকাশ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: খুলনায় আইভি স্যালাইন স্বল্পতায় ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত
১ বছর আগে
আগস্টে রেকর্ড ৮ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা ভ্যাট সংগ্রহ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আগস্টে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) থেকে আট হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে। যার ফলে দেখা যায় বছরে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
আগস্টে এনবিআরের সংগ্রহ করা ভ্যাট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫১৯ কোটি টাকা বেশি।
আরও পড়ুন: এনবিআর ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডকে সহায়তা করে: চেয়ারম্যান
এ প্রসঙ্গে এনবিআর সদস্য (ভ্যাট) মইনুল খান বলেন, ব্যয় কমানোর কারণে সরকারি ব্যয় কমেছে। তারপরও নানা উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় বেশি ভ্যাট আদায় হয়েছে।
সাধারণত বেসরকারি খাতের তুলনায় সরকারি ক্রয় থেকে বেশি ভ্যাট আদায় করা হয়। এবারের বিষয়টি ব্যতিক্রম বলেও জানান তিনি।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক আদায়ের পরিমাণ ৪০ হাজার ২৭০ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিন হাজার ৩১৯ কোটি টাকা কম। চলতি অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা তিন লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা।
এনবিআর সূত্র জানায়, প্রথম দুই মাসে আয়কর খাতে ১০ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা এবং শুল্ক খাতে ১৪ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা আদায় হয়েছে।
জুলাই-আগস্ট মাসে ৩০টি ছোট খাতে ভ্যাট আদায় হয়েছে চার হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা।
অন্যদিকে খুচরা ও পাইকারি, রড-সিমেন্ট, হোটেল ও রেস্তোরাঁর মতো বেসরকারি খাত থেকে ১০ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা ভ্যাট আদায় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের ট্যাক্স রিটার্ন ডকুমেন্ট লাগবে না: এনবিআর
২০২১-২২ অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করায় সাড়া কম: এনবিআর ডাটা
২ বছর আগে
ভ্যাট সংগ্রহে ৩ লাখ মেশিন বসানো হবে
আগামী তিন বছরে ঢাকা মহানগরী ও এর আশেপাশের এলাকা এবং চট্টগ্রাম শহরে তিন লাখ ভ্যাট সংগ্রহের মেশিন বসানো হবে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড এই মেশিনগুলো সরবরাহ ও স্থাপনের কাজ করবে।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে সরকারের পক্ষে মূল্য সংযোজন কর(ভ্যাট) সংগ্রহের জন্য জেনেক্স ইনফোসিসকে বিক্রেতা হিসাবে নির্বাচিত করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার হার বাজারভিত্তিক করা হবে: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটির সিদ্ধান্তের বিষয়ে ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবদুল বারিক জানান, জেনেক্স ইনফোসিসকে একটি উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে জেনেক্স বিভিন্ন ধরনের খুচরা দোকানে বৈদ্যুতিক কর সংগ্রহ যন্ত্র বা ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস (ইএফডি) এবং সেলস ডেটা কন্ট্রোলার (এসডিসি) বা ভ্যাট সংগ্রহের মেশিন সরবরাহ ও স্থাপন করার তিনটি ভাগেরই চুক্তিতে জিতেছে।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট এনবিআরের এই সিদ্ধান্তে নীতিগত অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বারিক বলেন, বিক্রেতা তার নিজস্ব খরচে মেশিন সরবরাহ ও ইনস্টল করবে এবং বিনিময়ে সংগৃহীত অর্থের শূন্য দশমিক ৫২ থেকে শূন্য দশমিক ৫৩৮ শতাংশ সার্ভিস চার্জ হিসাবে সরকারকে জমা দেয়ার সময় পাবে।
তিনি আরও বলেন, এটি পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজও করবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান।
এনবিআর কর্মকর্তাদের মতে, সারাদেশে এতগুলো মেশিন পরিচালনা করা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়, সে কারণেই সার্ভিস আউটসোর্সিং করা হচ্ছে।
তবে দুই বছর আগে ইএফডি মেশিন বসানোর কাজ শুরু করা হলেও এর কার্যক্রমে তেমন গতি নেই।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও পেট্রোলিয়ামের দাম বাড়াতে আইএমএফের কোনো প্রস্তাব পাইনি: অর্থমন্ত্রী
আইএমএফের কাছে ঋণ চাইলেও অর্থনীতির অবস্থা খারাপ নয়: অর্থমন্ত্রী
২ বছর আগে
গ্রামের বর্জ্য সংগ্রহ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
গ্রাম-গঞ্জের ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘শুধু সিটি কর্পোরেশন বা বড় শহরে নয়, প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জের ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। এছাড়া কিছু কিছু পৌরসভায় ছোট ছোট আকারের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদ প্ল্যান্টের অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি শুধু শহরে সীমাবদ্ধ থাকবে না।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, যদি গ্রাম এলাকার উৎপাদিত বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা না করা যায় তাহলে ইকোলোজিক্যাল ব্যালেন্স নষ্ট হবে। নদী-নালা, খাল-বিল সবকিছু বর্জ্যের স্তূপে পরিণত হবে। এজন্য গ্রামের বর্জ্যগুলোকে সংগ্রহ করে পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।’
তিনি বলেন, টেকনোলজি প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে। এখন যে প্রযুক্তি তাতে আগের তুলনায় বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। বেশি উৎপাদন করা গেলে অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে। পরিবেশের ক্ষতি না করে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিশ্রমের কারণে সারাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়িত হয়েছে। যদিও এখন রাশিয়া- ইউক্রেনের কারণে জ্বালানির কিছু সঙ্কট দেখা দেয়ার প্রেক্ষিতে সব দেশে কিছু কিছু অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তারপরও বাংলাদেশ যেভাবে এটিকে সামাল দিচ্ছে তাতে আমার মনে হয় পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে প্রশংসার দাবিদার।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র রুখতে সকল ধর্মের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তিনি বলেন, দেড় শো-দুইশ ডলারর মাথাপিছু আয়ের দেশ এখন দুই হাজার ৮২৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। বিশ্বে যদি অপ্রত্যাশিত কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় তাহলে এটি এ বছরই ৩ হাজার ডলার অতিক্রম করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই দেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি দেশ সমভাবে চলছে না। ইউরোপসহ অনেক দেশ তাদের বিদ্যুৎ ও ফুড সাপ্লাইয়ে পরিবর্তন এনেছে। ইউরোপের অনেক দেশে স্থিতিশীল অবস্থা নেই। এর মধ্যেও বাংলাদেশ ভালো আছে। এ কথাটা কেউ বলতে চান না। পৃথিবীর অনেকে দেশ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিচ্ছে। আমাদের চেয়ে অনেক বেশি লোডশেডিং দিচ্ছে। আমাদের দেশ তার চেয়ে তুলনামূলক অনেক কম লোডশেডিং হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা যেভাবে অব্যাহত রয়েছে এবং যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তাতে আমাদের কোনো চিন্তার কারণ নেই। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের সাথে তুলনা করার সুযোগ নেই। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে এই কথারও কোনো ভিত্তি নেই।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়া আইভী।
আরও পড়ুন: পানির মূল্য যৌক্তিকভাবে নির্ধারণের নির্দেশ স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
২ বছর আগে