মানবসম্পদ
যুক্তরাষ্ট্র চায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ও মানবাধিকার সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি
যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট ওয়েন্ডি শেরম্যান বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখা এবং ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ’ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
শুক্রবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পারস্পরিক স্বার্থের বিষয় নিয়ে আলোচনা করার সময় শেরম্যান এসব কথা বলেন।
শনিবার শেরম্যান এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে দেখা করেছি এবং যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের বিস্তৃত অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা মানবাধিকার, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব এবং ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার জমি দখলের অবৈধ প্রচেষ্টা নিয়েও কথা বলেছি।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানান, ডেপুটি সেক্রেটারি ৪ অক্টোবর মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে নিহত তিন বাংলাদেশি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীর জন্য শোক প্রকাশ করেন।
শেরম্যান ও শাহরিয়ার আলম যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। কারণ দুটি দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী মার্কিন সরকারকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত এক বিবৃতি অনুসারে, ডেপুটি সেক্রেটারি শেরম্যান সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অব্যাহত সহযোগিতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের শ্রম খাতে অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে ডেপুটি সেক্রেটারি শেরম্যান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার ওপর জোর দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে ইউক্রেনের যুদ্ধ, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা এবং বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করার জন্য মার্কিন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিষয়টি বাংলাদেশের জনগণ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিমন্ত্রী আলম বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রত্যর্পণ চুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রতিমন্ত্রী মহামারি মোকাবিলায় প্রায় ৮৮ মিলিয়ন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহ করে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব সহায়তা প্রদানের জন্য মার্কিন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তা ও মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টার জন্য আন্তরিক প্রশংসাও ব্যক্ত করেন।
তিনি এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) সম্পর্কিত বিষয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় মার্কিন সমর্থনও চেয়েছেন যাতে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো একটি মসৃণ ও টেকসই এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন অর্জন করতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিবাসন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে তার সরকারের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
তিনি আসন্ন কপ-২৭ এ ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে একটি কর্মমুখী আলোচনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এদিকে, শেরম্যান বিশ্ব শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবদানের প্রশংসা করেন।
তিনি বাংলাদেশের কোভিড-১৯ টিকার উচ্চ হার এবং মহামারি মোকাবিলায় ও নিয়ন্ত্রণে সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের জন্যও প্রশংসা করেছিলেন।
ডেপুটি সেক্রেটারি জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং কপ-২৭ এর আগে ‘গ্লোবাল মিথেন প্লেজ’ এ যোগ দিতে বাংলাদেশকে উৎসাহিত করেন।
শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যৈষ্ঠ পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আইলিন লাউবাচার ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: হিজাব ইস্যু: মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
র্যাবের সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাষ্ট্র কি অসন্তুষ্ট?: প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
যে দেশ দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে পারবে না তারা পিছিয়ে পড়বে: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বর্তমান বিশ্বের যে দেশ দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে পারবে না তারা আগামী দিনে পিছিয়ে পড়বে।
রবিবার রাতে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট (আইসিপিসি) ওয়ার্ল্ড ফাইনালস’ এর ‘স্পন্সর নাইট’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
জাপান কিংবা দক্ষিণ কোরিয়া খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ নয় উল্লেখ করে পলক বলেন, তারা দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তোলার কারণে বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
তিনি বলেন, সেই লক্ষ্য পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প পূরণের পর নতুন একটি রূপকল্প দিয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের ওপর দাঁড়িয়ে ২০৪১ সাল নাগাদ একটি সাশ্রয়ী, টেকসই ,বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। যে বাংলাদেশের আগামী প্রজন্ম সমস্যা সৃষ্টিকারী না হয়ে সমাধানকারী প্রজন্ম হবে। সে জন্যই দেশে একটি উদ্ভাবনী সংস্কৃতি গড়ে তুলতে ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং কনটেস্ট শুরু করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আগামী ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবসে আরও ৫ হাজার ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশে অফশোর ক্যাম্পাস স্থাপনের আহ্বান পলকের
আইসিপিসি ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. বিল পাউচার অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ৪৫তম আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস উদযাপন করছি। আইসিপিসি এর লক্ষ্য হল আজকের তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গীতশিল্পী ও ক্রীড়াবিদদের আবেগের পাশাপাশি কম্পিউটিংয়ের শিল্প ও বিজ্ঞানে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে অনুপ্রাণিত করা। এই শিক্ষার্থীরা ৩ লাখ ২০ হাজার আইসিপিসি সাবেক ছাত্রদের সঙ্গে সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, ডেভেলপার, বিজ্ঞানী, অধ্যাপক ও প্রযুক্তি নেতা হিসেবে যোগদান করবে। যারা আজ ও আগামী প্রজন্মের জন্য সমৃদ্ধি ও শক্তি যোগাবে।’
সবশেষে, পলক আইসিপিসি ঢাকার চূড়ান্ত পর্বে পৃষ্ঠপোষকতার জন্য কর্পোরেট প্রতিনিধিদের আহ্বান জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের (ইউএপি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ ও বাংলাদেশ কম্পিউার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার।
অনুষ্ঠানে আইসিপিসি কনটেস্টটি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রেজেন্টেশন আকারে উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল কবির। তিনি জানান, আগামী ৬-১১ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ঢাকায় বসবে এবারের আসর। এই আসরে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ বিশ্বের ৭৫ টিরও বেশি দেশ থেকে ১৪০০ বিদেশি অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
অন্যান্যের মধ্যে আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করা হয় বাংলাদেশে আইসিপিসি’র প্রবর্তক খ্যাতিমান প্রকৌশলী প্রয়াত জামিলুর রেজা চৌধুরীকে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এবং ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক এর সহযোগিতায় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ‘ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট’ (আইসিপিসি) ফাইনালস বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন:‘সাইবার সেন্টার ফর এক্সিলেন্স’ উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ: পলক
গণহত্যার ৫ম বার্ষিকী উপলক্ষে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ
২ বছর আগে
২০৩০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা ৩০ শতাংশে উন্নীত করতে চায় সরকার
কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীর বর্তমান সংখ্যা ১৭ শতাংশ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হিসেবে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
একটি সরকারি নথি অনুসারে, সেই লক্ষ্যে সরকার স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) ভিত্তিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিচ্ছে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চাহিদা পূরণের জন্য সরকার শ্রেণিকক্ষে উপযুক্ত প্রযুক্তি-ভিত্তিক বিষয় পড়ানোকে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং পাঠ্যক্রমে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বা এনসিটিবি-তে বাজেট বরাদ্দ করছে।
এছাড়া দক্ষ আইটি জনবল তৈরির লক্ষ্যে সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ তথ্যপ্রযুক্তি খাতের চাহিদা মেটাতে ২০২৫ সালের মধ্যে ৬০ হাজারেরও বেশি তরুণ-তরুণীকে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এক লাখ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
ইতোমধ্যে ৩৬ হাজারের বেশি লোককে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) আয়োজিত প্রকল্পটি প্রায় ২ লাখ ৩৪ হাজার লোককে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে এবং তাদের বেশিরভাগই দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন আইসিটি কোম্পানি-প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে।
উদ্দীপিত বাস্তবতা এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটিসহ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে নথিতে বলা হয়েছে, দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হবে এবং এ ধরনের ৫৭টি বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে।
৬৪টি জেলায় এবং ১৬টি ডিজিটাল ভিলেজে শেখ কামাল আইটি প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে যাতে তরুণদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়া যায়।
পাশাপাশি প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস, ব্লক-চেইন, রোবোটিক্স, বিগ ডেটা, ক্লাউড কম্পিউটিং ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি তার কার্যালয়ে (পিএমও) অনুষ্ঠিত জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনএসডিএ) পরিচালনা পর্ষদের প্রথম বৈঠকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড কাজে লাগাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রতি বছর প্রায় ২২ লাখ লোক চাকরির বাজারে প্রবেশ করে। এই বিশাল জনশক্তিকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে সঠিকভাবে গড়ে তোলা গেলে তা দেশের জন্য বিরাট সুফল বয়ে আনবে।
তিনি আসন্ন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগগুলো কাজে লাগানোর জন্য প্রযুক্তি-ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্সূচিতে মনোযোগ দেয়ার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
সরকারি নথি অনুযায়ী, কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার ১২ বছর আগে ছিল ১ দশমিক শুন্য শতাংশের কম, বর্তমানে এখন ১৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।
কারিগরি শিক্ষার তালিকাভুক্তির হার হল শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিসহ কারিগরি-বৃত্তিমূলক শিক্ষা কার্যক্রমে নথিভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের শতকরা হার।
২০২২ শিক্ষাবর্ষে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ২৬ হাজার ৮৪৬ জন শিক্ষার্থী প্রাক-ভোকেশনাল কোর্সে নথিভুক্ত হয়েছে এবং ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩৪টি কারিগরি স্কুল ও কলেজের ৯ম শ্রেণির ২০ হাজার ৬১৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা নিশ্চিতের সুপারিশ কারিগরি কমিটির
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কারিগরি কমিটির ৫ সুপারিশ
প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
২ বছর আগে