সম্পন্ন
শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা সম্পন্নের সব প্রস্তুতি নিয়েছে ডিএমপি
প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় শারদীয় দুর্গাপূজার উৎসব। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এই উৎসবের শেষ দিনে বিজয়া দশমীর মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে যেন হয় সে লক্ষ্যে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
গত ৯ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে রবিবার (১৩ অক্টোবর) বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
আরও পড়ুন: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ডিএমপি
শনিবার সন্ধ্যায় ডিএমপির উপকমিশনার (ডিসি-মিডিয়া) তালেবুর রহমান জানান, এরইমধ্যে রবিবারের অনুষ্ঠান উৎসবমুখর ও আনন্দময় করতে ডিএমপির পক্ষ থেকে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিসর্জন শোভাযাত্রার সম্ভাব্য রুট হবে, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে পলাশী মোড় - জগন্নাথ হল - কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার - দোয়েল চত্বর - হাইকোর্ট বটতলা - সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল - পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স - নগর ভবন - গোলাপশাহ মাজার - বঙ্গবন্ধু স্কয়ার - গুলিস্তান - নবাবপুর লেভেল ক্রসিং - নবাবপুর রোড - মানসী হল ক্রসিং - রথখোলা ক্রসিং - রায়সাহেব বাজার ক্রসিং - শাঁখারীবাজার - জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় - সদরঘাট বাটা ক্রসিং - পাটুয়াটুলি ক্রসিং/সদরঘাট টার্মিনাল ক্রসিং হয়ে ওয়াইজঘাটে গিয়ে শেষ হবে।
বিজয়া শোভাযাত্রা ও প্রতিমা পূজা উপলক্ষে স্বাভাবিক নিরাপত্তার পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, পলাশী মোড় ও বাহাদুর শাহ পার্ক এলাকায় তিনটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও পলাশীর মোড়, রায় সাহেব বাজার ও ওয়াইজ ঘাটে তিনটি ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে।
এছাড়া ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন টিম ও সোয়াট টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে।
আরও পড়ুন: ডিএমপির ১০ থানা পেল নতুন গাড়ি
২ মাস আগে
কৈলাশটিলার ৮ নম্বর কূপের খনন কাজ সম্পন্ন
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার কৈলাশটিলার ৮ নম্বর কূপের খনন কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে খনন কাজ করেছে বাপেক্স। এছাড়া কূপটি থেকে দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কৈলাশটিলা গ্যাস ক্ষেত্রের মালিকানায় রয়েছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেড (এসজিএফসিএল)।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, গ্যাস উত্তোলন পাইপ নির্মাণ শেষ। আগামী ৩ মাসের মধ্যে কূপটি থেকে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
এসজিএফসিএল আরও জানিয়েছে, কৈলাশটিলার অবশিষ্ট উত্তোলনযোগ্য গ্যাস রয়েছে ১ হাজার ৯০০ বিলিয়ন ঘনফুট। ৮ নম্বর কূপে প্রাপ্ত হরাইজোন-৪ এর গ্যাস মজুদ ২৪-২৫ বিলিয়ন ঘনফুট, যা নতুন মজুদ হিসাবে যুক্ত হলো।
এছাড়া নতুন সংযোজিত গ্যাসের দাম এক হাজার ৬২০ কোটি টাকা (প্রতি ঘনমিটার ২২ দশমিক ৮৭ টাকা বিবেচনায়)। অন্যদিকে কূপটির খনন কাজের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: গ্যাস বিতরণে সিস্টেম লস ২২ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে: নসরুল হামিদ
বাপেক্সের বিজয়-১২ রিগ চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি খনন কাজ শুরু করে। তিন হাজার ৫০০ মিটার খনন করা হয়েছে। ৮ নম্বর কূপে প্রাপ্ত হরাইজোন-৪ এর নতুন গ্যাস স্তরের অবস্থান ৩ হাজার ৪৩৮ থেকে ৩ হাজার ৪৪৭ মিটার পর্যন্ত।
২৪ মে ডিএসটি (ড্রিল স্টেম টেস্ট) করা হয়, এতে কূপমুখে ফ্লোয়ং পেশার তিন হাজার ৩৮৩ পিএসআই (প্রেসার বর্গ ইঞ্চি) পাওয়া গেছে। এতে করে দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাস ক্ষেত্রের ৮ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন এসজিএফল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, গত বছরের জানুয়ারি থেকে কৈলাশটিলার ৮ নম্বর কুপে খনন কাজ শুরু করে বাপেক্স। কূপের তিন হাজার ৪৪০ থেকে ৫৫ হাজার ফুট গভীরতায় গ্যাস পাওয়া গেছে। এখন দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পরীক্ষামূলকভাবে উত্তোলন হচ্ছে।
তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ উত্তোলন শুরুর আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জানা যায়, সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের উৎপাদনে থাকা কূপগুলো থেকে এখন প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। চলতি বছরের মধ্যে আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষ করে তারা সেই উৎপাদনকে ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে নিয়ে যেতে চায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের বেধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে সকল কাজ শেষ করতে পারলে শুধুমাত্র এই কোম্পানি থেকে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে ২৫০ মিলিয়ন গ্যাস যুক্ত করা সম্ভব।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি সিলেট গ্যাসফিল্ডের আওতাধীন রশিদপুরের ২ নম্বর কূপে গ্যাসের নতুন স্তরের সন্ধান মেলে। যার পরিমাণ প্রায় ১৫৭ বিলিয়ন ঘনফুট।
তারও আগে গত ২৬ নভেম্বর দেশের সবচেয়ে পুরোনো গ্যাসক্ষেত্র হরিপুরের ১০ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান মেলে। খনন কাজ শেষে ওইদিন গ্যাস প্রাপ্তির তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)।
গতবছরের জুনে এই কূপ খনন কাজ শুরু হয়। ১৪৯ কোটি টাকায় সিলেট-১০ নম্বর কূপ খনন করে চীনের কোম্পানি সিনোপেক।
কূপটিতে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস কর্তৃপক্ষ।
আর ২২ নভেম্বর সিলেটের কৈলাশটিলায় পরিত্যক্ত ২ নম্বর কুপ থেকে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। দৈনিক ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে।
সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায় ১৯৫৫ সালে। এরপর আবিষ্কার হতে থাকে একের পর এক গ্যাসক্ষেত্র। বর্তমানে এসজিএফএলের আওতায় পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে।
সেগুলো- হরিপুর গ্যাসফিল্ড, রশীদপুর গ্যাসফিল্ড, ছাতক গ্যাসফিল্ড, কৈলাশটিলা গ্যাসফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাসফিল্ড। এরমধ্যে ছাতক গ্যাসফিল্ড পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বাকিগুলোর মধ্যে ১৪টি কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১০৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।
জানা যায়, জ্বালানি সংকট নিরসনে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে দেশের ৪৬টি কূপ অনুসন্ধান, খনন ও পুনঃখননের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
২০২৫ সালের মধ্যে এসব খনন কাজ শেষ হওয়ার কথা। এতে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসজিএফএলের আওতাধীন ১৪টি কূপ খনন ও পুনঃখননের কাজ চলছে। সিলেটের ১৪ কূপের মধ্যে তিনটির খনন কাজ শেষে ২০২২ সাল থেকে উৎপাদন শুরু হয়। ২০২৩ সালে আরও একটি থেকে উৎপাদন শুরু হয়।
আরও পড়ুন: শনিবার যেসব এলাকায় ১৫ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে
শনিবার যেসব এলাকায় ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সরবরাহ
৬ মাস আগে
বিওয়াইএলসির সিগনেচার লিডারশিপ প্রোগ্রামের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান সম্পন্ন
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টারের (বিওয়াইএলসি) সিগনেচার লিডারশিপ প্রোগ্রামের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সর্বমোট ১৯০ জন শিক্ষার্থী সফলভাবে এই নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন।
শুক্রবার (৮ মার্চ) চট্টগ্রামের পেনিনসুলা হোটেল বিওয়াইএলসির বিল্ডিং ব্রিজেস থ্রু লিডারশিপ ট্রেনিং (বিবিএলটি) প্রোগ্রামের ৪০ ও ৪২ তম ব্যাচ এবং বিল্ডিং ব্রিজেস থ্রু লিডারশিপ ট্রেনিং জুনিয়র (বিবিএলটিজে) প্রোগ্রামের ৩৪ ও ৩৬ তম ব্যাচের গ্রাজুয়েশন সেরিমনি অনুষ্ঠিত হয়।
‘দি এমব্যাসি অব দি কিংডম অব দি নেদারল্যান্ডস’ এই লিডারশিপ প্রোগ্রামের সহযোগিতায় ছিল।
বিওয়াইএলসি’র প্রতিষ্ঠাতা ও এক্সিকিউটিভ চেয়ারপার্সন ইজাজ আহমেদ গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, ‘নেতৃত্ব চর্চার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলী হলো সৎ সাহস, সহানুভূতি ও যোগ্যতা।’
আরও পড়ুন: ক্যাপাসিটি বিল্ডিং প্রোগ্রাম পরিচালনার জন্য টাটা পাওয়ার ডিডিএল ও ব্লকনটসের মধ্যে চুক্তি
তিনি আরও বলেন, ‘সমাজ পরিবর্তন করতে হলে নিজের কম্ফোর্ট জোন থেকে বের হতে হবে এবং নিজের সমাজের জন্য কাজ করতে হবে।’
চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ইংরেজি, বাংলা ও মাদরাসা মাধ্যম থেকে নির্বাচিত মোট ১৯০ জন শিক্ষার্থী ১০ সপ্তাহ এবং ৫ সপ্তাহ ব্যাপী যথাক্রমে বিবিএলটি ও বিবিএলটিজে নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিওয়াইএলসি থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে।
বিবিএলটি ও বিবিএলটিজে প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সময় ধরে নেতৃত্ব চর্চার তাত্ত্বিক এবং ব্যবহারিক ধারণাগুলো অর্জনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে সমাজসেবামূলক প্রকল্প নিয়ে কাজ করে।
শিক্ষার্থীরা কমিউনিটিতে প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীসহ সমাজের সর্বস্তরের ১০ হাজারেরও অধিক মানুষকে সেবা প্রদান করে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্রনাথ তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্ব চর্চার এরুপ প্ল্যাটফর্ম তৈরির করার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ‘জন্মভূমির প্রতি প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব ও কৃতজ্ঞতার জায়গা থেকে কাজ করে যেতে হবে। এই লক্ষ্যে তরুণদের আরও এগিয়ে আসা এবং জন্মভূমির সব সমস্যা সমাধানে সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নেতৃত্ব দিতে হলে হতে হবে সাহসী এবং দক্ষতাসম্পন্ন সুনাগরিক, যেখানে বিওয়াইএলসি তাদের উদ্ভাবনী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’
আরও পড়ুন: চিকিৎসা গবেষণায় আরও সময় দিন: চিকিৎসকদের বললেন প্রধানমন্ত্রী
৯ মাস আগে
রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব সম্পন্ন
শান্তি ও মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ৪৮তম কঠিন চীবর দানোৎসব রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে চীবর উৎসর্গের মধ্যদিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রাঙ্গামাটি রাজবন বিহার প্রাঙ্গণে লাখো পূণ্যার্থী জমা হয়। প্রয়াত পার্বত্য ধর্মীয় গুরু বনভন্তে স্মৃতির উদ্দেশ্যে বিশাখা প্রবর্তিত নিয়মে ২৪ ঘণ্টায় প্রস্তুতকৃত চীবর দান করেন। রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের ভিক্ষু সংঘের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরের হাতে এসব চীবর উৎসর্গ করেন রাঙ্গামাটি সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায়।
আরও পড়ুন: মাটিরাঙ্গায় বন বিহারে কঠিন চীবর দান
চীবর উৎসর্গের সময় ভক্তদের সাধু, সাধু, সাধু কণ্ঠধ্বনিতে রাজবন বিহার এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে।
এর আগে রাজবন বিহার প্রাঙ্গণে আসা পূণ্যার্থীদের সামনে প্রধান মহাপরিনির্বাণপ্রাপ্ত শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভন্তের অমৃত কথা অডিও উপস্থাপন করা হয়।
পরে দায়ক দায়িকার উদ্দেশে স্বধর্ম দেশনায় দেন রাজবন বিহারের ভিক্ষু সংঘের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির।
এ সময় তিনি কৌশল কর্ম, সৎ চেতনা ও জীবনযাপন করার জন্য হিতোপোদেশ দেন।
বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরিধেয় গেরুয়া কাপড়কে বলা হয় চীবর। প্রাচীন নিয়ম মতে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে চরকায় সূতা কেটে, সুতা রং করে আগুনে শুকিয়ে সেই সুতায় তাঁতে কাপড় বুনে চীবর তৈরি করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান করা হয় বলে এর নাম কঠিন চীবর দান।
এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বিকালে বেইন ঘর উদ্বোধন ও চরকায় সুতা কাটার মধ্যদিয়ে রাজবন বিহারে শুরু হয় দুই দিনব্যাপী ৪৮তম কঠিন চীবর দানোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
রাতভর তুলা থেকে চরকায় সুতা কেটে, সুতা রং করে আগুনে শুকিয়ে সেই সুতায় ভোর ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে চীবর বুননের কাজ। দুপুরে ভিক্ষু সংঘকে সেই চীবর (বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরিধেয় বস্ত্র) দান করার মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত রাজবন বিহারে দুই দিনের চীবর দানোৎসব সম্পন্ন হয়।
রাজবন বিহার উপাসক পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ান বলেন, বৌদ্ধদের যত ধরনের দান রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে পূণ্যের দান হলো কঠিন চীবর দান। এ জন্য কঠিন চীবর দানোৎসবকে দানোত্তম চীবর দান উৎসব বলা হয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন, এ বছর রাজবন বিহারে প্রায় ২০০ বেইন ও দেড় শতাধিক চরকার সাহায্যে ৬ শতাধিক দায়ক-দায়িকা চীবর বুননের কাজে অংশগ্রহণ করছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত
১ বছর আগে
মিতু হত্যা মামলায় বাদী মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন
চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পুনঃতলব আবেদনে মোশাররফকে হাজির করা হয় এবং তার সাক্ষ্য সম্পন্ন করা হয়।
এদিন আলামত হিসেবে জমা দেওয়া দুটি বই ও ২৯টি এসএমএস নিয়ে জেরা করা হয় মোশাররফকে।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
পরে আদালত আগামী ১১ জুন মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেছে।
আসামি বাবুল আকতারের আইনজীবী কফিল উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার বিদেশি নারী এনজিওকর্মীর উপহারের দুটি বই ও ২৯টি এসএমএসের বিষয়ে মোশাররফ হোসেনকে জেরা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জেরা শেষে ১১ জুন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
এর আগে, গত ১৩ মার্চ বাবুলসহ সাতজনের বিচার শুরুর আদেশ দেন তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত।
সেদিন ৯ এপ্রিল সাক্ষগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে ৯ এপ্রিল মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরের জিইসি মোড়ের কাছে ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু।
ওই ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন তার স্বামী তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার।
মামলাটি তদন্ত করছিল নগর ডিবি পুলিশ। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ‘আদালতের নির্দেশে’ মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই।
এরপরই ঘুরতে থাকে মামলার গতিপ্রকৃতি। পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে আসতে থাকে স্ত্রী হত্যার সঙ্গে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার নানা দিক।
২০২১ সালের ১০ মে মামলার বাদী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাবুল আক্তারকে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ে ডেকে নেয়া হয়। এরপরই তাকে হেফাজতে নেয় পিবিআই।
পরে ১২ মে দুপুরে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে নগরের পাঁচলাইশ থানায় আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলা: অভিযোগ গঠন চ্যালেঞ্জের আবেদন খারিজ
মিতু হত্যা মামলায় জামিন পাননি বাবুল আক্তার
১ বছর আগে
শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ ৪৪ শতাংশ সম্পন্ন: প্রতিমন্ত্রী
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ ৪৪ দশমিক ১৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে এবং এই প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি হয়েছে বলে জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
সোমবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: অসুস্থ সেই পাইলটের চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস বিমান প্রতিমন্ত্রীর
তিনি জানান, ২০২৩ সালের অক্টোবরে থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন করা যাবে। এছাড়া থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তিনটি টার্মিনাল দিয়ে বছরে ২২ মিলিয়ন যাত্রীকে সেবা দিতে পারবে। বিদ্যমান অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা দূর হওয়ায় তখন যাত্রীরা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের সেবা পাবেন।
মাহবুব আলী বলেন, বিমানবন্দরে যাত্রীরা যাতে কোন হয়রানির শিকার না হন, সেটা আমরা খেয়াল রাখছি। মনিটরিং বৃদ্ধি করায় লাগেজ ডেলিভারিতেও আগের থেকে সময় অনেক কম লাগছে। যেখানে প্রয়োজন সেখানেই অতিরিক্ত জনবল দেয়া হয়েছে। আশা করছি যাত্রীরা সুন্দর ব্যবহার পাবেন।যখন দেখবো সব ঠিকঠাক হচ্ছে, তখন বুঝবো আমাদের কর্মকাণ্ড স্বার্থক।
তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন এয়ারপোর্টে যে সেবা দেয়া হয়, সেই ধরনের আন্তর্জাতিক সেবা যাতে দেয়া হয়, সেটা আমরা নিশ্চিত করবো।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুকেশ কুমার সরকার, মহিদুল ইসলাম, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মালেক এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ৩১ মে হজ ফ্লাইট শুরুর প্রস্তুতি আছে: বিমান প্রতিমন্ত্রী
শিগগিরই নিউইয়র্কে বিমানের ফ্লাইট চালু করা হবে: বিমান প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে