শেয়ারবাজার
সমৃদ্ধ শেয়ারবাজার গড়তে মার্চেন্ট ব্যাংকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: ডিএসই চেয়ারম্যান
সমৃদ্ধ শেয়ারবাজার গড়তে মার্চেন্ট ব্যাংকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের অন্যতম স্টেকহোল্ডার হলো মার্চেন্ট ব্যাংক৷ শেয়ারবাজারের টেকসই উন্নয়নে ভালো শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানো, সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মধ্যে সমন্বয় এবং বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বাড়ানো মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর অন্যতম প্রধান কাজ৷
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজার পরিস্থিতি অনুকূলে নয়। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে বোঝা যায়, বাজারে অর্থের জোগান কম ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী পুঁজিবাজার উন্নয়নে সরকারি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনার নির্দেশ দিয়েছেন যা এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যা এরইমধ্যে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহ ও সাহস জোগাচ্ছে৷ মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ব্যাপক ভূমিকা পালনের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রীর সুদূর প্রসারী দিকনির্দেশনা বাস্তবায়ন সম্ভব৷’
আরও পড়ুন: ডিএসইর নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের যোগদান
মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুনের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের কমিটির সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন৷
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান, প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খায়রুল বাসার আবু তাহের মোহাম্মদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা৷
ডিএসই চেয়ারম্যান আরও বলেন, উন্নত দেশের পুঁজিবাজার সে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অন্যান্য দেশে দেখা যায় সে দেশের মানি মার্কেট যতটা সাপোর্ট দেয় পুঁজিবাজারও ততটুকুও সাপোর্ট দেয়। আমরা সব সময় বলে আসছি যে পুঁজিবাজারে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ না করলে পুঁজিবাজার সাসটেইনেবল হবে না। এখানে দুই তিন বছরের জন্য আসলেই বাজার ভালো হবে না। আপনারা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু আমাদের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এখানে এসে পরের দিনই লাভ তুলতে চান। আর এ কারণেই বড় পতন হয়। সে যায়গাতে আপনাদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আমরা চাই আপনারা এ যায়গায় কাজ করবেন।
ড. হাসান বাবু আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজকে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকাভুক্ত করার কথা বলেছে। প্রধানমন্ত্রীর কিন্তু সব যায়গাতে নজর রয়েছে। কোম্পানির আইপিও তালিকাভুক্ত করার আইনে কিছু সমস্যা আছে যেগুলো সংস্কার করতে হবে। তবে সংস্কার করতে গিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয় আপনার এমন কিছু করবেন না। আমি সব সময় বলে আসছি, সামনেও বলব যে তালিকাভুক্ত ও তালিকা বহির্ভূত কোম্পানির মধ্যে করের উল্লেখযোগ্য ব্যবধান না করা গেলে ভালো কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত করা যাবে না। আর শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠান নয় বাংলাদেশে যেসব গ্রিন ফ্যাক্টরি রয়েছে সেগুলোও তালিকাভুক্তিতে কাজ করতে হবে।
মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাজারের গভীরতা বৃদ্ধি তথা ভালো কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত করার পাশাপাশি মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধান কাজ হচ্ছে পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত করা। যা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করে। বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সুনির্দিষ্ট ইস্যু নিয়ে কথা বলতে হবে। নতুন নতুন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে তিনি সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। বাজার উন্নয়নে যদি ডিএসই, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ডিবিএ একসাথে কাজ করে তাহলে এগিয়ে যাওয়ার পথ সুগম হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এছাড়া অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাজার উন্নয়নে বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। এরমধ্যে দ্বৈত কর, গুণগত মানসম্পন্ন আইপিও আনা, আইপিও প্রাইসিং সিস্টেম, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন, মার্জার একুইজেশন, পলিসিগত প্রতিবন্ধকতা, ঘন ঘন আইন-কানুন পরিবর্তন না করা, কাট-অফ মূল্যের অধিক মূল্যে বিডকারীদের প্রোরাটার ভিত্তিতে সিকিউরিটিজ প্রদান, আইপিওর কোটা ও লক-ইন পিরিডের কিছু সংশোধনী আনা, সিকিউরিটিজ ভ্যালুয়েশনের ক্ষেত্রে মার্কেট অ্যাপ্রোচ ও ইনকাম অ্যাপ্রোচ মেথড অনুসরণ করা, বিডিংয়ের সম্মতি পাওয়ার পরই রোড-শোর আয়োজন করা, মার্জিন ঋণের আইনে কিছু পরিবর্তন আনা, গবেষণায় জোর দেয়া ইত্যাদি বিষয় অন্যতম।
আরও পড়ুন: ক্রান্তিকাল পেরিয়ে সম্ভাবনার পথে শেয়ারবাজার: ডিএসইর চেয়ারম্যান
শেয়ারবাজারে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেনের জন্য নতুন ডাটা সেন্টার চালু ডিএসইর
৫ মাস আগে
শেয়ারবাজারে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেনের জন্য নতুন ডাটা সেন্টার চালু ডিএসইর
স্বয়ংক্রিয় ও নিরবচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করতে রবিবার (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) একটি নতুন ডেটা সেন্টার চালু করেছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএসই জানিয়েছে, এটি ১০৬ র্যাকসহ একটি অত্যাধুনিক ডেটা সেন্টার চালু করেছে।
এতে জানানো হয়েছে, ডাটা সেন্টার ইতোমধ্যে এএনএসআই /টিআইএ-৯৪২, রেট-৩ (ডিজাইন ও কনস্ট্রাকশন) আন্তর্জাতিক মানের সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে।
রেট-৩ ডেটা সেন্টারে পাওয়ার, কুলিং ও অন্যান্য সিস্টেমগুলোকে অফলাইনে না নিয়েই আপডেট এবং চালানোর জন্য একাধিক পথ রয়েছে।
ডিএসই বলেছে, ফলে অ্যাপ্লিকেশন অপারেশনগুলোকে ব্যাহত না করে পরিকল্পিতভাবে সরঞ্জাম বা ডিভাইস অপসারণ, প্রতিস্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: আইপিওর যাচাই-বাছাইয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের আরও ভূমিকা থাকা উচিত: এটিএম তারিকুজ্জামান
১২ নভেম্বর ডিএসই ঘোষণা করেছে, নিকুঞ্জের ডিএসই টাওয়ারে নতুন ডেটা সেন্টার থেকে ট্রেডিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, চালু হওয়ার পর থেকে নতুন ডেটা সেন্টারের মাধ্যমে ব্যবসায়িক কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
ডিএসইর মতে, নতুন ডেটা সেন্টারে অত্যাধুনিক সার্ভার, নেটওয়ার্ক উপাদান, স্টোরেজ ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম রয়েছে। এই অত্যাধুনিক ডেটা সেন্টার চালু করার মাধ্যমে ডিএসই বিনিয়োগকারী ও সব অংশীজনদের সুবিধার জন্য একটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ও আধুনিক ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম নিশ্চিত করেছে।
উদ্বোধনী লেনদেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু, পরিচালক রুবাবা দৌলা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম সাইফুর রহমান মজুমদার, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএসইসি স্টক মার্কেটের শরিয়াহ উপদেষ্টা পরিষদ গঠন
লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে প্রথমবারের মতো তালিকাভুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশি বন্ড
১১ মাস আগে
ব্যাপক বিক্রির চাপের মধ্যে শেয়ারবাজারে টানা ৪ দিন দরপতন
দেশের শেয়ারবাজারে বিক্রির ব্যাপক চাপে টানা চার কার্যদিবস বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার দরে পতন দেখা গেছে।
মঙ্গলবার উভয় পুঁজিবাজারের পতন দেখিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ৬ পয়েন্ট এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ১২ পয়েন্ট হারিয়েছে।
সূচকের সঙ্গে দাম বাড়ার বিপরীতে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ফলে টানা চার কার্যদিবস দরপতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। তবে তার আগে গত বুধবার পুঁজিবাজারে উত্থান দেখা যায়।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বাজারে ৩৫৮টি কোম্পানির মোট ১৩ কোটি ৬৫ লাখ ৭৬ হাজার ৯৫৭টি শেয়ার ও ইউনিট বিনিময় হয়েছে। এসব শেয়ারে লেনদেন হয়েছে প্রায় ৬৬০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
আগের দিন প্রায় ৬৩৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল। আগের দিনের তুলনায় মঙ্গলবার লেনদেন কিছুটা বেড়েছে।
এদিন ৪৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১২১টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮৮টি কোম্পানির শেয়ারের দর।
আরও পড়ুন: বড়দিনে চীন, জাপানের শেয়ার বাজারে দরপতন
ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৩১ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য দু’টি সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএস-৩০ সূচক ৪ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৬২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক ১২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৭০৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার সিএসইতে ১৯০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে বেড়েছে ৪১টি কোম্পানির দর, কমেছে ৭৩টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৬টি কোম্পানির দর।
দিন শেষে (মঙ্গলবার) সিএসইতে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন প্রায় ৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন: অক্টোবরের মধ্যেই শেয়ারবাজারে আসবে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ৪ ব্যাংক: অর্থমন্ত্রী
১ বছর আগে
শেয়ারবাজারে সাড়ে ৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হলো বৃহস্পতিবার
বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ লেনদেনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দেশের উভয় শেয়ারবাজারের লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক পয়েন্ট বেড়েছে ৭ পয়েন্ট এবং চট্টগ্রামের স্টক ১৪ পয়েন্ট বেড়েছে, যা সাড়ে পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ফলে ঈদের পর চার কার্যদিবসে শেয়ারবাজারের সূচক বেড়েছে। ঈদের আগেও পাঁচ দিনের সূচক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে। সব মিলিয়ে টানা ৯ কার্যদিবস দর বেড়েছে পুঁজিবাজারে।
বৃহস্পতিবার খাদ্য, বীমা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পাশাপাশি রহিমা ফুড, আইটিসি, কোহিনূর কেমিক্যাল, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট এবং বসুন্ধরা পেপার মিলসের শেয়ারের দাম বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। শেয়ার সূচক বৃদ্ধিতে এই পাঁচটি কোম্পানির অবদান প্রায় ৩৫ শতাংশ।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, আজ (বৃহস্পতিবার) ডিএসইতে ১৫ দশমিক ৯০ কোটির বেশি শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৯৬৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকার বেশি এবং বুধবার লেনদেন হয়েছে ৭৬৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ২০০ কোটি টাকার বেশি।
গত সাড়ে ৫ মাসের মধ্যে এটি ছিল সর্বোচ্চ লেনদেন। এর আগে ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর ডিএসইতে এক হাজার ১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে সাত দশমিক ৭০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৭৪ পয়েন্টে। অন্য দু’টি সূচকের মধ্যে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক তিন দশমিক ১০ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৬২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে ডিএসই-৩০ সূচক চার দশমিক ৬৪ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৮৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৫১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৭৯টি কোম্পানির দর বেড়েছে, কমেছে ৬২টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দর।
আরও পড়ুন: বড়দিনে চীন, জাপানের শেয়ার বাজারে দরপতন
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার। এরপর সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনিক হোটেলের শেয়ার। তৃতীয় স্থানে ছিল বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার। এরপর সেরা দশে ছিল যথাক্রমে ইস্টার্ন হাউজিং, বসুন্ধরা পেপার মিলস, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, জেমিনি সি ফুড, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার এবং আইটি কনসালট্যান্ট লিমিটেড।
অন্যান্য শেয়ারবাজারের সার্বিক সূচক সিএসই, সিএএসপিআই ১৪ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৪৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে ১৬০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৪টি কোম্পানির, কমেছে ৪৫টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৮টি কোম্পানির।
দিন শেষে সিএসইতে সাত দশমিক ৯৫ কোটির বেশি শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: অক্টোবরের মধ্যেই শেয়ারবাজারে আসবে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ৪ ব্যাংক: অর্থমন্ত্রী
১ বছর আগে
শেয়ারবাজারে এক সপ্তাহে মূলধন বৃদ্ধি ছাড়াল ১০ হাজার ১৮৫ কোটি
পুঁজিবাজারের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি মাসের ৪র্থ সপ্তাহে পুঁজিবাজার চার দিনে ১০ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা মূলধন বৃদ্ধি হয়েছে।
গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেনের শুরুতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূলধন ছিল ৭ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। শেষ দিনে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৭ হাজার কোটি টাকা।
আপরও পড়ুন: ৪ প্রতিষ্ঠান পেল টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্স
অর্থাৎ মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে তা বেড়েছে দুই হাজার ১৪৯ কোটি টাকা। টানা দুই সপ্তাহ বাজারে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি বেড়েছে।
গত সপ্তাহে (২২ থেকে ২৬ জানুয়ারি) পাঁচ কার্যদিবসে কেনাবেচা হয়েছিল। প্রথম ব্যবসায়িক দিনে সূচকের পতন দেখা গিয়েছিল, তারপরে সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার টানা চারটি ব্যবসায়িক দিনে সূচক বেড়েছে।
এই সময়ে ডিএসইতে মোট ৩৮৭টি শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৬৩টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে ১১৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৫টির।
আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১১৪টির দাম বেড়েছে, ৬৮টির দরপতন হয়েছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৫টির। আগের সপ্তাহের তুলনায় দাম কমানো কোম্পানির সংখ্যা বেড়েছে।
তবে বেশ কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়ে যাওয়ায় ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩০ পয়েন্ট বেড়ে বিদায়ী সপ্তাহে ছয় হাজার ২৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসই’র অন্য দু’টি সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ছয় পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৭৪ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ২২ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ২৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে তিন হাজার ৫০ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল তিন হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৮০০ কোটি টাকার লেনদেন কমেছে; শতাংশ হিসাবে এটি ২০ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)ও একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে।
গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৫৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে লেনদেন হয়েছে ৬৩ দশমিক ১৯ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১০৪ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ৬১টির শেয়ার দর বেড়েছে, ৮৩টির দাম কমেছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩৪টি কোম্পানির।
আপরও পড়ুন: শেয়ার বাজার কারসাজিকারীকে চিহ্নিত করতে ৬-১২ মাস সময় লাগে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
প্রফিট শেয়ার করার জন্য হাওয়া ভবন ও পিএমওতে উন্নয়ন উইং নেই: ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
শেয়ার কারসাজিতে সাকিবের কোম্পানি জড়িত: ডিএসই’র তদন্ত প্রতিবেদন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) একটি কোম্পানির শেয়ার কারসাজির প্রমাণ পেয়েছে, যার চেয়ারম্যান ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
ডিএসই’র তদন্ত প্রতিবেদনে কীভাবে কারসাজি হয়েছে তা তুলে ধরা হয়েছে।
তদন্তে দেখা যায়, শেয়ারবাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িত ছিলেন মোনার্ক হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সাদিয়া হাসান। ওই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাকিব আল হাসান।
এ ঘটনায় আবুল খায়ের হিরোসহ গ্রুপের অন্যদের তিন কোটি ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। জরিমানার টাকা আদায়ের জন্য বিএসইসিও এক আদেশ জারি করেছে। এর মধ্যে ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার কারসাজির জন্য তিন কোটি টাকা এবং বিডিকমের শেয়ার কারসাজির জন্য বাকি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ডিএসই’র একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকের শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির সময় ১১ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ওয়ান ব্যাংকের শেয়ারের উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ছিল।
জড়িতদের মধ্যে রয়েছেন-আবুল খায়ের হিরো, তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, বাবা আবুল কালাম মাতবর ও বোন কনিকা আফরোজ।
আরও পড়ুন: বেটউইনার নিউজের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করলেন সাকিব
এর সুবিধাভোগী সংস্থাগুলো হলো- ক্যান্ডেলস্টোন ইনভেস্টমেন্ট পার্টনার ও তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিনটি কোম্পানি হলো- জেনেক্স ইনফোসিস, ফরচুন সুজ ও সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস।
জানা গেছে, সাকিব আল হাসান, জেনেক্স ইনফোসিস, ফরচুন সুজ ও সোনালী পেপারের নামে হিরো শেয়ার লেনদেনের তত্ত্বাবধান করেছে।
ডিএসই’র তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের ১৫ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার দর ১২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে ২০ টাকা ১০ পয়সা হয়েছে, অর্থাৎ শতকরা ৫৯ দশমিক ৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডিএসই’র তদন্তে জানা গেছে, আবুল খায়ের হিরোর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান (ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেডের ক্লায়েন্ট কোড # ৩৮৯৮) এই সময়ে ওয়ান ব্যাংকের শেয়ারের শীর্ষ ক্রেতা ছিলেন।
আরও পড়ুন: জরিমানা চেয়ে বাংলালিংক-যমুনা ব্যাংককে সাকিবের লিগ্যাল নোটিশ
করোনার জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙ্গে নতুন বিতর্কে সাকিব
২ বছর আগে