ইলিশ আহরণ বন্ধ
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ৩৪ জেলে গ্রেপ্তার
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরায় ৩৪ জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে কারেন্ট জাল ও ইলিশ জব্দ করা হয়।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাত থেকে রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ভোলা সদর, দৌলতখান ও চরফ্যাশন উপজেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ৩৮ জেলেকে গ্রেপ্তার করে কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার সময় মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের সমন্বয়ে অভিযান চালিয়ে ভোলা সদর, দৌলতখান ও চরফ্যাশন উপজেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ৫৪ হাজার ৭০০ মিটার কারেন্ট জাল, ৮টি নৌকা ও ১৯২ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।
এ নিয়ে ৪ দিনে মোট ৩৬ জেলেকে আটক করা হলো।
আরও পড়ুন: মা ইলিশ আহরণ বন্ধ করলে উৎপাদন আরও বাড়বে: মৎস্যমন্ত্রী
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার ৩৬ জেলের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২৮ জেলেকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা, দুই জেলেকে ১৫ দিন কারাদণ্ড ও ৬ জেলে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে জব্দ করা জাল আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এবং জব্দ করা মাছ অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: বরিশালে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলেদের হামলায় মৎস্য কর্মকর্তাসহ আহত ৫
১ বছর আগে
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় হাইমচরে ২৭ জেলে আটক
চাঁদপুরের হাইমচরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরায় ২৭ জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, দুটি নৌকা ও মা ইলিশ জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) ও শনিবার (১৪ অক্টোবর) হাইমচর উপজেলায় মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ২৭ জেলেকে গ্রেপ্তার করে নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ও কোস্ট গার্ড।
গ্রেপ্তার ২৭ জেলের মধ্যে ২০ জেলেকে মৎস্য আইন মামলায় কোর্টে পাঠানো হয়েছে এবং ৭ জেলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলেদের হামলায় মৎস্য কর্মকর্তাসহ আহত ৫
জব্দ করা মা ইলিশ হাইমচর উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহ্লা চৌধুরী বলেন, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আমরা মা ইলিশ রক্ষায় গত ২ দিনে মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানের প্রথম দিনেই ২৭ জেলেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় গ্রেপ্তার করেছি।
পদ্মা ও মেঘনা নদীতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সরকারি নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ
১ বছর আগে
মা ইলিশ আহরণ বন্ধ করলে উৎপাদন আরও বাড়বে: মৎস্যমন্ত্রী
প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ আহরণ বন্ধ করা গেলে দেশে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের শহীদ ওমর ফারুক মিলনায়তনে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩’ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জেলেদের সহায়তায় সরকারের মা ইলিশ আহরণ বন্ধ করা, জাটকা নিধন বন্ধ করাসহ ইলিশের অভয়াশ্রম সুরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে অতীতের তুলনায় ইলিশের উৎপাদন এবং ইলিশের আকারও বেড়েছে। জেলেরা এখন বড় আকারের ইলিশ আহরণ করছে।
তিনি আরও বলেন, একটি মা ইলিশ ৬ থেকে ৭ লাখ পর্যন্ত ডিম দেয়। একটি মা ইলিশ আহরণ করা মানে লাখ লাখ ইলিশ ধ্বংস করা। সুতরাং মা ইলিশ সংরক্ষণ করলে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়বে।
এ সময় জেলেদের স্বার্থেই মা ইলিশ নিধন বন্ধ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে কম সময়ে অধিক ফলনে গুরুত্ব দিচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে সরকার ভিজিএফ সহায়তা দিচ্ছে, বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের ইলিশসমৃদ্ধ ৩৭ জেলার ১৫৫ উপজেলায় এ সহায়তা পৌঁছে গেছে। ভিজিএফের আওতায় ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৭টি জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি হারে মোট ১৩ হাজার ৮৭২ দশমিক ১৮ টন খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
এ সময় জেলেদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, কারো খারাপ পরামর্শ বা ভুল প্ররোচনায় নিষেধাজ্ঞার সময় কোনোভাবেই মাছ ধরতে নদী বা সাগরে নামা যাবে না। মা ইলিশ সংরক্ষণের সময় আইন মেনে চলতে হবে। নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ আহরণ করলে জেল ও জরিমানার আওতায় আসতে হবে।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মো. জাহেদুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান।
আরও পড়ুন: আলু আমদানির বিপক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়
১ বছর আগে
৭ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশ আহরণ বন্ধ
প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় আগামী ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকবে। এ সময় ইলিশ আহরণ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ বন্ধের সময় নির্ধারণ এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২২ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, নিষিদ্ধ সময়ে যারা মাছ ধরতে নামে তারা সবাই মৎস্যজীবী নয়। তাদের নেপথ্যে অনেক ধনী ব্যক্তি থাকে, ক্ষমতাবান ব্যক্তি থাকে। ইলিশ সম্পদ রক্ষায় অতীতের মত এবারও এসব অসাধু ব্যক্তিদের ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, ইলিশ সম্পদ ধ্বংসকারী দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। দিনে অভিযানের পাশাপাশি এবার রাতেও অভিযান জোরদার করা হবে। সংশ্লিষ্ট জেলা-উপজেলায় বরফ কল বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। গত বছরের ন্যায় এবারও অবৈধ জাল উৎপাদনস্থলে অভিযান পরিচালনা করা হবে। অবৈধ পথে ইলিশ পাচার রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইলিশ সম্পৃক্ত জেলা উপজেলায় নদীতে ড্রেজিং বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। ইলিশের নিরাপদ প্রজননের মাধ্যমে ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে যা যা করা দরকার তা করতে হবে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, মাছ ধরা বন্ধকালে যাচাই-বাছাই করে নিবন্ধিত জেলেদের নানাভাবে সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়। তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। জেলদের জন্য নানাভাবে রাষ্ট্র সহায়তা করছে।
অতীতে এত ইলিশ উৎপাদন হয়নি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকারের নানাবিধ উদ্যোগে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে গ্রাম-গঞ্জে এখন ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। দেশের মানুষ ইলিশ খেতে পারছে। ইলিশ রপ্তানিও করা যাচ্ছে।
রেজাউল করিম বলেন, প্রজননস্থলে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের করা হলে ইলিশের প্রজনন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে ধরণের পরিবেশ ইলিশ ডিম দেয়ার জন্য উপযুক্ত অনেক সময় ভারী যানবাহন চলাচল, যানবাহনের পোড়া মবিল নির্গত হওয়া, ময়লা-আবর্জনা নির্গত হওয়ায় কারনে ইলিশের প্রজনন পরিবেশ নষ্ট হয়। ফলে ইলিশ ওই অঞ্চলে থাকে না। অন্যত্র চলে যায়।
আরও পড়ুন: ভরা মৌসুমেও খুলনায় ইলিশের দাম চড়া
প্রথম চালানে ভারতে গেল ৮ মেট্রিক টন ইলিশ
বাগেরহাটে ধরা পড়ছে না ইলিশ, হতাশ জেলেরা
মাছ ধরা শুরু, ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পেয়ে খুশি বরগুনার জেলেরা
২ বছর আগে