সৃষ্টি
হাসিনার সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: রিজভী
পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগী হিসেবে সচিবসহ বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা সারা দেশে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ও সহযোগীদের এখনো সরানো হয়নি। তারা এখনো প্রশাসনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল রয়েছেন।’
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দায়িত্ব পালন করা কিছু সচিব ও কর্মকর্তা এখনো তাদের প্রভাবসহ প্রশাসনে রয়েছেন। ‘তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে এবং নানাভাবে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শেখ হাসিনার সহযোগীদের দেশকে অস্থিতিশীল করার যে কোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করতে এবং সতর্ক থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সংসদ ভেঙে দেয় এবং ইউনিয়ন পরিষদ ব্যতীত স্থানীয় সরকার সংস্থায় নির্বাচিতদের অপসারণ করেছে।আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া মানে নতুন সমস্যা তৈরি করা: ফখরুল
তিনি বলেন,‘ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা এখনো বহাল আছেন কেন? এই চেয়ারম্যানরা আওয়ামী লীগের সহযোগী, যারা গণতন্ত্রপন্থী কর্মীদের হত্যাকাণ্ডে জড়িত। তাদের কেউই শেখ হাসিনা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কেউ নির্বাচিত হননি। তাহলে এই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা কীভাবে এখনও পদে রয়েছেন?’
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনে ঢাকার পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও বহু মানুষ নিহত হয়েছেন এবং এসব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। পুলিশি নিরাপত্তায় তারা আমাদের দলের সদস্যদের ওপর গুলি চালায়। তারা কীভাবে তাদের পদে রয়েছেন?'
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ আহমেদ আলী মুকিবকে সঙ্গে নিয়ে জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রিজভী।
দেশের টাকাশেখ হাসিনার নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং তা বিদেশে পাচার করেছেন।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া মানে নতুন সমস্যা তৈরি করা: ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, তার (শেখ হাসিনা) শাসনামলে নিজের আত্মীয়-স্বজন, এমপি, মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দল যাতে জনগণের ওপর জুলুম ও ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে না পারে সেজন্য শেখ হাসিনার দুর্নীতি ও গুম ও হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা এস আলমের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের সুবিধা দিয়েছিলেন এটা জেনেই যে তাকে যদি কখনো পালাতে হয় তাহলে সেই অর্থ তার কাছে পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের সহায়তায় নগদ ২০ কোটি টাকা ও ত্রাণ সংগ্রহ বিএনপির
১ মাস আগে
১৫ বছরে অবিশ্বাস্য উন্নয়নের নজির সৃষ্টি হয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে অবিশ্বাস্য উন্নয়নের নজির সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর গুলশানের শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি পার্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
উন্মুক্ত স্থানগুলোর আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও সবুজায়ন প্রকল্পের আওতায় এই পার্কের সংস্কার করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিশন, রুচি ও চেষ্টা থাকলে অনেক কিছু করা যায়। অনেক সময় বড় কিছু করতে গেলে অনেকে নিরুৎসাহিত ও আটকে দেওয়ার চেষ্টা করবে। অনেক বড় কিছু করার চিন্তা ও তা করার চেষ্টা করলে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদল হয়। ফলে অনেক বড় কিছু অর্জন করা যায়।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার বিভিন্ন নজির আমরা দেখেছি। দেশের মানুষ যা কিছু চিন্তা করতে পারেনি সে ধরনের উন্নয়ন বাংলাদেশে হয়েছে। ১৫ বছর আগে যদি বলা হতো, ঢাকা শহরে মেট্রোরেল চলবে, সেটা কেউ বিশ্বাস করত না। যদি বলা হতো বাংলাদেশের শতভাগ মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছাবে, সেটা কেউ বিশ্বাস করত না। পদ্মা সেতু আমরা নিজের টাকায় করব, বাংলাদেশের মানুষ এটাও বিশ্বাস করেনি।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে। আমরা অনেক সাহসী হয়েছি, আমরা এখন অনেক বড় স্বপ্ন দেখতে পারি এবং তা বাস্তবায়ন করতে পারি। সেই জায়গা থেকেই ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের বিষয় চলে এসেছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকন্যা আছেন বলেই দেশে সমৃদ্ধি ঘটছে: আরাফাত
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ডা. ফজলে রাব্বির নামে পার্কের নামকরণ করায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নামগুলো আমরা আরও স্মরণ করতে চাই। স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখতে চাই এবং আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে নজির হিসেবে রাখতে চাই। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আরও দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হবে এবং সেভাবেই আগামী দিনের ইতিহাস রচিত হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন শহীদ ডা. ফজলে রাব্বির ছেলে ওমর রাব্বি প্রমুখ।
পরে সংস্কার করা শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি পার্কের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনে অংশ নেন প্রতিমন্ত্রী।
এছাড়াও বৃক্ষরোপণ, পার্ক পরিদর্শন ও নবনির্মিত পুলিশ বক্স উদ্বোধনেও অংশ নেন তিনি।
আরও পড়ুন: টিআইবির গবেষণা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পড়ে না: আরাফাত
৯ মাস আগে
আইসিটি খাতে ১০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে: পলক
আগামী পাঁচ বছরে ১০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে আইসিটি খাতের রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রার কথা জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক।
তিনি বলেন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি খাতে বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চাই। বাংলাদেশ-ভারতকে উন্নত, সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে পরিচয় করার জন্য একযোগে কাজ করতে চাই।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছরে ১ বিলিয়ন ডলার আমাদের স্টার্টআপে বিনিয়োগ হয়েছে। এর বেশিরভাগই এসেছে আমেরিকা, ভারত ও সিঙ্গাপুর থেকে। আর কিছু অংশ এসেছে জাপান থেকে।
তিনি বলেন, ভারত আমাদের খুব কাছের অকৃত্রিম বন্ধু। ভারতের প্রায় দেড় বিলিয়ন জনগোষ্ঠী। আমাদের একটা পণ্য যদি ভারতে নিতে পারি, তাহলে এটি আমাদের কাছে বিশাল মার্কেট হবে। সেটা হার্ডওয়ার হোক কিংবা সফটওয়ার হোক।
সাইবার জগৎকে নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে কাজ করবে। এ বিষয়ে আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে দু’দেশের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি হতে পারে বলেও জানান তিনি।
জুনাইদ আহমেদ বলেন, সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে ৫ বছর আগে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল। ভারতের একটি সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ দল তিন মাস আগে বাংলাদেশ সফরে এলে এ বিষয়ে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করা জরুরি বলে আলোচনা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো দেশ এককভাবে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না। বাংলাদেশ ও ভারতের বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে একসঙ্গে কাজ করবে। নৌপথে, আকাশপথে দুই দেশ যেমন একসঙ্গে কাজ করে, তেমনি সাইবার জগৎ নিরাপদ রাখতে একসঙ্গে কাজ করবে। আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সই হবে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ১২টি হাইটেক পার্ক নির্মাণে লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় ১৯ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে। এসব হাইটেক পার্ক ২০২৫ সালের মধ্যে চালু হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দেশটি বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে। এতে মানুষের কর্মসংস্থান হবে। রপ্তানি বাড়বে।
আরও পড়ুন: পণ্যের দাম বেশি হলে ৩৩৩ নম্বরে অভিযোগ জানাতে পারবেন: পলক
এছাড়াও ডেটা সেন্টার নির্মাণ, ডাক, টেলিকম ও আইসিটির বেসরকারি খাতে ভারতীয় বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এক্ষেত্রে বাংলাদেশ-ভারত স্টার্টআপ সেতুবন্ধন ত্বরান্বিত করতে আরও মনোযোগ দেওয়া হবে। বিপরীতে ডিজিটাল ভারত বিনির্মাণে বাংলাদেশ দেশটির পাশে থাকবে। আর ভারত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানান জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৈঠকের বিষয়ে ভারতের হাইকমিশনার বলেন, আইসিটি খাতের নানা বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভারত পাশে থাকবে। সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
তিনি বলেন, তরুণদের কীভাবে আরও প্রযুক্তিনির্ভর ও কর্মমুখী করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ডিজিটাল পেমেন্ট কীভাবে করা যায় সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গত ১০ বছরের বেশি পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির কারণে দু’দেশের মানুষ উপকৃত হয়েছে। এ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হবে: পলক
৯ মাস আগে
যানজট সৃষ্টির প্রতিবাদ করায় সিএনজিচালককে পিটিয়ে হত্যা
নোয়াখালীর চাটখিলে রাস্তায় যানজট সৃষ্টির প্রতিবাদ করায় সাখাওয়াত উল্ল্যাহ (৫৫) নামে একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালককে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চাটখিল-সোনাইমুড়ী সড়কের পাঁচগাঁও ইউনিয়নের মোস্তান নগর এলাকার মহুরী মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. সাখাওয়াত উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাইক বাড়ির মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ‘চোর’ সন্দেহে শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
আটককৃতরা হলো- উপজেলার হালিমা দিঘীর পাড় এলাকার ল্যাংটা বাড়ির মৃত মো. নবীর ছেলে মো. রাজু (২২) ও একই এলাকার সুইপার আকবরের ছেলে জাহাঙ্গীর (২৪)।
স্থানীয়রা জানায়, সাখাওয়াত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার চাটখিল বাজার থেকে নিজের সিএনজি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। যাত্রাপথে তিনি চাটখিল-সোনাইমুড়ী সড়কের মোস্তান নগর এলাকার মহুরী মার্কেট এলাকায় পৌঁছলে দেখেন কয়েকটা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা রাস্তায় এলোমেলোভাবে রাখা হয়েছে। এ কারণে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তাৎক্ষণিক সিএনজি থামিয়ে তিনি এলোমেলোভাবে রাস্তায় গাড়ি রাখার প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে অটোরিকশাচালক রাজুর সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রাজু ও তার বন্ধু সিএনজিচালক জাহাঙ্গীর, মুন্না একসঙ্গে সিএনজিচালক সাখাওয়াতকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষিসহ বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু জাফর বলেন, আটক আসামিরা রাস্তার মধ্যে এলোমেলোভাবে গাড়ি রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। নিহত সাখাওয়াত সিএনজি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে গাড়ি পার করতে না পেরে, সিএনজি থেকে নেমে এভাবে গাড়ি রাখার কারণ জিজ্ঞেস করেন।
তিনি আরও বলেন, এ কথা জিজ্ঞেস করায় আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করলে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় এনে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ২ আসামিকে আটক করা হয়েছে। ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নড়াইলে কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
১ বছর আগে
অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য বিএনপি অস্থির হয়ে পড়েছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে অস্থিতিশীলতা ও নৈরাজ্যকর অবস্থা সৃষ্টির জন্য বিএনপি অস্থির ও পাগল হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতা তারেক রহমান লন্ডনে বসে রিমোট কন্ট্রোলে দল চালাচ্ছে। সেখান থেকে আন্দোলন আর সন্ত্রাসের জন্য নেতা-কর্মীদের উসকানি দিচ্ছে। লন্ডনে নিরাপদে থেকে দেশে বিএনপির কর্মীদের ও এদেশের মানুষকে ঝুঁকিতে ফেলছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনায় সফল, রাজপথেও সফল: কৃষিমন্ত্রী
বুধবার (২৩ আগস্ট) ঢাকার শাহবাগে শিশু পার্কের সামনে ঢাকা ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করার ক্ষমতা কারো নেই। বিএনপির আন্দোলনের কোনো ভিত্তি নেই। তাদের আন্দোলনে কিছু কর্মী যোগ দিলেও, সাধারণ জনগণ এসব আন্দোলনের সঙ্গে নেই। ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি যেসব অপকর্ম করেছিল, সেজন্য তারা এখনো জনবিচ্ছিন্ন।
কাজেই, বিএনপি আন্দোলন করে কখনো সফল হতে পারবে না।
সারা বছর ফুল উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশেও যাতে রপ্তানি করা যায়, সেলক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় নানান রকম উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ফুল উৎপাদন খুবই সম্ভাবনাময়।
তিনি আরও বলেন, এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফুলের চাষ বাড়ছে। সেজন্য ফুল চাষিদের স্বার্থ রক্ষায় কৃত্রিম বা সিনথেটিক ফুলের ব্যবহার কমাতে হবে। কৃত্রিম ফুল আমদানিতে অচিরেই উচ্চহারে শুল্কারোপ করা হবে। যাতে করে আমদানি না হয়।
আরও পড়ুন: বছরে চার ফসলের সম্ভাবনা জাগাচ্ছে ব্রি৯৮ আউশ ধান: কৃষিমন্ত্রী
দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ হতে পারে: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বুধবার (২৬ জুলাই) বলেছেন, রাজনৈতিক সমাবেশ করে জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করলে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
জনদুর্ভোগের কারণ সৃষ্টি না করে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
আরও পড়ুন: জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার সিদ্ধান্ত নেবেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ মোট ৯টি রাজনৈতিক দল ঢাকা ২৭ জুলাই রাজধানীতে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে মহানগর পুলিশকে (ডিএমপি) চিঠি দিয়েছে।
তবে কয়েকটি দলকে অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানান ডিএমপি প্রধান।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, রাজনৈতিক সমাবেশ করা রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকার।
তিনি বলেন, তবে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ডিএমপির দায়িত্ব।
জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আগামীতে কর্মদিবসের পরিবর্তে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচির পরিকল্পনা করারও আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া সমাবেশে লাঠি-ব্যাগ বহন নিষিদ্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।
তাজিয়া মিছিলের কথা উল্লেখ করে ডিএমপি প্রধান বলেন, ২০১৫ সালে তাজিয়া মিছিলে বিস্ফোরণের পর থেকে পুলিশ তাজিয়া মিছিলে নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, ইমামবাড়া হোসেনি দালান এলাকাকে সিসিটিভি নজরদারির আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
এছাড়া যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য এলাকায় ডগ স্কোয়াড তৎপর থাকবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকা ছিনতাইমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ছিনতাইবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে: ডিএমপি কমিশনার
ঈদে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ডিএমপি কমিশনার
১ বছর আগে
পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে আ. লীগ দেশে সংঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, ২৭ জুলাই রাজধানীতে বিরোধী দলের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দল তাদের পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ক্ষমতাসীন দল ও সহযোগী সংগঠনের উসকানিমূলক পদক্ষেপের কারণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার জন্য সরকার দায়ী থাকবে।
সোমবার (২৪ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি মাঠে নেমেছে, অধিকার আদায় করেই ঘরে ফিরবে : মির্জা ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন এই অবৈধ সরকারের মন্ত্রীরা বেশ কয়েকদিন ধরে গুরুতর হুমকি দিচ্ছেন। এ ছাড়া সরকারের বিশেষ ব্যক্তিরা উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, উসকানিমূলক কাজও করছেন।
তিনি বলেন, নগরীতে ২৪ জুলাই যুবলীগের সমাবেশ ছিল। কিন্তু বিএনপির মহাসমাবেশের কারণে তারা সেটি পিছিয়ে ২৭ জুলাই নির্ধারণ করেছে।
তিনি বলেন, এটা স্পষ্ট যে তারা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ফখরুল আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সন্ত্রাসীদের মতো ভাষা ব্যবহার করছেন। তবে দেশের জনগণ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
তিনি বলেন, তাদের দল শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিকভাবে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। যদিও সম্প্রতি তাদের দুই নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং অনেককে হামলা ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, আমরা আশা করি আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ একটি ভয়াবহ সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়াবে এবং সরকার তা নিশ্চিত করবে।
তাদের সমাবেশের স্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা কর্মসূচির বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে জানিয়েছেন। শিগগিরই সমাবেশস্থলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।
ফখরুল আশা প্রকাশ করেন, ডিএমপি কর্তৃপক্ষ তাদের গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ সফল করতে বিএনপিকে সহযোগিতা করবে।
বিএনপি নেতা বলেন, চলমান এক দফা আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করার বার্তা দেবে তারা।
তিনি বলেন, এটি জনগণের আন্দোলন এবং আমি অবশ্যই এই আন্দোলন সফল করব।
মহাসমাবেশ সফল করতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠন এবং ঢাকাসংলগ্ন বিভিন্ন জেলা ইউনিটের যৌথসভা শেষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চায়।কারণ তারা ভালো করেই জানে যে তারা বৈধ নয়।
তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে দমন-পীড়নের মাত্রা বাড়াচ্ছে।
সবচেয়ে খারাপ বিষয় হলো- তারা আমাদের কথা বলার, মতামত প্রকাশ করার এবং সমাবেশ ও সভা করার সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেব না: মির্জা ফখরুল
১ বছর আগে
ড্যাপের অনুসরণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টি করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) অনুসরণ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধিভুক্ত নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টি করা হবে।
তিনি জানান, আমরা পরিকল্পিত নগরায়নের দিকে নজর দিয়েছি। এজন্য আমরা মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছি। এরই মধ্যে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় তা (ড্যাপে) অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধন নিশ্চিত করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
রবিবার (২৫ জুন) সকালে ডেমরার কয়েতপাড়া এলাকায় ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে মেয়র তাপস গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান।
মেয়র বলেন, সেটা অবলম্বন করে আমাদের নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের পুরো সড়ক ব্যবস্থাপনা বা সড়ক অন্তর্জাল (নেটওয়ার্ক) সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের প্রস্তুতি আমরা প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছি।
তিনি বলেন, আগামী অর্থবছরে আমরা এ নতুন ১৮টি এলাকায় বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় যে সড়কগুলো চিহ্নিত করা আছে, যেভাবে প্রশস্ততা চিহ্নিত আছে এবং আরএসটিপির মাধ্যমে যেভাবে চিহ্নিত আছে এগুলো আমরা আমাদের পরিকল্পনার আওতায় নিয়ে এসেছি।
রাজস্ব আয় বাড়ার কারণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের জন্যও নিজস্ব অর্থায়নে অনেক কাজ সম্পাদন করা সম্ভব হবে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এরই মধ্যে আজ পর্যন্ত এক হাজার কোটি টাকার ঊর্ধ্বে (রাজস্ব) আয় করেছে।
সুতরাং এ কার্যক্রমগুলো (সড়ক প্রশস্তকরণ, নতুন সড়ক নির্মাণ) করতে এখন আমরা স্বাবলম্বী। নিজস্ব অর্থায়নে আমরা এখন অনেক কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। সে প্রেক্ষিতে আমাদের আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে ১৮টি ওয়ার্ডে সড়ক অন্তর্জাল (নেটওয়ার্ক) সৃষ্টি করতে আমরা আলাদা বাজেট বরাদ্দ রাখব।
ধাপে ধাপে সব ওয়ার্ডের জন্যই বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলেছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আজ আমরা ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র উদ্বোধন করলাম।
এর ফলে আর মাত্র ১২টি ওয়ার্ডে আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ কার্যক্রম বাকি রয়েছে। ধাপে ধাপে আমরা সেটিও সম্পন্ন করতে পারব।
দীর্ঘ ৫০ বছরে মাত্র ২৪টি বর্জ্য স্থানান্তরকেন্দ্র নির্মাণ হয়েছিল। এ যাবৎ আমরা সব মিলিয়ে ৬৩টি ওয়ার্ডের জন্য বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্ন করতে পেরেছি।
আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়াতে পর্যাপ্ত অনুদান দেবেন প্রধানমন্ত্রী: ডিএসসিসি মেয়র
আগামী বর্ষায় ১৫ মিনিটে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হবে: ডিএসসিসি মেয়র
১ বছর আগে
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে সরকার: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সরকার ক্ষমতায় থাকার চেষ্টার অংশ হিসেবে ‘সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ড এবং বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন কর্মসূচিতে সাম্প্রতিক হামলার প্রতিবাদে এবং গ্রেপ্তার বিরোধী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ যখন তাদের অধিকার পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম শুরু করেছে, তখন তারা (সরকার) সহজে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে, মানুষ হত্যা করছে এবং মিছিল-মিটিং বানচাল করছে।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকার সংবিধানকে আওয়ামী সংবিধানে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল
সমাবেশে বিএনপি নেতা আরও বলেন, জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানো এবং গণতন্ত্র ও জনগণের ভোট এবং অন্যান্য অধিকার পুনরুদ্ধারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করায় মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ‘ক্যাডাররা’ গণতন্ত্রকে বিলুপ্ত করতে, গণতন্ত্রকামী জনগণকে আতঙ্কিত করতে এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে সারাদেশে ‘সন্ত্রাসের রাজত্ব’ কায়েম করেছে।
ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা বলি আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল। তারা সন্ত্রাসের মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত না হয়ে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তারা সন্ত্রাস, নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ড এবং ভয়ভীতির পথ অবলম্বন করে টানা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। তাদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো মানুষকে আতঙ্কিত করা। সে কারণেই আওয়ামী সরকার তার সন্ত্রাসী ও ঘাতক বাহিনীকে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালাতে লেলিয়ে দিয়েছে।’
গত আগস্ট থেকে বিএনপি জনগণের বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন করছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে তাদের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের তিন নেতা নিহত হয়েছেন এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্ষমতাসীনদের দলীয় কর্মীদের হামলায় আহত হয়েছেন অনেকে।
শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলুর ওপর হামলার নিন্দা জানান তিনি। ‘এমনকি তারা আমাদের নারী নেত্রীদেরও রেহাই দেয়নি এবং তাদের ওপর হামলা করেছে।’
আরও পড়ুন: অচিরেই দেশব্যাপী সরকার পতন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অধিকাংশ অর্জন আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। ‘তারা লুণ্ঠনের রাজত্ব কায়েম করে নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, অর্থনীতি এবং জনগণের বেঁচে থাকার সব উপায় ধ্বংস করেছে। তারা প্রতিটি খাতে লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচার করছে।
তিনি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষকে গুম করে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়ার অভিযোগও করেন। ‘এনফোর্সড ডিসপিয়ারেন্স বিষয়ক জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ বলেছে, বাংলাদেশে জোরপূর্বক গুমের ঘটনা বাড়ছে।’
ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার অনেক এলাকায় বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অনুমতি দিচ্ছে না, অথচ ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের কর্মসূচি বানচালের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, এসব করবেন না। বাংলাদেশের জনগণকে এভাবে নিপীড়ন করে দমন করা যাবে না। তুমুল গণআন্দোলনের মাধ্যমে আপনারা পরাজিত হবেন।’
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মিয়ানমার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মর্টার শেল নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করছে, কিন্তু সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
‘আসলে তাদের (সরকার) মেরুদণ্ড নেই। যেহেতু তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়, তাই তারা মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ করতে পারে না এবং তারা বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন জোগাড় করতে পারে না।’
এ পরিস্থিতিতে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি বর্তমান আওয়ামী লীগ শাসনকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় সকল রাজনৈতিক দল ও গণতন্ত্রকামী জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট লুটেরা বান্ধব: মির্জা ফখরুল
২ বছর আগে