উত্তেজনা
ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি, শহরে উত্তেজনা
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের (সদর হাসপাতাল) শিশু ওয়ার্ড থেকে দুই মাস বয়সী একটি শিশু চুরির অভিযোগ উঠেছে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় এই ঘটনার পর হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
চুরি যাওয়া শিশুটি জেলা সদরের ভুল্লী মুন্সিরহাট এলাকার শিমুল ও হাসি বেগম দম্পতির সন্তান।
শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জানান, শ্বাসকষ্ট নিয়ে রবিবার (৯ মার্চ) শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করান তার বাবা-মা। দুদিন সেখানে তার চিকিৎসা চলার পর গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে তাকে চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত ৯টার দিকে শিশুটির স্বজন ও উত্তেজিত জনতা হাসপাতালের ফটকের সামনের আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভে শিশুটিকে শিগগিরই উদ্ধারের দাবি জানানো হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সারা রাত ধরে চেষ্টা চালিয়েও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শিশুটিকে উদ্ধারে সফল না হওয়ায় আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে ফের শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। তারা শহরের চৌরাস্তায় সড়কে অবস্থান নিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার ও অপরাধীর বিচার দাবি করে স্লোগান দেয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা সেখানে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত ছাত্র-জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। বলেন, ‘সিসি ফুটেজ দেখে চোরকে শনাক্ত করা হয়েছে। প্রযুক্তির সাহায্যে তার অবস্থান সম্পর্কে জানা গেছে। আজকের মধ্যেই শিশুটিকে উদ্ধার ও চোরকে আটক করা সম্ভব হবে।’ পরে জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা স্থান ত্যাগ করে।
আরও পড়ুন: ভোলায় হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির চেষ্টার অভিযোগে নারী গ্রেপ্তার
ঘটনার পর শিশুটি উদ্ধারে জরুরি বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বৈঠকে জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রকিবুল আলম বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির অভিযোগ পেয়েছি। আমরা হাসপাতালের সমস্ত সিসিটিভির ফুটেজ চেক করে দেখতে পাই, এক নারী শিশুটিকে কোলে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চুরি হওয়া শিশুটি উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।’
ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিথুন সরকার বলেন, ‘চুরি যাওয়া শিশুটির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আমাদের হাতে এসেছে। শিগগিরই শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।’
১১ দিন আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রুমিন ফারহানার সভাস্থলে ককটেল, এলাকায় উত্তেজনা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার সভাস্থলের নির্মাণাধীন প্যান্ডেলের পাশ থেকে তিনটি অবিস্ফোরিত তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর ফলে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার আড়াইসিধা কাদির ভূইয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পেছন থেকে ককটেলগুলো উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানান, রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে সভা ডাকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রুমিন ফারহানার।
তবে একই মাঠে পাল্টা সভার ঘোষণা দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহ জাহান সিরাজ। দুই গ্রুপের সভা আহ্বানকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরেই সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকের কাছে বিএনপির দুই গ্রুপের সভা আয়োজনের আবেদনপত্র থেকে জানা যায়, আশুগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল বিপ্লব উপজেলার আড়াইসিধা কাদির ভূইয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সভা করার অনুমতি চেয়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেন। অন্যদিকে, একই স্থানে আড়াইসিধা ইউনিয়ন বিএনপির কর্মীসভার আয়োজন করতে ২০ ফেব্রুয়ারি আরেকটি আবেদন করেন আড়াইসিধা ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. বাদল মিয়া। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শান্তিপূর্ণভাবে সভা করার বিষয়ে বলা হয়।
আরও পড়ুন: ভিক্টোরিয়া কলেজ ক্যাম্পাসে ‘ককটেল বিস্ফোরণ’
এছাড়া আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও আড়াইসিধা কাদির ভুইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছেও তারা আবেদনপত্রের পৃথক অনুলিপি দেন।
এদিকে, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভার আয়োজনের জন্য তিন দিন ধরেই মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিল। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীরা এ কাজে বাধা দিলে, দুই গ্রুপের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ (বৃহস্পতিবার) রুমিন ফারহানার সভাস্থল থেকে ককটেলগুলো উদ্ধার করা হলো।
ককটেল উদ্ধারের বিষয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সভাস্থলে ককটেল পাওয়ার বিষয়টি আসলে রাজনৈতিক নোংরামি ছাড়া আর কিছু না। আমার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে এগুলো করছে। কিছু লোক পরিচ্ছন্ন রাজনীতিতে টিকতে না পেরে এবং তাদের কর্মকাণ্ড মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা না থাকায় তারা এসব করে যাচ্ছে।’
আশুগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোস্তাকিম পাটোয়ারি বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ককটেলগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। সেনা সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘রুমিন ফারহানার সভাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য কেউ এই কাজ করেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
২৩ দিন আগে
কুয়েটে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, উত্তেজনা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বর্তমানে কুয়েট ও আশপাশের এলাকা থমথমে অবস্থায় রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শিক্ষার্থীরা ‘ছাত্র রাজনীতি ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’; ‘দাবি মোদের একটাই, রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস চাই’; ‘এই ক্যাম্পাসে হবে না, ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা’ এই স্লোগান দিতে দিতে কুয়েটের ছাত্র হলগুলো প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে গেলে ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় কুয়েটের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। কুয়েট পকেট গেট থেকে বহিরাগতরা একটি গ্রুপের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন।
আরও পড়ুন: কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
আহতদের কুয়েটের অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। এ পর্যন্ত চারটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
খানজাহান আলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, ‘ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরে পালাটাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি।’
৩২ দিন আগে
চাঁপাই সীমান্তে ফের উত্তেজনা, মুখোমুখি দুই দেশের নাগরিক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ সীমান্তে ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী—বিএসএফের সামনেই বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করছে ভারতীয় নাগরিকরা। ওপার থেকে টিয়ারশেল ছুড়তেও দেখা গেছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিল বিজিবি।
স্থানীয় বাংলাদেশিদের অভিযোগ, সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে ৫ শতাধিক ভারতীয় নাগরিক ও বিএসএফ সদস্য। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সীমান্তে জড়ো হতে থাকেন স্থানীয়রা। ফলে সৃষ্টি হয় উত্তেজনা। এ সময় দুই দেশের নাগরিকের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
উপস্থিত কয়েকজন বলেন, বিএসএফ সদস্যরা হঠাৎ করেই কাঁটাতারের বেড়ার পাশে ৫ শতাধিক ভারতীয় নাগরিক নিয়ে আসেন। একপর্যায়ে তারা বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে পড়েন। এ সময় তারা একাধিক ককটেল ফাটান। পাশাপাশি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেন বিএসএফ সদস্যরা।
বিকাল সাড়ে ৫টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানে থেমে থেমে উত্তেজনা চলছে।
আরও পড়ুন: কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে চৌকা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ উত্তেজনা
৫৯ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন তারা। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে, গত ৭ জানুয়ারি চৌকা সীমান্তে আইন অমান্য করে বিএসএফের পক্ষ থেকে শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করলে বিজিবি বাধা দেয়। এতে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
৬৩ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় স্কুলের ডিজিটাল পর্দায় ভেসে উঠল উসকানিমূলক লেখা, উত্তেজনা
চুয়াডাঙ্গা, ২ জানুয়ারি (ইউএনবি)- চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকের ডিজিটাল সাইনবোর্ডের পর্দায় ‘আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরে আসবে’ এমন লেখা ভেসে উঠেছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা তদন্তপূর্বক শিগগিরই ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকে সাইনবোর্ডের পর্দায় (ডিসপ্লে বোর্ডে) এই লেখা ভেসে উঠতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপরই তোলপাড় শুরু হয়।
এ ঘটনায় জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার আলমগীর হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির বাকি দুই সদস্যরা হলেন, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফিরোজুল ইসলাম ও আইসিটি অধিদপ্তরের জীবননগর উপজেলার সহকারী প্রোগামার অফিসার মাহমুদুর রহমান।
ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৬ সালে বিদ্যালয়ের মূল ফটকে সাইনবোর্ডটি লাগানো হয়। সেখানে স্ক্রিনে সবুজ রঙের শিক্ষামূলক বাণী লেখা উঠতো। কখনও কোনো সমস্যা হয়নি। বুধবার সন্ধার পর হঠাৎ করে এই উসকানিমূলক লেখা ভেসে উঠে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাইনবোর্ডটিতে বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। তাছাড়া ঘটনাস্থলটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন।
জীবননগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল আমিন বলেন, ‘এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুইকার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
উপজেলা শিক্ষা অফিসার ইসমাইল হোসেন জানান, এটি ইন্টারনেটের অ্যাপসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, কেউ অ্যাপসের পাসওয়ার্ড হ্যাক করে লেখাটি বসিয়ে দিয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পরিদর্শক করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
৭৯ দিন আগে
সংঘর্ষের পর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে উত্তেজনা, নিহত ২
দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠ ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ।
সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং অন্যান্য বাহিনীর একটি বড় চৌকস দল নিয়মিত পুলিশসহ টহল দিচ্ছে বলে ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন ইউএনবির জেলা প্রতিনিধি।
বিজিবি সদর দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওই এলাকায় চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও সেখানে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: ইজতেমা ময়দানে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মাওলানা সাদের অনুসারীরা মাঠের ভেতরে রয়েছেন এবং মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা বাইরে অবস্থান করছেন।
এদিকে আজ (বুধবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে।
বৈঠকে দুই পক্ষকে মাঠ খালি করতে বলা হয় এবং তারা এলাকা ছেড়ে চলে যেতে রাজি হয়েছে বলে জানা গেছে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জুবায়ের ইজতেমার প্রথম পর্ব আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি এবং সাদ ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
সরকার সাদ অনুসারীদেরকে প্রথম দফা আয়োজনের অনুমতি দিলেও বিরোধী দলটি এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ। এরপর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য 'জোড় ইজতেমা'র প্রস্তুতিতে সাদের অনুসারীরা মাঠে ঢুকতে শুরু করেন।
কিন্তু তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে রাত ৩টার দিকে জুবায়েরের অনুসারীরা তাদের ওপর হামলা চালায় বলে জানা গেছে।
জবাবে, সাদ সমর্থকরা মাঠে প্রবেশের চেষ্টা করে একটি পাল্টা আক্রমণ শুরু করে, যার ফলে একটি ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। এতে দু'জন মারা যায় এবং অসংখ্য আহত হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সাদের সমর্থকরা মাঠে ঢুকলে ইজতেমা এলাকায় অবস্থানরত পুলিশ সরে গিয়ে পূর্ব দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেয়।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রথম ধাপের বিশ্ব ইজতেমা ৩১ জানুয়ারি
৯৪ দিন আগে
সীমান্ত উত্তেজনায় ক্রসফায়ারের মুখে বাংলাদেশ: বিএনপি
মিয়ানমার ও ভারত সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি অভিযোগ করেছে, বাংলাদেশ এখন ক্রসফায়ারের মুখে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়।
দলটির স্থায়ী কমিটি বলেছে, আওয়ামী লীগ ভারত, চীন ও রাশিয়ার সমর্থন নিয়ে এসব দেশকে বিভিন্ন 'অবৈধ অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক' সুবিধা দিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, একদিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুরু করে ভারতের সীমান্তে আমাদের বিজিবি সদস্য ও লোকজন গুলিবিদ্ধ হচ্ছে, অন্যদিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া ও মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। রাখাইন রাজ্য থেকে সেনারা পালিয়ে এসে (আমাদের দেশে) আশ্রয় নিচ্ছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ এখন ক্রসফায়ারের মুখে।
বাংলাদেশ সীমান্তে বিরাজমান উত্তেজনার পেছনের কারণ কী হতে যাচ্ছে এবং কী হতে যাচ্ছে তা ভেবে দেখার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
নানা ব্যর্থতা ও সমস্যা থেকে বাংলাদেশের মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হচ্ছে কি না, সে প্রশ্নও তোলেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, 'যারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের গোপন সম্পর্ক আছে কি না... সরকার এর আগেও জনগণকে বিভ্রান্ত করতে একের পর এক ইস্যু তৈরি করেছে।’
মিয়ানমার সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার সঙ্গে সম্পর্ক না থাকলে সীমান্ত সমস্যা সমাধানে সরকার প্রয়োজনীয় ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জনগণের কাছে তওবা করে বিএনপিকে রাজনীতিতে আসার আহ্বান নানকের
বিএনপি বলেছে, মিয়ানমারের মতো দেশ কখনো বাংলাদেশে গুলি চালানোর সাহস পায়নি। এখন কেন তারা এটা করার সাহস পাচ্ছেন? এই বিষয়টি আপনাদের সকলকে ভাবতে হবে... কোথায় যাচ্ছে আমাদের দেশ?
তিনি সীমান্ত সমস্যার বিষয়ে সরকারকে যথাযথ উদ্যোগ নিতে বাধ্য করতে জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের নাগরিকরা এখন যেভাবে চারদিক থেকে আক্রান্ত হচ্ছেন, তা থেকে রক্ষা করতে হবে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তার সশস্ত্র বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তীব্র লড়াই, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সীমান্তে সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার দুপুর পর্যন্ত মিয়ানমারের অন্তত ৩২৭ জন সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে, সোমবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপৈতলী গ্রামের রান্নাঘরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা পুরুষ নিহত হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে গয়েশ্বর দাবি করেন, বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ‘ফ্যাসিবাদী সরকার নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ভারত, চীন ও রাশিয়াকে অবৈধ অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক সুবিধা দিয়ে তাদের সমর্থন নিয়েছে।’
তিনি বলেন, তাদের দল দেশবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে। তিনি বলেন, ‘আমরা চলমান আন্দোলনে আছি। আন্দোলনের গতি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দিকে রূপ নেয়।’
বিএনপি নেতা বলেন, বিরোধী দলের আহ্বানে সাড়া দিয়ে জনগণ নির্বাচন ও এর ফলাফল প্রত্যাখ্যান করায় ৬২টি রাজনৈতিক দলের ৭ জানুয়ারি 'একতরফা' নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত সঠিক ও যৌক্তিক ছিল।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষ ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ জানিয়েছে। ‘জনগণের এই স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন বিএনপির রাজনীতির সফলতা ও বিজয়ের বহিঃপ্রকাশ।’
গয়েশ্বর দাবি করেন, ৭ জানুয়ারির 'প্রহসনমূলক' নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ‘বরং অবৈধ, অনৈতিকতা ও অসাংবিধানিকভাবে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনের নামে জাতির সঙ্গে চরম প্রতারণা করা হয়েছে। ২০২৪ সালে ডামি প্রার্থী, ডামি পার্টি, ডামি ভোটার এবং ডামি পর্যবেক্ষকদের নিয়ে একটি ডামি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
বিএনপির মতো পৃথিবীতে এমন কোনো রাজনৈতিক দল আছে কি না, যেখানে ৫০ লাখের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা রাজনৈতিক মামলা দেওয়া হয়েছে। সেই প্রশ্নও তোলেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও তার অনুগত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাদের ২ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে এবং প্রায় ৭০০ নিরীহ মানুষকে গুম করেছে। গয়েশ্বর প্রশ্ন তুলে বলেন, আসন ভাগাভাগির নির্বাচনের আগে ফ্যাসিস্ট সরকার কেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৫ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করল?
কারাগারে তাদের দলের ১১ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপির ৫০ লাখ নেতা-কর্মী তাদের জীবনে নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তারা পুলিশ ও বিচার বিভাগের অবিচার ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাশছোঁয়া মূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির জন্য সরকারের সমালোচনা করেন তিনি।
গয়েশ্বর আরও বলেন, 'দেশের ১৮ কোটি মানুষ রাষ্ট্র পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ শেখ হাসিনার দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়। জনগণও আশা করে, বিএনপির আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনবিরোধী ও ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে বিএনপির নেতৃত্বে রাজপথে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অচিরেই বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকারের নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় বিপদাপন্ন হয়ে পড়েছে সীমান্ত : বিএনপি
নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের চেষ্টা করছে বিএনপি-জামায়াত: প্রধানমন্ত্রী
৪০৯ দিন আগে
মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা, বান্দরবানে ৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের জের ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী ঘুনধুম ইউনিয়নের ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং একটি মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শান্তনু কুমার দাশ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ১২টি ভোটকেন্দ্রে হেলিকপ্টার ব্যবহার হবে
বিদ্যালয়গুলো হলো- তমরু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাইশফাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তমরু পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় এবং মিশকাতুল নবী দাখিল মাদরাসা।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা জানান, প্রাণভয়ে এলাকাবাসী নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ায় স্কুলগুলো ছাত্রশূন্য হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের বাকলাই জলপ্রপাত ভ্রমণ: বাংলাদেশের অন্যতম সুউচ্চ ঝর্ণায় যাবার উপায় ও খরচ
বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড় ভ্রমণ: বাংলার দার্জিলিং যাওয়ার উপায় ও খরচের বৃত্তান্ত
৪১২ দিন আগে
রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই সংলাপে উৎসাহ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, তিনি সহিংসতা নয়, শান্তিপূর্ণ সংলাপের পক্ষে।
বুধবার (১ নভেম্বর) সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে একথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি যোগাযোগের জন্য উন্মুক্ত পন্থা বজায় রাখা এবং আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, উল্লেখযোগ্য কোনো আলোচনা হয়নি।
আরও পড়ুন: বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করলে সরকার বাধা দেবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি দেশের সংবিধান অনুযায়ী রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের প্রাথমিক মাধ্যম হিসেবে সংলাপের তাৎপর্য তুলে ধরেন। রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য সংলাপের অপরিহার্যতার বিষয়টি স্বীকার করে এই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত পোষণ করেন সারাহ কুক।
সংলাপের কোনো বিকল্প নেই বলেও জোর দেন মন্ত্রী। তিনি কুকের সঙ্গে সমস্যার সমাধানের জন্য আলোচনাকে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহারের উপর জোর দেন। তারা উভয়েই সংলাপের জন্য সংবিধানের কাঠামো মেনে চলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: আনসার বাহিনীকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়টি ভুল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
চলমান অবরোধের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, এটি দীর্ঘদিনের অবস্থান এবং প্রশ্নবিদ্ধ দলগুলো ধারাবাহিকভাবে সংলাপ প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ আলোচনার পরিবর্তে সহিংসতা ও প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি করছে, যা বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার পরিপন্থী।
তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, জাতিসংঘের উচিত সবাইকে সহিংসতা পরিহার ও সংলাপের নীতি মেনে চলতে উৎসাহিত করা। সরকার আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সহিংসতা সহ্য করবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সহিংসতার দায় বিএনপির নেতারা এড়াতে পারবেন না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৫০৭ দিন আগে
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ফের উত্তেজনা, দোছড়ি ও ঘুমধুম থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ৩০ পরিবার
বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে শনিবার ছয় ঘণ্টা একটানা গুলি ও মর্টার গোলাবর্ষণের পর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ও ঘুমধুম ইউনিয়নে স্থানীয় প্রশাসন ৩০টি পরিবারকে সরিয়ে নিয়েছে।
এক সপ্তাহ শান্ত থাকার পর শনিবার আন্তর্জাতিক সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে শব্দ ও উত্তেজনা ফের শুরু হয়।
দুপুর ১টায় দোছড়ি থেকে ঘুমধুম ইউনিয়ন পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তের মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবারও গুলিবর্ষণ শুরু হয় এবং তা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
দেশটির সেনাবাহিনী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ায় কয়েক মাস ধরে সীমান্ত এলাকায় প্রায়ই গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
জামছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের স্থানীয় মো. রহমান বলেন, রাখাইন রাজ্যভিত্তিক একটি জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন আরকান আর্মি দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এর পরিবর্তে তারা মিয়ানমারের বেশ ভেতরে কাজ করছে। কিন্তু গত সপ্তাহে আরাকান আর্মি সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার থেকে ব্যাপক গোলা বর্ষণ
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন, বেশ কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় কোনো গোলাগুলি হয়নি। কিন্তু হঠাৎ করেই তা আজ দুপুর ১টায় আবার শুরু হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলে, এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেসময় তিনি জামছড়িতে ছিলেন।
ইমন বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলি বাংলাদেশে এসেছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ভারী মর্টার শেল নিক্ষেপ ও গোলাবর্ষণের মধ্যে ত্রিশটি পরিবার যাদের বাড়ি সীমান্তের খুব কাছাকাছি তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।’
এছাড়াও গত দুই মাস ধরে বাংলাদেশের ঘুমধুমের তুমব্রুতে মিয়ানমারের পাশ থেকে গুলি চলছে।
আরও পড়ুন: ‘আমরা ফিরে আসব’ লিখে কি সতর্কতা দিচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী!
মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় আরাকান আর্মি ও আরসার ওপর দায় চাপাল মিয়ানমার
৮৮২ দিন আগে