ওয়েব সিরিজ
আসছে তাহসান-মিথিলার ওয়েব সিরিজ ‘বাজি’
স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয়শৈলীর দৌলতে বর্তমান এপার ও ওপার বাংলার শোবিজ অঙ্গনে একটি সুপরিচিত মুখ রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। বিনোদন জগতের বিভিন্ন বিভাগে নিজের সমৃদ্ধ ছাপ রেখে বর্তমানে তিনি একজন সুপ্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী। অপরদিকে বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে জনপ্রিয় একটি নাম তাহসান রহমান খান। স্বতন্ত্র অভিনয় ধারায় নিজের একটি স্বাধীন ক্ষেত্র তৈরি করেছেন রোমান্টিক ঘরানার নাট্যজগতে। নিজেদের এই প্রতিভাগুলোর দারুণ মেলবন্ধনে ছোট পর্দার ভেতরে ও বাইরে সমান জনপ্রিয় জুটিতে পরিণত হয়েছিলেন তাহসান-মিথিলা। তবে বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে তাদেরকে আর একসঙ্গে দেখা যায়নি। অবশেষে ‘বাজি’ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে দীর্ঘ বিরতির পর আবার একত্রিত হয়েছেন এই প্রাক্তন তারকা দম্পতি। চলুন, সদ্য নির্মিত এই ওয়েব সিরিজটির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
‘বাজি’ নির্মাণের অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলী
তাহসান-মিথিলা জুটির ছাড়াও ধারাবাহিকটিতে অভিনয় করেছেন মনোজ প্রামাণিক, নাজিয়া হক অর্ষা, তাসনুভা তিশা, মিম মানতাশা, পার্থ শেখ, শাহাদাত হোসেন এবং আবরার আতহারসহ আরও অনেকে।
ওয়েব কন্টেন্টটি পরিচালনার মধ্য দিয়ে ওটিটি (ওভার-দ্য-টপ) প্ল্যাটফর্ম চরকির সঙ্গে প্রথমবারের মতো কাজ করলেন নব নির্মাতা আরিফুর রহমান। এর আগে তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন ‘স্কুটি’ নামের একটি ওয়েব সিরিজে। তাছাড়া তার হাতে চরকির আরও একটি কাজ রয়েছে ‘জুঁই’ নামে, যেটি মুলত ‘চরকি মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ এর একটি ওয়েব ফিল্ম।
‘বাজি’র কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ভারতের আদিত্য সেন গুপ্ত এবং বাংলাদেশের হাসানাত।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা ২০২৪ এ মুক্তির অপেক্ষায় কিছু চমকপ্রদ বাংলা নাটক
‘বাজি’ ওয়েব সিরিজের গল্প
৭ পর্বের এই সিরিজের গল্পের পটভূমিতে রয়েছে ক্রিকেট ম্যাচের উপর বাজি ধরা। এই বাজি সংক্রান্ত নানা সমস্যা বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে খেলার সঙ্গে জড়িত থাকা মানুষগুলোর জীবনকে। এই আবহ নিয়ে সাসপেন্স ও থ্রিলারের সন্নিবেশে দারুণ এক নাটকীয় পরিবেশন হতে যাচ্ছে ‘বাজি’। এর মাধ্যমে দর্শকদের সামনে উঠে আসবে ক্রিকেটের নানা অজানা গল্প। সেই সঙ্গে এটিই হতে যাচ্ছে ক্রিকেট নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম ওয়েব সিরিজ।
‘বাজি’তে মিথিলা ও তাহসানের ভূমিকা
ওটিটি মাধ্যমে মিথিলা ইতোমধ্যে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। ‘একাত্তর’, ‘মন্টু পাইলট ২’, এমনকি চরকির ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’-এ বিচিত্র রূপে হাজির হয়েছেন এই মেধাবী অভিনেত্রী। এবার ‘বাজি’তে তিনি আবির্ভূত হবেন একজন ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে।
অন্যদিকে টিভি নাটকে আনাগোনাটা বেশি থাকলেও প্রথমবারের মতো ওটিটিতে অভিষেক ঘটছে তাহসানের। এর মাধ্যমে আড়াই বছরের বিরতির পর তাহসান অভিনয়ে ফিরছেন। এখানে তাকে দেখা যাবে একজন ক্রিকেটারের ভূমিকায়।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা ২০২৪ এ বাংলাদেশি যেসব সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায়
চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে এই সঙ্গীতশিল্পীকে। ফ্লাড লাইটের আলোয় আলোকিত মাঠে কোন রূপ স্টান্ট ডাবল না নিয়ে নিজেই খেলেছেন ক্রিকেট। একটা ছক্কা হাকাতেই খেলেছেন ২০টা বল।
মিথিলা-তাহসানের জুটি নিয়ে বেশ হাইপ থাকলেও ৭ পর্বের এই সিরিজে শুধুমাত্র একটি দৃশ্যে তাদেরকে একসঙ্গে দেখা যাবে।
৫ মাস আগে
ওয়েব সিরিজে জুটি বাঁধলেন শুভ ও সোহিনী
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা মুক্তির পর যেন বাতাসে ভাসছেন ঢাকাই সিনেমার হ্যান্ডসাম হাঙ্ক আরিফিন শুভ। গেল শুক্রবার ঘোষণা দিয়েছেন ‘নীলচক্র’ শিরোনামে নতুন সিনেমার।
তিন দিন না যেতেই জানা গেল নতুন খবর, এবার ঢাকা নয় কলকাতায় উড়াল দিচ্ছেন ঢালিউড পারফেকশনিস্ট।
কলকাতায় ‘লহু’ শিরোনামে এক ওয়েব সিরিজে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন আরিফিন শুভ। এই সিরিজে শুভর বিপরীতে দেখা যাবে ওপার বাংলার ওটিটি কুইন সোহিনী সরকারকে।
আরও পড়ুন: কারার ঐ লৌহকপাট বিতর্ক: কাজী নজরুল ইসলামের নাতনির প্রতিবাদ
আর সিরিজটি পরিচালনা করছেন রাহুল মুখার্জি। যিনি এর আগে ‘কিশমিশ’ ও ‘দিলখুশ’ নামে দুইটি সিনেমা পরিচালনা করেছেন।
জানা গেছে, এই ‘লহু’ সিরিজ দিয়েই ভারতে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশের ওটিটি প্লাটফর্ম চরকি। চলতি মাসে সিরিজটি শুট শুরু হবে বলে জানিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি।
চলতি বছরটা আরিফিন শুভর জন্য অন্যরকম আশীর্বাদের। সিনেমা হল ও ওটিটিতে সমানভাবে দাপিয়েছেন তিনি।
ভারতে চরকির কনটেন্টে কাজ করা নিয়ে আরিফিন শুভ গণমাধ্যমে বলেন, ‘অবশ্যই এটা অনেক আনন্দের ও এক্সসাইটমেন্টের বিষয়। সেটা শুধু আমার জন্য না, আমাদের বাংলাদেশের ওটিটির ও সাধারণ যত দর্শক আছেন তাদের জন্যেও এক্সসাইটমেন্টের যে পশ্চিমবঙ্গে চরকির কাজ হতে যাচ্ছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা। আর সর্বোপরি আমার দর্শকের ভালোবাসা, দোয়া ও সাপোর্টের জন্য এত কিছু; তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
‘লহু’ সিরিজের জন্য কী কী প্রস্তুতি নিচ্ছেন জানিয়ে শুভ বলেন, ‘স্ক্রিপ্ট পড়েছি। পরিচালকের সঙ্গে কয়েক দফায় মিটিং হয়েছে। চরিত্রের মাত্রাটা কী রকম ও কেমন তা বোঝার চেষ্টা করছি। আর শুটিং শুরু হলে কাজটা আরও ভালোভাবে করতে পারব আশা করছি।’
আরিফিন শুভ আর সোহিনীর সঙ্গে ওয়েব সিরিজে থাকছেন রাজনন্দিনী পাল, সৌম্য মুখোপাধ্যায়, শ্যামল চক্রবর্তী আর অনুজয় চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: সালমান-ক্যাটরিনার 'টাইগার থ্রি' নিয়ে কেন এত বিতর্ক
আগামী বছর আসবে ‘কিল হিম ২’
১ বছর আগে
অমির প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘হোটেল রিল্যাক্স’
ঈদ উপলক্ষে প্রথমবারের মতো ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করলেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় নির্মাতা আরেফিন অমি। ‘হোটেল রিল্যাক্স’ শিরোনামে ছয় পর্বের কনটেন্টটি দেখা যাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গর পর্দায়।
ওটিটির কনটেন্ট সাধারণত ক্রাইম-থ্রিলার ঘরানার হলেও সেই পথে হাঁটতে চাননি অমি।
গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘থ্রিলার-ক্রাইম ঘরানার কনটেন্ট দেখতে দেখতে দর্শকের একঘেয়েমি চলে এসেছে। তাই এসব থেকে বের হয়ে পুরোপুরি বিনোদনমূলক একটি সিরিজ নির্মাণের চেষ্টা করেছি। সিরিজটি ঈদে দর্শকরা বেশ উপভোগ করবেন বলে আশা করি।’
আরও পড়ুন: এক ডজন চলচ্চিত্র ও ওয়েব সিরিজ নিয়ে আসছে ফিল্ম সিন্ডিকেট
অমি আরও বলেন, ‘অনেক সময় নিয়ে সিরিজটি নির্মাণ করেছি। বলা যায় একটি সিনেমার পরিশ্রম দিয়েছি এখানে। বাকিটা দর্শক পর্দায় দেখতে পাবেন।’
৭ এপ্রিল (শুক্রবার) হোটেল রিল্যাক্স’র ফার্স্টলুক পোস্টার প্রকাশ হয়।
সিরিজটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন পলাশ, মিশু সাব্বির, পাভেল, পারসা ইভানা, মারজুক রাসেল, শরাফ আহমেদ জীবন, চাষী আলক, শিমুল শর্মা, শিবলু, বাচ্চু, লামিমা প্রমুখ। এছাড়া এতে অতিথি চরিত্রে রয়েছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা।
আরও পড়ুন: ওয়েব সিরিজ-২০২২: কনটেন্টের ‘নায়ক’ নির্মাতা
১ বছর আগে
ঈদ উপলক্ষে হইচই’র পর্দায় ‘মহানগর-২’
‘মহানগর’ ওয়েব সিরিজ এদেশের ওটিটি কনটেন্টের বাজারে নতুন এক মাইলফলক। কলকাতার অনেক তারকা পর্যন্ত এর প্রশংসায় বুদ ছিলেন। এমনকি নির্মাতা আশফাক নিপুণকে ফোন করে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
২০২১ সালের সবচেয়ে আলোচিত কনটেন্ট ছিল ‘মহানগর’। ধারণা করা হচ্ছিল ২০২২ সালে মুক্তি পাবে ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় কিস্তি। সেই অপেক্ষায় ছিলেন দর্শক। কিন্তু তা আর হলো না।
আরও পড়ুন: শিবলী-নিপা ও দেড় শতাধিক নৃত্যশিল্পী নিয়ে ইত্যাদি’র ত্রিমাত্রিক নৃত্য
সেই অপেক্ষা শেষ হচ্ছে এবার রোজার ঈদে। বিশেষ দিনকে কেন্দ্র করেই ২০ এপ্রিল হইচই-এ ‘মহানগর-২’ মুক্তির ঘোষণা এলো। সেটি ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে জানালেন নির্মাতা নিজেই।
‘মহানগর-২’ নিয়ে ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে আশফাক নিপুণ বলেন, ‘মহানগর আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ। আর এটির প্রথম কিস্তি যখন বানাই তখন এতটা চাপ ছিল না। কিন্তু এটি দর্শকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়ায় পর দ্বিতীয় কিস্তি নির্মাণে এক ধরনের চাপ তো কাজ করেছে। সেজন্যই একটু বেশি সময় নেওয়া। চেষ্টা করেছি মহানগর-২-এ দর্শকের প্রত্যাশা পূরণ হবে।’
আশফাক নিপুণ পরিচালিত ‘মহানগর-২’-এ মোশাররফ করিম ছাড়াও অভিনয় করেছেন মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, জাকিয়া বারী মম, শ্যামল মাওলা,নাসির উদ্দিন খান, খায়রুল বাসার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নিপুণকে চিঠির জবাব দিলেন জায়েদ খান
যে পরিশ্রম করছি দর্শক তা পর্দায় দেখতে পাবে: নিশো
১ বছর আগে
এক ডজন চলচ্চিত্র ও ওয়েব সিরিজ নিয়ে আসছে ফিল্ম সিন্ডিকেট
‘৩০ কোটি বাঙালির সাংস্কৃতিক রাজধানী হবে ঢাকা। সেখান থেকেই বাংলার গল্প ছড়িয়ে যাবে গোটা দুনিয়ায়।’ - এই স্বপ্ন নিয়েই ঢাকার সাত নির্মাতার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ফিল্ম সিন্ডিকেট’ এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।
২০২০ সালে কোভিডের দিনগুলোতে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। ইতোমধ্যে তাকদীর, ঊনলৌকিক, কারাগার ও কাইজারের মতো আলোচিত ও দর্শক সমাদৃত ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করেছে।
সোমবার (২০ মার্চ) রাজধানীর গুলশান ক্লাবে তরুণ ও সৃজনশীল পেশাদারদের নিয়ে গড়া প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ফিল্ম সিন্ডিকেট’ সাতটি নতুন ওয়েব সিরিজ ও পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রসহ মোট ১২টি নতুন নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বছরের আলোচিত ৫ বাংলা ওয়েব সিরিজ
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে ফিল্ম সিন্ডিকেটের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিইও মীর মোকাররম হোসেন এই উদ্যোগের লক্ষ্য ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রযোজনায় একটি সাসটেইনেবল ইকোসিস্টেম তৈরির লক্ষ্যে এগোচ্ছি। যাতে পরিচালক, লেখক, প্রযোজক, অভিনয়শিল্পী ও প্রযুক্তিবিদরা তো থাকবেনই, এর পাশাপাশি ব্র্যান্ড, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, প্রযোজনা সংস্থা, পরিবেশক, প্রদর্শক, সম্প্রচারক ও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মকে এক ছাদের নিচে নিয়ে এসে আমরা একটি সুদূরপ্রসারী অংশীদারিত্বের সংস্কৃতি তৈরি করতে চাই।’
২০২০ সালে মীর মোকাররম হোসেনের উদ্যোগে চলচ্চিত্র নির্মাতা তানিম নূর, কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, সালেহ সোবহান অনীম, সৈয়দ আহমেদ শাওকী, রুমেল চৌধুরী এবং রেহমান সোবহান সনেটকে নিয়ে গঠিত হয় ‘ফিল্ম সিন্ডিকেট’।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ‘কাইজার’- এর নির্মাতা তানিম নূর জানান, ফিল্ম সিন্ডিকেট নিজেদের কাজের মাধ্যমেই সৃজনশীল সহযোগিতার পথ তৈরি করতে চায়। স্টুডিওতে চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং লেখকদের প্রযোজনা তত্ত্বাবধানেরও ওপর জোর দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ফিল্ম সিন্ডিকেটের আসন্ন ১২টি প্রযোজনার ঘোষণা দেন নির্মাতা ও প্রতিষ্ঠানটির আরেক সহ-প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকী। এগুলোর মধ্যে রয়েছে সাতটি ওয়েব সিরিজ- ‘ঊনলৌকিক ২’, ‘পেন্ডুলাম’, ‘গুলমোহর’, ‘ডেল্টা ২০৫১’, ‘দ্বৈত’, ‘অদানব’ এবং ‘ফ্রেন্ডস উইদাউট বেনিফিটস’।
আর ফিল্ম সিন্ডিকেট ঘোষিত পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্যে চলচ্চিত্র হচ্ছে ‘লোহানী’, ‘বাইপাস’, ‘খোঁয়ারি’, ‘পুলসিরাত’ এবং ‘হেল ব্রোক লুজ’।
নিজ নিজ পেশাদার জীবনে ফিল্ম সিন্ডিকেটের প্রতিষ্ঠাতারা স্বল্প ও ফিচার-দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র, তথ্যচিত্র এবং ফিকশন তৈরি করেছেন। যেমন, পায়ের তলায় মাটি নেই, পাতালঘর, ফিরে এসো বেহুলা, ইতি তোমারই ঢাকা, লাইট ক্যামেরা অবজেকশন ইত্যাদি।
এগুলো প্রদর্শিত হয়েছে বুসান, মস্কো, কলকাতা, গোয়া, লোকার্নো, ভেনিস, এশিয়ান ডক ল্যাব-এর মতো বিভিন্ন বিখ্যাত চলচ্চিত্র উৎসবে। ভূষিত হয়েছে নানা আন্তর্জাতিক পুরস্কারে।
আরও পড়ুন: ওয়েব সিরিজ-২০২২: কনটেন্টের ‘নায়ক’ নির্মাতা
১ বছর আগে
সাবিলা নূরের প্রথম সিরিজ ‘মারকিউলিস’
টিভি নাটকের অনেক তারকা এখন ওটিটি প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত মুখ। বিশেষ করে বলা যায় ওয়েব সিরিজগুলো এখন তাদের দখলে। তবে ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ হলেও এখন পর্যন্ত ওয়েব সিরিজে দেখা মেলেনি সাবিলা নূরের। সেই জায়গাটাও এবার পূরণ হতে যাচ্ছে।
সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ‘মারকিউলিস’ দিয়ে ওয়েব সিরিজে অভিষেক হচ্ছে সাবিলা নূরের।
আবু শাহেদ ইমনের পরিচালনায় এই সিরিজে অভিনয় করেছেন-সাবিলা নূর, জাকিয়া বারী মম, ফজলুর রহমান বাবু, রওনক হাসান, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, ইরেশ যাকের, রাশেদ মামুন অপু, শরীফ সিরাজ, সাবেরী আলম, আইশা খান, নাজিবা বাশার, পৌষালী অথৈ, মিলি বাশার, নাফিস আহমেদ, আফিয়া তাবাসসুম বর্ণ, মাজনুন মিজান, অশোক বেপারীসহ আরও অনেকেই। শিগগিরই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাবে সিরিজটি।
আরও পড়ুন: আফরান নিশোর প্রথম সিনেমার মহরত
১ বছর আগে
অপূর্ব’র ওয়েব সিরিজ ‘বুকের মধ্যে আগুন’ হইচই-এ আসছে ফেব্রুয়ারিতে
ছোট পর্দার শীর্ষস্থানীয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বকে এবার দেখা যাবে দক্ষিণ এশিয়ার স্বনামধন্য ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-এ। কিংবদন্তি নায়ক সালমান শাহ’র রহস্যময় মৃত্যুর ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত ওয়েব সিরিজ ‘বুকের মধ্যে আগুন’ শিরোনামে মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি।
একদিকে নাট্যজগতের চিরচেনা মুখ অপূর্ব’র আলবত ভিন্ন চরিত্র, অন্যদিকে রূপালি পর্দার কালজয়ী অভিনেতা চির সমালোচিত প্রয়াণ- সব মিলিয়ে পুরো বিষয়টি বিনোদনকর্মী ও দর্শক, দুই মহলকেই উদ্বেলিত করছে হাজারো কৌতূহলে। গত ২৩ জানুয়ারি ঘোষণার পর থেকেই দেশীয় নাটক ও চলচ্চিত্রপ্রেমিদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে বাংলা কন্টেন্টটি। চলুন, জেনে নেয়া যাক ওয়েব সিরিজটির বিস্তারিত।
‘বুকের মধ্যে আগুন’-এর নেপথ্যে প্রিয় নায়ক সালমান শাহ
নাম-চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন; জন্মস্থান-সিলেটের দরিয়া পাড়া। ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির পর পরই এই ইমন হয়ে যান সকলের প্রিয় সালমান শাহ। তার স্কুল জীবন শুরু হয়েছিল খুলনা জেলার বয়রা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে, যেখানে চিত্রনায়িকা মৌসুমীও পড়াশোনা করতেন। ঢাকার ধানমন্ডি আরব মিশন স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট শেষ করেন। অতঃপর ডক্টর মালেকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বিএ’র মাধ্যমে পড়াশোনার পাট চুকিয়ে ফেলেন। ১৯৯২ সালের ১২ আগস্ট সামিরা হকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সালমান।
আরও পড়ুন: পাঠান মুভি রিভিউ: বলিউড কিং শাহরুখ খানের অভিজাত প্রত্যাবর্তন
'কথার কথা' নামের একটি ম্যাগাজিন শো’তে হানিফ সংকেতের গাওয়া 'নামটি ছিল তার অপূর্ব' গানের মিউজিক ভিডিওতে মডেলিংয়ের মাধ্যমে টিভি পর্দায় প্রথম হাজির হন সালমান। প্রথম অভিনয় ১৯৮৫ সালের টিভি নাটক 'আকাশ ছোঁয়া'। এরপর বড় পর্দায় প্রথম ছবি 'কেয়ামত থেকে কেয়ামত' দিয়েই একদম বাজিমাত করে দেন। তারপর থেকে ৪ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি মোট ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন, যার সবগুলোই ব্যবসা-সফল।
এই তারকা ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৫ বছর বয়সে ঢাকার ইস্কাটনে নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন। জনপ্রিয়তা তুঙ্গে থাকা তারকার রহস্যময় মৃত্যুতে সারা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি সালমান শাহকে এশিয়ান জার্নালিস্ট হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন আয়োজিত মরণোত্তর পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৬'-এ সম্মানিত করা হয়।
সালমানের মৃত্যুর প্রায় ২৫ বছর পর ২০২০ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ তদন্তে অবশেষে আত্মহত্যাকে তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পরিবারসহ তার গুণমুগ্ধ ভক্তরা তা মানতে নারাজ। এই রহস্যময় ঘটনার ছায়ায় কি ঘটেছিল তারই একটা কাল্পনিক পরিবেশনা হবে ‘বুকের মধ্যে আগুন’ ওয়েব সিরিজে।
আরও পড়ুন: ভিকি জাহেদের প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘দ্য সাইলেন্স’ বিঞ্জের পর্দায় দেখা যাবে ফেব্রুয়ারিতে
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-এর পঞ্চায়েত শুভাগমন
আজ থেকে প্রায় সাড়ে ৫ বছর আগে ২০১৭-এর ২০ সেপ্টেম্বর যাত্রা শুরু করেছিল এই ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। কোনো ওয়েব সিরিজ না থাকলেও তখন এর কন্টেন্ট ছিল প্রতিষ্ঠাতা সংস্থা এসভিএফের নিজস্ব ২০টি সহ ৪০০ টির বেশি বাংলা সিনেমা, ২০টি অরিজিনাল শো, এবং এক হাজারেরও বেশি গান। সব মিলিয়ে গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত হয়েছিল প্রায় এক হাজার ৪০০ ঘন্টার কন্টেন্ট।
১ বছর আগে
চরিত্রটি আমি আড়াই বছর বহন করেছি: ‘গুটি’-তে অভিনয় প্রসঙ্গে বাঁধন
ঘোষণার পর থেকে আলোচনায় রয়েছে অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘গুটি’। ৫ জানুয়ারি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘চরকি’তে মুক্তি পায় শঙ্খ দাশগুপ্ত পরিচালিত এই সিরিজ।
ওয়েব সিরিজটি প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, ‘আমি নারী প্রধান চরিত্রে কাজ করতে চাই। কিন্তু তেমন কাজ নিয়ে খুব একটা কেউ আসছিলেন না। পরবর্তীতে আমি সুলতানা চরিত্রটি পাই। চরিত্রটি আমি আড়াই বছর বহন করেছি। কাজটি আমার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জের ছিল।’
বাঁধন আরও বলেন, ‘ভেবেই আনন্দ লাগছে আমাদের এতোদিনের কষ্ট এখন সবাই দেখবে। আমরা সবাই মিলে অনেক কষ্ট করে কাজটা করেছি। আপনারা সিরিজটা দেখেন তারপর অবশ্যই আমাদের জানাবেন কেমন লেগেছে।’
আরও পড়ুন: নেটফ্লিক্সের পর্দায় বলিউডে বাঁধনের প্রথম ঝলক
‘গুটি’ ওয়েব সিরিজে আরও অভিনয় করেছেন শাহরিয়ার নাজিম জয়, শরীফ সিরাজ, মৌসুমী হামিদ, নাসির উদ্দিন খান, আরিয়া আরিত্রা, টুনটুনি সোবহান, আরফান মৃধা শিবলু, মাহমুদুল আলমসহ আরও অনেকে।
বাঁধন ‘গুটি’তে সুলতানা নামের একজন মাদক পাচারকারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সুলতানা কয়েকবছর ধরে স্থানীয় মাদক চোরাচালানকারী নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত। এই সময়ের মধ্যে সে প্রচুর অর্থ ও সম্পদ করেছে কিন্তু বিনিময়ে হারাতে হয়েছে কাছের মানুষ, সম্পর্ক, বিশ্বাস ও আশা।
এই কাজে পালানোর কোনো পথ নেই। তবে সুলতানা তার মেয়ের জন্য সুন্দর এক পৃথিবীর স্বপ্ন দেখে। টান টান উত্তেজনা নিয়ে চলতে থাকে পুরোটা সিরিজ।
আরও পড়ুন: বড় পর্দায় তাহসান-বাঁধন জুটির ‘অ্যা ব্লেসড ম্যান’
‘রেহানা মরিয়ম নূর’: এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড পেলেন সাদ ও বাঁধন
১ বছর আগে
ওয়েব সিরিজ-২০২২: কনটেন্টের ‘নায়ক’ নির্মাতা
ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয়তা আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে গেছে ২০২২ সালে।
করোনাকালীন এই মাধ্যমের চাহিদা বিশ্বব্যাপী যেভাবে ছড়িয়ে গেছে সেই যাত্রায় কাঁধ মিলিয়েছিল বাংলাদেশের কনটেন্টও।
এর সঙ্গে এদেশেও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের বাজারের পরিধি আরও প্রসারিত শুরু করল।
২০২০-২০২১ সালে ওয়েব সিরিজ নির্মাণের যেই মোড় ঘুরতে শুরু করেছিল তা আরও পরিণত হয়েছে ২০২২ সালে। এই সালে এমন কয়েকটি ওয়েব সিরিজ তাক লাগিয়েছে যেগুলোর নির্মাতারা এর আগের বছরগুলোতেও নিজেদের মুন্সিয়ানার প্রমাণ দিয়েছেন।
আর সেই হাল তারা ধরে রেখেছেন।
এই সূত্র ধরেই আজকের লেখায় জানাব ২০২২ সালে সবচেয়ে আলোচিত ওয়েব সিরিজগুলো নিয়ে।
আরও পড়ুন: 'কাবিলা' খ্যাত পলাশের ব্যাচেলর জীবনের সমাপ্তি
‘শাটিকাপ’:
রাজশাহীতে বসে ৮ পর্বের ওয়েব সিরিজ
এ দেশে ফিকশনের বাজার মূলত ঢাকাকে ঘিরে। রাজশাহীতে বসে একদল তরুণ একটি সিরিজ বানিয়ে কাঁপিয়ে দেবে, সেটি হয়তো ভাবাই যায় না। কিন্তু এই ফর্মুলা থেকে বের হয় ওটিটি যাত্রার শুরুতে আট পর্বের ওয়েব সিরিজ ‘শাটিকাপ’ দিয়ে এক বাজি ধরে ‘চরকি’। সিরিজটির অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলী সবাই রাজশাহীর স্থানীয়।
সেই সঙ্গে গল্পের প্রেক্ষাপট, ভাষা, দৃশ্যধারণ সবই হয়েছে রাজশাহীতেই।
আর এটি নির্মাণ করেছেন রাজশাহীর ছেলে তরুণ নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম।
নির্মাতার মতোই পরিচিতির বাইরে রয়েছেন ‘শাটিকাপ’-এ অভিনয় করা সকলে।
প্রায় ১৩৭ জন অভিনয়শিল্পী দেখা গেছে এই সিরিজে।
আশফাক নিপুণ বললেন ‘সাবরিনা’র গল্প
২০২১ সালে ‘হইচই’ প্ল্যাটফর্মে ‘মহানগর’ দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন আশফাক নিপুণ। দর্শকের তাই অপেক্ষা ছিল এ বছর ‘মহানগর ২’ নিয়ে হাজির হবেন এই নির্মাতা।
কিন্তু সেই আশায় শেষ পর্যন্ত জল পড়ল।
তাই বলে কিন্তু একদম নিরাশ করেননি নিপুণ। ওয়েব সিরিজ ‘সাবরিনা’ দিয়ে আবারও আলোচনায় আসেন তিনি।
যার মধ্য দিয়ে ওয়েব সিরিজে অভিষেক হয় মেহজাবিন চৌধুরীর।
টেলিভিশন নাটকের মতো ওয়েব সিরিজেও অভিনয়ের মুন্সিয়ানার প্রমাণ দিয়েছেন মেহজাবিন। আর আশফাক নিপুণ যেন আরও পরিণত হচ্ছেন তার গল্প বলার ভঙ্গিতে।
‘সিন্ডিকেট’:
ক্রাইম থ্রিলার দিয়ে ভিন্ন এক প্রেম দেখালেন শিহাব শাহীন
টেলিভিশনে হিট পরিচালকদের একজন শিহাব শাহীন। মূলত তার রোমান্টিক ঘরানার গল্প দর্শকদের কাছে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ওয়েব সিরিজেও তিনি প্রেম দেখালেন।
কিন্তু সেটি ক্রাইম থ্রিলারের মধ্য দিয়ে।
‘চরকি’তে এ বছর মুক্তি পায় ওয়েব সিরিজ ‘সিন্ডিকেট’। যেখানে দেখা যায়, এক ব্যাংকের ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে নিহত হয় ব্যাংক কর্মকর্তা জিশা। শুরুতে একে আত্মহত্যা ধরা হলেও জিশার প্রেমিক ও সহকর্মী আদনানের ধারণা খুন করা হয়েছে তার প্রেমিকাকে।
আরও পড়ুন: ওটা সত্যি অভিনয় ছিল না, ছিল মায়ের জন্য আবেগ: ‘কারাগার-২’ প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী
এই সিরিজের মাধ্যমে প্রথমবার একসঙ্গে দেখা যায় আফরান নিশো, তুষি ও ফারিণকে।
ওটিটিতে এ বছর দ্যুতি ছড়ালেন নুহাশ হুমায়ূন
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের কাজ নিয়ে এরইমধ্যে পৌঁছে গেছেন পরিচালক নুহাশ হুমায়ূন। সেই সঙ্গে দেশেও এখন জনপ্রিয় নির্মাতাদের একজন।
যার নির্মাণের মুন্সিয়ানা বরাবরই মুগ্ধ করেছে দর্শককে। তার গল্প বলার ধরন তার উজ্জ্বল সম্ভাবনাকে বরারবরই ইঙ্গিত দেয়।
এ বছর চরকির পর্দায় ভৌতিক ঘরানার চারটি ভিন্ন গল্প নির্মিত হয়েছে নুহাশ হুমায়ূনের প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘ষ’।
প্রচলিত বিভিন্ন কুসংস্কার, লোককথার প্রেক্ষাপটে বর্তমান আবহে তৈরি এটি।
সিরিজটি দেশের দর্শকের কাছে ব্যাপক সফলতার পর পাড়ি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।
২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব রটারডাম’-এর ৫২তম আসরে বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত হয়েছে নুহাশ হুমায়ূনের ‘পেট কাটা ষ’।
‘কাইজার’ –এ পরিণত হয়েছেন তানিম নূর
২০২১ সালে তানিম নূরের পরিচালনায় ‘কন্ট্রাক্ট’ ওয়েব সিরিজটি বেশ আলোচনায় আসে। যার অন্যতম কারণ ছিল একই পর্দায় চঞ্চল চৌধুরী ও আরিফিন শুভর উপস্থিতি। কিন্তু মুক্তির পর কিছুটা হতাশ হতে হয়েছিল। বিগ কাস্টিং দিয়ে তিনি যেই আলোচনা তৈরি করেছিলেন সিরিজটি নির্মাণে তার ততটা চেষ্টার ত্রুটি ছিল বলে মনে হয়।
কিন্তু ২০২২ সালে ‘কাইজার’ দিয়ে পরিণত হলেন তিনি।
যদিও এখানে আফরান নিশো তার অভিনয় দিয়ে অধিকাংশ আকর্ষণ কেড়ে নিয়েছেন, তবুও গল্পটি নির্মাণে যত্নশীল ছিলেন তানিম নূর।
ভারতীয় প্লাটফর্ম হইচইতে মুক্তি পাওয়া এই গোয়েন্দা সিরিজে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, রিকিতা নন্দিনি শিমু, ইমতিয়াজ বর্ষণ, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুমন আনোয়ার প্রমুখ।
অমিতাভ রেজা ‘বোধ’ কতটা জনপ্রিয় হলো?
‘আয়নাবাজি’র পর অমিতাভ রেজার প্রতি প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গেছে দর্শকের। তার নতুন নির্মাণ মানে ভক্তদের কৌতুহলের শেষ নেই। তেমনটাই হয়েছিল এ বছরের শেষে ‘হইচই’ প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়া ‘বোধ’ দিয়ে।
সিরিজটির মূল ভূমিকায় নতুন দুই মুখকে দেখা যায়।
আর গুরুত্বপূর্ণ এক চরিত্রে অভিনয় করেন আফজাল হোসেন। অমিতাভ তার সিরিজে বলতে চেয়েছেন দেশের ভুমিদস্যুদের গল্প।
তবে ঘটনার শেষ জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে সিরিজে দ্বিতীয় সিজন পর্যন্ত।
দুই বাংলায় ‘কারাগার’-এর বাজিমাত
নির্মাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকি এখন ওটিটি প্ল্যাটফর্মের তুরুপে তাশ। বাংলাদেশের ওয়েব সিরিজে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে আলোচিত ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’।
যার দুটি সিজন এরইমধ্যে মুক্তি পেয়েছে।
প্রথম সিজন মুক্তির পর মূল চরিত্রে রহস্যময় চরিত্রে থাকা চঞ্চল চৌধুরীকে নিয়ে এক ধাঁধাঁ তৈরি করেন শাওকি।
দ্বিতীয় সিজন মুক্তির আগ পর্যন্ত সেটিই ছিল প্রধাণ আকর্ষন।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ‘কারাগার ২’ দিয়ে সকল রহেস্যে জট খুললো।
চঞ্চল চৌধুরী ছাড়াও ‘কারাগার’ দিয়ে দর্শকের আকৃষ্ট করেছেন ইন্তেখাব দিনার। দীর্ঘ বিরতির পর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম দিয়ে পুরোদমে ফিরে আসেন এই অভিনেতা।
আরও পড়ুন: কবে অনুষ্ঠিত হবে ব্যাচেলর পয়েন্ট চতুর্থ সিজনের শেষ পর্ব?
১ বছর আগে
ওটা সত্যি অভিনয় ছিল না, ছিল মায়ের জন্য আবেগ: ‘কারাগার-২’ প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী
দর্শকদের আগ্রহের জায়গা থেকে বলা যায় এ বছরের সবচেয়ে আলোচিত ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-এ ১৯ আগস্ট মুক্তি পেয়েছিল সিরিজটির প্রথম সিজন। এরপর থেকেই দ্বিতীয় সিজন কবে আসবে সেই অপেক্ষা দিন গুনছিলেন দর্শকরা।
শুধু বাংলাদেশেই নয়, ‘কারাগার’ দিয়ে পুরো পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সিরিজটি পরিচালক সৈয়দ আহমেদ শাওকি; অভিনয়ে থাকা চঞ্চল চৌধুরী, ইন্তেখাব দিনার, তাসনিয়া ফারিণসহ সকলেই।
আরও পড়ুন: ১৫ ডিসেম্বর আসছে ‘কারাগার ২’
শেষ হয়েছে অপেক্ষার পালা, সিরিজটির দ্বিতীয় সিজন মুক্তি পায় ২২ ডিসেম্বর। আবারও দর্শকরা বুদ হলেন দারুণ এক নির্মাণ দেখতে। আর এই পুরো সিরিজ ঘিরে যাকে নিয়ে এতো আলোচনা তিনি চঞ্চল চৌধুরী।
‘কারাগার ২’ মুক্তি উপলক্ষে হইচই-এ একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ হয়। যেখানে উপস্থাপকের আসনে রয়েছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য। সেখানে অনির্বাণের মন্তব্য ধরেই বলতে হয়, চঞ্চল চৌধুরী চোখের অভিব্যক্তি দিয়ে চরিত্রের যে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করেন সেটিই যেন তার অভিনয়ের মুন্সিয়ানাকে প্রমাণ করে।
দ্বিতীয় সিজনে দেখানো হয়েছে সিরিজটিতে চঞ্চল চৌধুরীর চরিত্রের তরুণ বয়স। এতে অভিনয় করেন দিব্য জ্যোতি। যিনি কিনা লেখক ও অভিনেতা বৃন্দাবন দাস ও অভিনেত্রী শাহানাজ খুশি দম্পতির সন্তান।
সিরিজটির শেষাংশ মুক্তির পর দিব্য জ্যোতির একটি কবিতা ফেসবুকে শেয়ার করে চঞ্চল চৌধুরী। এরসঙ্গে তিনি লেখেন, ‘অভিনয় আর জীবন কখন যে মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে, বুঝতে পারিনি, কারাগার ২ চলে এসেছে হইচই’তে। যারা দেখেছেন, তারা ভেবেছেন আমি হয়তো অভিনয় করেছি, ওটা সত্যি অভিনয় ছিল না। আমার মায়ের জন্য আমার যতটা আবেগ, যতটা কষ্ট, যতটা ভালোবাসা, কারাগার ২ তে আপনারা সেটাই দেখেছেন।’
দিব্য জ্যোতির কবিতার প্রসঙ্গে টেনে চঞ্চল আরও লেখেন, ‘দিব্য’র অভিনয়ও আমার কাছে অভিনয় মনে হয়নি। আমার চোখের জলের সঙ্গে দিব্য’র চোখের জল মিশে গিয়ে অন্য এক আবেগের জন্ম দিয়েছে কারাগার-২ তে। দিব্য’র সঙ্গে আমি এক ফ্রেমে দাঁড়াইওনি। তাহলে একই আবেগে কীভাবে দুজন ভাসলাম চোখের জলে, দর্শকদের চোখও কীভাবে ভিজে গেল?- এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই। ঠিক আরেকটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে ফিরছি সন্ধ্যা থেকে।’
চঞ্চল তার বাবা অসুস্থততার কথা উল্লেখ করে লেখেন, ‘অনেকেই জানেন আমার বাবা প্রচন্ড অসুস্থ। তেরো দিন বাবা আই সি ইউ’তে লাইফ সাপোর্টে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। শেষ সময়ে অপেক্ষারত আমরা সবাই। আমার অচেতন বাবার মনের কথা গুলো দিব্য কীভাবে লিখে ফেললো?’
আরও পড়ুন: ২৫০ বছর ধরে ‘কারাগার’-এ চঞ্চল চৌধুরী
১ বছর আগে