তারেক
অগ্রগতির জন্য নারীর ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান তারেকের
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিটি মেয়ে ও নারীর ক্ষমতায়ন ও সমর্থন পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে শনিবার (৮ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের তরুণী ও নারীরা তাদের চারপাশের মানুষদের কাছ থেকে ক্ষমতায়ন ও সমর্থন পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। প্রত্যেক নারীকেও পুরুষের সমান মর্যাদা, নিরাপত্তা ও সুযোগ পাওয়া উচিত।’
তিনি উল্লেখ করেছেন যে, তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনজন অসাধারণ ব্যক্তি হলেন তার মা, স্ত্রী এবং কন্যা।
তারেক রহমান ফেসবুক পেজে স্ত্রী জোবাইদা রহমান, মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছবিও শেয়ার করেছেন।
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমি সবসময় তাদের জন্য প্রতিটি সুযোগ, সাফল্য এবং সুখ চেয়েছি। আমি নিশ্চিত যে আপনারা যারা এটি পড়ছেন তাদের অনেকেরই একই অনুভূতির সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।’
আরও পড়ুন: সারা বিশ্বের সঙ্গে একই দিনে রোজা-ঈদ করা যায় কি না, বিবেচনার অনুরোধ তারেক রহমানের
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তারেক রহমান বলেন, 'আমি আবারও দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারের মতো আমাদেরও উচিত একটি ন্যায়পরায়ণ, সহিষ্ণু ও শ্রদ্ধাশীল সমাজ গঠনে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া, যেখানে ধর্ম, লিঙ্গ, বর্ণ, ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করা হবে না।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব মেয়ের ছেলেদের সমান সুযোগ থাকা উচিত এবং তাদের বাড়ির বাইরে পা রাখা উচিত। হয়রানি ছাড়াই ইন্টারনেট ব্যবহার করা উচিত এবং নির্ভয়ে তাদের কণ্ঠস্বর প্রকাশের সুযোগ নেওয়া উচিত।
তারেক বলেন, বিএনপির নীতি প্রণয়নে একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত সমাজে নারীর অব্যবহৃত সম্ভাবনাকে স্বীকৃতির দেয়। যেখানে দলের 'ফ্যামিলি কার্ড' কর্মসূচি, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ঋণ, তরুণীদের শিক্ষার জন্য একাডেমিক ও বৃত্তিমূলক প্রকল্পের মতো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উপসংহারে তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা একসঙ্গে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ এবং ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করি।’
আরও পড়ুন: নারী নির্যাতনসহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কঠোর হস্তে দমন করুন: সরকারকে বিএনপি
৮ দিন আগে
সংস্কার সংস্কার করা ষড়যন্ত্র কিনা, প্রশ্ন তারেকের
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, আমরা খেয়াল করছি কিছু কিছু মানুষ সংস্কার সংস্কারের কথা বলে সব রকমের প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে দেখতে হবে- সংস্কার সংস্কার করা কোনো ষড়যন্ত্র কিনা। যদি সংস্কার সংস্কার করে এ বিষয়টিকে দীর্ঘায়িত করা হয়, তাহলে দেশের সমস্যা বাড়বে।’
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার সাবের পাইলট স্কুল মাঠে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সোনাগাজীর যুবদল নেতা মোহাম্মদ মাসুদের পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে একটি নতুন বাড়ি প্রদান উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তারেক বলেন, ‘যে হারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বেকার সমস্যা, শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে, আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে, যদি এসব কিছুকে আবার জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গড়ে তুলতে হয়— তাহলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। সেক্ষেত্রে অবশ্য জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: সংস্কারের নামে বেশি সময়ক্ষেপণ না করার আহ্বান তারেক রহমানের
তিনি বলেন, ‘যত দ্রুত আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব, তত দ্রুত বাংলাদেশকে আমরা সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে সক্ষম হব।
আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি -- যতক্ষণ পর্যন্ত মাসুদের আত্মার সে মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করতে না পারব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম বন্ধ হবে না। আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠিত না হয়।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, স্বৈরাচারমুক্ত আন্দোনের শহীদদের আত্মার যদি যথাযোগ্য মর্যাদা দিতে হয়ে, তাহলে আমাদেরকে বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্রের শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। যতদিন পর্যন্ত সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
তারেক সতর্ক করে বলেন, আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে— আমাদের ভিতরে কিছু কিছু মানুষ এবং নতুন করে কিছু কিছু মানুষ আমাদের ভিতরে ঢুকে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। তারা সমাজে এমন কিছু কাজ করার চেষ্টা করছে, যেখান থেকে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হতে পারে। আপনাদের সকলকে এই সকল অনুচরদের বিরুদ্ধে স্বজাগ, সতর্ক থাকতে হবে—- যাতে তারা আমাদের এই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে কোনোভাবে ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার বাংলাদেশের মাটি থেকে পালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু পালিয়ে যাওয়ার আগে সে হত্যাগুলো সংঘটিত হয়েছে। হাজারো মানুষকে হত্যা করেছে, লাখো মানুষকে আহত করেছে, হাজারো মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে।
তারেক বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের, আহত করার জন্য যারা দায়ী— সেই মানুষগুলোর অবশ্যই দেশের আইনে বিচার করতে হবে। এই হত্যার জন্য যারা দায়ী তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকারে জবাবদিহি নেই বলেই গ্যাসের দাম বাড়ছে: রিজভী
তিনি বলেন, এই খুন,গুম, আহতের জন্য দায়ী, তাদের নেত্রী(শেখ হাসিনা) যে ৫ আগস্ট পালিয়ে গেছে, যদি তার বিচার না হয়— তাহলে যারা এই মানুষগুলোকে গুম ও খুন, লাখো মানুষকে পঙ্গু করেছে, তারা ভবিষ্যতে আবারও এসব করতে উৎসাহী হবে।
তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের দল মত নির্বিশেষে প্রতিটি গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক কর্মীকে, গণতন্ত্রকামী প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আজকে আমাদেরকে একটি জায়গায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ভারতে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এই খুন গুম এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে আহত করার জন্য তার বিচার করতে হবে। তাকে কোনোভাবে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। এই হত্যার দায় তার। এই পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারের বিচার করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবেদীন ফারুক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে নবনির্মিত বাড়ির চাবি মাসুদের স্ত্রীর হাতে হস্তান্তর করা হয়।
২০১৬ সালের ২৫ জুন মাসুদ বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। মাসুদের মৃত্যুর পর থেকে কষ্টে থাকা তার স্ত্রী ও দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত মেয়ের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আরও পড়ুন: আ. লীগ বর্তমান নামে রাজনীতি করতে পারবে না: সালাহউদ্দিন
৩৯ দিন আগে
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সুযোগ পেলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে বিএনপি: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সুযোগ পেলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে বিএনপি। এজন্য যেকোনো মূল্যে ৩১ দফার পক্ষে সমর্থন নেওয়ার জন্য জনগণের কাছে যেতে হবে।
জনগণের সম্পৃক্ততায় স্বৈরাচারী পালিয়েছে, তবে দেশের ভেতরে-বাইরে দেশের বিরুদ্ধে এখনও ষড়যন্ত্র থেমে নেই বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমানে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রাম শুরু। সংগ্রাম করেই ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে ও জনসম্পৃক্তি নিশ্চিত করতে নরসিংদীতে বিভাগীয় কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, আমাদের সংগ্রাম ৫ আগস্টের আগে পর্যন্ত। আমাদের সংগ্রাম স্বৈরাচারের পতন, স্বৈরাচারকে সরিয়ে দেওয়া এবং স্বৈরাচারকে ফেলে দেওয়ার। দলমত নির্বিশেষে দেশের সকল মানুষের অংশগ্রহণে দেশের মানুষ সক্ষম হয়েছে স্বৈরাচারকে বিদায় করতে, বাধ্য করেছে পালিয়ে যেতে।
আরও পড়ুন: নির্যাতনের জবাবে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান তারেকের
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, এখন সংগ্রাম দেশের স্বাধীনতা রক্ষার, সার্বভৌমত্ব রক্ষার ও দেশ গড়ার এবং মানুষের রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার সংগ্রাম।
মানুষের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে মজবুত করার যে সংগ্রাম শুরু হয়েছে, এ সংগ্রামে একমাত্র নেতৃত্ব দিতে পারবে বিএনপি বলে জানান তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, এ দেশে যদি একটি দুর্বল জনমর্থনহীন সরকার ক্ষমতায় আসে, তবে অনেকেই এ দেশ থেকে সবকিছু লুটেপুটে নিয়ে যাবে। এ দেশের অর্থ সম্পদ, প্রাকৃতিক সম্পদের দিকে অনেকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে। দেশে যদি একটি বিশৃঙ্খলা লাগিয়ে রাখা যায়, তাহলে অনেকের জন্য সুবিধা হবে। এসব থেকে দেশকে রক্ষা করতে এবং দেশের মানুষকে রক্ষা করতে এমন একটি সরকার প্রয়োজন যারা জনগণের কথা বলবে, জনগণ ও দেশের চিন্তা করবে।
এ রকম কেউ যদি দেশ পরিচালনা দায়িত্ব নেয়, তবে দেশের স্বার্থ জনগণের স্বার্থ নিরাপদ থাকবে বলে জানান তারেক রহমান।
নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক হালিমা নেওয়াজ আরলি ও সহ-স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শাম্মি আক্তার, সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিছুর রহমান তালুকদার খোকন, নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুর এলাহীসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিতে ষড়যন্ত্রকারীদের এজেন্টদের বিষয়ে তারেকের সতর্কতা
৮৭ দিন আগে
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেকসহ সব আসামি খালাস
নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দুই মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
একই সঙ্গে মামলার অভিযোগপত্রও অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত।
এর আগে মামলাগুলো রায় (সিএভি) অপেক্ষমাণ রেখে গত ২১ নভেম্বর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষ করেন আদালত।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) মামলা দুটি রায়ের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলা হয়।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর একটি মামলার রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।
রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল।
এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
পরে ২০১৮ সালে মামলার নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়। ডেথ রেফারেন্স এবং এ সংক্রান্ত আপিলের জন্য শুনানি সাধারণত একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে গত ৩১ অক্টোবর গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের সমন্বয়ে হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
শেখ হাসিনাকে হত্যা এবং আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার লক্ষ্যে জঙ্গিরা এই হামলা চালিয়েছে বলে ২০০৮ সালে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ২২ জনকে অভিযুক্ত করে।
পরে আওয়ামী লীগ সরকারের অধিকতর তদন্তে তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে অতিরিক্ত অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
১০৫ দিন আগে
তারেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে লন্ডন যাচ্ছেন ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১০ দিনের সফরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শনিবার সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ফখরুলের সঙ্গে তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম রয়েছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব আগামী ১১ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক করার ষড়যন্ত্র চলছে, সতর্ক থাকুন: ফখরুল
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক ও দলীয় বিষয়ে আলোচনা করতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে লন্ডনে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল ফিরলে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যেতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
৭৯ বছর বয়সি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী প্রথমে যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা নেবেন। এরপর আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারেন।
আরও পড়ুন: অভ্যুত্থানে ‘ইউনিক নেতৃত্ব’ দিয়েছেন তারেক রহমান: ফখরুল
১০৬ দিন আগে
এখন সময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গড়ার: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ গড়ে তোলার সময় এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকালে লালমনিরহাট জেলা বিএনপি আয়োজিত শহীদ আবুল কাশেম কলেজ মাঠে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে দেশ গড়তে দেশের প্রত্যেকের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমাদের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ অন্যান্য পেশার মেধাবী মানুষজন আছেন।’
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির মামলা থেকে তারেকসহ ৮ জনকে অব্যাহতি
তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের একজন সন্তান হিসেবে মনে করি, আমাদের শুধু মেধাবী ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার হলে চলবে না, আগামী দিনে অবশ্যই পেশাদার খেলোয়াড় ও সাংস্কৃতিককর্মী তৈরি করতে হবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভেতর থেকে। যাতে আমরা বিদেশের মাটিতে খেলায় অংশ নিয়ে দেশের সম্মান বয়ে আনতে পারি।’
বিএনপির রংপুর নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর্জা আব্বাস, বিএপির যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন এ্যানি, বাফুফে সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী বক্তব্য দেন।
এ সময় রংপুর বিভাগের ৮ জেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচিত সংসদ ও সরকারের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ: তারেক
১০৮ দিন আগে
রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য ভোটাধিকার নিশ্চিত করা অপরিহার্য: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, যেকোনো মূল্যে জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষা করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীতে এক কর্মশালায় ভার্চুয়াল সমাপনী বক্তব্যে তারেক রহমান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষের বাকস্বাধীনতা ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছি। তাই যেকোনো মূল্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই অধিকার আদায় করতে হবে।’
বাংলাদেশের জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি সতর্ক করে বলেন, জাতির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
তারেক রহমান বলেন, জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া কোনো সংস্কারই কার্যকর হবে না বা জাতির কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজনৈতিক মুক্তি মানে সব জনপ্রতিনিধিকে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ হতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি শহীদদের নামে প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নামকরণ করবে: তারেক
তিনি বলেন, সরকার, বিরোধী দল, রাজনৈতিক দল, স্থানীয় নেতা যেমন উপজেলা বা পৌরসভার চেয়ারম্যান, সদস্য বা কাউন্সিলর কাউকেই তাদের ব্যক্তিগত মর্জি অনুযায়ী কাজ করতে দেওয়া উচিত নয়।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সবাইকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। এটা নিশ্চিত করতে হলে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। যেকোনো গণতান্ত্রিক ও সভ্য দেশে ভোটের মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়।’
তারেক বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে জনগণের রাজনৈতিক, ভোটাধিকার ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে লিপ্ত। ‘এটি এমন একটি সংগ্রাম ছিল, যার জন্য অনেক জীবনকে উৎসর্গ এবং গুরুতর নিপীড়ন ও দমনকে সহ্য করতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায়ই বলি, ষড়যন্ত্র কখনো থেমে থাকে না। আপনারা (বিএনপির নেতা-কর্মীরা) পত্রিকার সাম্প্রতিক খবর থেকে যেমন দেখেছেন, তেমনি বুঝতে পারছেন কোথাও একটা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাই জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং তাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনামলে 'টেক ব্যাক বাংলাদেশ' স্লোগানের কথা স্মরণ করেন বিএনপি নেতা। এই স্লোগান ছিল মানুষের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের মজবুত ভিত্তি স্থাপনের প্রতীক। আমি একজন সহকর্মী হিসেবে আপনাদেরকে অনুরোধ করব এবং নেতা হিসাবে আপনাদেরকে আদেশ করব: আজ থেকে কেউ আমার নামের পাশে 'দেশনায়ক' বা 'রাষ্ট্রনায়ক' ব্যবহার করবেন না।’
ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ মিলনায়তনে বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কারের রূপরেখা নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করে বিএনপি। সকালে কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি আগামীতে আবার ক্ষমতায় আসবে যদি তাদের নেতাকর্মীরা দেশের জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ ও আচরণ করে।
আরও পড়ুন: দেশ পরিচালনায় সরকারের অযোগ্যতাকে বরদাশত করবে না জনগণ: তারেক
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের জন্য বিএনপি দেশের সব গণতান্ত্রিক দলের মতামতের ভিত্তিতে ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘অনেকেই এখন বিভিন্ন সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু যখন অন্য কেউ তা নিয়ে ভাবেনি, তখন বিএনপি বহু বছর আগে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল।’
তবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ৩১ দফা প্রস্তাব অপরিবর্তনীয় নয়। ‘আমরা যেকোনো ভাল প্রস্তাব বা পরামর্শ পেলে তা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমরা প্রস্তুত।’
৩১ দফা প্রস্তাব গ্রামীণ এলাকাসহ সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়ে জনগণকে অবহিত ও মতামত নেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
তিনি সংস্কার প্রস্তাব সম্পর্কে জনগণকে পরিষ্কার ধারণা দিতে গ্রামাঞ্চলসহ সারা দেশে ছোট ছোট সভা করতে বিএনপি নেতাকর্মীদের উৎসাহিত করেন।
তারেক রহমান দুর্নীতি রোধে প্রাথমিক শিক্ষায় বিনিয়োগ, শিক্ষকদের ভালো বেতন নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয়ের শিক্ষার মানের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।’
তিনি মানসম্মত সেবা প্রাপ্তিসহ একটি সুস্থ জাতি গঠনে স্বাস্থ্য খাতের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ‘ দুর্নীতি কমাতে পারলে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারব।’
বৈশ্বিক শ্রমবাজার মূল্যায়ন এবং বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দক্ষ ও স্বল্প-দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে দলের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তারেক রহমান।
আরও পড়ুন: বিএনপি ফিরলে ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বৈরাচার দমনের অঙ্গীকার তারেকের
১১৭ দিন আগে
বিএনপি শহীদদের নামে প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নামকরণ করবে: তারেক
শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক গণআন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বিএনপি যদি জনসমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করতে পারে তবে শহীদদের নামে সারা দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নামকরণ করা হবে।
তিনি বলেন, 'আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য আমি সমাজের প্রতিটি মানুষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি ‘
সোমবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পঙ্গু ১০ ব্যক্তির মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আমরা বিএনপি পরিবার।
তারেক বলেন, জনগণের হারানো অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘ ১৭ বছরের সংগ্রামে বিপুলসংখ্যক মানুষ বিভিন্ন পর্যায়ে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দেশ এখন স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। এটি অর্জন করতে দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশ জুড়ে বহু মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: দেশ পরিচালনায় সরকারের অযোগ্যতাকে বরদাশত করবে না জনগণ: তারেক
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করার সংগ্রামে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারের পাশাপাশি যারা আহত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়ানো সবার দায়িত্ব।
তারেক বলেন, ‘তারা দেশের জন্য এই ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যাতে আমরা যারা বেঁচে আছি, তারা যেন স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারি। দলমত নির্বিশেষে আমাদের কর্তব্য হচ্ছে সাধ্যমতো তাদের এবং তাদের পরিবারের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া।’
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আহত ও পঙ্গু ব্যক্তিদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা, পুনর্বাসন এবং শহীদদের পরিবারকে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি সরকার গঠন করলে স্বৈরাচার অবসানে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের নামে সারা দেশে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করার প্রস্তাব করবে। এর ফলে এই নায়কদের নাম কখনও মুছে যাবে না।’
তিনি বলেন, বিএনপি সারা দেশে আন্দোলনের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিসহ সকল পঙ্গু ব্যক্তিকে তাদের পরিবারের বোঝা না করে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আন্দোলনের বাইরেও সমাজে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা জন্মগতভাবে বা অন্য কোনো কারণে প্রতিবন্ধী হয়ে গেছেন। দেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে কেউ প্রতিবন্ধী হলে তা পরিবারের ওপর ভারী বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। ব্যক্তিগতভাবে আমার ইচ্ছা এসব মানুষের স্বাস্থ্য স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানোর উপায় খুঁজে বের করা।’
তিনি আরও বলেন, বিএনপি যখন ভবিষ্যতে সরকার গঠন করবে, তখন সারা দেশে এ ধরনের পরিবারগুলোকে সহায়তা করার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকবে। তারা আর্থিকভাবে সচ্ছল হোক বা না হোক। ‘আমরা রাষ্ট্র থেকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্য রাখব, যাতে এই পঙ্গু ব্যক্তিরা যতটা সম্ভব স্বাবলম্বী হতে পারে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি ফিরলে ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বৈরাচার দমনের অঙ্গীকার তারেকের
এসব পরিবারের সহায়তায় দেশের আর্থিকভাবে সচ্ছল ব্যক্তিদের সহযোগিতার আহ্বানও জানান তারেক।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা সবাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে আমরা আমাদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করতে পারব।’
সভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি ও যারা শেখ হাসিনার সরকারকে হটানোর আন্দোলন করেছে তাদের সমর্থনে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। ‘আমরা এখনও এই সরকারকে সমর্থন করছি।’
তবে সংস্কারের জন্য সরকারের চার বছরের মেয়াদ নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য উদ্বেগের বিষয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজনীতিবিদরা যুগ যুগ ধরে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করবেন, বর্তমান সরকার কিছু পরামর্শ দিতে পারে।
তিনি বলেন, কিছু জটিলতা বা কোনো অশুভ পরিকল্পনার কারণে সরকার সংস্কারের নামে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করতে পারে। ‘এটা আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। দেশের মানুষ জানতে চায় সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য কেন চার বছর সময় লাগবে।’
আরও পড়ুন: তারেকের জন্মদিন পালনের কর্মসূচি নেই বিএনপির
১১৮ দিন আগে
দেশ পরিচালনায় সরকারের অযোগ্যতাকে বরদাশত করবে না জনগণ: তারেক
জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার ও আস্থা গড়ে তুলে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দলের একটি ইউনিটের কাউন্সিলে দেওয়া বক্তব্যে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দেশ পরিচালনায় সরকারের অযোগ্যতা পেলে জনগণ তা বরদাশত করবে না।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। জনগণ নির্ভয়ে,স্বাধীনভাবে ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভোট দিতে এবং তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রত্যাশা করে।
তিনি বলেন, সরকার ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে যদি জনগণ সরকারের প্রতি তাদের আস্থা বজায় রাখতে পারে। ‘জনগণ যখন দেখবে সরকার সত্যিকার অর্থেই তাদের ভোটাধিকার ও অন্যান্য মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখতে কাজ করছে, তখন স্বাভাবিকভাবেই সরকারের প্রতি তাদের আস্থা আরও গভীর হবে।’
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের তৃতীয় জাতীয় কাউন্সিলের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি জনগণের ন্যূনতম দাবিও পূরণ করতে পারে তবে ষড়যন্ত্রকারীদের সমস্ত অপচেষ্টা বৃথা যাবে।
তারেক রহমান বলেন, 'জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা না গেলে আমরা যাকেই গণতন্ত্র, উন্নয়ন বা সংস্কার বলি না কেন, এর কোনোটিই টেকসই হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘নাগরিকের রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রধান মাধ্যম হচ্ছে ভোটের অধিকার। জনগণকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ না দিলে রাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ও অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে না।’
তারেক বলেন, দেশ-বিদেশের ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী ও তাদের সহযোগীদের পাশাপাশি প্রশাসনের ভেতরেও থাকা প্রেতাত্মারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। বিএনপি নেতা বলেন, 'তারা যদি এই সরকারকে দুর্বল করতে সফল হয়, তাহলে তারা গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে লালন করা কোটি কোটি বাংলাদেশিকেও ব্যর্থ করবে।’
আরও পড়ুন: জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে পদক্ষেপ নিন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তারেক
তিনি বলেন, এ অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এমন কিছু সিদ্ধান্ত জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করে জনগণের ওপর সেটাই চাপিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, ‘অনেক ধরনের অসন্তোষ ও ঘাটতি সত্ত্বেও জনগণ সরকারের প্রতি আস্থা ধরে রাখতে চায়। কিন্তু সরকার কি তা চায়? সরকার ও জনগণের মধ্যে আস্থা দৃঢ় ও ঘনিষ্ঠ হলে ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের চক্রান্ত ছড়িয়ে দিতে সফল হবে না।’
তারেক বলেন, প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে নির্মমভাবে আহত এবং প্রায় দুই হাজার ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে হত্যার পর শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তখন বিধ্বস্ত প্রশাসন ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব গ্রহণ করে। মাত্র তিন মাসে ১৫ বছর ধরে মাফিয়া সরকারের সৃষ্ট জঞ্জাল দূর করা অসম্ভব হলেও এই সময়ের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সফলতা বা ব্যর্থতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তোলা অযৌক্তিক বা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
তিনি বলেন, সরকারকে মনে রাখতে হবে, জনগণের সব দাবি পূরণ করা সম্ভব নাও হতে পারে। ‘তবে সরকারের মধ্যে যদি যোগ্যতার ঘাটতি থাকে বা জনগণ যদি তা উপলব্ধি করে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তারা তা মেনে নেবে না।’
তারেক আরও বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় যদি ভুলভাবে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা হয়, তাহলে তা সরকারের অদক্ষতার লক্ষণ হিসেবে দেখবে জনগণ।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, গণঅভ্যুত্থানে আহতরা সম্প্রতি সুচিকিৎসার দাবিতে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এটি দেশের সকল গণতন্ত্রকামী মানুষের জন্য, বিশেষ করে সাধারণ নাগরিক ও বিবেকবানদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক দৃশ্য। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা ও নিরাপত্তা কেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অগ্রাধিকার নয়? অথবা তাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় এটি কোথায় দাঁড়িয়ে আছে?'
তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সরকার বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ হওয়ায় সমাজের সর্বস্তরের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
‘সুতরাং আরেকটি প্রশ্ন উঠছে, দ্রব্যমূল্য কমানো সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন অগ্রাধিকার তালিকায় কোথায়? প্রশ্ন তোলেন তারেক।
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সব পদক্ষেপকে সবাই সাফল্য হিসেবে দেখতে পারে না। তবে অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকারের ব্যর্থতা আমাদের সবার ব্যর্থতা। এটা অবশ্যই আমাদের স্বীকার করতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গত ১৫ বছরে স্বৈরাচারী সরকারগুলো দেশকে আমদানি ও বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভরশীল করে তুলেছে। এ অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।’
তাদের দল ইতোমধ্যে রাষ্ট্রের ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব পেশ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য একটি ঐতিহাসিক দলিল।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশ এখন এক সংকটময় সময় পার করছে।‘আমাদের অবশ্যই এই সময়টি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পরিচালনা করতে হবে।’
জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নির্বাচনি সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়ে দলের ভাবমূর্তি সংরক্ষণের জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তারেক।
জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ড. এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি ফিরলে ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বৈরাচার দমনের অঙ্গীকার তারেকের
তারেকের জন্মদিন পালনের কর্মসূচি নেই বিএনপির
১২০ দিন আগে
বিএনপি ফিরলে ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বৈরাচার দমনের অঙ্গীকার তারেকের
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, তার দল ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়ে তুলবে, যাতে প্রধানমন্ত্রীও যেন ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারেন বা স্বৈরাচারী হিসেবে আবির্ভূত হতে না পারেন।
বৃহস্পতিবার লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এক সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, জনগণের মৌলিক মানবাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে বিএনপি দেশকে গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্রে রূপান্তর করবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব, যাতে কোনো ব্যক্তি, এমনকি প্রধানমন্ত্রীও ভবিষ্যতে বাংলাদেশে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারেন।’
তিনি আরও বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়-এটি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে সরকারের প্রতিটি স্তর পর্যন্ত জবাবদিহি ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: তারেকের জন্মদিন পালনের কর্মসূচি নেই বিএনপির
রাজনৈতিক মতাদর্শের পার্থক্য থাকলেও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে, এরই মধ্যে দেশে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছে বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুনর্গঠনে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ, যাতে স্বৈরাচারী বা ফ্যাসিবাদীরা আর কখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে।’
কেউ কোনো নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতা লঙ্ঘন করতে পারবে না-এমন বাংলাদেশ গড়াই বিএনপির ভিশন বলে মন্তব্য করেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, 'আমরা সবাই নিরাপদ ও সুরক্ষিত বাংলাদেশ চাই। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে এবং নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকার জনগণের মালিকানা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনামলে তথাকথিত উন্নয়নের রাজনীতি দেখেছে জাতি; যার মূলে ছিল দুর্নীতি, দুঃশাসন ও দুর্বৃত্তায়ন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি যদি জনগণের ভোটে সরকার গঠন করে, তাহলে জনগণের ক্ষমতায়ন ও অংশীদারিত্বের রাজনীতি দেখতে পাবেন। আইনের শাসন, মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতাই হবে আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার ভিত্তি।’
রাজধানীর একটি হোটেলে রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা রূপরেখা নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করে বিএনপি। সেমিনারে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন বিদেশি মিশনের কূটনীতিক, সুশীল সমাজের সদস্য এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন চলাকালে অর্ধশতাধিক দলের সঙ্গে ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় সংস্কার প্রস্তাব প্রস্তুত করেছিল বিএনপি।
তিনি বলেন, হাসিনার শাসনের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে রাষ্ট্রীয় সংস্কার তদারকির জন্য বিভিন্ন কমিশন গঠন করেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এসব কমিশন থেকে যেসব সংস্কার প্রস্তাব উঠে আসবে, তা ৩১ দফার রূপরেখার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। তাই আমরা ৩১ দফা রূপরেখা আবারও জনগণের সামনে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
২০২৩ সালের ১৩ জুলাই সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার 'সংস্কার' এবং জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিতের লক্ষ্যে ৩১ দফা রূপরেখা ঘোষণা করে বিএনপি। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দলের সঙ্গে পরামর্শ করে এই প্রস্তাব তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারই জাতীয় সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি: তারেক
১২২ দিন আগে