সুষ্ঠু
নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে মহাদুর্যোগ দেখা দেবে: গোলাম পরওয়ার
অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ না হলে জাতির জন্য মহাদুর্যোগ দেখা দেবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
শনিবার (২১ জুন) বেলা ১১টায় যশোর শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে রুকন শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, নির্বাচন যখনই হোক; সেই নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার দেশবাসীর কাছে যে কমিটমেন্ট (অঙ্গীকার) করেছে, সেদিকে সরকারকে সোজা থাকতে হবে। কোনো পাশে ঝুঁকলে হবে না। মাঝখানে সরকার জাতির সামনে সংশয় সৃষ্টি করেছিল।’
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনার হাতে যদি নির্বাচন ব্যর্থ হয়ে পড়ে, নিরপেক্ষ না হয়; তাহলে জাতির সামনে বড় দুর্যোগ অপেক্ষা করছে। একটা ভুলের পুনরাবৃত্তি দ্বিতীয়বার না হয়, সেই নিরপেক্ষতার প্রমাণ সরকারকেই দিতে হবে।’
পড়ুন: ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে আজ যোগ দিয়েছে জামায়াত
নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে জামায়াতের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই মন্তব্য করে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে আমাদের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর সংস্কার করতে হবে।’
‘কেননা, বিগত সরকারের সময়ে সব সেক্টরগুলো দুর্নীতিতে তছনছ হয়ে গেছে। আইন, বিচার, সংবিধানসহ গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলো অব্যশই সংস্কার করতে হবে। আর বাকিগুলো নির্বাচিত সরকার এসে করবে। আসল কাজগুলোর সংস্কার না হলে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এলে সংস্কার ব্যাহত হতে পারে,’ যোগ করেন তিনি।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে চেয়েছি, তার কারণ, স্থানীয় সরকারের কাঠামো না থাকাতে জনদুর্ভোগ বাড়ছে। উন্নয়ন প্রকল্প এখন সরকারি অফিসারের হাতে সীমাবদ্ধ। দুর্নীতি, ব্যক্তিপূজা ও স্বজনপ্রীতিতে অর্থ আত্মসাতের সুযোগ তারা পাচ্ছে। অবকাঠামো উন্নয়ন এবং জনগণের দুর্ভোগ কমাতে অব্যশই স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে দিতে হবে।’
পড়ুন: দেশের স্বার্থে যেকোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐক্যে যেতে রাজি জামায়াত: গোলাম পরওয়ার
তিনি বলেন, ‘যেকোনো রাজনৈতিক দলের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে আমরা আশঙ্কা করি, কালোটাকার প্রয়োগ, পেশিশক্তি দিয়ে তারা স্থানীয় সরকারের সব সেক্টরে তাদের লোকজনদের বসাবে। এই নির্বাচনে দলকে ভোট দেবে, ব্যক্তিকে নয়।’
দেশ নিয়ে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে মন্তব্য করে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের চেতনাকে ধারণ করে একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকে যেতে চাই। এই নির্বাচনে কেউ ভোট ডাকাতি করে, ভোটাধিকার হরণ করে, কালো টাকার পেশিশক্তি দিয়ে আবারও ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো পরিস্থিতির দিকে দিয়ে যেতে চাইলে জনগণই তাদের প্রতিহিত করবে।’
যশোর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আজীজুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
১৬৭ দিন আগে
অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করব: প্রধান উপদেষ্টা
যত দ্রুত সম্ভব একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনই অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এমন অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আমাদের জনগণকে আশ্বস্ত করেছি যে, প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন হলে আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব অনুযায়ী আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করব। আমাদের জনগণ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সঙ্গত ও স্বাধীন সমাজের স্বপ্ন দেখেছিল যেখানে প্রতিটি সাধারণ মানুষ তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারে।’
বাংলাদেশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ১৯৭১ সালে লাখ লাখ সাধারণ নারী-পুরুষ, শিশু ও যুবক একটি নৃশংস সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসব্যাপী গণহত্যায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছিল।
আরও পড়ুন: স্টারলিংক বাংলাদেশের ডিজিটাল জগতে বিপ্লব আনবে: প্রধান উপদেষ্টা
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে, গত পনেরো বছরে আমাদের জনগণ বিশেষ করে যুবসমাজ, ক্রমাগত তাদের অধিকার ও স্বাধীনতা সংকুচিত হতে দেখেছে। তারা রাষ্ট্রের প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের অবক্ষয় ও নাগরিক অধিকারের অবমাননা প্রত্যক্ষ করেছে।’
তিনি বলেন, সাধারণ জনগণ একটি নৃশংস স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়েছে। কিন্তু স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে প্রায় ২ হাজার নিরীহ মানুষ, যাদের বেশিরভাগই তরুণ এবং ১১৮ জন শিশু প্রাণ হারিয়েছে।
‘বাংলাদেশের জনগণ তার ইতিহাসে এক নবজাগরণ প্রত্যক্ষ করেছে। যেসব ছাত্রনেতা এই গণজাগরণে নেতৃত্ব দিয়ে শেখ হাসিনার দুর্নীতিগ্রস্ত ও স্বৈরাচারী শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করেছে, তারা তাকে অনুরোধ করেছিল এই সংকটময় মুহূর্তে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে। আমি আমাদের জনগণের স্বার্থে এই দায়িত্ব গ্রহণে সম্মত হয়েছি।’
সরকারপ্রধান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে তারা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও টেকসই প্রবৃদ্ধি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বলিষ্ঠ ও সুদূরপ্রসারী সংস্কার গ্রহণ করবে। আমরা সুশাসন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই বিষয়গুলোই আমাদের পরিকল্পিত সংস্কারের মূল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, সরকার ইতিমধ্যে বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও সংবিধান সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করেছে, যাতে জনগণের মালিকানা, জবাবদিহিতা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা যায়। এই কমিশনগুলো ইতিমধ্যে তাদের সুপারিশ জমা দিয়েছে, যা বর্তমানে সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করেছি। আমি নিজেই যার নেতৃত্ব দিচ্ছি এবং এতে ছয়টি কমিশনের প্রধানরা রয়েছেন। এই কমিশনগুলো যে সুপারিশগুলো জমা দিয়েছে, তা পর্যালোচনা এবং গ্রহণ করার জন্য এ কমিশন গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা
সরকার প্রধান আরও জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্প্রতি আরো চারটি কমিশন গঠন করেছে, গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম এবং নারী অধিকার সংক্রান্ত নীতিগত সুপারিশ দেওয়ার লক্ষ্যে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করছি, তখন আমরা দেশের প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে অবিচলভাবে কাজ চালিয়ে যাব, তারা নারী হোক কিংবা জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু হোক।’
অনুষ্ঠানে থাই প্রধানমন্ত্রী এবং সম্মেলনের চেয়ারপার্সন পেতংতার্ন শিনাওয়াত্রা, বিমসটেক মহাসচিব রাষ্ট্রদূত ইন্দ্র মনি পান্ডে এবং বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
২৪৫ দিন আগে
বিএনপির লক্ষ্য গণতান্ত্রিক, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়া: তারেক রহমান
সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সবার জন্য বাসযোগ্য ও উপভোগযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তোলা বিএনপির লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, 'আসুন আমরা সবাই মিলে বৈষম্যহীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদার সমাজের ভিত্তির ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করি। আপনাদের কল্যাণ এবং সাফল্য আমাদের অগ্রাধিকার।’
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) আগারগাঁও এলজিইডি মিলনায়তনে শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তার দল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, সামাজিক ক্ষমতায়ন ও মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তাদের জীবনমান উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রম সমন্বয় করতে একটি পৃথক পরিদপ্তর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেবে।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের জন্য একটি মর্যাদাশীল, যোগ্য ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে তার দল বদ্ধপরিকর বলেও জানান বিএনপির এই নেতা।
তারেক বলেন, ‘আমি এবং আমার দল বিএনপি স্বীকার করছে যে, আপনাদের সমস্যা ও দুর্ভোগ বাস্তব ও গভীর। কিন্তু আপনাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, এই লড়াইয়ে আপনি একা নন। আমরা সব সময় আপনাদের পাশে আছি এবং থাকব। আপনাদের প্রতিবন্ধকতাই আমাদের বাধা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আপনাদের পেছনে ফেলে আমরা কখনো সামনে এগোতে পারব না।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ধৈর্য ধরতে বলেছেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বিএনপি প্রতিবন্ধীসহ সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। ‘আমরা সবাই মিলে যে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলব, তা সবার জন্য সুষ্ঠু, সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, সবার জন্য বাসযোগ্য এবং সবার জন্য উপভোগ্য হবে।’
তিনি বলেন, রাজনীতিবিদ হিসেবে নয়, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাই, বন্ধু ও অভিভাবক হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়ানোর দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে আমি এ ধরনের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছি।
রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের প্রতিভা অন্বেষণ ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সহযোগিতা করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন তারেক রহমান।
বিএনপি নেতা উল্লেখ করেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আপনারা আমাদের সমাজ ও পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আপনারা দেশকে এগিয়ে নিতে এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন।’
তিনি চারজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অনুপ্রেরণামূলক গল্পও তুলে ধরেন। যারা তাদের স্বপ্নগুলো উপলব্ধি করেছিলেন এবং শারীরিক ও অন্যান্য বাধা অতিক্রম করে সাফল্য অর্জন করেছেন।
তিনি বলেন, এই চারজন আমাদের দেখিয়েছেন যে সত্যিকারের ক্ষমতা শরীর দিয়ে পরিমাপ করা হয় না, বরং মনের শক্তি, ইচ্ছাশক্তি এবং কঠোর পরিশ্রম দিয়ে পরিমাপ করা হয়। তাদের গল্পগুলো আমাদের শেখায় যে 'বাধা' কেবল একটি শব্দ যা প্রচেষ্টার মাধ্যমে অতিক্রম করা যায়। আমাদের কর্তব্য তাদের সংগ্রামকে সম্মান করা এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে প্রতিটি মানুষ তার সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠার এবং তাদের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ পাবেন।’
ভবিষ্যতে বাংলাদেশে শারীরিক সীমাবদ্ধতার কারণে কেউ বৈষম্যের শিকার হবে না বা পেছনে পড়ে থাকবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে কাজ করে আমরা এমন একটি সমাজ গড়ে তুলব, যেখানে প্রতিটি মানুষ তার সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটাতে পারবে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সবার অধিকার নিশ্চিত করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণে তার দল বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষদের যেসব সমস্যা রয়েছে তা দূর করা, বর্তমানে তারা যে বৈষম্যের শিকার তা দূর করা এবং তাদের সার্বিক কল্যাণ উন্নয়নে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেবে।
প্রতিবন্ধী নাগরিক সংগ্রাম পরিষদের (পিএনএসপি) সাধারণ সম্পাদক সালমা মাহবুবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে দেড় শতাধিক শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষ অংশ নেন।
অংশগ্রহণকারীরা পারিবারিক ও সামাজিক অসুবিধা থেকে শুরু করে পরিবহন বাধা, সরকারি পরিষেবাগুলো ব্যবহারের সুযোগের অভাব, সীমিত শিক্ষার সুযোগ এবং বিভিন্ন ধরণের বৈষম্যের মতো বিষয়গুলোর মতো অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়।
তারা তাদের প্রতি নেতিবাচক সামাজিক মনোভাব এবং তারা প্রায়শই যে বর্জনের অভিজ্ঞতা অর্জন করে তাও তুলে ধরেছিল।
এছাড়া বিশেষ ভাতা বৃদ্ধি, মানসম্মত ও ঝামেলামুক্ত শিক্ষা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা, সরকারি সেবা ও অফিসে সহজলভ্য প্রবেশাধিকার, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য উপযোগী পরিবহন ও সেবা চালু, সরকারি স্বীকৃতি ও ইশারা ভাষার ব্যবহার, তাদের অধিকারের জন্য বিশেষ কমিশন গঠন, 'প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা আইন-২০১৩' সময়োপযোগী করাসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানানো হয়।
শারীরিক প্রতিবন্ধীরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, তার দল ক্ষমতায় গেলে তাদের সমস্যা সমাধান, মূল্যবান মানবসম্পদে রূপান্তর এবং বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পদক্ষেপ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: আগামীতে বাংলাদেশে জবাবদিহিতার সরকার চান তারেক রহমান
৩৫৬ দিন আগে
বাংলাদেশে গ্রেপ্তারদের বিষয়ে যা বলল মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জন্য সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ সময় বিরোধী দলের সদস্য, গণমাধ্যম পেশাজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও নাগরিক জীবনে অর্থবহ অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বানও জানানো হয়।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেই দৃষ্টিকোণকে এগিয়ে নিতে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখব।’
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বাংলাদেশের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে 'অবাধ ও সুষ্ঠু' বললেও মুখপাত্র বলেন, জাতীয় নির্বাচন যে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ হয়েছে এমনটা তারা পাননি।
নির্বাচনটিকে কেন্দ্র করে বিরোধী রাজনৈতিক সদস্যদের গ্রেপ্তার নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মিলার বলেন, গণতান্ত্রিক নীতিকে এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে, যা সকল বাংলাদেশির জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার চাবিকাঠি।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার সরকারকে স্বীকৃতি না দেওয়ার চিন্তা নাকচ করল যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদারে পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র: বেদান্ত প্যাটেল
৬৭৪ দিন আগে
পদ্মা ফেরিডুবি: সুষ্ঠু তদন্ত দাবি জাতীয় কমিটির
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের কাছে বুধবারের ফেরিডুবির ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি (এনসিপিএসআরআর)।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সংগঠনের সভাপতি মো. শহিদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবি, নিখোঁজ ২৫
অজ্ঞাতপরিচয় বাল্কহেডকে দোষারোপ না করে ডুবে যাওয়া ফেরি 'রজনীগন্ধা' তৈরির সময় কোনো ত্রুটি ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে নাগরিক সংগঠনটি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) জানায়, বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ফেরিটি ডুবে গেছে।
আরও পড়ুন: পদ্মায় ফেরিডুবির ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন
বিআইডব্লিউটিসির বক্তব্যকে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে ফেরিটির নির্মাণ ত্রুটি ও সর্বশেষ ফিটনেস জরিপসংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত যাচাই করা প্রয়োজন।
দুর্ঘটনার পর থেকে জাতীয় কমিটি উদ্ধার তৎপরতাসহ পুরো বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৪ সালে একটি বেসরকারি ডকইয়ার্ডে ফেরিটি নির্মাণ করা হয়।
আরও পড়ুন: বাল্কহেড ধাক্কা দেওয়ায় ফেরিডুবির ঘটনা ঘটেছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
এত অল্প সময়ের মধ্যে বাল্কহেডের (বালুবহনকারী ছোট জাহাজ) ধাক্কায় এত বড় জাহাজের হাল ভেঙে নদীতে পড়ে যাবে তা অবিশ্বাস্য।
জাতীয় কমিটির নেতারা অবিলম্বে ফেরিসহ ডুবে যাওয়া যানবাহন উদ্ধার এবং নৌ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহন নিয়ে ফেরিডুবি, চালক নিখোঁজ
৬৮৬ দিন আগে
সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তৈমুর আলমের
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসি এলাকায় নিজের পৈতৃক বাড়িতে সাংবাদিকদের তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফল অনুমান করতে যাচ্ছি না: মার্কিন মুখপাত্র
তৈমুর বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে এতদিন নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে আমার কোনো আশঙ্কা ছিল না।
তিনি আরও বলেন, তবে রবিবার সকালে বিভিন্ন পত্রিকা পড়ে জানতে পারলাম, রূপগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করেছে সরকার দলীয় প্রার্থীর লোকজন।
তিনি বলেন, এতে আমি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করছি। প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে যে কমিটমেন্ট দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করতে হলে সরকারি দলের বিভিন্ন বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
তৈমুর আলম খন্দকার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকার দলীয় মনোনীত প্রভাবশালী প্রার্থীসহ মন্ত্রী-এমপিদের পেশিশক্তি নিয়ন্ত্রণ করা না হলে নির্বাচনে এর ভয়াবহ প্রভাব পড়বে।
তাই নির্বাচনের আগেই সরকার দলীয় প্রার্থীদের নিজস্ব বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণসহ সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং বৈধ অস্ত্রগুলো জমা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তৈমুর।
তিনি মনে করেন, তা না হলে ভয় ও আতঙ্কের কারণে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে ইসির নিবন্ধন পেল আরও ২৯ প্রতিষ্ঠান
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: ফেনীতে নৌকার প্রার্থীকে শোকজ
৭২৬ দিন আগে
অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: আফরিন আখতার
বাংলাদেশে 'অবাধ ও সুষ্ঠু' নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন সফররত মার্কিন ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার। মঙ্গলবার(১৭ অক্টোবর) বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত প্রতিশ্রুতিকে সমর্থন করার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
সোমবার ঢাকায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর আফরিন কোনো মন্তব্য না করলেও তিনি বলেন, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম এবং অন্যান্য সব পক্ষের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অবাধে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার বিষয়েও তারা আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন,‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, আমাদের দীর্ঘদিনের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নসহ বিস্তৃত বহুমুখী সম্পর্কসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কীভাবে নির্বাচন হবে, তা সেই দেশের মানুষই নির্ধারণ করবে: অরিন্দম বাগচি
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আখতারের বৈঠকের পর ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তারা দু'দেশের মধ্যে 'শক্তিশালী বহুমুখী' দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, দীর্ঘদিনের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, মধ্যপ্রাচ্য, স্বাধীন ও নির্দলীয় নির্বাচন জরিপ দলের সাম্প্রতিক সফর এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সমর্থন নিয়ে আলোচনা হয়।
মঙ্গলবার আরআরআরসি’র মিজানুর রহমানের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা উল্লেখ করে আখতার বলেন, রোহিঙ্গাদের যে কোনো প্রত্যাবাসন 'স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ' হতে হবে।
আরও পড়ুন: আইআরআই-এনডিআই মিশনের সুপারিশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘প্রায় একমত’: পররাষ্ট্র সচিব
তিনি বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল না হওয়ায় প্রত্যাবাসনে জোরপূর্বক কোনো প্রচেষ্টা চালানো উচিত নয়।
আখতার বলেন, ‘তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনসহ একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে আমরা বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাব।’
তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা এবং 'অবিশ্বাস্য উদারতার' প্রশংসা করেন। ‘আমরা সত্যিই উদারতার প্রশংসা করি।’বলেন তিনি।
২০১৭ সালে দমন পীড়ন থেকে বাঁচতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: মাসুদ-আফরিন বৈঠক: বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ‘অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচন চায়
৭৮০ দিন আগে
আগামী নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগামী নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে এবং তা পৃথিবীর মানুষের নিকট গ্রহণযোগ্যতা পাবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন বানচাল করার জন্য বিএনপি বিভিন্ন রকম আন্দোলন কর্মসূচি করছে, নানা রকম হুমকি দিচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের মতো আবারও সহিংসতা, আগুন সন্ত্রাস ও তাণ্ডব সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
আরও পড়ুন: অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য বিএনপি অস্থির হয়ে পড়েছে: কৃষিমন্ত্রী
শনিবার (৭ অক্টোবর) টাঙ্গাইলের মধুপুর জাতীয় উদ্যানের দোখলা রেঞ্জে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উন্মোচন এবং বন উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত আলোচনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোরভাবে তাদের এ অপচেষ্টাকে মোকবিলা করছে। একইসঙ্গে, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে বিএনপিকে মোকাবিলা করার সর্বাত্মক চেষ্টা করবে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নির্বাচন বানচাল করার জন্য কোনো বিদেশি শক্তি বা দেশ যদি চেষ্টা করে তা মোকাবিলা করার মতো অর্থনৈতিক সক্ষমতাসহ সকল শক্তি বাংলাদেশের রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। জনগণকে নিয়েই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সকল ষড়যন্ত্র আমরা মোকাবিলা করব।
মন্ত্রী বলেন, আমেরিকা অর্থনৈতিক, সামরিকভাবে শক্তিশালী বড় দেশ। তাদের বিভিন্ন হুমকি, নিষেধাজ্ঞা প্রভৃতি শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর অন্য অনেক দেশকেও মোকাবিলা করতে হয়। অর্থনৈতিকভাবে যদি আমেরিকা স্যাংশন দেয়, আমরাও দেখবো কীভাবে তা মোকাবিলা করা যায়। আন্তর্জাতিক বিশ্বে অনেক দেশ আমাদের সাথে আছে। কাজেই, স্যাংশন দিয়ে আমাদেরকে নিবৃত্ত করা যাবে না।
মধুপুরের বন দেশের জাতীয় সম্পদ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটি টাঙ্গাইলের জন্য ঐতিহ্য ও গৌরবের। ঘনবসতিপূর্ণ দেশে বন রক্ষা করা খুবই কঠিন। নানা কারণে বনের অনেকটা ধ্বংস হয়েছে। মধুপুরের বন রক্ষার জন্য আমরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। যারা বন কাটত, তাদেরকে আমরা বন রক্ষার জন্য ভলান্টিয়ার করেছি। ২৮ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে কম সময়ে অধিক ফলনে গুরুত্ব দিচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী
আলুর সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি: কৃষিমন্ত্রী
৭৯০ দিন আগে
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, সহিংসতামুক্ত নির্বাচন চায় যুক্তরাজ্য: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশে একটি ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত’ নির্বাচন দেখার আশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত পঞ্চম কৌশলগত সংলাপের সময় যুক্তরাজ্যের পক্ষ বাংলাদেশের সঙ্গে নির্বাচন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেহেতু তারা আমাদের পুরনো বন্ধু এবং উন্নয়ন সহযোগী, তাই আমাদের নির্বাচনে তাদের আগ্রহ রয়েছে। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি (সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য)। আমরা ইতিবাচক আলোচনা করেছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক’ শব্দের অনেক অর্থ হতে পারে।
সব মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ এক ধরনের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। তিনি বলেন, কোন দল কী ভাবছে তা তারা জানে না।
মাসুদ মোমেন বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই।
আরও পড়ুন: দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামোতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণে আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশ-ফ্রান্সের
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে আলোচনায় যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে উৎসাহিত করেছে যাতে বাংলাদেশের জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
যুক্তরাজ্য মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতাকে সম্মান করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাচ্ছে যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, অনিয়মিত হয়ে পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার উপায় খুঁজতে দুই দেশ স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সই করতে সম্মত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আরও বেশি শিক্ষার্থী ও শ্রমিক যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে বলে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপও গঠন করা হবে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সংলাপে জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, গতিশীলতা ও অভিবাসন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শাসন, মানবাধিকার, ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল, সাইবার নিরাপত্তা এবং মানবাধিকারের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন,‘আমরা এই ইস্যুতে আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি,’তারা রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেছেন।
উভয় পক্ষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন কীভাবে এগিয়ে চলেছে তা নিয়েও আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের স্থায়ী আন্ডার সেক্রেটারি স্যার ফিলিপ বার্টন এই সংলাপের সহ-সভাপতিত্ব করেন। যা একটি আধুনিক অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জন্য দুই দেশের যৌথ অঙ্গীকার প্রতিফলিত করে।
সংলাপে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও উন্নয়ন অংশীদারিত্ব এবং রোহিঙ্গা সঙ্কটসহ বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা হয়।
এটি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা, কপ২৮-এ সহযোগিতা এবং জলবায়ু অর্থায়ন, জলবায়ু প্রভাবগুলোর অভিযোজন এবং সহনশীলতার উপর যৌথ কাজ এবং যুক্তরাজ্যের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিনিয়োগের প্রস্তাব প্রদর্শনের সুযোগ প্রদান করেছে।
চতুর্থ বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য কৌশলগত সংলাপ ২০২১ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
সর্বশেষ কৌশলগত সংলাপের সময় যুক্তরাজ্য ২০২৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার প্রদানের মাধ্যমে একটি মসৃণ এবং সফল এলডিসি অর্জন এবং রপ্তানি-নেতৃত্বাধীন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
যুক্তরাজ্য ডব্লিউটিওর কার্যকারিতা উন্নত করে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য বিধি আধুনিকীকরণের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু বাণিজ্য সরবরাহের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য চাপ অব্যাহত রাখছে যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্যের ল্যান্ডমার্ক ডেভেলপিং কান্ট্রিস ট্রেডিং স্কিম (ডিসিটিএস) এই বছরের জুন থেকে কার্যকর হয়েছে যা বাংলাদেশ সহ ৬৫টি উন্নয়নশীল দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশকারী পণ্যের উপর শুল্ক হ্রাস করে এবং ট্রেডিং নিয়মগুলোকে সহজ করে।
যুক্তরাজ্য সরকার বলেছে, ডিসিটিএস বাণিজ্য ও চাকরি বৃদ্ধি এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। এই নতুন স্কিমটি বাংলাদেশের সঙ্গে একটি আধুনিক এবং পারস্পরিকভাবে উপকারী অংশীদারিত্বের প্রতি যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এখন পর্যন্ত তারা জানে যে তিনি সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আপনার অর্জন খুবই আকর্ষনীয়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বাইডেন
৮১৫ দিন আগে
আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হবে: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সরকার অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে।
তিনি বলেন, ‘আমি গুজবে কান দিই না। আমরা অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করব। গত কয়েকটি নির্বাচনে আমরা তা প্রমাণ করেছি। সেগুলোর সবকটি স্বাধীন, ন্যায্য এবং সহিংসতামুক্ত হয়েছে।’
রবিবার সংসদে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের সর্বোত্তম সেবা দিতে হবে: মোমেন
দেশে অনিশ্চয়তা সৃষ্টিকারী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে জনগণ রুখে দাঁড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেন মোমেন।
মোমেন বলেন, ‘আপনি বারবার প্রমাণ করেছেন যে আপনি কোনো বিদেশি শক্তির কাছে পরাজিত নন। এবারও আপনারা সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব ধরনের বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়বেন।’
তিনি বলেন, তার মন্ত্রণালয় জাতীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘(এটা) যাতে কোনো ধরনের উন্মাদনা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং আর্থ-সামাজিক অস্থিতিশীলতার কারণে রাষ্ট্র ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত না হয়। বিভিন্ন মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে। তাদের থেকে সাবধান।’
দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো ধরনের প্ররোচনা বা তাগিদে দেশের দুর্ভাগ্য ডেকে আনবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অর্জনে আমরা আপনাকে সমর্থন করি... বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে একটি কায়েমী মহলের ক্ষোভ থাকতে পারে। সরকারের প্রতি বিদ্বেষে তারা দেশকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করছে। আমরা তাদের বন্ধুদের সতর্ক থাকতে বলব। দেশকে ধ্বংস করলে আপনারও ক্ষতি হবে।’
বাজেটে রাজস্ব ও করদাতার সংখ্যা বাড়াতে মন্ত্রী দু’টি প্রস্তাব দেন।
প্রথমটি হলো যে সকল বাংলাদেশি নাগরিক যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে তাদের ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করা উচিত এবং দ্বিতীয়টি হলো যারা ২৫ হাজার টাকার ওপরে লেনদেন করে তাদের তা ব্যাংক এবং চেকের মাধ্যমে করা উচিত।
গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশের উন্নয়ন ধরে রাখতে জাতীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সরকারকে আরও দক্ষ হতে হবে।
মন্ত্রী উল্লেখ করেন, অনেক সময় প্রস্তাবিত প্রকল্পের মেয়াদ অপ্রয়োজনীয়ভাবে দীর্ঘায়িত করা হয়।
‘এতে প্রকল্পের খরচের পাশাপাশি সরকারের খরচও বাড়ে। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করতে আরও তদারকি প্রয়োজন।’
এ প্রসঙ্গে তিনি এমন একটি দেশের কথা উল্লেখ করেন যেখানে কোনো প্রকল্প পরিচালক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প শেষ করতে ব্যর্থ হলে তাকে বরখাস্ত, জেল ও জরিমানা করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘ফলে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ে না…. আপনি যদি এই বিষয়ে মনোযোগ দেন তবে আমি খুশি হব।’
আরও পড়ুন: কংগ্রেসের চিঠিতে উল্লেখিত সংখ্যালঘুদের নিয়ে বক্তব্য সত্য নয়: মোমেন
বৃহত্তর বৈশ্বিক স্বার্থে বহুপাক্ষিকতাকে সমুন্নত রাখুন: জি২০ সভায় মোমেন
৮৯৪ দিন আগে