গ্রিড বিপর্যয়
ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-৫ পুনরায় চালু
দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ইউনিট-৫ পুনরায় চালু হয়েছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক শামীম হাসান ইউএনবিকে বলেন, ‘ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-৫ গতকাল থেকে চালু হয়েছে এবং ক্ষমতার ২১০ মেগাওয়াটের বিপরীতে ১৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।’
ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-৫ জাতীয় পর্যায়ে গ্রিড বিপর্যয়ে অন্যান্য ইউনিটের সঙ্গে ৪ অক্টোবর বন্ধ হয়ে যায়।
ইউনিট-৫ ব্যতীত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রায় সব ইউনিট একই দিনে পুনরায় চালু হয়।
ফলে ঢাকা মহানগর ও আশপাশের এলাকাগুলো এই কেন্দ্র থেকে তুলনামূলক কম বিদ্যুৎ পাচ্ছিল। ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বড় ভূমিকা পালন করে।
বড় ধরনের কারিগরি ত্রুটির কারণে ঘোড়াশালের ইউনিট-৫ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে ব্যর্থ হন কর্মকর্তারা। মেরামতের পরে বিপিডিবি’র প্রকৌশলীরা বুধবার কেন্দ্রের ইউনিটটির কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে সক্ষম হন।
আরও পড়ুন: ঘোড়াশালে ৩৬৫ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টের কার্যক্রম বন্ধ
বিপিডিবি’র এক কর্মকর্তা জানান, ইউনিট-৫ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুনরায় চালু হলে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে বিস্তর ব্যবধানের কারণে ঢাকা শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় এখনও ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে।
বিপিডিবি ডেটা দেখায় যে, প্রায় ১৪ হাজার মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের পর থেকে ১১ হাজার থেকে ১২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২য় ইউনিটের চুল্লি স্থাপনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
লোডশেডিং: ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি হবে না
২ বছর আগে
গ্রিড বিপর্যয়: পিজিসিবির দুই কর্মকর্তা বরখাস্ত হচ্ছেন
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের ঘটনায় অবহেলার দায়ে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) দুই প্রকৌশলীকে বরখাস্ত করা হবে। গত ৬ অক্টোবর দেশব্যাপী ব্ল্যাকআউট সৃষ্টি হয়েছিল।
ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আজ থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে পিজিসিবির একজন সহকারী প্রকৌশলী ও একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে সোমবারের মধ্যে ব্যবস্থা: নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, ‘পাওয়ার গ্রিড বিপর্যয়ের জন্য দায়ী অন্যদের চিহ্নিত করে এই সপ্তাহের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গত ৬ অক্টোবরের জাতীয় গ্রিড ব্যর্থতার কারণ চিহ্নিত করতে বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। ওইদিন বাংলাদেশের বেশিরভাগ অংশে সাত ঘণ্টার ব্ল্যাকআউট সৃষ্টি হয়েছিল। তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কমিটিকে তিন দিন সময় দেয়া হয়েছিল
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাতে ভালো সমন্বয় দরকার: নসরুল হামিদ
লোডশেডিং: নভেম্বরের আগে উন্নতির আশা নেই, বললেন নসরুল হামিদ
২ বছর আগে
গ্রিড বিপর্যয়ের সঠিক কারণ খুঁজতে আরও সময় প্রয়োজন: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দু’দিন আগে জাতীয় পাওয়ার গ্রিডে বিপর্যয়ের সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। এ ঘটনায় দেশের অধিকাংশ এলাকা ব্ল্যাকআউটের কবলে পড়ে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, যখন দেশের পূর্বাঞ্চলে বিদ্যুতের ঘাটতি ও পশ্চিমাঞ্চলে উদ্বৃত্ত হয়েছে ঠিক তখনই ট্রান্সমিশন সিস্টেম বিকল হয়ে গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দেয়।’
তিনি উল্লেখ করেন, গ্রিড বিপর্যয়ে প্রথম পাওয়ার প্ল্যান্ট হিসেবে ঘোড়াশাল স্টেশনে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়। এতেই বিস্তর আকারে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে পিজিসিবির (পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ) একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে এবং শিগগিরই বিদ্যুৎ বিভাগের আরেকটি কমিটিও গঠন করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বিএনপি নেতা ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদের বক্তব্য উল্লেখ করে বলেন, গ্রিড বিপর্যয় নাশকতা কি না তা তদন্ত করা হবে।
তিনি বলেন, ইকবাল মাহমুদ কীভাবে জানেন যে গ্রিড বিপর্যয়ের মতো ঘটনা ভবিষ্যতেও ঘটবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়: তদন্ত শুরু করেছে পিজিসিবি কমিটি
নসরুল হামিদ অবশ্য স্বীকার করেছেন যে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে পিজিসিবি’র উন্নয়ন প্রত্যাশিতভাবে হয়নি।
পিজিসিবি অটোমেশনের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে আমরা অনেক পিজিসিবি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আমরা তফসিল বাস্তবায়নে দুই বছর পিছিয়ে আছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করি, আগামী দুই বছরের মধ্যে আমরা অটোমেশন প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হব এবং এরপরে এ ধরনের গ্রিড বিপর্যয়ের সম্ভাবনা হ্রাস পাবে।’
আরও পড়ুন: গ্রিড ব্যর্থতার পেছনে বিদ্যুৎ খাতে চুরি: ফখরুল
জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়: পিজিসিবি একটি ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
২ বছর আগে