নিষেধ
কাপ্তাই হ্রদে ২০ এপ্রিল থেকে ৩ মাস মাছ ধরা নিষেধ
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনের মাধ্যমে মাছের বংশ বৃদ্ধি, অবমুক্ত পোনার মাছের বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন এবং যথাযথ সংরক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আগামী ২০ এপ্রিল দিবাগত রাত থেকে কার্যকর হবে এই নিষেধাজ্ঞা। এই সময় থেকে কাপ্তাই হ্রদের মাছ পরিবহন ও বাজারজাতকরণও নিষিদ্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে স্পিডবোট ও বালুভর্তি ট্রলারের সংর্ঘষে আহত ৭, নিখোঁজ ২
সোমবার (১০ এপ্রিল) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ‘কাপ্তাই হ্রদের মাছ আহরণ প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণ’- বিষয়ক সভায় জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য জানান।
বৈঠকে রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক সাইফুল ইসলাম, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙ্গামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র দাস, নৌপুলিশ প্রতিনিধি, বিজিবি প্রতিনিধিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মূলত, কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণসহ হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিবছর কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়।
এছাড়া হ্রদে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞাকালীন মৎস্য আহরণের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ২০ হাজার জেলেকে বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে ভাসমান অবস্থায় শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
কাপ্তাই হ্রদে পানির স্বল্পতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বনিন্মে
আজ মধ্যরাত থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষেধ
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ৭ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন নিরবচ্ছিন্ন প্রজননের লক্ষ্যে মা ইলিশসহ অন্যান্য মাছ আহরণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।
জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে চাঁদপুর সদর হয়ে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত পদ্মা ও মেঘনা নদীর প্রায় ৯০ কিলোমিটার এবং লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজেন্ডার পর্যন্ত একশ’ কিলোমিটার অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে।
নিষেধাজ্ঞার আরোপের পূর্ব মুহূর্তে আজ বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সারাদিনই জেলার সবচেয়ে বড় মাছ বাজার - বড় স্টেশন মাছ ঘাট ও শহরের বিপনীবাগ, নতুনবাজার, পুরানবাজার, ওয়ারল্যাস বাজার, ও বাবুরহাট বাজারের মাছ বাজারে মানুষের ইলিশ কেনা-বেচার ধুম লেগে গেছে।
৫০০ গ্রামের মাছ ৫০০ টাকায় কেজি দরে বিক্রি হয়। ১ কেজির ইলিশ এক হাজার টাকায়, দেড় কেজি ইলিশ বিক্রি হয় ১৫০০ টাকায়, ২ কেজির ইলিশ ২২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে বড় স্টেশন মাছ ঘাটে। এ ঘাটে এবার নারীদের উপস্থিতিও ছিলো চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
সেই লাকসাম উপজেলার গুপ্চি গ্রাম থেকে এসে টাটকা ইলিশ কিনে নিলেন মমতাজ বেগম ও তার বৃদ্ধ ফুপি নুরজাহান(৬৫)।
ওদিকে শহরের কুরিয়ার সার্ভিসে গিয়ে দেখা যায় কয়েশ’ মাছের প্যাক ঢাকাসহ দূর-দুরান্তে চাঁদপুর থেকে যাবার জন্য প্রস্তুত। গড়ে দেড়শ’ প্যাক প্রতিটি কুরিয়ার অফিসে চত্বরে দেখা গেছে।
প্রবীণ মৎস্য ব্যবসায়ী জাহাংগীর পাটোয়ারি, নুরুল ইসলাম বকাউল ও মোস্তফা দীদারসহ আরও অনেকে জানান, আজ ৩/৪ দিন ইলিশ মাছের ৫০টি আড়তে মাছ কম আমদানি হচ্ছে, তাই দামও বেশি।