গাইবান্ধা-৫
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
অনিয়মের কারণে স্থগিত হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে বুধবার সকালে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। সকাল ১০টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে সকাল থেকে মানুষদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। আগের মতোই সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন বুধবার
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্পধারার প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
গত বছরের ১২ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনের দিন ‘ব্যাপক অনিয়মের’ কারণে উপনির্বাচন স্থগিত করে এবং পরে কমিশন নির্বাচনের জন্য ৪ জানুয়ারি নির্ধারণ করে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত নই; যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২০২২ সালের ২২ জুলাই গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুর পর ২০২২ সালের ২০ অক্টোবরের মধ্যে সংসদীয় আসনের জন্য নির্বাচন করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়ায়। সে অনুযায়ী নির্বাচন ১২ অক্টোবরের জন্য নির্ধারিত হয়েছিল।
গত বছরের ১২ অক্টোবর নির্বাচনী অনিয়ম খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পাঁচ উপ-পরিদর্শক ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে করতে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল মোতালেব।
আরও পড়ুন: দলগুলোকে নির্বাচনে আনতে ইসির 'আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা' নেই: ইসি আনিসুর
১ বছর আগে
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন বুধবার
অনিয়মের কারণে স্থগিত হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।
গত বছরের ১২ অক্টোবর নির্বাচনের দিন ‘ব্যাপক অনিয়মের’ কারণে নির্বাচন কমিশন (ইসি) উপনির্বাচন স্থগিত করে এবং পরবর্তীতে কমিশন ৪ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করে।
২০২২ সালের ২২ জুলাই গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুর পর ২০২২ সালের ২০ অক্টোবরের মধ্যে সংসদীয় আসনের জন্য নির্বাচন করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়ায়। সেই অনুযায়ী নির্বাচন ১২ অক্টোবরের জন্য নির্ধারিত হয়েছিল।
সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ আগের মতোই সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
গত ১২ অক্টোবর নির্বাচনের অনিয়ম খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পাঁচজন উপ-পরিদর্শক ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি: ইসি সচিব
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্পধারার প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ইউএনবি গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানিয়েছে, মঙ্গলবার ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রে ইভিএমসহ নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার আব্দুল মোতালেব ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে করতে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা মোতায়েন থাকবে বলে জানান আবদুল মোতালেব।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ শুন্য আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন বাতিল: ১২৫টি কেন্দ্রের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে ইসি
১ বছর আগে
গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি: ইসি সচিব
আগামী ৪ জানুয়ারি গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
ওইদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এবং আগের মতোই ভোটগ্রহণ কার্যক্রম সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ২২শে জুলাই সংসদ সদস্য ও সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয় এবং ২০২২ সালের ২০ অক্টোবরের মধ্যে সংসদীয় আসনের জন্য নির্বাচন করা একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হয়ে ওঠে। সে অনুযায়ী এটি ১২ অক্টোবরের জন্য নির্ধারিত ছিল।
কিন্তু নির্বাচনের দিন ব্যাপক অনিয়মের কারণে নির্বাচন বাতিল করে ইসি।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন বাতিল: ১২৫টি কেন্দ্রের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে ইসি
পরে অনিয়ম খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পাঁচজন উপ-পরিদর্শক ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন।
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্প ধারার প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
আরও পড়ুন; গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হতে পারে: নির্বাচন কমিশনার
১ বছর আগে
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন বাতিল: ১২৫টি কেন্দ্রের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে ইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ১২৫টি কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে সিইসি এ মন্তব্য করেন।
চলতি বছরের ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন স্থগিত করা হয়।
তিনি বলেন, ‘একজন রিটার্নিং অফিসার পুরো নির্বাচন পরিচালনা করেন। যতবার সম্ভব ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করা তার নিয়মিত দায়িত্ব। কিন্তু তিনি তার দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। সিইসি টেলিফোনে অনিয়মের কথা জানালে তিনি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।’
তিনি আরও বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার পরিদর্শন ও আইন অনুযায়ী সব কার্যক্রম চলছে কিনা তা নিশ্চিত করা এবং কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নেয়ার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন: দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে ইসি
তিনি আরও বলেন, ‘তারা তাদের দায়িত্ব পালনে একেবারেই ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি নির্বাচনী এলাকায় কোনও অনিয়ম খুঁজে পাননি। সিইসি যখন নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তখন রিটার্নিং অফিসার তার ভূমিকা দেখানোর জন্য একটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করেছেন।’
তিনি তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে প্রাথমিক পর্যায়ে অনিয়ম রোধ করা সম্ভব হতো বলে জানান সিইসি আউয়াল।
অভিযুক্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসি সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান সিইসি।
সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনের সময়সীমা ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছিলেন সিইসি।
সংবিধান অনুযায়ী কোনও আসন শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে পদ পূরণ করতে হবে।
২০২২ সালের ২২ জুলাই গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুর পর ২০২২ সালের ২০ অক্টোবরের মধ্যে সংসদীয় আসনে নির্বাচন করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু ১২ অক্টোবর নির্বাচনের দিনে ব্যাপক অনিয়মের কারণে ইসি নির্বাচন বাতিল করে।
আরও পড়ুন:গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন: সিদ্ধান্তের বিষয়ে অপেক্ষা করতে বললেন সিইসি
১ বছর আগে
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন: দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে ইসি
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কর্মকর্তার সংখ্যা নির্বিশেষে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল হয়েছে: সিইসি
আলমগীর বলেন, ইসি কারও পক্ষেও নয়, বিপক্ষেও নয়। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। যখনই ভোটগ্রহণ অন্যায্য হবে তা স্থগিত করা হবে এবং একটি নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কমিশনার বলেন, নির্বাচন ভবন থেকে সিসিটিভির মাধ্যমে তারা গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘গোপন ভোটকেন্দ্রে ভোটারের আঙুলের ছাপ দেয়ার পর পোলিং এজেন্টরা ভোটের বোতাম টিপতে দেখা গেছে। তা দেখে প্রিজাইডিং অফিসারকে নির্দেশনা দেয়া হলেও তিনি সে অনুযায়ী কাজ করেননি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে অপরাধীকে তুলে দেয়ার নির্দেশও মানা হয়নি।’
কমিশন কখনও দেখেনি যে প্রিজাইডিং অফিসাররা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছেন। তাই আইনে যা করা উচিত ছিল ইসি তাই করেছে।
ওই সব অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত চলছে জানিয়ে আলমগীর বলেন, প্রিজাইডিং অফিসাররা কী কারণে এসব অনিয়ম করেছে কমিশন তার কারণ খুঁজছে। তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় যে তারা স্বেচ্ছায় এটা করেছে এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কেউ কাজ করেনি, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ইসি তাদের দুই মাস পর্যন্ত সাময়িক অব্যাহতি দিতে পারে। এছাড়াও, এটি অপরাধী কর্মকর্তাদের বরখাস্তের সুপারিশ করতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তা বাস্তবায়ন করে ইসিকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
নির্বাচন কমিশন কোনো চাপে নেই: সিইসি
২ বছর আগে
অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বাতিল
ভোট কারচুপি ও ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগে গাইনবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন বন্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই লক্ষ্য করেছি যে ভোটগ্রহণে অনিয়ম হচ্ছে। অনেক কেন্দ্রেই আমরা গোপনকক্ষে অবৈধ অনুপ্রবেশ লক্ষ্য করেছি।’
সিইসি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি, অবৈধভাবে (গোপনকক্ষ) প্রবেশ করে ভোটারদের ভোট প্রধানে হয়তো সহায়তা করছেন বা বাধ্য করছেন। এটা আমরা সুস্পষ্টভাবে লক্ষ্য করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট দেখেছি যে ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। পোলিং এজেন্টদের পোশাকে প্রার্থীদের প্রতীক ছিল, যা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।’
তিনি (সিইসি) অবশ্য এ অনিয়মের জন্য কোনো প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে দায়ী করেননি।
সিইসি নির্বাচন বাতিলের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন যে জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ধারা ৯১ অনুসারে, ইসি যদি দেখতে পায় যে একটি নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না, তবে ইসি কিছু বা পুরা আসনে নির্বাচন বন্ধ করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘অনেক আলোচনা ও পর্যালোচনার পর আমাদের কাছে মনে হয়েছে কিছু প্রার্থী বিভিন্নভাবে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করেছেন।’
সিইসি বলেন, সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর পর্যায়ক্রমে ১৪৫টির মধ্যে ৫১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয় এবং দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।
তিনি আরও বলেন, ভোটকেন্দ্রগুলোতে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের কন্ট্রোলরুম থেকে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা সেখানকার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: আইন বলে দিবে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না: আইনমন্ত্রী
সিইসি বলেন, ‘আমরা ভেবে দেখেছি ৫১টি ভোটকেন্দ্রে ভোট কারচুপি হলে বাকি কেন্দ্রে নির্বাচনের সুষ্ঠু ফল পাওয়া যাবে না। ফলে আমরা পুরা গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বাতিল করেছি।’
পরবর্তী কর্মপন্থা সম্পর্কে সিইসি আইন পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনকালীন বিপত্তি সম্পর্কে সচেতন হয়েছে ইসি।’
গাইবান্ধা-৫ নির্বাচনে ব্যবহৃত সব ইভিএম সঠিকভাবে কাজ করেছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
সিইসি আরও বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে কী করা উচিত বা কী করা উচিত নয় সে বিষয়ে ইসির নির্দেশনা রয়েছে। নির্বাচনের সময় কোনো যান্ত্রিক সমস্যা হয়নি, সব ইভিএম ঠিকঠাক কাজ করেছে। সমস্যাটি মানুষের দ্বারা সৃষ্ট হয়েছে। এই অপকর্মের জন্য কারা দায়ী তা খুঁজে বের করতে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত প্রয়োজন।’
আরপিওর ৯১ (ক) ধারা অনুযায়ী, জবরদস্তি, ভীতি প্রদর্শন ও বল প্রয়োগসহ যেকোনো অনিয়মের জন্য যদি ইসি নিশ্চিত হয় যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না, তাহলে ইসি যে কোনো পর্যায়ে যে কোনো ভোটকেন্দ্রে বা পুরা নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন বন্ধ করতে পারে।
সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসন।
নির্বাচনে মাহমুদ হাসান রিপন (আওয়ামী লীগ), এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (স্বতন্ত্র), নাহিদুজ্জামান নিশাদ (স্বতন্ত্র) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
গাইবান্ধা-৫ আসনে ভোটার রয়েছে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন।
২৩ জুলাই সাবেক সংসদ সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া ইন্তেকাল করলে গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে ডিসি, এসপিদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকার নির্দেশ সিইসি’র
আইন বলে দিবে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে