সিত্রাং
দেশে আরও ১০০০ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে: এনামুর
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান শুক্রবার বলেছেন, সরকার আরও এক হাজার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েছে।
ভোলার মনপুরায় সিত্রাং আঘাত হানা বাঁধ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবারই প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানলে আমরা দেখতে পাই যে আমাদের যতটা আশ্রয়কেন্দ্র দরকার ততটা নেই। তাই অনেক স্থাপনাকে আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত করতে হয়।’
সোমবার ভোলায় আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সারাদেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এবং ঘরবাড়ি ধ্বংস করে। বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে অন্তত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ২২০টি নতুন সাইক্লোন আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ৪২৩টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৫৫০টি মুজিব কেল্লা (বিশেষভাবে নকশা করা বহুমুখী সাইক্লোন সেন্টার) নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলার চর পাতিলা থেকে ১১০ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছে বিসিজি
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ভোলায় ২০ হাজারের বেশি মানুষ বিপর্যস্ত
সিত্রাং: ভোলায় ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
২ বছর আগে
সিত্রাংয়ের প্রভাবে দুই হাজার মানুষ পানিবন্দি, মেরামত হচ্ছে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ
ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বাগেরহাটে দুই গ্রামের দুই হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া সদর উপজেলার মাঝিডাঙ্গা এলাকায় ভৈরব নদের বাঁধের একাংশ ভেঙে মাঝিডাঙ্গা ও পোলঘাট গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে।
বুধবার সকালে ভৈরব নদের পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, তিনদিন ধরে ওই দুটি গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষের বাড়িঘরে পানি জমে আছে। অনেকের বাড়িতে চুলায় পানি জমে থাকায় রান্না বন্ধ রয়েছে।
বাঁধের গোড়া থেকে মাটি কেটে নিয়ে ভাঙা বাঁধ মেরামত করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই বাঁধ মেরামত করানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিত্রাং তাণ্ডবে ফরিদপুরে ২ বাসের ওপর ভেঙে পড়ল বিশাল বিলবোর্ড
এছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় জমে থাকা বৃষ্টি আর জোয়ারের পানি নামতে শুরু করেছে।
বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম জানান, জোয়ারের পানি যাতে গ্রামে প্রবেশ করতে না পারে এজন্য জরুরি ভিত্তিতে ভাঙা বাঁধ মাটি দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে।
শিগগিরই টেকসই ভাবে ওই বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
কাড়াপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গির হাওলাদার জানান, এক বছরে নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ভৈরব নদের ওই একই এলাকায় তিনবার বাঁধ ভেঙে যায়। ওই ভাঙা স্থান থেকে পানি প্রবেশ করে মাঝিডাঙ্গা ও পোলঘাট গ্রামে। ওই দুই গ্রামের রাস্তাঘাট, ফসল, ধানখেত, মৎস্যঘের ও বাড়িঘর ডুবে থাকে।
মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। স্থায়ী টেকসই বাঁধ নির্মাণের জন্য তারা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়েছে আসছে।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ জানান, জেলায় তাদের মোট ৩৪০ কিলোমিটার ভেড়িবাঁধ রয়েছে। এরমধ্যে ৩০ কিলোমিটার বাঁধ ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আর ১০০ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে যা, স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেলে ওই বাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করবে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী পাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ নির্মাণের জন্য তারা একটি প্রস্তাবনা উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে। এখনও পর্যন্ত তার সম্ভাব্যতা যাচাই হয়নি।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ দ্রæত মেরামতের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের প্রয়োজনীয় সহয়তা দেয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, জেলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দুই হাজার ১৪০টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩২২টি সম্পূর্ণ এবং ১৮১৮টি আংশিক ক্ষতি হয়।
বাগেরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানান, জেলায় এক হাজার ৩৮০ হেক্টর জমির ধানসহ ফসল পানিতে আক্রান্ত হয়। এরইমধ্যে অধিকাংশ জমির পানি নেমে গেছে। ফসলের তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, জেলায় প্রায় এক হাজার মৎস্যঘের এবং ৮০০ পুকুর ডুবে চিংড়িসহ সাদা মাছ ভেসে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দুই কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: সিত্রাং তাণ্ডবে কেরানীগঞ্জে দুটি ভবন হেলে পড়েছে
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে সারাদেশে ২৬ জনের মৃত্যু
২ বছর আগে
সিত্রাং: ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ব্রহ্মপুত্রের চরে আটকা পড়া ৮০ যাত্রী উদ্ধার
জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী থানার ব্রহ্মপুত্র নদের তেলিপাড়া নামক স্থানে ডুবোচরে আটকে পড়া নৌযান থেকে ৮০ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ওই যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ –এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওইদিন বিকাল ৫টায় ওই নৌযানের যাত্রী আজগর নামের এক ব্যক্তি ফোন করে জানান, একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার যোগে তারা দুইজন মাঝি, নারী ও শিশুসহ ৮০ জন যাত্রী কুড়িগ্রামের রৌমারি ঘাট থেকে চিলমারীর রমনাঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। পথে রাত ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর কবলে পড়েন তারা। এরপর তীব্র স্রোত ও দমকা হাওয়ার তোড়ে তাদের নৌযান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভাসতে ভাসতে একটি ডুবোচরে আটকে যায়। পরে জানতে পারেন চরটির নাম তেলিপাড়া চর।
কলার আরও জানান, বৃষ্টির মধ্যে নারী শিশুসহ ৮০ জন যাত্রী দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে দুর্গম চরে আটকে আছেন। তিনি দ্রুত উদ্ধার সহায়তার জন্য ৯৯৯ এর কাছে অনুরোধ জানান।
৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল ইমাম হোসেন কলটি রিসিভ করেছিলেন। কনস্টেবল ইমাম তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নৌ পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং চিলমারী থানায় জানিয়ে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানায়।
পরবর্তীতে ৯৯৯ ডিস্পাচার উপপরিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলাম কলার এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান চিলমারীর উপজেলার ইউএনও এবং চিলমারী রমনাঘাটের বিআইডাব্লিউটিএ’র ইজারাদারকে জানিয়ে উদ্ধারকারী নৌযানের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান। পরবর্তীতে রমনাঘাট থেকে একটি উদ্ধারকারী নৌযান চিলমারী থানার উদ্ধারকারী পুলিশ দলসহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে রওনা দিয়ে রাত সোয়া দশটায় চরে আটকে পড়া যাত্রীদের কোন রকম ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া উদ্ধার করে নিকটবর্তী নিরাপদ স্থানে নিয়ে রাখে। পরবর্তীতে আবহাওয়া শান্ত হলে ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোর ৫ টায় উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের রমনাঘাটে পৌঁছে দেয়া হয়।
চিলমারী মডেল থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান ৯৯৯ কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
২ বছর আগে
সিত্রাং তাণ্ডবে ফরিদপুরে ২ বাসের ওপর ভেঙে পড়ল বিশাল বিলবোর্ড
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সিত্রাং এর তাণ্ডবে দুই বাসের ওপর একটি বিশালাকৃতির বিলবোর্ড ভেঙে পড়েছে। সে সময় বাসের ভেতরে থাকা চালক ও হেলপারদের স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়।
মঙ্গলবার দুপুরে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজিম উদ্দিন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করছেন।
এর আগে সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে দশটার দিকে বিশাল আকৃতির একটি বিলবোর্ড ঝড়ের সময় বাস দুটির ওপর আছড়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত ভাঙ্গা চৌরাস্তা ফ্লাইওভারের চতুর্দিকে অসংখ্য বিলবোর্ড অপরিকল্পিতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে। এসব বিলবোর্ড সামান্য বাতাসে মাঝেমধ্যেই ভেঙে পড়ার নজির রয়েছে।
অত্যাধুনিক হাইওয়ে এক্সপ্রেসের ভাঙ্গা চৌরাস্তা একটি দৃষ্টিনন্দন স্থান। প্রতিদিন এখানে হাজারো বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ও দূর-দূরান্তের পর্যটক ভিড় জমায়। অত্যাধুনিক এই সড়কটির চারপাশে বিভিন্ন ভবনের ছাদে অপরিকল্পিতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে শত শত বিলবোর্ড। এসব বিলবোর্ড থেকে এক শ্রেণির সুবিধাভোগী গোষ্ঠী মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহানুর রহমান বলেন, প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাসে বড় একটি বিলবোর্ড দুটি বাসের ওপর ভেঙ্গে পড়ে। বাস দুটির ক্ষতি হলেও কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিম উদ্দিন জানান, অপরিকল্পিত ও ঝুঁকিপূর্ণ বিলবোর্ড অপসারণের জন্য আমরা ইতোমধ্যেই রোড এন্ড হাইওয়েকে নির্দেশনা দিয়েছি। তারা বিলবোর্ড সরাতে কয়েকদিন আগে মাইকিং করছেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ বিলবোর্ড না সরানো হলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২ বছর আগে
সিত্রাং তাণ্ডবে কেরানীগঞ্জে দুটি ভবন হেলে পড়েছে
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর তাণ্ডবে পাশাপাশি দুটি ভবন হেলে পড়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় শুভাঢ্যা উত্তর পাড়া এলাকায় পাশাপাশি পাঁচ ও চার তলা দুটি ভবন হেলে পড়ে।
মঙ্গলবার দুপুরে ভবন দুটি পরিদর্শন করেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান ও শুভাঢ্যা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মো. ইকবাল হোসেন এবং কেরানীগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হেলে পড়েছে ৫ তলা ভবন
নিবার্হী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, ভবন দুটি হেলে পড়ার কারণ এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে আশপাশের লোকজন আতঙ্কে আছে। ভবনের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অতি দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত রিপোর্ট আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প: চট্টগ্রামে ৩টি ভবন হেলে পড়েছে
২ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে সারাদেশে ২৬ জনের মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সোমবার মধ্যরাতে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানার ফলে বাংলাদেশের ৯টি জেলায় কমপক্ষে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে কুমিল্লা, নড়াইল, সিরাজগঞ্জ, ভোলা, বরগুনা, মুন্সিগঞ্জ, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও গোপালগঞ্জে থেকে ইউএনবি সংবাদদাতাদের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
চট্টগ্রামে সোমবার রাতে বঙ্গোপসাগরে ড্রেজার ডুবে নিখোঁজ হওয়া আট শ্রমিকের লাশ মঙ্গলবার মিরসরাই উপকূলে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে পাঁচজন হলেন- মাহমুদ মোল্লা, আলামিন, ইমাম মোল্লা, আবুল বাশার ও তারেক। তারা সবাই পটুয়াখালী জেলার বাসিন্দা।
বালু উত্তোলন ড্রেজার সৈকত-২ উপজেলার বসুন্ধরা এলাকায় বেড়িবাঁধ থেকে প্রায় এক হাজার ফুট দূরে সাগরে আটজন শ্রমিক নিয়ে নোঙর করেছে।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন জানান, সোমবার রাত ১০টার দিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর কারণে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা বেড়ে গেলে তা ডুবে যায়।
ওসি আরও জানান, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে মিরসরাই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা ডুবে যাওয়া ড্রেজার থেকে লাশ উদ্ধার করে।
কুমিরা নৌপুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব জানান, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মঙ্গলবার সকালে কদমরসুল এলাকার কাছে বঙ্গোপসাগরের একটি শিপইয়ার্ড থেকে সাত মাস বয়সী এক মেয়ে শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সাগরের প্রবল জোয়ারে শিশুটির লাশ শিপইয়ার্ডে ভেসে এসেছে।
পরে লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এসআই।
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কনকসারে গ্রামে সোমবার রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় বিশাল গাছ ভেঙে পড়ায় ২৮ বছর বয়সী এক নারী ও তার চার বছরের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প
নিহতরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী আসমা আক্তার ও সুমাইয়া আক্তার।
মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসমিন ফেরদৌস জানান, এ সময় নিহতের স্বামী রাজ্জাকও আহত হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেয়া হয়েছে।
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার হাবিবিয়া গ্রামে মঙ্গলবার ভোরে গাছ ধসে এক বছরের এক মেয়ে শিশু নিহত ও তার মা আহত হয়েছেন।
নিহত আমেনা বেগম (২৫) ওই গ্রামের আব্দুল্লাহর স্ত্রী এবং স্নেহা ওই দম্পতির মেয়ে।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাস জানান, মঙ্গলবার ভোর ৩টার দিকে ঝড়ের আঘাতে বিশাল একটি গাছ আমেনা-আব্দুল্লাহর বাড়ির ওপর ভেঙে পড়ে। এসময় ঘটনাস্থলেই ঘুমন্ত আমেনা ও স্নেহার মৃত্যু হয়।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হেসাখাল এলাকায় সোমবার রাতে বাড়ির ওপর বিশাল গাছ পড়ে এক দম্পতি ও তাদের চার বছরের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তারা ঘুমিয়ে ছিল।
এমডি নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রায়হান মেহবুব জানান, এ ঘটনায় নিজাম উদ্দিন, তার স্ত্রী শারমিন আক্তার সাথী ও তাদের মেয়ে নুসরাত আক্তার লিজার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কুমিল্লায় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার ছিল। সোমবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে, সোমবার সকাল ১১টার দিকে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা কমপ্লেক্সে মাথায় গাছ পড়ে মর্জিনা বেগম নামে ৩৫ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন জানান, বাগেরহাটের বাসিন্দা মর্জিনা উপজেলার রাজপুর গ্রামে গৃহকর্মীর কাজ করত।
ঘটনার সময় তার ১১ বছরের ছেলে তার সঙ্গে ছিল, তবে সে বেঁচে যায় বলে ওসি জানান।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় সোমবার রাতে যমুনা নদীর খালে নৌকা ডুবে মা ও তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাদ্দেক হোসেন জানান, নিহতরা হলেন পূর্বমোহনপুর গ্রামের খোকন শেখের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা (৩০) ও তার ছেলে আরাফাত রহমান (৫)।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে আয়েশার স্বামী ও অপর দুই সন্তানকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সোমবার রাত ৮টার দিকে তারা একটি নৌকায় করে খাল দিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় খারাপ আবহাওয়ার কারণে তাদের নৌকাটি ডুবে যায়। ঘটনাস্থলেই আরাফাত মারা যায় এবং হাসপাতালে নেয়ার পর আয়শাকে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে ওসি জানান।
ভোলায় সদর, দৌলতখান, লালমোহন ও চরফ্যাসনে গাছের নিচে চাপা পড়ে পানিতে ডুবে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার মফিজুল ইসলাম (৬৫), দৌলতখান উপজেলার বিবি খাদিজা (৮০), চরফ্যাসন উপজেলার মনির স্বর্ণকার (৪০), আয়েশা বেগম (২৫) ও নাছির।
সোমবার রাতে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের পাকার মাথা এলাকার মফিজুল ইসলাম এবং দৌলতখান পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বিবি খাদিজা নিজ বসত ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ায় এতে চাপা পড়ে মারা যান।
অন্যদিকে, মনির মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এবং ভোর রাতের দিকে জোয়ারের পানিতে বাড়িঘর তলিয়ে গেলে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সময় পানিতে ডুবে আয়শা বেগমের মৃত্যু হয়। লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া ভোলা সদর উপজেলার আলীনগর এলাকায় ঝড়ে রাস্তার ওপর ভেঙ্গে পড়া গাছ কেটে সরাতে গিয়ে নাছির নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: জলাবদ্ধতা, যানজটে চরম ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: মুন্সীগঞ্জে গাছ চাপায় মা-মেয়ের মৃত্যু
২ বছর আগে
সিত্রাংয়ে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত: প্রতিমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে দেশের ৪১৯টি ইউনিয়নে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।
মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং পরবর্তী সার্বিক বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
এসময় এনামুর রহমান বলেন, সিত্রাং প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়নি। খুব দ্রুতই উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করেছে। ছয় হাজার ৯২৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ লাখ লোককে আশ্রয় দিতে পেরেছি। রাত ১০টায় এটি আঘাত হানার পর দ্রুতই এটি দুর্বল হয়ে যায়। লোকজন আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে চলে যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, শুরু থেকেই সিত্রাং এলোমেলো আচরণ করতে শুরু করে। বারবার পাল্টাতে থাকে গতিপথও। তাই এর গতিবিধি ঠিকমতো বোঝা যায়নি। আসতে পথে বৃষ্টি ঝরিয়ে নিজের শক্তি ক্ষয় করেছে। এসেছে দ্রুত, চলেও গেছে দ্রুত।
আরও পড়ুন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ডব্লিউএফপিএ'র কান্ট্রি ডিটেক্টরের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের উপকূলে সুপার সাইক্লোন ‘সিতারাং’ আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
ভোলার চর পাতিলা থেকে ১১০ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছে বিসিজি
ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর পাতিলা থেকে সোমবার ১১০ জনকে সরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড (বিসিজি)।
দুটি অভিযানে বিসিজি সদস্যরা ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে।
কোস্ট গার্ডের মিডিয়া অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ ত্বকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলা করার জন্য ও এর ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের অধীনে বিসিজি ফাঁড়ির চর মানিকার উদ্ধারকারী দল দুই ধাপে আটকে পড়াদের উদ্ধার করে একটি আশ্রয় কেন্দ্রে স্থানান্তর করে।
আরও পড়ুন: প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে সিত্রাং
তাদের সবাইকে দক্ষিণ আইচা গণস্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিসিজি পূর্ব জোনের মিডিয়া অফিসার লেফটেন্যান্ট কাজী আল আমিন জানান, দুর্যোগ পরবর্তী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোস্ট গার্ডের উদ্ধারকারী দলও প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ৯কোটি টাকার কারেন্টজাল পুড়িয়ে ধ্বংস কোস্টগার্ডের
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত
২ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং: চট্টগ্রামে ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে এটি উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম সিটি কপোরেশন সোমবার দুপুরে শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে পৃথক সভা করেছে। নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকারি হাসপাতালগুলো। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২৯০টি মেডিকেল টিম।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে জরুরি বৈঠক চলছে। বৈঠকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: বাগেরহাটে ৩৪৪ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) কালাম চৌধুরী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সিটি কর্পোরেশনের করণীয় ঠিক করতে এবং নগরবাসীর জান-মাল রক্ষায় বৈঠক ডাকা হয়েছে। এরপর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কী ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে তা জানা যাবে।’
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকারি হাসপাতালগুলো। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২৯০টি মেডিকেল টিম। চট্টগ্রাম অঞ্চলের সব সরকারি হাসপাতালের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ছুটি বাতিলসহ চিকিৎসকদের নিজ নিজ হাসপাতালে অবস্থানসহ সাত দফা জরুরি নির্দেশনা জারি করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ।
এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের আওতাধীন ২৫০ শয্যা চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল এবং জেলা সদর হাসপাতাল কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও চাঁদপুর জেলায়। একইভাবে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর সিভিল সার্জনকেও এই জরুরি নির্দেশনা পাঠানো হয় বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্র জানায়।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে ২৯০টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলার ২০০টি ইউনিয়নে একটি করে মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। এর বাইরে ১৫টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিটিতে পাঁচটি করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ৯টি আরবান ডিসপেনসারীতে একটি করে ৯টি মেডিকেল টিম, স্কুল হেলথ্ ক্লিনিকে একটি এবং ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঁচটি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যে কোন বিপর্যয়ে এসব মেডিকেল টিম সেবা প্রদান করবে।’
এদিকে ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং এর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে জারি করা হয়েছে তিন নম্বর নৌ-বিপদ সংকেত।
আপাতত বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: লক্ষ্মীপুরে ১৮৫ আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬৬ মেডিকেল টিম প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: খুলনায় প্রস্তুত ৪০৯ আশ্রয়কেন্দ্র
২ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: চাঁদপুরে ৭নং নৌ বিপদ সংকেত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে চাঁদপুরে বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতা বাড়ায় সাত নম্বর নৌ বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২টার পর থেকে অতি বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের মধ্যে সব ধরনের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে ঢাকা-চাঁদপুরের মধ্যেও লঞ্চ চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা শাহাদাত হোসাইন।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার ভোর থেকে চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জের মধ্যে ছোট লঞ্চগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে বেলা ১১টায় বন্ধ করা হয় ঢাকা-চাঁদপুরের মধ্যে চলাচলকারী লঞ্চও।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: রাজধানীতে বৃষ্টিতে জীবনযাত্রা ব্যাহত
এর আগে সকাল ৬টা থেকে সিডিউলে থাকা লঞ্চগুলো চাঁদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা শাহ্ মোহাম্মদ শোয়েব বলেন, চাঁদপুর জেলার ও জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহকে সাত নম্বর নৌ বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আর নদী বন্দর সমূহকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে সোমবার সকাল ১০টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের জরুরি ভিত্তিতে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভার প্রস্তুতি সম্পর্কে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আশ্রয়ণ কেন্দ্রসহ ৩২৫টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জরুরি খাদ্য হিসেবে ২৫ মেট্টিক টন চাল, পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ এবং সোমবার বিকেলের মধ্যেই শুকনো খাবার এসে পৌঁছাবে।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: লক্ষ্মীপুরে ১৮৫ আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬৬ মেডিকেল টিম প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: বাগেরহাটে ৩৪৪ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
২ বছর আগে