ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে চাঁদপুরে বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতা বাড়ায় সাত নম্বর নৌ বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২টার পর থেকে অতি বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের মধ্যে সব ধরনের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে ঢাকা-চাঁদপুরের মধ্যেও লঞ্চ চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা শাহাদাত হোসাইন।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার ভোর থেকে চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জের মধ্যে ছোট লঞ্চগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে বেলা ১১টায় বন্ধ করা হয় ঢাকা-চাঁদপুরের মধ্যে চলাচলকারী লঞ্চও।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: রাজধানীতে বৃষ্টিতে জীবনযাত্রা ব্যাহত
এর আগে সকাল ৬টা থেকে সিডিউলে থাকা লঞ্চগুলো চাঁদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা শাহ্ মোহাম্মদ শোয়েব বলেন, চাঁদপুর জেলার ও জেলার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহকে সাত নম্বর নৌ বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আর নদী বন্দর সমূহকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে সোমবার সকাল ১০টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের জরুরি ভিত্তিতে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভার প্রস্তুতি সম্পর্কে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আশ্রয়ণ কেন্দ্রসহ ৩২৫টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জরুরি খাদ্য হিসেবে ২৫ মেট্টিক টন চাল, পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ এবং সোমবার বিকেলের মধ্যেই শুকনো খাবার এসে পৌঁছাবে।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: লক্ষ্মীপুরে ১৮৫ আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬৬ মেডিকেল টিম প্রস্তুত