এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারে আগুন
রাজধানীর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে একটি প্রাইভেটকারে আগুন লেগেছে।
এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ঈদুল ফিতরের দিন বিকেল সোয়া ৫টার দিকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ঢাকার (অঞ্চল-০৩) উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে বিকেল পৌনে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি বলে জানান তিনি।
৭ মাস আগে
২০২৪ সালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হবে: ওবায়দুল কাদের
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ চলতি বছরের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে সেতু ভবনে সংবাদ সম্মেলনে দেশের অবকাঠামো নেটওয়ার্কে একটি বড় অগ্রগতির ইঙ্গিত দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র রক্ষায় আবারও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ওবায়দুল কাদের
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৫০ শতাংশ কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যান চলাচল শুরু হওয়ায় প্রকল্পটি দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। অবশিষ্ট নির্মাণকাজ ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু থেকে দৈনিক ২ কোটি টাকা টোল রাজস্ব আয় হচ্ছে। এ পর্যন্ত মোট টোল আদায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। এই আয়ের মাধ্যমে পদ্মা সেতু দেশের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: ওবায়দুল কাদের
এ ছাড়া চলতি বছরের জুনের মধ্যে গাজীপুরে বিআরটিএ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওবায়দুল কাদের, যা বাংলাদেশের পরিবহন অবকাঠামো উন্নয়নে আরেকটি মাইলফলক।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের 'অযৌক্তিক' বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর। দেশের উন্নয়নে ঈর্ষা পোষণ না করে জাতীয় উন্নয়নে সরকারের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি ও ভালোভাবে গ্রহণ করতে পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: সরকারের সামনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
এর আগে সেতু ভবন ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন এবং সারাদেশে চলমান অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া বিএনপির কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
১০ মাস আগে
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ডাকাতি হওয়া ২৩ লাখ টাকা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গত ১০ অক্টোবর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) পরিচয়ে গাড়ি থেকে ৪৮ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় সাত জেলা থেকে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নতুন খোলা এক্সপ্রেসওয়েতে এটিই ছিল এই ধরনের প্রথম ডাকাতি।
প্রায় দুই সপ্তাহ আগে এ ঘটনা ঘটলেও রবিবার (২২ অক্টোবর) ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশীদ এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ দশমিক ৫ কিলোমিটার কাওলা-ফার্মগেট এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের একদিন পর গত ৩ সেপ্টেম্বর এক্সপ্রেসওয়েটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ৭ জন হলেন- সবুজ মিয়া ওরফে শ্যামল (৩৯), শাহরুল ইসলাম ওরফে সাগর (২৩), আবু ইউসুফ (৪১), দিদার দিদার মুন্সি (৩৫), ফেরদৌস ওয়াহিদ (৩৫), আলামিন দুয়ারি দিপু (৪২) ও দাউদ হোসেন মোল্লা (৩৯)।
তিনি আরও জানান, ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার, নকল র্যাবের জ্যাকেট, হাতকড়া, খেলনা জাতীয় পিস্তল, ওয়্যারলেস ও মোবাইল ফোন সেট, লুট হওয়া টাকার সঙ্গে আনা গয়না জব্দ ও নগদ ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ‘কাটআউট’ পদ্ধতিতে ডাকাতি করে আসছিল। এমনকি তারা ব্যবহৃত যানবাহনের নেমপ্লেট পরিবর্তন করে এবং মোবাইল ফোন সেটও নষ্ট করে।
গত ১০ অক্টোবর বিকাল ৩টার দিকে উত্তরার একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ৮৩ লাখ টাকা উত্তোলন করেন ব্যবসায়ী সোহেল আহমেদ সুলতানের বিজনেস অ্যাকাউন্ট্যান্ট অনিমেষ চন্দ্র সাহা।
এর মধ্যে সোহেলের ব্যবসায়িক অংশীদার জাফর ইকবালের প্রতিনিধি রাজন নামে একজনকে ব্যাংকে ৩৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়।
পরে অনিমেষ ও আরেক কর্মচারী শাহজাহান তাদের নিজস্ব গাড়িতে করে উত্তরা থেকে বাকি ৪৮ লাখ টাকা নিয়ে বনানীর দিকে যাচ্ছিলেন।
ডিবি প্রধান জানান, বিকাল ৪টার দিকে খিলক্ষেত ডেন্টাল কলেজসংলগ্ন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে একটি মেরুন প্রাইভেটকার হঠাৎ করে অনিমেষের গাড়ি থামায়।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলে যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে এমআরটি পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
র্যাবের ইউনিফর্ম পরিহিত পাঁচ-ছয়জন লোক মেরুন গাড়ি থেকে নেমে অনিমেষকে জানায়, তাদের গাড়িতে অস্ত্র রয়েছে, ডাকাতরা চোখ বেঁধে অনিমেষ, শাহজাহান ও তাদের চালক আবুল বাশারকে হাতকড়া পরিয়ে দেয়।
ডাকাতরা গাড়ি থেকে ৪৮ লাখ টাকা, একটি ব্ল্যাঙ্ক চেক ও তিনটি মোবাইল ফোন সেট লুট করে ঢাকার বিভিন্ন সড়কে ঘুরে ৩০০ ফুট এলাকায় ফেলে রেখে যায়।
এ ঘটনায় ব্যবসায়ী সোহেল বাদী হয়ে খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ডিবি সদস্যরা সিসিটিভি ফুটেজ, বাদীর জবানবন্দি ও অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডাকাতদের শনাক্ত করে।
হারুন বলেন, সবুজের নেতৃত্বে ডাকাতি সংঘটিত হয় এবং লুট হওয়া টাকা ডাকাতদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
ডাকাতরা ওই টাকা বাড়ি ভাড়া, স্ত্রীর জন্য স্বর্ণ কেনা ও জুয়া খেলার কাজে ব্যবহার করে এবং আদালতে লড়ার জন্য আইনজীবীদের ফি হিসেবে টাকা রাখে জানিয়ে ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
ডাকাত দলের সঙ্গে র্যাবের কোনো সদস্য জড়িত কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা সেরকম কাউকে খুঁজে পাননি, তবে একটি মামলা পরিচালনার সময় এই চক্রের সঙ্গে যোগ দেওয়া আদালতের মাহুরিকে পাওয়া গেছে।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ ১৩টি জেলায় ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদকসহ ১০ থেকে ১৫টি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে কেউ সহিংসতার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ : ডিএমপি কমিশনার
১ বছর আগে
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: প্রথম তিন সপ্তাহে ৫ কোটি টাকার বেশি টোল আদায়
ঢাকা (এম জাহাঙ্গীর আলম), ২৫ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)-
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার পর থেকে ৫ কোটি টাকার বেশি টোল আদায় করেছে কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আখতার জানান, রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে মোট ৬ লাখ ২১ হাজার ১৫২টি যানবাহন চলাচল করেছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার গাড়িবহরে থাকা ২৫টি গাড়ির জন্য প্রতিটি গাড়ির জন্য ৮০ টাকা হারে দুই হাজার টাকা টোল পরিশোধের মধ্য দিয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
গত ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় বিমানবন্দর থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফার্মগেট পর্যন্ত অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ। এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেটে পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিট।
প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আখতার বলেন, আমরা আগে ধারণা করেছিলাম প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০ হাজার যানবাহন এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করবে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হলে রাজধানীর কাওলা থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে কুতুবখালী এলাকা পর্যন্ত চলাচল করবে।
আখতার ইউএনবিকে বলেন, আমরা আশা করছি এটি সম্পন্ন হলে প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার যানবাহন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে পারবে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক বলেন, এক্সপ্রেসওয়ের নকশা অনুযায়ী যানবাহন ৮০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতিতে চলতে পারে, কিন্তু তারা র্যাম্পে ৬০ কিলোমিটার/ঘণ্টা এবং ৪০ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছে।
তারা এখনও গতিসীমা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ শুরু করতে পারেনি। যদিও ইতোমধ্যে এক্সপ্রেসওয়েতে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং অন্যান্য সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বাস চলাচল শুরু করেছে। যাত্রীরা এখন মাত্র ৩৫ টাকায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পার হচ্ছেন।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের খেজুর বাগান থেকে জসিমউদ্দিন রোড পর্যন্ত নতুন বাস রুটের ঘোষণা দেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে তিনটি ডিপো থেকে মোট আটটি বাস চলাচলের কথা ছিল। এক্সপ্রেসওয়ের উভয় প্রান্ত থেকে যাত্রীরা বাসে উঠতে পারবেন।
তবে এক্সপ্রেস হাইওয়েতে চলাচলকারী বিআরটিসি বাসের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২টিতে।
উত্তরা-ফার্মগেট বিআরটিসি বাস রুটের ফার্মগেট বাস কাউন্টারে কর্মরত বিআরটিসি বাস কাউন্টারের কর্মী বিশ্বজিৎ বলেন, যাত্রী সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় যাত্রীরা সন্তুষ্ট, আমরাও সন্তুষ্ট।
তিনি আরও বলেন, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে আটটি দোতলা বাস চলাচল শুরু করে।
আরও পড়ুন: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চালু হলো বিআরটিসির বাস
বিশ্বজিৎ জানান, ফার্মগেট বাস কাউন্টার থেকে উত্তরা পর্যন্ত প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে বাস চলাচল করছে। এক্সপ্রেসওয়ের উভয় প্রান্তে যানজটের কারণে বাসগুলে কখনও কখনও দেরি করে।
তিনি বলেন, যাত্রীদের সেবা আরও উন্নত করতে আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। যাত্রী সংখ্যা বাড়ানোর জন্য রুটে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, শিগগিরই বাসের সময়সূচি কঠোরভাবে বজায় রাখা যেতে পারে।
তানজিলা রহমান নামে এক যাত্রী রবিবার বিকালে ফার্মগেট বিআরটিসি এক্সপ্রেসওয়ে বাস কাউন্টার থেকে উত্তরায় যাওয়ার জন্য টিকিট কিনছিলেন।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি সকালে একটি চাকরির সাক্ষাৎকারের জন্য এসেছিলেন এবং তিনি বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে ইন্দিরা রোডে পৌঁছেন। আমি পরিষেবাটি খুব ভালো লেগেছে। বিমানবন্দর থেকে এখানে পৌঁছাতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম সময় লেগেছে। আমি একই পথ দিয়ে ফিরে যাচ্ছি।
রায়হান নামে আরেক যাত্রী জানান, আগে বাসা থেকে কারওয়ানবাজারে অফিসে পৌঁছাতে অন্তত দেড় ঘণ্টা পথ পাড়ি দিতে হতো। তিনি বলেন, এটি তার জন্য একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা যে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে তিনি মাত্র ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে তার অফিসে পৌঁছাতে সক্ষম হন।
আরেক যাত্রী রাফিউজ্জামান রিয়ন বলেন, লোকাল বাসে অনেক বেশি স্টপেজ থাকে, অনেক বেশি সময় লাগে এবং তারা প্রায়ই বেশি ভাড়া আদায় করে।
তিনি বলেন, বিআরটিসি এক্সপ্রেসওয়ে রুটে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়, তাই ফি ন্যায্য থাকে। বিআরটিসি বাসের সিটকে আরও আরামদায়ক করে তুলতে পারে। এছাড়াও, যদি এই রুটে আরও কয়েকটি স্টপ থাকে তবে এটি আরও বেশি সংখ্যক যাত্রীকে সহায়তা করবে।
ইউএনবির প্রতিবেদক তৌফিক হোসেন মবিন একটি এক্সপ্রেসওয়ে বাসে চড়েছিলেন। দুপুর ১টা ১০ মিনিটে ফার্মগেট থেকে উত্তরার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বিজয় সরণিতে যানজটের কারণে বাসটি প্রথমে ধীর গতির ছিল, এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে ২৩ মিনিট সময় লেগেছিল।
এরপর বাসটি এক্সপ্রেসওয়ের শেষ প্রান্তে পৌঁছাতে মাত্র ১৭ মিনিট সময় নিলেও অপর প্রান্তে যানজটের কারণে তিনি আবার ধীরগতিতে চলতে থাকে এবং দুপুর ১টা ৫১ মিনিটে বিমানবন্দরে বাস থেকে নেমে যান।
আরও পড়ুন: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পর ল্যান্ডিং পয়েন্টগুলোতে যানজট
১ বছর আগে
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চালু হলো বিআরটিসির বাস
ঢাকা দ্রুতগতির উড়ালসড়কে (ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে) চালু হলো বাসসেবা। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিআরটিসির আটটি বাস দিয়ে শুরু হলো এ সেবা।
রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিআরটিসির এ বাস চলাচলের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। সঙ্গে ছিলেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হলো: দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
উদ্বোধনের পর বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে প্রথম বাস উত্তরা জসীমউদ্দীন রোডের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
ফার্মগেটের খেজুরবাগানের কাছ থেকে বাসগুলো ছাড়বে। এরপর উড়ালসড়ক দিয়ে উত্তরা জসীমউদ্দীন রোড হয়ে খেজুরবাগান এলাকায় ফিরে আসবে।
এভাবে সকাল সাতটা থেকে সারা দিন চলবে বাসগুলো। রাত পর্যন্ত যতক্ষণ যাত্রী পাওয়া যাবে, ততক্ষণ চলবে। মাঝপথে বাসে উঠানামার কোনো সুযোগ নেই।
এ জন্য বিআরটিসির বাসগুলো কোথাও না থেমে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পর ল্যান্ডিং পয়েন্টগুলোতে যানজট
যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
১ বছর আগে
আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হলো: দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রথম ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটারের মধ্যে বিমানবন্দর-ফার্মগেট ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার অংশের উদ্বোধন করেছেন।
দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এক্সপ্রেসওয়ে বর্তমান সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি।
রবিবার সকালে যান চলাচলের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হবে।
এর সাহায্যে একটি গাড়ি ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে কাওলা থেকে ফার্মগেটে পৌঁছতে মাত্র ১০ মিনিট সময় লাগবে।
বিদেশি বিনিয়োগে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় পরিবহন খাতে এটিই প্রথম প্রকল্প।
এক্সপ্রেসওয়েটি প্ল্যাকার্ড ও পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। আগামীকাল (রবিবার) সকাল ৬টায় যান চলাচল শুরুর আগে এগুলো সরিয়ে নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী গাড়িটি টোল প্লাজায় টোল পরিশোধের পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা এলাকায় উত্তর প্রান্ত থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে প্রবেশ করে।
তিনি আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে নাগরিক সমাবেশে যোগ দিতে তেজগাঁও এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে পারবে যে সকল যানবাহন
প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার যানবাহন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যেতে পারবে।
এক্সপ্রেসওয়েটি ঢাকা শহরের উত্তর অংশের সঙ্গে মধ্য, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব অংশের মধ্যে যোগাযোগ উন্নত করে শহরের অভ্যন্তরে এবং আশেপাশে ট্রাফিক সক্ষমতা বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর ফলে আশেপাশের ওভারলোডেড রাস্তাগুলোর যান চলাচলও সহজ হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন হলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে রাজধানীর কাওলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকা হয়ে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত চলাচল করবে।
এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করার জন্য যানবাহনগুলোকে টোল দিতে হবে। চারটি ক্যাটাগরিতে টোল আদায় করা হবে।
প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের কম) এবং মিনি-ট্রাক (৩ টনের কম) ৮০ টাকা, মাঝারি আকারের ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত) এবং ৬ চাকার বেশি বড় ট্রাক যথাক্রমে ৩২০ টাকা এবং ৪০০ টাকা দিতে হবে।
এদিকে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা-ফার্মগেট অংশে ১৬বা তার বেশি আসন বিশিষ্ট সব বাস ও মিনিবাসকে দিতে হবে ১৬০ টাকা।
এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল, সাইকেল ও থ্রি-হুইলার চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি ২০১১ সালে হাতে নেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কত টাকা টোল দিয়ে চলবে গাড়ি
২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের বিনিয়োগকারী কোম্পানি ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের সাথে একটি সংশোধিত চুক্তি সই করে।
এটি থাইল্যান্ড ভিত্তিক ইতালিয় থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড (৫১ শতাংশ), চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কোঅপারেশন গ্রুপ (৩৪ শতাংশ) এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড (১৫ শতাংশ) এর অংশীদারিত্বে নির্মিত হচ্ছে।
প্রকল্পটি তিন ধাপে শেষ হচ্ছে। বনানী পর্যন্ত প্রথম অংশের ৯৮ শতাংশ এবং বনানী থেকে মগবাজার পর্যন্ত ৫৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকার উত্তর থেকে দক্ষিণে বিকল্প সড়ক হিসেবে কাজ করবে। এটি হেমায়েতপুর-কদমতলী-নিমতলী-সিরাজদিখান-মদনগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক-মদনপুরকে সরাসরি সংযুক্ত করবে।
অন্যদিকে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ না করে সরাসরি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশ করতে পারবে। যার ফলে ঢাকায় যাতায়াতের সময় ও যানজট কমবে।
প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কুড়িল এলাকায় একটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে।
চীনা ফার্ম চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল করপোরেশন, পিপিপি প্রকল্পের তিনটি ব্যক্তিগত অংশীদারের মধ্যে একটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র পরিচালনা করবে।
কুড়িল, বনানী, মহাখালী ও তেজগাঁও হয়ে বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশটি শহরের অন্যতম ব্যস্ত রুট বিমানবন্দর থেকে আসা-যাওয়ার বিকল্প রুট হিসেবে কাজ করবে।
১৫টি র্যাম্প সহ এটি যানবাহনগুলোকে যানজটপূর্ণ রাস্তা এড়িয়ে চলতে সহায়তা করবে। আজ ১৩টি র্যাম্প খোলা হয়েছে।
সূত্র অনুসারে, অন্যান্য যানবাহন শুরুতে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করবে।
১ বছর আগে
নির্বাচনের আগে ৯টি মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন, প্রথমে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। এদিকে নির্বাচনের আগেই বর্তমান সরকারের মেয়াদে সড়ক, সেতু, রেলপথ ও বিমান চলাচলসহ মোট ৯টি মেগা প্রকল্প উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
এর মধ্যে প্রথম ও সবচেয়ে দৃশ্যমান প্রকল্পটি হলো ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। বাকি প্রকল্পগুলো হলো- মেট্রোরেল প্রকল্প (বাকি অংশ), পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল (কর্ণফুলী টানেল), খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্প, ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, কক্সবাজার রেল সংযোগ প্রকল্প, আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃদেশীয় রেল সংযোগ প্রকল্প ও পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে
২ সেপ্টেম্বর প্রকল্পটির প্রথম ধাপের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার ইউএনবিকে বলেন, এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ ৩ ধাপে সম্পন্ন করা হচ্ছে। প্রথম অংশের বনানী পর্যন্ত ৯৮ শতাংশ এবং বনানী থেকে মগবাজার পর্যন্ত অংশের ৫৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সেপ্টেম্বরে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ২ সেপ্টেম্বর কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন উপলক্ষে আগারগাঁওয়ের বাণিজ্য মেলার পুরাতন মাঠে সুধী সমাবেশ করা হবে।
মেট্রোরেল
২০ অক্টোবর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ।
কাদের বলেন, ২০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করবেন এবং ওইদিন বিকাল ৩টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া ১৬ সেপ্টেম্বর এমআরটি লাইন ৫ নর্দান রোডের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হবে। এ উপলক্ষে সাভারে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ হতে নগরবাসীরা উত্তরা থেকে মতিঝিল যেতে পারবেন মাত্র ৩৮ মিনিটে।
১ বছর আগে
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কত টোল দিতে হবে জানালেন ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করা যানবাহনের কাছ থেকে ৪ ক্যাটাগরিতে টোল আদায় করা হবে।
আজ রবিবার (২০ আগস্ট) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আগামী ২ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার উদ্বোধন করা হবে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করা যানবাহনকে টোল দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ উদ্বোধন ২ সেপ্টেম্বর
৪ ক্যাটাগরিতে টোল আদায় হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ক্যাটাগরি-১ এ থাকছে কার, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) এবং হালকা ট্রাক (৩ টনের কম)। এক্ষেত্রে টোল দিতে হবে ৮০ টাকা। ক্যাটাগরি-২ এ থাকছে মাঝারি ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত)। এক্ষেত্রে টোল দিতে হবে ৩২০ টাকা। ক্যাটাগরি-৩ এ থাকা ট্রাকের (৬ চাকার বেশি) জন্য দিতে হবে ৪০০ টাকা। ক্যাটাগরি-৪ এ সকল ধরনের বাসের (১৬ সিট বা তার বেশি) জন্য ১৬০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, সেতু সচিব মো. মনজুর হোসেনসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হাওর অঞ্চলের প্রতিটি সড়ক হবে এলিভেটেড: প্রধানমন্ত্রী
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এয়ারপোর্ট-ফার্মগেট সেকশন সেপ্টেম্বরে চালু হবে: কাদের
১ বছর আগে
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এয়ারপোর্ট-ফার্মগেট সেকশন সেপ্টেম্বরে চালু হবে: কাদের
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশটি আগামী সেপ্টেম্বরে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা থেকে তেজগাঁও অংশ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রকল্পটির নির্মাণকাজ তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত এবং বর্তমানে সার্বিক অগ্রগতি ৬৩ দশমিক ২০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
কাদের বলেন, ফার্মগেট সেকশন চালু হলে রাজধানীর যানজট অনেকটাই কমবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে শহরের চারপাশে আউটার সার্কুলার রোড নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: ১৭ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণকাজ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু এবং চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার নেতৃত্ব দিয়েছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাওলা থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত বিস্তৃত এক্সপ্রেসওয়ের ২০ কিলোমিটার অংশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে নির্মিত হচ্ছে।
প্রকল্পটির মোট বাজেট ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা, যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অবদান ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে নয়, রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে আসছে।
আরও পড়ুন: এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: আধুনিক চট্টগ্রামের স্বপ্নযাত্রায় পথ চলা শুরু
কিশোরগঞ্জ হাওর অঞ্চলে এলিভেটেড সড়ক নির্মাণ করবে সরকার
১ বছর আগে
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: ১৭ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণকাজ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ শনিবার উদ্বোধন করেছেন।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১৭ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকার এই নির্মাণ কাজের সূচনা করেন।
নির্মাণ কাজ শেষ হলে ২৪ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়েটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল হয়ে নবীনগর মোড় ও ইপিজেড হয়ে চন্দ্রা মোড়ের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ৩০টি জেলার মানুষ দ্রুত ও সহজে রাজধানীতে প্রবেশ ও প্রস্থান করতে পারবে। অনুমান অনুযায়ী এটি দেশের মোট দেশজ উৎপাদন শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ বৃদ্ধি করবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গ্রামে ফিরে যান, ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করুন: যুবলীগ নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
২০২৬ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ের লক্ষ্য হচ্ছে ঢাকার সঙ্গে ৩০টি জেলার সংযোগকারী আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল-চন্দ্রা সড়কে যানজট কমানো।
এই প্রকল্পে ১১ কিলোমিটারের একটি ঢালু অংশ থাকবে। ফ্লাইওভারের উভয় পাশে ১৪ দশমিক ২৮ কিলোমিটার চার লেনের সংযোগ সড়ক হবে।
২০১৭ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদন করেছে যা মূলত ২০২২ সালে জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
চীনের সঙ্গে ঋণচুক্তি জটিলতায় ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ গত পাঁচ বছরেও এগোয়নি।
সরকার এবং চীনের এক্সিম ব্যাংক ২০২১ সালের অক্টোবরে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য ১১০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করে।
প্রাথমিকভাবে প্রকল্পের পুরো ব্যয় চীনের বহন করার কথা থাকলেও দেশটির ঋণ নীতির পরিবর্তনের কারণে এখন মোট ব্যয়ের ৮৫ শতাংশ জোগান দিচ্ছে।
চলতি বছরের জুনে একনেক বৈঠকে প্রকল্পের সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। এখন প্রকল্প ব্যয় ১৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকা থেকে ৬৫২ কোটি টাকা বেড়ে ১৭ দশমিক ৫৫৩ কোটি টাকা হয়েছে।
জমি উন্নয়ন ও উপকরণ ক্রয়ের মতো কিছু প্রাক-নির্মাণ কাজ পূর্বে শুরু হয়েছিল। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে প্রকল্পের মূল নির্মাণ কাজ শুরু করলেন।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকা বিমানবন্দর থেকে কুতুবখাল পয়েন্ট পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার জুড়ে চলবে।
মোট ৪৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দুটি এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা শহরের যানজটে সাধারণত চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার যাত্রীদের সাশ্রয় করবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ধনী দেশগুলো ব্যর্থ: প্রধানমন্ত্রী
টানা ক্ষমতায় থাকায় দেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে