প্রতিহত
বিএনপি-জামায়াতকে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করতে হবে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘বিএনপি ও জামায়াতকে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করতে হবে। কারণ হত্যা ও ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে তাদের জন্ম হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি রাজনীতির নামে অপরাজনীতি করছে।’
আরও পড়ুন: লিঙ্গ বিবেচ্য নয়, আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
শনিবার (৬ জুলাই) চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা শাখা আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী। কিন্তু তারা বলতে চায় তারাও স্বাধীনতার পক্ষের লোক। যদি তাই হয়, তাহলে তারা কেন স্বাধীনতার বিপক্ষের লোকজন নিয়ে ঘুরেন। এছাড়া তার কেন যুদ্ধাপরধীদের বিচার বন্ধ করতে চান?
দীপু মনি বলেন, ‘আমরা ধ্বংসের রাজনীতি করি না, আমরা সৃষ্টির রাজনীতি করি। আমরা সন্ত্রাসের নয়, শান্তির রাজনীতি করি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন দেশে বিএনপি-জামায়াত নারীদের ওপর নির্যাতন নীপিড়ন করেছিল তখনই এই যুব মহিলা লীগ নামে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। তখন থেকেই এই সংগঠন আন্দোলন সংগ্রামে জোরালো ভূমিকা পালন করেছে এবং সব নির্যাতন ও নীপিড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। তারা রাজপথে একটি নজির স্থাপন করেছে।’
সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের অর্ধেক ভোটার নারী। তাদের পেছনে ফেলে সমাজ এগিয়ে যেতে পারে না। শেখ হাসিনার কল্যাণে আজকে সব পেশায় নারীরা এগিয়ে আছে। নারীরা তাদের যোগ্যতার মাধ্যমে প্রতিটি পদক্ষেপ নিচ্ছে। নারীদের শ্রমকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।’
সংগঠনের জেলা সভাপতি ফরিদা ইলিয়াছের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, চাঁদপুর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আলম মিল্টন, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপিকা মাসুদা খানম, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির মিজি, সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হায়দার সংগ্রাম।
আরও পড়ুন: আনারসের পাতার আঁশ থেকে কাপড় তৈরি যুগান্তকারী: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
৩ মাস আগে
শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করুন: টুঙ্গিপাড়ার জনসভায় শেখ হাসিনা
আগামী ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়ে ষড়যন্ত্রের উপযুক্ত জবাব দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'আমি চাই এই নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হোক।৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সুষ্ঠু জবাব দেব, যাতে কেউ বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে না পারে।’
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র চলছে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনেকেই এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে যাতে দেশে নির্বাচন না হয় কারণ তারা তৃতীয় দলকে ক্ষমতায় আনতে চায়।
আরও পড়ুন: বিএনপি মানুষ পোড়ায়, বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই তাদের: বরিশালে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তৃতীয় পক্ষ কী করতে পারে? তারা দেশের কোনো উন্নয়ন করতে পারে না। আপনারা দেখেছেন ২০০৭ সালে তারা কী করেছিল।’
ফিলিস্তিনের হাসপাতালগুলোতেও ইসরায়েল বোমা হামলা চালাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারেক জিয়া লন্ডন থেকে বাংলাদেশে অ্যাম্বুলেন্স, সাংবাদিক ও পুলিশের ওপর হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়ে ঠিক একই কাজ করছেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য হবে না।
তিনি বলেন, 'যদি আল্লাহ চান এবং আমরা আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসতে পারি, তাহলে লন্ডনে অবস্থান করে আমাদের দেশের জনগণের ক্ষতি ও মানুষ হত্যার আদেশ দেন তা মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে তাকে সেখান থেকে (দেশে) এনে শাস্তি দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে বরিশালে প্রধানমন্ত্রী, নগরীতে উৎসবমুখর পরিবেশ
১০ মাস আগে
নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা পরিবেশ নষ্টের সামিল: হাছান মাহমুদ
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন যে কেউ বর্জন করতে পারে, তবে নির্বাচন প্রতিহত করার অধিকার কারো নেই। কেউ যদি নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় তবে সেটি নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার সামিল হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে অত্যন্ত সুন্দর নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনের পরিবেশ কেউ এখন নষ্ট করছে কি না; সেটি দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন: তথ্য সংগ্রহ আর চুরি এক জিনিস নয়: হাছান মাহমুদ
সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) নবনির্বাচিত কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করে বিরোধীদল দমনের চেষ্টা করছে এবং জনগণের অধিকার হরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, মির্জা ফখরুলকে অনুরোধ জানাব, পেছনে ফিরে তাকানোর জন্য।
তিনি বলেন, তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন ৫০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন। এখন বাংলাদেশে ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। গ্রামের গৃহবধূ, স্কুলের শিক্ষার্থী, রিকশাওয়ালা, খেতে কাজ করা ব্যক্তিও এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
তিনি বলেন, এই ইন্টারনেটকে সর্বজনীন করেছে বর্তমান সরকার।
মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে আমাদের স্লোগানই ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ। কারণ, ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম লক্ষ্য ছিল, সবার কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য করা। গ্রামে গ্রামে ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেওয়া।
এ ছাড়া গ্রামে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে এমন অনেক যুবক আছেন।
তিনি বলেন, আমরা কোনোভাবে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করি না বরং সহজলভ্যতার সুযোগ গ্রহণ করে বিএনপি তাদের পেইড এজেন্ডা দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী থেকে শুরু হরে সরকারদলীয় নেতাদের চরিত্র হনন করছে।
তিনি আরও বলেন, এরইমধ্যে তাদের অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে। যারা বিভিন্ন দেশে বসে সরকারের বিরুদ্ধে, সরকারি দলের নেতাদের চরিত্র হনন করে, তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে তারেক রহমান।
সেই বৈঠকের ছবিও আমাদের কাছে আছে। এটা কেবল ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার কারণে করতে পারছে; যা কখনো সমীচীন না। এগুলো ডিজিটাল অপরাধ। ডিজিটাল অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সারা পৃথিবীতে আইন আছে।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্প্রতি একটি আইন পাস করেছে। সেখানে অনেক দেশ সায় দিয়ে আইন পাস করেছে। আমরা এখনো করিনি। তাদের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায় খুবই আন্তরিক: সংসদে হাছান মাহমুদ
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ডিজিটাল অপরাধীদের পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য কাল সংবাদ সম্মেলন করছেন। কিন্তু তার উচিত সরকারকে ধন্যবাদ জানানো।
কারণ, তিনি ভিডিও কনফারেন্সে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে মিটিং করেন, সেটা শেখ হাসিনার জন্য হয়েছে। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানানো দরকার।
বিএনপি থেকে বলা হচ্ছে, তারা বর্তমান সরকারের অধিনে নির্বাচনে যাবে না, আর সরকার বাহিনী দিয়ে বিএনপির নেতাদের নামে হামলা-মামলা করছে, এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাই, বিএনপি পূর্ণশক্তি নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের মতো নয় বরং পূর্ণশক্তি নিয়ে অংশ নিক।
একদিকে তারা বলছেন, নির্বাচনে যাবেন না, আবার বলছেন আমাদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে চাচ্ছে। আমরা কাউকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে চাচ্ছি না। আমরা চাই, বিএনপি নির্বাচনে আসুক এবং সংবিধান মেনে যে নির্বাচন হবে সেখানে অংশ নিক।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের মধ্যেই স্পষ্ট, তারা নির্বাচনে অংশ নিতে চান। কিন্ত কোনো অদৃশ্য শক্তির কারণে নির্বাচনে আসতে পারছেন না। কোনো অদৃশ্য শক্তির কারণে নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না তাদের নেতৃত্ব। এটি মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে স্পষ্ট। আমি তাদের অনুরোধ জানাই, অদৃশ্য থাবা থেকে মুক্ত হয়ে বিএনপি দলটাকে জনগণের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও একটি পর্যবেক্ষক দল আগামী ২৮ জুলাই ঢাকায় আসবে। তারা নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে একটি প্রতিবেদনও দেবে, এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকারবিষয়ক প্রতিনিধি দল আসতেই পারে, এলে তো ভালো। বাংলাদেশের নির্বাচন কেমন হবে; সেটা দেখার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরাও চাই তারা আসুক, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করুক।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন কত সুষ্ঠু হয়েছে। একটা ঘুষিকে সামনে এনে গণমাধ্যমে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পশ্চিম বাংলায় যেখানে ৩৯ জন মারা গেছেন, সেখানে এখানে একটা ঘুষি মারা হয়েছে। তাহলে পরিবেশ কোথায় ভালো?
হাছান মাহমুদ বলেন, ঢাকা ১৭ এর নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। কেন্দ্রের বাইরে একজন প্রার্থীকে হেনস্তা করা হয়েছে। এটা কোনোভাবেই সমীচীন নয়। আমরা সেটার নিন্দাও জানিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, সেখানে ৮ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জামায়াতকে দিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রতিহত করার বিষয়ে বলিয়েছে বিএনপি: হাছান মাহমুদ
১ বছর আগে
বান্দরবানে অশুভ শক্তি প্রতিহত করতে নদী পূজা
যথাযথ ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে অশুভ শক্তিকে প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে বান্দরবানের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা নদী পূজা সম্পন্ন করেছে।
পূজা উপলক্ষে শনিবার (২২ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান রাজবাড়ী পরিবারের আয়োজনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটের জৈন্তাপুর-জাফলং ঈদে পর্যটক বরণে প্রস্তুত
শোভাযাত্রাটি রাজবাড়ী প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উজানি পাড়া সাঙ্গু নদীর তীরে এসে সমবেত হয়।
শোভাযাত্রায় বান্দরবানের বোমাং সার্কেল চীফের জ্যৈষ্ঠ রাজপুত্র চসিংপ্রু বনি, রাজপরিবারের সদস্য, বিভিন্ন মৌজার হেডম্যান ও কারবারি (পাড়া প্রধান) সহ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পুরুষরা অংশ নেয়। এতে নেতৃত্ব দেন রাজপুত্র।
এ সময় সাঙ্গু নদীর তীরে বটগাছ ও নদীর পূজা করে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা।
এ সময় ভক্তরা মিষ্টান্ন, মোমবাতি ও ধুপ জ্বালিয়ে এবং নদীতে ফুল বিসর্জন দিয়ে দেবতার পূজা করেন।
এছাড়া নতুন বছরে পৃথিবীতে সুখে-শান্তিতে বসবাসের জন্য প্রার্থনা করা হয়।
রাজ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রাচীনকালে পাহাড়ি অঞ্চল বান্দরবানে অশুভ ও অদৃশ্য শক্তি প্রভাব বিস্তার করতো। এতে পাহাড়বাসীরা বিভিন্ন সময় নানান ধরনের রোগব্যাধিতে আক্রান্তসহ নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতো।
তাই তারা বিশ্বাস করেন অশুভ শক্তির হাত থেকে রেহাই পেতে হলে এই নদী পূজা (ক্ষ্যং ফুহ) পালন করা দরকার। তাই সেই বিশ্বাস থেকেই এ পূজা পালিত হয়ে আসছে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর বৈশাখ মাসে রাজপরিবারের পক্ষ থেকে এই নদী পূজা উদযাপন করা হয়। এর মাধ্যমে পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করে থাকেন বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন
এবারের ঈদ যাত্রায় কোনো ভোগান্তি নেই: কাদের
১ বছর আগে
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের যে কোনো পদক্ষেপ প্রতিহত করা হবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, এবার দলীয় সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে কোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করবে তাদের দল।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) আগের মতোই নির্বাচন (জাতীয় নির্বাচন) করতে চায়। তারা আবারও আগের মতো কারচুপি ও ভোট চুরি করবে। কিন্তু আমরা রুখে দাঁড়াব এবং প্রতিরোধ করব। আমাদের অস্তিত্ব ও অধিকারের স্বার্থে এবং বাংলাদেশ ও এর জনগণকে রক্ষার জন্য এটি করতে হবে।’
রবিবার ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে বক্সনগর মোড় অভিমুখে মিছিল শুরুর আগে নবাবগঞ্জ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার মতো অন্যায় আর বরদাস্ত করা যায় না। ‘আমাদের ওপর বারবার হামলা ও মারধর করা হচ্ছে। আমরা আর মার খেতে রাজি নই।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বিএনপির পদযাত্রা থেকে ২৫ নেতাকর্মী আটক
তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে দেশের মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে। ‘কিন্তু এখন তা হচ্ছে না। তারা (আ.লীগ) তাদের ভোট এবং আপনাদের ভোটও দিতে চায়। তাই তো লোকে বলতে শুরু করেছে আগে জানলে তোর ভাঙা নৌকায় চড়তাম না।’
বিএনপি নেতা বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে আবার ক্ষমতায় এলে তাদের দলের কোনো আপত্তি থাকবে না।
বিএনপির ১০ দফা দাবি মেনে নিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য তিনি সরকারকে পদত্যাগ ও সংসদ ভেঙে দেয়ার আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসন থেকে দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে সমমনা বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে তাদের দল যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে।
তিনি তরুণদের এগিয়ে এসে এই আন্দোলনকে সফল করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশে যত পরিবর্তন এসেছে, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে নব্বই দশকের আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধ, সবই তরুণরাই করেছে।’
ফখরুল বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান ‘দানব’ শাসনকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবেন।
বর্তমান সরকার লাগামহীন লুটপাট ও চুরির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা।
‘তারা (আ.লীগ নেতা) হঠাৎ করে ধনী হচ্ছে এবং দুর্নীতি করে প্রচুর টাকা কামাচ্ছে। যে আওয়ামী লীগ নেতাদের পায়ে স্যান্ডেল ছিল না, তারা এখন দামি গাড়িতে চড়ে দেশের মানুষের রক্ত চুষে বড় বড় বাড়ি তৈরি করে।’
আরও পড়ুন: তৃণমূলের সমর্থন যোগাতে ৪ মার্চ থানা পর্যায়ে মিছিল করবে বিএনপি
তিনি আরও বলেন, সরকার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে জনগণের টাকা লুটপাট করছে। কিন্তু উন্নয়নে সাধারণ মানুষের কোনো লাভ হচ্ছে না। এই সরকার আবার এলে এদেশ থাকবে না, জাতি থাকবে না।
পরে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী শহীদ মিনার থেকে একটি মৌন মিছিল বের করে প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক প্রদক্ষিণ করে বক্সনগর মোড়ে এসে শেষ হয়।
এর আগে শনিবার দলের ১০ দফা দাবিতে ঢাকা ছাড়া সব জেলায় একই ধরনের কর্মসূচি পালন করে দলটি।
আরও পড়ুন: বিডিআর হত্যাকাণ্ডে আ.লীগ সরকার জড়িত: ফখরুল
১ বছর আগে
আ.লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যে কোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এখন যে শান্তি সমাবেশ, এটি বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টার অংশ। কারণ চিহ্নিত একটি অপশক্তি নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।
তিনি বলেন, আবারও দেশে অরাজকতা সৃষ্টি এবং ২০১৩ ও ২০১৪ সালের মতো অগ্নিসন্ত্রাস করতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যেকোনো অপচেষ্টা অবশ্যই প্রতিহত করবে।
আরও পড়ুন: নতুন কারিকুলামে শিক্ষকের দায়িত্বশীলতা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী যা বললেন
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা স্টেডিয়াম মাঠে চাঁদপুর সরকারি কলেজের ৭৫তম বছরপূর্তি উৎসব ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের শান্তিশৃঙ্খলা যেন কোনোভাবে বিনষ্ট না হয়, আমরা যেন শান্তি বজায় রেখে আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিতে পারি; দেশকে সোনার বাংলা, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারি, সে লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি।
তিনি বলেন, এর মধ্যে পাল্টাপাল্টি কিছু নেই। আমরা মাঠে আছি এবং থাকব। আমরা সরকারে যেমন আছি, জনগণের সঙ্গে মাঠেও তেমনি আছি। শান্তি, শৃঙ্খলা ও জনগণের জানমাল রক্ষায় চিরদিন ছিলাম, আজও আছি এবং আগামীতেও থাকব।’
দীপু মনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশে যত অধিকার আছে, সে সব অধিকার প্রতিষ্ঠা করায় নেতৃত্ব দিয়েছে। আমরা যে ভাষা পেয়েছি, তার অধিকার, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, উন্নয়ন পেয়েছি; এ সবকিছুসহ দেশগড়ার কাজে নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল, নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান, সাবেক সচিব ও শিশুসাহিত্যিক ফারুক হোসেন, জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, একুশে পদকপ্রাপ্ত অনুজবিজ্ঞানি ড. সমীর কুমার সাহা, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক অসিতবরণ দাশ, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে কলেজ অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী বিব্রত
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ফের করোনায় আক্রান্ত
১ বছর আগে
ইসলামের অপব্যাখ্যা প্রতিহত করুন: হজ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলাম ধর্মের মূল্যবোধ ধারণ করে সমাজ থেকে এর অপব্যাখ্যা প্রতিহত ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামের মর্মবাণীকে অন্তরে ধারণ করার মাধ্যমে আসুন আমরা সবাই সমাজ থেকে অন্ধকার, সংঘাত, নিরক্ষরতা, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদকে নির্মূল করি এবং সেই সঙ্গে ইসলামের অপব্যাখ্যাকারী শক্তিকে প্রতিহত করি।’
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ঢাকায় হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রথম জাতীয় পর্যায়ের সম্মেলন ও মেলার উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কুয়েতের প্রস্তাবিত পেট্রোলিয়াম শোধনাগার দ্রুত বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা সম্মেলন-২০২২ এবং হজ ও ওমরাহ মেলা’-এর আয়োজন করে।
এই আয়োজনের উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে হজযাত্রীদের যথাযথ হজ সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করা, তাদের বর্তমান প্রযুক্তিভিত্তিক হজ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতন করা, হজ এজেন্সির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে সক্ষম করা এবং মধ্যস্বত্বভোগী ও প্রতারকদের প্রভাব হ্রাস করা।
তিন দিনব্যাপী মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আগ্রহীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
শেখ হাসিনা বলেন, ইসলাম বিশ্বের অন্যতম সুন্দর ধর্ম। ইসলামের শান্তিপূর্ণ গৌরব সমুন্নত রাখতে আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় ঢাকা-টোকিও সম্পর্ক বাড়বে: শাহরিয়ার আলম
সক্ষমতা বাড়াতে জনগণকে যুক্ত করুন: অগ্নিনির্বাপকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে