প্রতিবাদ
ফেসবুকে বিমানের লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইটের আসন ফাঁকা পোস্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
ফেসবুকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইটের আসন ফাঁকা সংক্রান্ত একটি পোস্ট কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে।
বিষয়টি নিয়ে বিমানের যাত্রী ও সর্বসাধারণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
এই পোস্ট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্যতম আইকনিক প্রতিষ্ঠান জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সুনাম ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াস।
আলোচ্য বিষয়ে সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, এয়ারলাইন্স ব্যবসায় লিন/পিক মৌসুম থাকে। পবিত্র রমজান মাসের শুরুর দিকে ও মার্চ মাসে সাধারনত যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশের যাত্রী চাহিদা কম থাকে (লিন মৌসুম), কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যগামী যাত্রীর চাহিদা থাকে (পিক মৌসুম)।
আরও পড়ুন: ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিমানের অতিরিক্ত ফ্লাইট
বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যগামী সবগুলো ফ্লাইট আসন সংখ্যার প্রায় সমসংখ্যক যাত্রী নিয়ে পরিচালনা করছে। কিন্তু যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশগামী ফ্লাইট বর্তমানে লিন মৌসুমের কারনে কমসংখ্যক যাত্রী নিয়ে পরিচালনা করছে। এপ্রিল মাসের শেষের দিকে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশগামী ফ্লাইটে যাত্রীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে।
বিশেষ উল্লেখ্য যে, গত সপ্তাহে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সকল সেকটরে গড়ে ৮৬ শতাংশ যাত্রী (কেবিন ফ্যাক্টর) ছিল।
আসন খালি থাকা সত্বেও টিকেট কিনতে গেলে বলে টিকেট নেই, এটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটা ঢালাও মনগড়া অভিযোগ।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সকল টিকেট সর্বসাধারণের নিকট বিক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকেট সম্মানিত যাত্রী যেকোন অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্ট ছাড়াও বিমানের নিজস্ব ওয়েবসাইট, মোবাইল এপস এবং বিমানের নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র থেকে ক্রয় করতে পারবেন। অন্যান্য সকল সেকটরের ন্যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকা সেকটরের সকল এয়ার টিকেটই প্রতিটি বিক্রয় মাধ্যমে বুকিং করা যায়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অভ্যন্তরে অনুমতি ব্যতীত ছবি ও ভিডিও ধারণ করা ও উক্ত ছবি বা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ডিজিটাল যেকোন মাধ্যমে প্রচার করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
অতএব, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর, মানহানীকর ও বেআইনী তথ্য সম্বলিত কোন পোস্ট ফেসবুক অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার না করার জন্য সর্বসাধারণের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিমানের নতুন গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইক্যুইপমেন্ট কমিশনিং ও যানবাহন প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
সৈয়দপুর বিমানবন্দর হচ্ছে আঞ্চলিক এভিয়েশন হাব: পর্যটনমন্ত্রী
সিরাজগঞ্জে মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে পিটিয়ে আহত
সিরাজগঞ্জে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বাবাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বখাটেদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এনায়েতপুরে স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে কেজির মোড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগকারী আহত বাবা খোরশেদ আলম ওরফে বাবু মির্জা দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার এনায়েতপুর থানা প্রতিনিধি।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে বাবু মির্জা বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/ ১৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: ছেলের বিরুদ্ধে বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ!
এদিকে এ ঘটনায় উত্ত্যক্তকারী চার বখাটেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- এনায়েতপুর থানার ব্রাহ্মণগ্রাম গ্রামের মৃত ইসমাইল ভূঁইয়ার ছেলে মো. আজিজুল হক হৃদয়, গোপীনাথপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে নাজমুল হোসেন রোকন ভূঁইয়া, খোকশাবাড়ী গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে আশরাফুল ইসলাম ও গোপীনাথপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে রাশেদ উদ্দিন ভূঁইয়া।
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, এনায়েতপুর থানার কেজির মোড় এলাকার আইসিএল স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বাবু মির্জার মেয়ে। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে আজিজুল হক হৃদয় নামে এক বখাটে তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি বাবাকে জানায় তার মেয়ে।
তিনি জানান, এরপর বাবু মির্জা হৃদয়কে উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করেন। এতে হৃদয় ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে কেজির মোড় এলাকায় তার মেয়ের হাত ও ওড়না ধরে টানাটানি শুরু করে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বাবা ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করেন।
ওসি আরও জানান, এ সময় এজাহার নামীয় ৭ আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাবু মির্জার উপর আক্রমণ চালিয়ে পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উল্লেখিত চারজনকে গ্রেপ্তার করলেও অন্যরা পালিয়ে গেছে। তবে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
জৈন্তাপুরে নবজাতক হত্যার অভিযোগে আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
বিএসএফের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে লালমনিরহাটে মিছিল ও সমাবেশ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে 'প্রতীকী লাশ' নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এক ব্যক্তি ও তার সহযোগীরা।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দা হানিফ বাংলাদেশির নেতৃত্বে মিছিলটি উপজেলা পরিষদ মোড় থেকে শুরু হয়ে পাটগ্রাম উপজেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে হত্যাকাণ্ডের শিকার ২২২ জন: বিএইচআরসি
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার হানিফ বাংলাদেশির নেতৃত্বে মিছিলে অংশ নেন- সাদিকুল ইসলাম ও নুরুন্নবী মিয়া, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার এনইউ আহমেদ, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার সৌরভ হোসেন বেলাল ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আরিফ হোসেন।
শোভাযাত্রা শেষে এক সমাবেশে হানিফ বাংলাদেশি অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমার বাংলাদেশের ওপর আগ্রাসন চালাচ্ছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সীমান্তে বহু বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে।
তাছাড়া মিয়ানমার ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে নির্যাতনের পর বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি মিয়ানমারের মর্টার শেলের আঘাতে বাংলাদেশে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
কেন চোরাকারবারিদের হত্যা করে ধরা হচ্ছে না এবং বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না- এমন প্রশ্ন রেখে হানিফ বাংলাদেশি বলেন, সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার পর দেশগুলো গরু চোরাকারবারি হিসেবে চালিয়ে দেয়।
১৭ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের টেকনাফে প্রতীকী লাশ নিয়ে প্রথম শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা-উপজেলায় এ ধরনের শোভাযাত্রা করার ঘোষণা দেন তারা।
আরও পড়ুন: সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ডিজিএফআই কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ২ আরসা কমান্ডার গ্রেপ্তার
বাকৃবিতে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে ৬ দফা দাবি
নারী সহপাঠীকে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে ছয় দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) অভিযুক্ত সিএনজি অটোরিকশা চালকের বিচারের দাবিতে পশুপালন অনুষদ থেকে একটি মিছিল বের হয়ে প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও ও সকাল থেকেই ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে।
আরও পড়ুন: উদ্যোক্তাবান্ধব গবেষণায় দেশসেরা বাকৃবি
ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা জানান, শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল পশু পুষ্টি মাঠ গবেষণাগারে ব্যবহারিক ক্লাস করতে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এসময় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) আবাসিক এলাকাসংলগ্ন সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় পেছন থেকে ২০-২৫ বছর বয়সী সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক তার শরীরে হাত দেয় ও গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী চিৎকার দিলে ওই ব্যক্তি সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ছয় দফা দাবি জানায়।
আরও পড়ুন: কেবল দেখতেই সুন্দর নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর রঙিন ফুলকপি: বাকৃবি অধ্যাপক
ছাত্রীদের উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হত্যা
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ছাত্রীদের উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় নিরব হোসেন নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সাড়ে ৪টার দিকে কাজী ফজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রায় একশ গজ পশ্চিমে চৌধুরীবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের পাশে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যার ২২ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
নিহত স্কুলছাত্র নিরব হোসেন কামারগাঁও আলহাজ কাজী ফজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র এবং মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
তার বাড়ি চাঁদপুরে। বাবা মারা যাওয়ার পর তার মা দুই ছেলেকে নিয়ে মামা খৈয়ম বেপারীর বাড়িতে থাকেন। দুই ছেলের মধ্যে নিরব বড়।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার শ্রীনগর উপজেলার কাজী ফজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতা চলাকালীন ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রীকে উত্যক্ত করে বখাটেরা।
নিরব ঘটনার প্রতিবাদ করে। এরই জেরে শুক্রবার বিকালে শ্রীনগর কাজী ফজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রায় একশ গজ পশ্চিমে চৌধুরীবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের পাশে ধারালো ছুরি দিয়ে নিরবকে গুরুতর আহত করে হামলাকারীরা।
পরে স্থানীয় লোকজন নিরবকে শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিরবকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীনগর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতাল থেকে মর্গে পাঠানোর কাজ চলছে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: পিছিয়েছে সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা
জয়পুরহাটের হত্যা মামলায় ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সরকারি আমলাকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার দেওয়ার চলচ্চিত্র নির্মাতার প্রতিবাদ
কথা সাহিত্যিক জাকির তালুকদারের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ফেরত দেওয়া নিয়ে সরগরম গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম । এরই মধ্যে একজন সরকারি আমলা কথাসাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশ হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার মনজুরুল ইসলাম মেঘ।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমি ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ই-মেইলে চিঠি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
গত ২৪ জানুয়ারি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ ঘোষণা করেছে বাংলা একাডেমি।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, বাংলা একাডেমি পুরস্কার-২০২৩ এ কথাসাহিত্যে পুরস্কারের জন্য নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীরের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি ড. জাহাঙ্গীর আলম নামে একজন সরকারি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদা) হিসেবে কর্মরত।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ আয়কারী ১০ দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র
ই-মেইলে তিনি আরও বলেন, ‘২০১৯-২০২০ অর্থবছরে তথ্য মন্ত্রণালয় চলচ্চিত্র অনুদান দেয়। গেজেট নম্বর ১৫.০০.০০০০.০৪১.২৪.০০১.২০.১৩৮ ওই গেজেটের সিরিয়াল নম্বর ১৬ বিলডাকিনি চলচ্চিত্রের পরিচালক হিসেবে গেজেট ঘোষণার আগে তৎকালীন তথ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি আমার সাক্ষাৎকার নিয়ে আমার নাম মনজুরুল ইসলাম পরিচালক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অথচ জাল-জালিয়াতির মাধ্যম ড. জাহাঙ্গীর আলম তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে পরিচালকের পদ থেকে আমাকে বঞ্চিত করে উক্ত গেজেটের সিরিয়াল নম্বর ৩ এ উল্লেখিত ফজলুল কবীর তুহিনকে দিয়ে বিলডাকিনি ও গাংকুমারী নামে দুটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন, যা চলচ্চিত্র অনুদান আইনবিরোধী। বিলডাকিনি চিত্রনাট্য আমার রচিত এবং আমার নামে কপিরাইট অধিদপ্তরে নিবন্ধিত হয়েছে। কপিরাইট নিবন্ধন নম্বর ঈজখ-২৩৪৫৮। অথচ নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর আমার সৃজনশীল কর্ম অবৈধ ভাবে আংশিক পরিবর্তন করে সিনেমা নির্মাণ করে কপিরাইট আইন লঙ্ঘন ও সৃজনশীল কর্ম চুরির অপরাধ করেছেন। সরকারী অর্থ আত্মসাতের জন্য নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর নিজের স্ত্রী খাতিজা বেগম মিতাকে বিলডাকিনি চলচ্চিত্রের নির্বাহী প্রযোজক এবং ঘনিষ্ঠবন্ধু আব্দুল মমিন খানকে প্রযোজক বানিয়ে সরকারি অর্থ উত্তোলন করেছেন। আব্দুল মমিন, তথ্য গোপন করে অসাধু পন্থা অবলম্বন করে যোগ্যতা ছাড়াই জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে চলচ্চিত্র অনুদান হস্তগত করেছেন, এই বিষয়ে বিগত ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ তারিখে সময় টিভির একটি সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। এছাড়াও জাতীয় গণমাধ্যম সমূহে বিলডাকিনি চলচ্চিত্রের অনিয়ম নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রচারিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আসছে ৭৪ দেশের ২৫২ সিনেমা
এ ঘটনার পর ন্যায় বিচার ও সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি ও প্রাপ্য সম্মান-অধিকার চেয়ে তিনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে একাধিক চিঠি দিয়েছেন বলে জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশনা দিয়েছিলেন উল্লেখ করে মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘সেটির একটি রিসিভ কপি আমার কাছে আছে, বিষয়টি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। আমার অপর একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্তের জন্য পুলিশ প্রশাসন আমার বক্তব্য নিয়েছেন, সেটির চূড়ান্ত ফলাফল এখনো আমি পাইনি।’
প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর, যার বিরুদ্ধে সৃজনশীল জালিয়াতির বিষয়টি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি, তাকে বাংলা একাডেমি কর্তৃক পুরস্কার দেওয়া হলে বাংলা একাডেমির সুনাম ক্ষুণ্ন ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে মনে করেন এ চলচ্চিত্র পরিচালক। একই সঙ্গে তিনি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
মনজুরুল ই-মেইলে পাঠানো প্রতিবাদে বলেন, ‘অতএব বিষয়টি আমলে নিয়ে বিলডাকিনি চলচ্চিত্র অনুদানে আমার অধিকার ও ন্যায় বিচার না হওয়া পর্যন্ত এবং নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীরের বাংলা একাডেমি পুরষ্কার প্রদান স্থগিত করে এবং কথাসাহিত্যে নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীরের পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে তার কথাসাহিত্যের মান বিচারের জন্য একটি নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ভারতের চলচ্চিত্র উৎসবে ‘মেঘের কপাট’ পেল ৩ পুরস্কার
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির প্রতিবাদে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’ প্রত্যাখ্যান
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে বারবার দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির প্রতিবাদে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’ প্রত্যাখানের ঘোষণা দিয়েছেন মো. নূরুল হুদা নামে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ভালো ফল অর্জন সত্বেও নিজে শিক্ষক নিয়োগে আবেদন করে দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতির কাছে হার মেনেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: কোটার ভিত্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া স্বর্ণপদকও ফেরত দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নূরুল হুদা।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক প্রত্যাখ্যানের এই ঘোষণা দেন।
লিখিত বক্তব্যে নূরুল হুদা বলেন, ‘শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আর্থিক লেনদেন, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক প্রত্যাখ্যান করছি।’
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ, ৯৩৩৭ জন উত্তীর্ণ
নূরুল হুদা লালমনিরহাট জেলার মৃত আহর উদ্দীনের ছেলে। তিনি জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ভর্তি হন। এলএলবিতে (সম্মান) সিজিপিএ-৩.৬৫৪ এবং এলএলএমে ৩.৬০৭ অর্জন করেন।
এলএলবি পরীক্ষার ফলাফলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে প্রথম স্থান অর্জন করায় ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক এবং ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পান। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ১২ পরীক্ষার্থী আটক, বহিষ্কার ৩
নুরুল হুদা জানান, ২০১৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আবেদন করেন তিনি। নিয়োগ বোর্ড বসার আগে বোর্ডের একজন সদস্যের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ও বিভাগীয় তৎকালীন সভাপতির বিরুদ্ধে নানা অনৈতিক সুবিধা আদায়ের অভিযোগ করেন। এসব বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্যকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া নুরুল হুদার চেয়ে যাদের জিপিএ কম এমন তিনজনকে নিয়োগ দেওয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত কমিটি নিয়োগ বোর্ডকে অবৈধ ঘোষণা দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গঠিত ইউজিসির তদন্ত কমিটির সামনে ২০২০ সালের ১৭-১৮ সেপ্টেম্বর উপস্থিত হয়ে আমি ও আমার স্ত্রী শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য এবং বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরি। ইউজিসির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ১ ও ২ নম্বর পর্যবেক্ষণে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানানো হয়।’
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ আটক ৩৫
দুর্নীতির প্রতিবাদ করব, সংসদে নিপীড়িতদের পক্ষে কথা বলব: ব্যারিস্টার সুমন
হবিগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, দুর্নীতির প্রতিবাদ করব এবং সংসদে নিপীড়িতদের পক্ষে কথা বলব।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে অব্যাহতি
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমার ভূমিকা আগের মতোই থাকবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, নিপীড়িত মানুষের পক্ষে কথা বলা এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়ন।’
কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একটি বা দুটি নয়। বাংলাদেশে কেউ কাজ করতে চায় না। তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে বিবেচনা করেন, তাহলে আমি অনেক কাজ করতে পারব।’
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জ-৪ আসন: ব্যারিস্টার সুমনকে আবারও শোকজ
তিনি বলেন, ‘মাত্র পাঁচ বছর সংসদ সদস্য। আমি যদি খারাপ পারফর্ম করি, মানুষ আমাকে বের করে দেবে।’
পাঁচ বছরের জন্য জনগণ তাকে দায়িত্ব দিয়েছে বলেও মনে করেন ব্যারিস্টার সুমন।
আরও পড়ুন: সালাম মুর্শেদীর বাড়ি: দুটি ভিডিও সরাতে ব্যারিস্টার সুমনকে নির্দেশ
আগামী ১০ ডিসেম্বর মানববন্ধন করবে বিএনপি: রিজভী
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আগামী ১০ ডিসেম্বর গুম ও রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে মানববন্ধন করার প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আগামী রবিবারের (১০ ডিসেম্বর) কর্মসূচি সফল করতে দলের প্রস্তুতির কথা বলেন।
রাজধানীতে বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবেন বলে জানান তিনি।
রিজভী দাবি করেন, ‘বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি ইউনিট এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়েছে।’
এছাড়া এই বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তুলে ধরতে তাদের দলের সব জেলা ইউনিট একই দিনে একই সময়ে কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার যদি কর্মসূচি পালনে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করে, তাহলে তাদের দলের নেতা-কর্মীদের প্রতিরোধ ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
রিজভী বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে তারা সফলভাবে কর্মসূচি পালন করতে চান।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা রিজভীর সমাবেশ থেকে গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ পিকেটারদের
তিনি বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মী এবং যারা গুম এবং রাজনৈতিক ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের ঢাকাসহ সারাদেশে মানববন্ধনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি আদায়ে শুক্রবার সকাল ৬টায় শেষ হওয়া ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালনের জন্য তিনি বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের মহাসমাবেশ পুলিশ বানচাল করার পর থেকে ১০ দফা অবরোধ ও তিন দফায় হরতাল পালন করে বিএনপি।
রিজভী বলেন, ‘স্বৈরাচারী’ আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে মানবতা ও মানবাধিকারের কোনো মূল্য নেই।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সরকার এখন ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য স্বৈরাচারী শাসনে পরিণত হয়েছে… তারা চায় দেশের মানুষ সত্য ভুলে যাক এবং তারা সমাজ থেকে সত্যকে মুছে ফেলতে চায়। তারা দেশ থেকে ন্যায়বিচার দূর করার চেষ্টা করছে।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা আরও বলেন, সরকার এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যেখানে সত্য কথা বলা এবং মানবাধিকারের কথা বলা বা শান্তিপূর্ণ অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনকে সবচেয়ে বড় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণভাবে সুশীল সমাজকে দমন করার চেষ্টা করছে, দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।
শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশ বিএনপির ২১৫ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত তাদের দলের প্রায় ২০ হাজার ৪৯০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা ধরে রাখতেই তৈরি পোশাক খাতে বিপদ ডেকে আনছে সরকার: রিজভী
বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হচ্ছে বুধবার
নির্বাচনের তফসিলের প্রতিবাদে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর বিক্ষোভ
আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নেতা-কর্মীরা এই বিক্ষোভ করেন।
একতরফা নির্বাচনের তফসিল অবিলম্বে বাতিল করার জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিরোধী দলগুলো।
তফসিলের প্রতিবাদে রামপুরা, মালিবাগ, ওয়ারী, মতিঝিল, সায়েদাবাদ, সেগুন বাগিচাসহ বিভিন্ন এলাকায় আকস্মিক মিছিল করেছে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: তফসিল ঘোষণার নামে 'নাটক' বন্ধ করুন: বিএনপি
গণঅধিকার পরিষদের দুই অংশ ও ১২ দলীয় জোট বিজয়নগর এলাকায় পৃথক মিছিল করে এবং এলডিপি, লেবার পার্টি ও বাম গণতান্ত্রিক জোট পুরানা পল্টন এলাকায় বিক্ষোভ করে।
এসব মিছিল থেকে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীরা একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের 'প্রচেষ্টার' জন্য নির্বাচন কমিশন ও সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের জন্য তফসিল ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ইসি ঘোষিত নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান বিএনপির