প্রতিবাদ
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার নিন্দা এবং ‘বাংলাদেশ বিরোধী উসকানির’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে এই বিক্ষোভ ও মিছিল করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
দলটির সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আহমাদ বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ চাই। আমাদের ১৫ কোটি মানুষের শক্তিশালী ৩০ কোটি হাত সাম্যের জন্য লড়াই করতে প্রস্তুত। কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই এই হামলার তদন্ত করতে হবে এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা সীমান্তে বাংলাদেশিদের নির্যাতনের খবর পেয়েছি। তারা সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। আমরা ভারতের পক্ষ থেকে এই ধরনের আচরণ সহ্য করব না ‘
আরও পড়ুন: জনগণকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান তারেক রহমানের
সংগঠনটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি ইমতিয়াজ আলম বলেন, 'শুধু ক্ষমা চাওয়াই যথেষ্ট নয়। ভারতীয় মন্ত্রীদের আত্মমূল্যায়ন করতে হবে। মুসলিম, খ্রিস্টান, হিন্দু সবাই বাংলাদেশের নাগরিক।’
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারত ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিচ্ছে। ভারতের গণমাধ্যমগুলো সহিংসতায় ইন্ধন জোগাচ্ছে। তারা বাংলাদেশে সংঘাতকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলেও জানান তারা।
ভারত প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে ভারতের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
বিক্ষোভ মিছিলটি বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে বিজয় নগর পানির ট্যাংক এলাকা হয়ে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে গত ২ ডিসেম্বর ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা চালায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব
২ সপ্তাহ আগে
আগরতলা মিশনে 'সহিংস হামলার' প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির বিক্ষোভকারীদের একটি বড় দলের 'সহিংস বিক্ষোভ ও হামলা'র ঘটনা বাংলাদেশ সরকারকে 'গভীরভাবে ক্ষুব্ধ' করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার (২ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে এই 'সহিংস হামলা' এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা ২৮ নভেম্বর কলকাতায় সহিংস বিক্ষোভের অনুরূপ।
মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আগরতলার এই বিশেষ কাজটি কূটনৈতিক মিশনে হামলা টি কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্পর্কিত ভিয়েনা কনভেনশন, ১৯৬১-এর লঙ্ঘন।’
ভারত সরকার পৃথক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং দেশে তাদের উপ-সহকারী হাইকমিশনগুলোর জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, 'আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে ভবনে হামলার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মানুষ ভারত বিরোধী নয়: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
কূটনৈতিক ও কনস্যুলার সম্পত্তিকে যেকোনো পরিস্থিতিতেই লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় মন্ত্রণালয়।
যেহেতু কূটনৈতিক মিশনগুলোকে যেকোনো ধরণের অনুপ্রবেশ বা ক্ষতি থেকে রক্ষা করা স্বাগতিক সরকারের দায়িত্ব, তাই বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে এই ঘটনার সমাধানের জন্য তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার এবং ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছে।
কূটনীতিক এবং অ-কূটনৈতিক কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তাসহ ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনগুলোতে আর কোনো সহিংসতা যাতে না ঘটে সে জন্য পদক্ষেপ চেয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রধান ফটক ভেঙে আন্দোলনকারীদের ভবন প্রাঙ্গনে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে বলে অকাট্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এ সময় স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে তারা পতাকার খুঁটি ভেঙে ফেলে এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করে এবং সহকারী হাইকমিশনের ভেতরের সম্পদের ক্ষতি করে।
দুঃখের সঙ্গে মন্ত্রণালয় বলছে, সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণ রক্ষার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা শুরু থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর ছিলেন না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সহকারী হাইকমিশনের সব সদস্যই চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে বাংলাদেশ মিশনগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করেছে ভারত
৩ সপ্তাহ আগে
হাসনাত-সারজিসকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদ জাতীয় নাগরিক কমিটির
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) চট্টগ্রাম থেকে ফেরার পথে ইচ্ছাকৃতভাবে ট্রাকচাপা দেওয়ার ঘটনায় তাদেরকে লক্ষ্যবস্তু করা হয় বলে জানা গেছে।
হামলার প্রতিবাদে সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলনে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ের গণহত্যার বিচার যারা চায় না তারাও ফ্যাসিস্টের দোসর: সারজিস
মানববন্ধনে নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন চারটি মূল দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো- উগ্রবাদী হিন্দুত্বের প্রভাব থেকে বাংলাদেশি হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের মুক্তি দেওয়া, দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য দায়ীদের গ্রেপ্তার ও বিচার করা, গত ১৫ বছরে হিন্দু মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা।
আক্তার বলেন, ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে তারা এ ধরনের ফাঁদে পা দেবে না। আমাদের দেশকে রক্ষা করতে আমরা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের সবাই জীবন দিতে প্রস্তুত।’
সমাবেশে সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা মনে করে, হাসনাত ও সারজিসকে লক্ষ্যবস্তু করে তারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করতে পারবে। কিন্তু সচিবালয় থেকে শ্রমিক, এদেশের প্রতিটি নাগরিকই যোদ্ধা। দিল্লির আধিপত্য বা কোনো ধরনের ফ্যাসিবাদকে কেউ মেনে নেবে না। এই ভূমির জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত সবাই।’
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সারজিস ও হাসনাতের গাড়ি
৩ সপ্তাহ আগে
শিক্ষকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ, আল্টিমেটাম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর জাহিদুল হককে হত্যার হুমকিদাতা ও তার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদী মানববন্ধন, চিত্রাঙ্কন কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ সময় হুমকিদাতাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বহিষ্কার ও সন্ত্রাসবিরোধী বিশ্বজিৎ ভাস্কর্য স্থাপনের জানান তারা।
রবিবার (নভেম্বর ২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে মানববন্ধন করেন চারুকলা অনুষদের শিক্ষকরা। এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে মানববন্ধনে যোগ দেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ফ্যাসিস্টদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ফ্যাসিস্টদের ঠিকানা, জগন্নাথে হবে না’, ‘এক জাহিদ মরে গেলে লক্ষ জাহিদ ঘরে ঘরে’-সহ নানা স্লোগান দেন। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদী চিত্রাঙ্কন কর্মসূচির আয়োজন করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, কীভাবে একজন কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে গুলি করে মারার হুমকি দেন? এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হলে আমরা শিক্ষার্থীরা মাঠে থাকব। যারা হুমকি দিচ্ছে তাদের আমরা ছেড়ে কথা বলব না। ছাত্র আন্দোলনে তিনি শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন, এটা কি তার অপরাধ?
তাদের দাবি, অভিযুক্ত কাজী মনির ও হুমকিদাতা সালাউদ্দিন মোল্লা স্পষ্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধী ছিলেন। এখন বাইরে বসে হত্যার হুমক দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেবে জবি
ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী অতুল বলেন, ‘ফ্যাসিস্টের দোসররা বিদেশে পালিয়েও আমাদের হুমকি দেয়। শিক্ষকদের হুমকি দেওয়া মানে আমাদের ছাত্র আন্দোলনকে হুমকি দেওয়া। জবিতে ফ্যাসিস্ট আমলের যারা রয়ে গেছে, তাদের আমরা খুঁজে বের করব এবং সব অভিযুক্তদের যেকোনো মূল্যে আইনের আওতায় আনতে চাই। জবি প্রশাসন আমাদের পূর্ণ সহায়তা করবে আশা করি। প্রশাসন আমাদের দাবি না মানলে আমরা সকল ক্লাস বর্জন করব।’
ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন সুমন বলেন, ‘আমাদের যে সহকর্মীর কাছে হত্যার হুমকি এসেছে, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন জাতীয় অংশীজন। বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে তার চিন্তা সবসময় ছিল। আন্দোলনে জবি শিক্ষার্থীদের পক্ষেও তার শক্ত ভূমিকা ছিল। এখন যখন ওই আন্দোলনের স্পিরিটের বিরোধীরা বহাল তবিয়তে আছে, এ বিষয়ে তার আপত্তি আছে। তিনি এগুলো নিয়ে বলছেন। এজন্য জাহিদ এখন পলিটিকাল টার্গেটে পরিণত হয়েছে। জাহিদের মতো শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষককে আমরা হারাতে চাই না।’
চারুকলা অনুষদের চেয়ারম্যান ও ডিন আলপ্তগীন তুষার বলেন, ‘শিক্ষক মোহাম্মদ জাহিদুল হককে হত্যার হুমকির সঙ্গে জড়িত সকল দুর্বৃত্তদের বহিষ্কারের দাবিতে আজ আমরা ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষকরা সম্মিলিত হয়েছি।’
‘উনিও শিক্ষক, আমিও শিক্ষক। আজ জাহিদকে হুমকি দিয়েছে, কাল আমাকে দেবে। আমি বলে দিতে চাই- বাঘে ছুঁলে ১৮ ঘা, পুলিশে ছুঁলে ৩৬ ঘা আর শিল্পী সমাজ ছুঁলে পুরো জয় বাংলা হয়ে যাবেন। জাহিদকে একা ভেবে ভুল করবেন না, আমরা পুরো শিল্পী সমাজ আছি তার সঙ্গে।’
আরও পড়ুন: একনেক সভায় জবি ক্যাম্পাসের মেগা প্রকল্পটি পাস হয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সহকারী প্রক্টর ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল হককে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার হত্যার হুমকির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন এই শিক্ষক। পাশাপাশি কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেন তিনি।
৪ সপ্তাহ আগে
ফেনীতে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর সোনাগাজী উপজেলার মান্দারি ইসলামিয়া নুরুল উলুম মাদরাসার সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মান্দারি ইসলামিয়া নুরুল উলুম মাদরাসার অধ্যক্ষ নুরুল আবছারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এলাকাবাসী জানান, ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় ১৮ নভেম্বর ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে সিএনজি চালক আবদু রব। মামলায় ১৪২ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৭০ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় উদ্যেশ্য প্রণোদিতভাবে সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের মান্দারি গ্রামের ৩৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনাকালীন নিয়োগপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের চাকরির নিরাপত্তার দাবিতে মানববন্ধন
এদের মধ্যে ৬ জন প্রবাসী, সাংবাদিক, মাদরাসার অধ্যক্ষ, সহকারী অধ্যক্ষ, মসজিদের খতিব, রিকশা ও টমটম চালক, সিএনজি চালক, মুদি দোকানদার, হার্ডওয়্যার দোকানদার, মাংস ব্যবসায়ীসহ অনেক বিএনপি কর্মী রয়েছেন।
এই মিথ্যা মামলায় সাধারণ মানুষ এলাকা ছাড়া হয়েছেন। এছাড়া নিরীহদের মিথ্যা মামলা থেকে বাদ দিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে অহ্বান জানান তারা।
মামলার বাদী আবদুর রব বলেন, মামলার আসামিদের সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। ৩ জন বিএনপি ও জামায়াতের নেতা আমাকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে কয়েকটি স্ট্যাম্পে সই নিয়েছে। পরে ঐ কাগজগুলো ফেনী মডেল থানায় তারাসহ জমা দিয়েছি। এছাড়া মামলায় কতজন আসামি বা প্রধান আসামি কে এই বিষয়ে কিছুই বলতে পারেননি আবদুর রব।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনার বাদী মামলা দিলে থানায় তা গ্রহণ করতে হয়। তবে মামলা যাচাই-বাচাই করে আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: শ্রীমঙ্গলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রীতির র্যালি ও মানববন্ধন
১ মাস আগে
নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছেন চালকরা।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এর আগে মঙ্গলবার তিন দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাসেল জানান, সকাল ৯টার দিকে মহাখালী মোড়ে রিকশাচালকরা রাস্তায় নেমে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
পরে তারা মহাখালীতে রেলক্রসিং অবরোধ করলে চরম দুর্ভোগে পড়েন বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: শহীদ নাফিজকে বহনকারী ‘রিকশা’ জুলাই বিপ্লব স্মৃতি জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে
হাইকোর্টের আদেশের প্রতিবাদে মহাখালী, মিরপুর, শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়া এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকেরা যান চলাচল বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন।
পল্লবী জোনের সহকারী কমিশনার তানিয়া জানান, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে মিরপুর-১০, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকরা মিছিল বের করেছেন।
পরে তারা মিরপুর-১০ গোলচত্বর ও রোকেয়া সরণি এলাকায় জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে।
এতে এসব এলাকার মানুষ তীব্র যানজটের সম্মুখীন হচ্ছেন।
ঢাকা শহরে চলাচল করা প্রায় ১০ লাখ রিকশার একটি বড় অংশ ব্যাটারিচালিত। এছাড়াও অনেক পুরোনো প্যাডেলচালিত রিকশাকে যান্ত্রিক করার জন্য ব্যাটারি লাগানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তিন দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
১ মাস আগে
মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে জেলে নিহতের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ
সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে এক বাংলাদেশি জেলে নিহতের ঘটনায় মিয়ানমার সরকারের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার(৯ অক্টোবর) কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহ পরী দ্বীপের কোনা পাড়ার বাসিন্দা উসমান (৬০) নিহত হন।
ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাসে পাঠানো একটি কূটনৈতিক নোটে বাংলাদেশ এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের কাছে মাছ ধরার সময় প্রায় ৫৮ জন বাংলাদেশি জেলে এবং উসমানের নৌকাসহ ৬টি মাছ ধরার নৌকা অপহরণ করায় বিষয়টি আরও জটিল করে তুলেছেন তারা।
আরও পড়ুন: স্পেনের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চান ড. ইউনূস
অবশেষে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও মিয়ানমার নৌবাহিনীর মধ্যে যোগাযোগের পর বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুই দফায় নৌকাসহ জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে মিয়ানমারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। মিয়ানমারকে বাংলাদেশের জলসীমার অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন এবং ভবিষ্যতে আর কোনো উসকানি থেকে বিরত থাকার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে জাতিসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত’
২ মাস আগে
গণপিটুনির প্রতিবাদে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনি ও খাগড়াছড়িতে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দিনভর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদারের নেতৃত্বে মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণপিটুনির বিচারের দাবিতে রাজু ভাস্কর্য এলাকায় মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: ছাত্রলীগের সাবেক নেতাসহ ৪ জন গ্রেপ্তার
পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফজলুল হক মুসলিম হলের ভেতরে ওই ব্যক্তিকে হত্যার প্রতিবাদে 'নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ' ব্যানারে শিক্ষার্থীরা প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন।
তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এমন এক পরিবেশ তৈরি করছে, যেখানে 'মোবোক্রেসি'কে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে, যার ফলে এই নৃসংশ মৃত্যু হয়েছে।
বিকেল থেকেই বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঢাবি কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে রাস্তায় নেমে আসেন। সন্ধ্যায় তারা মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজু ভাস্কর্যে মানববন্ধন করে 'গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট'। ছাত্র রাজনীতি গণপিটুনির মূল কারণ নয়। তাই ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা অযৌক্তিক বলে তারা দাবি করেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির হলে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশে নতুন বিধিনিষেধ আরোপের প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন, প্রশাসন প্রতিটি হল সঠিকভাবে পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা বিধিনিষেধের সমালোচনা করে বলেন, প্রশাসনের গাফিলতি হত্যাকাণ্ডের পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে 'স্টুডেন্টস রাইটস ওয়াচ' ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেন হলের আরেক দল শিক্ষার্থী। তারা জড়িতদের বিচার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
একই সঙ্গে খাগড়াছড়িতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: সচিবালয়ে ঢাবি শিক্ষার্থী-আনসার সদস্যদের সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন
৩ মাস আগে
২৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ ডিআরইউয়ের
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভসহ ২৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে হত্যা মামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।
একই সঙ্গে পেশাদার সাংবাদিকদের এ ধরনের হত্যা মামলা থেকে অবিলম্বে অব্যাহতির আহ্বান জানান ডিআরইউ নেতারা।
আরও পড়ুন: ডিআরইউ নির্বাচন: সভাপতি শুভ, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম এবং সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন বলেন, ঢালাওভাবে পেশাদার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দেওয়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সংকুচিত করবে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এ রকম হত্যা মামলা দায়ের চলতে থাকলে পেশাদারিত্ব রক্ষায় বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে ডিআরইউ। কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকলে তা যেমন তদন্ত হওয়া প্রয়োজন, তেমনি স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা দায়ের বন্ধ করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ভাসানটেক থানায় ২৫ জন সাংবাদিককে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ও প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবি ডিআরইউ’র
ডিআরইউ প্রাঙ্গণে সাংবাদিক লায়েকুজ্জামানের জানাজা শেষে ফুলেল শ্রদ্ধা
৩ মাস আগে
বাংলাদেশ সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদের ভাষাকে আরও ‘শক্তিশালী’ করেছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সাম্প্রতিক সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিবাদের ভাষাকে আরও শক্তিশালী করেছে এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডের স্পষ্টভাবে নিন্দা জানিয়েছে।
সাম্প্রতিক সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রতিবাদের ভাষাকে আরও শক্তিশালী করেছি। আমরা প্রতি মুহূর্তে যা বলছি তা খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়। আমরা আশা করি ভারত বিষয়টি বিবেচনায় নেবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক জনকেন্দ্রিক হোক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হোসেন সীমান্ত হত্যা বন্ধে বাংলাদেশের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, দুই দেশের স্বার্থে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। কারণ এতে কোনো লাভ হয় না, বরং সম্পর্কের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের পরিষ্কারভাবে বলেছি, আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাই। এসব ঘটনা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুবই নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। আমি কখনও কাউকে বলতে শুনিনি যে এটি ভারতের জন্য সুফল বয়ে আনে।’
বাংলাদেশ সরকার এর আগে ভারত সরকারকে এ ধরনের 'জঘন্য কর্মকাণ্ডের' পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে এবং সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার স্বর্ণা দাস (১৩) নামে এক কিশোরী ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় গত ১ সেপ্টেম্বর ভারত সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আজ ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে বাংলাদেশ এ ধরনের নির্মম ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির নাগরিকত্বের বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশ সরকার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, সীমান্ত হত্যার এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও প্রত্যাশিত এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ড সীমান্ত কর্তৃপক্ষের জন্য যৌথ ভারত-বাংলাদেশ নির্দেশিকা, ১৯৭৫ এর বিধানের লঙ্ঘন।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা মঙ্গলবার তার কার্যালয়ে নবনিযুক্ত পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।
এর আগে সোমবার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সীমান্ত হত্যা অবশ্যই একটি বাধা।
তিনি বলেন, সীমান্তে একজন মানুষ নিহত হলে সারা দেশে প্রতিক্রিয়া হয়।
উপদেষ্টা বলেন,‘এটি একটি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া, যা আমরা চাই না।’
এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আরও এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
এসময় আহত হয়েছেন- উপজেলার ফকির ভিটা গ্রামের জয়ন্ত কুমার সিংহ (১৫), জয়ন্তর বাবা মহাদেব কুমার সিংহ ও ফকির ভিটা গ্রামের বাংদু মোহাম্মদ।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা নেই: রাজনাথের মন্তব্য প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
আহতরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জানিয়ে তিনি বলেন, বিএসএফ সদস্যরা যুবকের লাশ নিয়ে গেছে।
সীমান্ত হত্যা অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে হোসেন বলেন, সীমান্ত হত্যা এমন সময়ে ঘটেছে যখন বলা হচ্ছে দুই দেশ একটি সোনালী অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং এই ধারায় কোনো পরিবর্তন হয়নি।
৩ মাস আগে