প্রতিবাদ
ফেনীতে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর সোনাগাজী উপজেলার মান্দারি ইসলামিয়া নুরুল উলুম মাদরাসার সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মান্দারি ইসলামিয়া নুরুল উলুম মাদরাসার অধ্যক্ষ নুরুল আবছারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এলাকাবাসী জানান, ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় ১৮ নভেম্বর ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে সিএনজি চালক আবদু রব। মামলায় ১৪২ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৭০ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় উদ্যেশ্য প্রণোদিতভাবে সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের মান্দারি গ্রামের ৩৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনাকালীন নিয়োগপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের চাকরির নিরাপত্তার দাবিতে মানববন্ধন
এদের মধ্যে ৬ জন প্রবাসী, সাংবাদিক, মাদরাসার অধ্যক্ষ, সহকারী অধ্যক্ষ, মসজিদের খতিব, রিকশা ও টমটম চালক, সিএনজি চালক, মুদি দোকানদার, হার্ডওয়্যার দোকানদার, মাংস ব্যবসায়ীসহ অনেক বিএনপি কর্মী রয়েছেন।
এই মিথ্যা মামলায় সাধারণ মানুষ এলাকা ছাড়া হয়েছেন। এছাড়া নিরীহদের মিথ্যা মামলা থেকে বাদ দিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে অহ্বান জানান তারা।
মামলার বাদী আবদুর রব বলেন, মামলার আসামিদের সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। ৩ জন বিএনপি ও জামায়াতের নেতা আমাকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে কয়েকটি স্ট্যাম্পে সই নিয়েছে। পরে ঐ কাগজগুলো ফেনী মডেল থানায় তারাসহ জমা দিয়েছি। এছাড়া মামলায় কতজন আসামি বা প্রধান আসামি কে এই বিষয়ে কিছুই বলতে পারেননি আবদুর রব।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনার বাদী মামলা দিলে থানায় তা গ্রহণ করতে হয়। তবে মামলা যাচাই-বাচাই করে আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: শ্রীমঙ্গলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রীতির র্যালি ও মানববন্ধন
১৩ ঘণ্টা আগে
নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছেন চালকরা।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এর আগে মঙ্গলবার তিন দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাসেল জানান, সকাল ৯টার দিকে মহাখালী মোড়ে রিকশাচালকরা রাস্তায় নেমে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
পরে তারা মহাখালীতে রেলক্রসিং অবরোধ করলে চরম দুর্ভোগে পড়েন বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: শহীদ নাফিজকে বহনকারী ‘রিকশা’ জুলাই বিপ্লব স্মৃতি জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে
হাইকোর্টের আদেশের প্রতিবাদে মহাখালী, মিরপুর, শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়া এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকেরা যান চলাচল বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন।
পল্লবী জোনের সহকারী কমিশনার তানিয়া জানান, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে মিরপুর-১০, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকরা মিছিল বের করেছেন।
পরে তারা মিরপুর-১০ গোলচত্বর ও রোকেয়া সরণি এলাকায় জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে।
এতে এসব এলাকার মানুষ তীব্র যানজটের সম্মুখীন হচ্ছেন।
ঢাকা শহরে চলাচল করা প্রায় ১০ লাখ রিকশার একটি বড় অংশ ব্যাটারিচালিত। এছাড়াও অনেক পুরোনো প্যাডেলচালিত রিকশাকে যান্ত্রিক করার জন্য ব্যাটারি লাগানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তিন দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
১ দিন আগে
মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে জেলে নিহতের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ
সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে এক বাংলাদেশি জেলে নিহতের ঘটনায় মিয়ানমার সরকারের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার(৯ অক্টোবর) কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহ পরী দ্বীপের কোনা পাড়ার বাসিন্দা উসমান (৬০) নিহত হন।
ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাসে পাঠানো একটি কূটনৈতিক নোটে বাংলাদেশ এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের কাছে মাছ ধরার সময় প্রায় ৫৮ জন বাংলাদেশি জেলে এবং উসমানের নৌকাসহ ৬টি মাছ ধরার নৌকা অপহরণ করায় বিষয়টি আরও জটিল করে তুলেছেন তারা।
আরও পড়ুন: স্পেনের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চান ড. ইউনূস
অবশেষে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও মিয়ানমার নৌবাহিনীর মধ্যে যোগাযোগের পর বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুই দফায় নৌকাসহ জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে মিয়ানমারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। মিয়ানমারকে বাংলাদেশের জলসীমার অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন এবং ভবিষ্যতে আর কোনো উসকানি থেকে বিরত থাকার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে জাতিসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত’
১ মাস আগে
গণপিটুনির প্রতিবাদে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনি ও খাগড়াছড়িতে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দিনভর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদারের নেতৃত্বে মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণপিটুনির বিচারের দাবিতে রাজু ভাস্কর্য এলাকায় মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: ছাত্রলীগের সাবেক নেতাসহ ৪ জন গ্রেপ্তার
পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফজলুল হক মুসলিম হলের ভেতরে ওই ব্যক্তিকে হত্যার প্রতিবাদে 'নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ' ব্যানারে শিক্ষার্থীরা প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন।
তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এমন এক পরিবেশ তৈরি করছে, যেখানে 'মোবোক্রেসি'কে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে, যার ফলে এই নৃসংশ মৃত্যু হয়েছে।
বিকেল থেকেই বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঢাবি কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে রাস্তায় নেমে আসেন। সন্ধ্যায় তারা মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজু ভাস্কর্যে মানববন্ধন করে 'গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট'। ছাত্র রাজনীতি গণপিটুনির মূল কারণ নয়। তাই ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা অযৌক্তিক বলে তারা দাবি করেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির হলে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশে নতুন বিধিনিষেধ আরোপের প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন, প্রশাসন প্রতিটি হল সঠিকভাবে পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা বিধিনিষেধের সমালোচনা করে বলেন, প্রশাসনের গাফিলতি হত্যাকাণ্ডের পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে 'স্টুডেন্টস রাইটস ওয়াচ' ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন করেন হলের আরেক দল শিক্ষার্থী। তারা জড়িতদের বিচার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় প্রশাসনকে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
একই সঙ্গে খাগড়াছড়িতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: সচিবালয়ে ঢাবি শিক্ষার্থী-আনসার সদস্যদের সংঘর্ষে আহত বেশ কয়েকজন
২ মাস আগে
২৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ ডিআরইউয়ের
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভসহ ২৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে হত্যা মামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।
একই সঙ্গে পেশাদার সাংবাদিকদের এ ধরনের হত্যা মামলা থেকে অবিলম্বে অব্যাহতির আহ্বান জানান ডিআরইউ নেতারা।
আরও পড়ুন: ডিআরইউ নির্বাচন: সভাপতি শুভ, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম এবং সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন বলেন, ঢালাওভাবে পেশাদার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দেওয়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সংকুচিত করবে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এ রকম হত্যা মামলা দায়ের চলতে থাকলে পেশাদারিত্ব রক্ষায় বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে ডিআরইউ। কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকলে তা যেমন তদন্ত হওয়া প্রয়োজন, তেমনি স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা দায়ের বন্ধ করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ভাসানটেক থানায় ২৫ জন সাংবাদিককে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ও প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবি ডিআরইউ’র
ডিআরইউ প্রাঙ্গণে সাংবাদিক লায়েকুজ্জামানের জানাজা শেষে ফুলেল শ্রদ্ধা
২ মাস আগে
বাংলাদেশ সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদের ভাষাকে আরও ‘শক্তিশালী’ করেছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সাম্প্রতিক সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিবাদের ভাষাকে আরও শক্তিশালী করেছে এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডের স্পষ্টভাবে নিন্দা জানিয়েছে।
সাম্প্রতিক সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রতিবাদের ভাষাকে আরও শক্তিশালী করেছি। আমরা প্রতি মুহূর্তে যা বলছি তা খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়। আমরা আশা করি ভারত বিষয়টি বিবেচনায় নেবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক জনকেন্দ্রিক হোক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হোসেন সীমান্ত হত্যা বন্ধে বাংলাদেশের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, দুই দেশের স্বার্থে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। কারণ এতে কোনো লাভ হয় না, বরং সম্পর্কের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের পরিষ্কারভাবে বলেছি, আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাই। এসব ঘটনা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুবই নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। আমি কখনও কাউকে বলতে শুনিনি যে এটি ভারতের জন্য সুফল বয়ে আনে।’
বাংলাদেশ সরকার এর আগে ভারত সরকারকে এ ধরনের 'জঘন্য কর্মকাণ্ডের' পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে এবং সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার স্বর্ণা দাস (১৩) নামে এক কিশোরী ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় গত ১ সেপ্টেম্বর ভারত সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আজ ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে বাংলাদেশ এ ধরনের নির্মম ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির নাগরিকত্বের বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশ সরকার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, সীমান্ত হত্যার এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও প্রত্যাশিত এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ড সীমান্ত কর্তৃপক্ষের জন্য যৌথ ভারত-বাংলাদেশ নির্দেশিকা, ১৯৭৫ এর বিধানের লঙ্ঘন।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা মঙ্গলবার তার কার্যালয়ে নবনিযুক্ত পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।
এর আগে সোমবার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সীমান্ত হত্যা অবশ্যই একটি বাধা।
তিনি বলেন, সীমান্তে একজন মানুষ নিহত হলে সারা দেশে প্রতিক্রিয়া হয়।
উপদেষ্টা বলেন,‘এটি একটি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া, যা আমরা চাই না।’
এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আরও এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
এসময় আহত হয়েছেন- উপজেলার ফকির ভিটা গ্রামের জয়ন্ত কুমার সিংহ (১৫), জয়ন্তর বাবা মহাদেব কুমার সিংহ ও ফকির ভিটা গ্রামের বাংদু মোহাম্মদ।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা নেই: রাজনাথের মন্তব্য প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
আহতরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জানিয়ে তিনি বলেন, বিএসএফ সদস্যরা যুবকের লাশ নিয়ে গেছে।
সীমান্ত হত্যা অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে হোসেন বলেন, সীমান্ত হত্যা এমন সময়ে ঘটেছে যখন বলা হচ্ছে দুই দেশ একটি সোনালী অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং এই ধারায় কোনো পরিবর্তন হয়নি।
২ মাস আগে
গান গেয়ে জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরিফ মাহমুদের মুক্তির দাবিতে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মিছিল বের করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গান গেয়ে এই প্রতিবাদ মিছিল করেন তারা।
দুপুর ২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
প্রতিবাদ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু বলেন, 'আজকে আমরা নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা হত্যার প্রতিবাদ করছি। একই সঙ্গে সরকারের মিথ্যাচারের নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা ছাত্রদের দেখানো পথে হাঁটব এবং ক্ষমতাসীনদের মিথ্যাচার মেনে নেব না।’
এছাড়া ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী আবৃত্তি করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত ‘বিদ্রোহী’ কবিতা।
শহীদ মিনার এলাকা থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে আবার সেখানে গিয়ে শেষ হয়।
'আমরা করব জয়' গানটিও গেয়েছেন প্রতিবাদে অংশ নেওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
৩ মাস আগে
জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও মৌন মিছিল
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মিছিল করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে মুখে ও চোখে লাল কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ ও মৌন মিছিল করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: জাবিতে পুলিশের হাতে সাংবাদিক ‘লাঞ্ছিত’
এসময় জাবির শহীদ মিনারের সামনে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর গণহত্যা ও নির্যাতনের বিচার না করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিদিন নির্মম উপহাসের প্রতিবাদ করেন তারা। এরপর তারা শহীদ মিনার থেকে মৌন মিছিল বের করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরাও এই মিছিলে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ব্র্যাকের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাব ও জাবি শিক্ষার্থীর ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
জাবি শিক্ষকের পদত্যাগ: শাস্তি এড়ানো, না কি বিবেকের ডাকে সাড়া?
৩ মাস আগে
শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে বাকৃবিতে বিক্ষোভ
দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে সারাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনের সামনে ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে যোগ দেন প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী। মিছিলটি বাকৃবির কে.আর মার্কেটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে জব্বারের মোড়ে অবস্থিত শহীদ মতিউল-কাদের স্মৃতিসম্ভের সামনে অবস্থান নেয়।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে বাংলা ব্লকেড: তৃতীয় দিনের মতো রেলপথ অবরোধ
এসময় শিক্ষার্থীদের- ‘আমার ভাই আহত কেন? প্রশাসন জবাব চাই। নায্য আন্দোলনে হামলা কেন? প্রশাসন জবাব চাই। হামলা করে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না।’- এমন স্লোগান দেন।
এদিকে বাকৃবির জব্বারের মোড়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান নেওয়ায় প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ থাকে ময়মনসিংহ-গফরগাঁও আঞ্চলিক যোগাযোগ।
শিক্ষার্থীরা তাদের এক দফা দাবি আদায়ে অনড় রয়েছেন বলে জানান।
তারা বলেন, সরকারি চাকরির নবম থেকে ২০তম সব গ্রেডে বৈষম্যমূলক সব কোটা বাতিল করে শুধুমাত্র অনগ্রসর গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ রাখতে হবে।
কোটা বৈষম্য নিরসনে একদফা এক দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করে। কিন্তু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে বাকৃবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।
এছাড়া দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন
'বাংলা ব্লকেড': ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ বাকৃবি শিক্ষার্থীদের
৪ মাস আগে
সাংবাদিকদের মিথ্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
দল-মত নির্বিশেষে গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সব মিথ্যা প্রত্যাখ্যান করে তার প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
রবিবার (৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডের তথ্য ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তৃতীয় পর্যায়ের কল্যাণ অনুদান/আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: তথ্যের সততা নিশ্চিতের অঙ্গীকার করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আরাফাত বলেন, ‘আমি অনুরোধ জানাব দল-মত নির্বিশেষে গণমাধ্যমের সাংবাদিক বন্ধুরা সব মিথ্যা প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদ করুন। আপনারা অপপ্রচারের বিপক্ষে সবাই রুখে দাঁড়ান, সত্যের পক্ষে থাকুন।’
এ বিষয়ে প্রতিপ্রন্ত্রী আরও বলেন, এ দেশে মিথ্যা বলারও স্বাধীনতা আছে। যখন-তখন যেভাবে ইচ্ছা সারাক্ষণ মিথ্যা বলারও স্বাধীনতা এ দেশে আছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের কোনো একটা চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক বা সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার অধিকার যে কারো আছে। কিন্তু মিথ্যা বলে কেনো বিরোধিতা করতে হবে, জনগণকে বিভ্রান্ত করে কেন বিরোধিতা করতে হবে? এতে মানুষকে ধোকা দেওয়া হচ্ছে। এটা মত প্রকাশের স্বাধীনতা নয়, এটা অপরাধ। অথচ বর্তমান সরকারের বিপক্ষে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলে বিভিন্ন অপপ্রচার করা হয়।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী আর বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, গণমাধ্যম, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সাংবাদিক সমাজ এবং তাদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাংবাদিক সমাজের পাশে এবং গণমাধ্যমের পাশে সরকারকে দাঁড়াতে হবে। সাংবাদিকদের জন্য তার চিন্তাভাবনা খুবই ইতিবাচক। সে কারণেই কল্যাণ ট্রাস্টের মতো এরকম একটি উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: অপপ্রচারকারীদের বিপক্ষে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের শক্ত অবস্থান নিতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে, গণমাধ্যমের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উদ্যোগগুলো খুব বেশি শোনা যায় না। এগুলো নিয়ে বড় আকারে রিপোর্টও আসে না। এগুলো দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন জায়গায় বলা দরকার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত পনেরো বছরে গণমাধ্যমের আকার দ্বিগুণ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা গণমাধ্যমবান্ধব বলেই তিনি গণমাধ্যমের বিস্তৃতির শুধু সুযোগ করে দেননি, গণমাধ্যমকে বিস্তৃত হওয়ার জন্য প্রনোদনা দিয়েছেন, পরিবেশ তৈরি করেছেন। গণমাধ্যমে যারা কাজ করছেন তাদের কল্যাণের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। এ ইতিবাচক বিষয়গুলো আমরা খুব একটা তুলে ধরতে পারছি না।
প্রতিমন্ত্রী আরও যোগ করেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সারাদেশে ৭৮৪ জন সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের মাঝে ৬ কোটি ১৫ লাখ ৫০ টাকা কল্যাণ অনুদান দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ পুরো বাংলাদেশে ২৯৩ জন সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের মাঝে ২ কোটি ২২ লাখ টাকা অনু্দান দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া এবং ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত বিএনপি-জামায়াত: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৪ মাস আগে