করোনা পরীক্ষার ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলায় খুলনার বর্তমান সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ ও সাবেক সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান এই চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- খুলনার সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সুজাত আহমেদ, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ, জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এস এম মুরাদ হোসেন, সাময়িক বরখাস্ত থাকা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্রকাশ কুমার দাস, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) মো. রওশন আলী এবং ক্যাশিয়ার তপতী সরকার।
আরও পড়ুন: সাংবাদিককে গালমন্দ করে ওএসডি হলেন টেকনাফের ইউএনও
দুদক কর্মকর্তারা জানান, করোনা পরীক্ষার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর দুদকের উপসহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন শুধু প্রকাশ কুমার দাস।
মামলার তদন্তে আরও পাঁচজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ওই ছয়জন পরস্পর যোগসাজশে সরকারি রশিদ বইয়ের বাইরে হাসপাতালের বুথে ডুপ্লিকেট রশিদ বই ব্যবহার করে বিদেশগামী যাত্রী ও সাধারণ কোভিড-১৯ রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে নমুনার সংখ্যা ফরওয়ার্ডিংয়ে বসিয়ে তা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরটি-পিসিআর ল্যাবে পাঠান। সে অনুযায়ী ফলাফল পেয়ে তা প্রকাশ ও রোগীদের সরবরাহ করেন।
পরবর্তীতে রোগীর সংখ্যা কম দেখিয়ে সে অনুযায়ী ইউজার ফি’র টাকা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করেন। প্রকৃত আদায় করা ইউজার ফির টাকা জমা প্রদান না করে বিদেশগামী যাত্রী ও সাধারণ কোডিড-১৯ রোগীদের ইউজার ফি বাবদ আদায় করা মোট ৪ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ১০০ টাকার মধ্যে ১ কোটি ৬৮ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেন। অবশিষ্ট ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা জমা প্রদান না করে আত্মসাৎ করা হয়।