কিলিয়ান এমবাপ্পে
বেনজেমার চোখে মৌসুম-সেরা ফরাসি ফুটবলার নন এমবাপ্পে!
টানা দ্বিতীয়বারের মতো মৌসুমের সেরা ফরাসি ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। ফরাসি ক্রীড়া সাময়িকী ফ্রান্স ফুটবল গত সপ্তাহে তাকে এই সম্মানে ভূষিত করেছে।
অতীতে এই পুরস্কার জেতা ফুটবলারদের ভোটে প্রতি বছর দেশের সেরা ফুটবলার নির্বাচন করে থাকে ফ্রান্স ফুটবল।
২০২৩-২৪ মৌসুমের সেরা ফুটবলার নির্বাচনে মাত্র ৫ ভোটের ব্যবধানে আর্সেনাল অধিনায়ক উইলিয়াম সালিবাকে (৫১ ভোট) হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার সেরা হয়েছেন এমবাপ্পে (৫৬ ভোট)। এ নিয়ে মোট চারবার দেশের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হলেন পিএসজি থেকে চলতি মৌসুমে রিয়ালে যোগ দেওয়া এই ফুটবলার।
২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ের পর সে বছর প্রথমবার ফ্রান্স-সেরা হন ২৫ বছর বয়সী এমবাপ্পে। এরপর ২০১৯ ও ২০২৩ সালেও এই খেতাব জেতেন তিনি।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পেকে নিয়ে রোনালদোর ২ মাস আগের মন্তব্য আলোচনায়
তবে এবারের ভোটে বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলারের ভোটন পাননি এমবাপ্পে। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমা। দেশসেরা ফুটবলার নির্বাচন করতে তিনজনকে ভোট দিতে পারেন সাবেক বিজয়ীরা। বেনজেমার পছন্দের তালিকায় এই তিনজনের মধ্যে জায়গা হয়নি এমবাপ্পের।
গত মৌসুমে পিএসজিতে খেলা এমবাপ্পের পরিবর্তে বেনজেমার প্রথম পছন্দ ছিলেন তারই রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। এছাড়া পিএসজির প্রতিভাবান তরুণ ব্রাদলে বারকোলা ও ওয়ারেন জাইরে-এমেরিকে বাকি দুই ভোট দিয়েছেন তিনি।
শুধু তা-ই নয়, তাকে ভোট দেননি বেনজেমার বর্তমান ক্লাব সতীর্থ এন’গলো কান্তেও। আল-ইত্তিহাদের এই মিডফিল্ডার ভোট দিয়েছেন যথাক্রমে সালিবা, বার্সেলোনা ফুলব্যাক জুল কুন্দে ও কামাভিঙ্গাকে।
এই তালিকায় রয়েছেন আন্তোয়ান গ্রিজমানও। তবে আতলেতিকো মাদ্রিদের এই ফুটবলার এমবাপ্পেকে ভোট দিয়েছেন তার দ্বিতীয় পছন্দ হিসেবে। তার প্রথম ও তৃতীয় পছন্দ ছিলেন ফরাসি ক্লাব ব্রেস্তের আলেকজান্ডার লাকাসেত ও দেল কাস্তিয়ো।
আরও পড়ুন: এবার এমবাপ্পেকেই ছাড়াই ফ্রান্সের দল ঘোষণা
অন্যদিকে, সালিবার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও আর্সেনাল মিডফিল্ডারকেই সেরার ভোট দিয়েছেন এমবাপ্পে। তার বাকি দুই ভোট ছিল ক্লাব সতীর্থ কামাভিঙ্গা ও অরেলিয়েঁ চুয়ামেনির জন্য।
গত মৌসুমের সেরাদের তালিকায় এমবাপ্পে ও সালিবার পর রয়েছেন যথাক্রমে এসি মিলান গোলরক্ষক মাইক মাইনিয়ঁ (২৪), কামাভিঙ্গা (১৭) ও চুয়ামেনি (১৬)। আর ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ব্রেস্তের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পিয়েরে লিস-মেলুর সঙ্গে যৌথভাবে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেছেন গ্রিজমান।
৫ দিন আগে
ধর্ষণ মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন এমবাপ্পে
দুঃসময় একটু একটু করে পিছু ছাড়ছে রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পের। মৌসুমের শুরু থেকে ক্লাব ও ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হলেও মাঠের খেলায় ছন্দে ফিরছেন তিনি। এবার মাঠের বাইরেও পেলেন সুখবর।
ছুটি কাটাতে সুইডেন গিয়ে যে আইনি জটিলতায় পড়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী এই ফুটবল তারকা, তা থেকে অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
ঘটনাটি গত অক্টোবর মাসের। চোটের কারণে ফ্রান্স দলের সঙ্গে নেশন্স লিগের ম্যাচ না খেলে আন্তর্জাতিক বিরতির সময়টুকুতে ছুটি কাটাতে সুইডেন গিয়েছিলেন এমবাপ্পে। সেখানে যে হোটেলে তিনি উঠেছিলেন, মাদ্রিদে ফেরার পর ওই হোটেলে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। তিনি যে সময় হোটেলে ছিলেন, ঠিক সেই সময়ই ওই ঘটনা ঘটে। ফলে সুইডিশ পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারিতে পড়েন মেসি-রোনালদো-পরবর্তী যুগে ফুটবল বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়া এই ফুটবলার।
এ নিয়ে ফরাসি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে বিষয়টি ‘ভুয়া’ বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খোভ ঝাড়েন এমবাপ্পে। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজেদের নতুন পোশাকের ব্র্যান্ড ‘আর্টিস্ট প্যাক’-এর প্রোমোশন থেকে সে সময় এমবাপ্পেকে সরিয়ে দেয় রিয়াল মাদ্রিদ।
তবে সুইডিশ পুলিশের তদন্ত শেষে স্বস্তি পেয়েছেন এই মাদ্রিদ স্টার। পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে তদন্ত বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণ অভিযোগের’ তদন্তের মধ্যে এমবাপেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
এ বিষয়ে প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা মারিনা চিরাকোভা বলেন, ‘তদন্ত এগিয়ে নেওয়ার মতো যথেষ্ট প্রমাণ আমাদের কাছে নেই।’
‘ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে একজন সুপরিচিত ব্যক্তিকে সন্দেহ করা হয়েছিল। তবে আমার মূল্যায়ন হচ্ছে, প্রমাণ ছাড়াই (তার বিরুদ্ধে) তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া অনর্থক।’
বিবৃতি দেওয়ার সময় একবারও অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করেননি চিরাকোভা। তবে একাধিক সুইডিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন ওই ‘সুপরিচিত’ ব্যক্তি আসলে কিলিয়ান এমবাপ্পেই।
এরপর এমবাপ্পের আইনজীবী মারি-আলিক্স কানু-বেরনার্দ ও তার প্রতিনিধির কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তাদের কেউই মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে, কয়েকদিন আগে ফরাসি টেলিভিশন কানাল প্লাসের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলে এমবাপ্পে বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, (খবর) দেখে আমি অবাকই হয়েছিলাম। সুইডিশ কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে আমার সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ পর্যন্ত করেনি!’
তিনি বলেন, ‘এসব (গুজব) এভাবে না জানিয়েই ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিষয়টি আমাকে একেবারেই প্রভাবিত করেনি।’
ফর্মহীনতা কাটিয়ে সম্প্রতি ছন্দে ফিরতে শুরু করেছেন এমবাপ্পে। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সর্বশেষ দুই ম্যাচে গোল পেয়েছেন তিনি।
১ সপ্তাহ আগে
‘মিস পেনাল্টি’ খেতাব পেয়ে এমবাপ্পে বললেন, দেখিয়ে দেওয়ার সময় হয়েছে, আমি কে
ঐতিহ্যবাহী সান মামেসে ম্যাচ শুরুর পর থেকেই নিজেদের জাত চেনাতে থাকে আথলেতিক বিলবাওয়ের ফুটবলাররা। প্রথম মিনিট থেকেই রিয়াল মাদ্রিদকে চেপে কোণঠাসা করে গোল আদায়ের চেষ্টা শুরু করে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম গোলটিও পায় বিলবাও।
ওই গোলের ১৫ মিনিট পরই বিলবাও গোলরক্ষকের ভূলে পেনাল্টি পেয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। তবে দুর্বল স্পটকিকের কারণে হুলেন আগিরেসাবালাকে বোকা বানাতে ব্যর্থ হন এমবাপ্পে। অবশ্য তার মিনিট দশেক পর বেলিংহ্যামের গোলে রিয়াল মাদ্রিদ সমতায় ফিরলেও ম্যাচটি ২-১ গোলে হেরে বার্সেলোনার সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান কমানোর সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে লস ব্লাঙ্কোসদের।
ম্যাচ হেরে, বিশেষ করে পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন পিএসজির পাঠ চুকিয়ে চলতি মৌসুমে রিয়াল শিবিরে যোগ দেওয়া এমবাপ্পে।
আর হবেন নাই বা কেন! এ নিয়ে পরপর দুই ম্যাচে দুটি পেনাল্টি নিয়ে ব্যর্থ তিনি। সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে ২-০ গোলে হারের ম্যাচেও পেনাল্টি মিস করেন এমবাপ্পে। মাঝে লা লিগায় গেতাফের বিপক্ষে জয়ের রাতে আরও একটি পেনাল্টি পেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ, তবে সেটি নিজে না নিয়ে জুড বেলিংহ্যামকে দেন ২৫ বছর বয়সী এই ফরাসি স্ট্রাইকার। তা থেকে দলকে গোলও এনে দেন বেলিংহ্যাম। তবে পরের ম্যাচেই পেনাল্টি পেয়ে নিজে শট নিয়ে ব্যর্থ এমবাপ্পে।
এর ফলে ক্যারিয়ারে এই প্রথম তিনি এক সপ্তাহে দুটি পেনাল্টি মিস করলেন। আর পিএসজি ও রিয়াল মিলিয়ে এ বছর তার পেনাল্টি মিসের সংখ্যা মোট চারটি। এক বছরে চারটি পেনাল্টি মিস করার ঘটনাও তার ক্যারিয়ারে এই প্রথম।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পেকে নিয়ে রোনালদোর ২ মাস আগের মন্তব্য আলোচনায়
টানা দুই ম্যাচে পেনাল্টি মিস করায় ট্রল ফুটবল নামের একটি এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি মিম শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে একজন মিস ইউনিভার্সের শরীরের ওপর এমবাপ্পের মাথা লাগিয়ে ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে— আমাদের নতুন ‘মিস পেনাল্টি’।
তবে এমন কঠিন সময়েও ভেঙে না পড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন ফ্রান্সের ২০১৮ বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘বাজে ফল। যে ম্যাচে ছোটখাট বিষয়গুলোও গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে এটি বড় ধরনের ভুল। এর পুরোটা দায় আমি নিচ্ছি। কঠিন মুহূর্ত, তবে পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার এবং আমি কে, তা দেখিয়ে দেওয়ার এখনই সেরা সময়।’
তবে শিষ্যের কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও এখনই তাকে কাঠগড়ায় তুলতে চান না এই ইতালিয়ান।
ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ওর সঙ্গে আমার এখনও কথা হয়নি। তবে পেনাল্টি দিয়ে আমি একজন খেলোয়াড়কে মূল্যায়ন করতে পারি না। নিশ্চিতভাবেই সে হতাশ ও ভারাক্রান্ত। তবে আমাদের নিজেদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে।’
‘জানি, সে তার সেরা ফর্মে নেই। কিন্তু (দলে) মানিয়ে নিতে তাকে আমাদের সময় দিতে হবে। এরইমধ্যে সে (মাদ্রিদের জার্সিতে) ১০ গোল করেছে। আরও ভালো করার সামর্থ্য সে রাখে এবং তার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
২ সপ্তাহ আগে
এমবাপ্পেকে নিয়ে রোনালদোর ২ মাস আগের মন্তব্য আলোচনায়
পিএসজি ও ফ্রান্সের জার্সিতে দুর্দান্ত পারফর্ম করে তারকার তকমা নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদে এলেও ক্লাবটিতে এখনও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি কিলিয়ান এমবাপ্পে। একের পর এক নিষ্প্র্রভ পারফরম্যান্সের কারণে ইতোমধ্যে ফুটবল পাড়ার সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন এই ফরাসি স্ট্রাইকার।
গত রাতে আথলেকিত বিলবাওয়ের বিপক্ষে পেনাল্টি মিসের পর ২-১ হেরে বার্সেলোনাকে হটিয়ে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে আরোহনের সুযোগ হাতছাড়া করেছে এমবাপ্পের রিয়াল মাদ্রিদ।
ভিনিসিউস জুনিয়রের অনুপস্থিতিতে যেখানে দলের হাল ধরে নাবিকের ভূমিকা পালনের কথা ছিল এমবাপ্পের, সেখানে সমর্থকদের সেই প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় সমালোচনায় পুড়তে হচ্ছে তাকে।
তবে এমন যে হতেই পারে, দুই মাস আগেই এ বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবল মহাতারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।
আরও পড়ুন: হেরে পিএসজি অধ্যায় শেষ করলেন এমবাপ্পে
গত ১২ সেপ্টেম্বর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিয়াল মাদ্রিদে কিলিয়ান এমবাপ্পের ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলেন রোনালদো।
সে সময় তিনি বলেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদ পিএসজি নয়, তাই তার (এমবাপ্পে) মাথা কতটা পরিষ্কার এবং সে কতটা চাপ সামলাতে পারে তা আমরা দেখব।’
‘আমি আপনাকে বলতে পারি যে, এমবাপ্পে রিয়ালে যাওয়ার পর আপনি ভাবছেন, তাকে পেয়ে রিয়াল মাদ্রিদ কি আসলেই আরও ভালো দল হবে? আমরা জানি না, তবে সামনে তা দেখা যাবে।’
রোনালদো বলেন, ‘আমার বিশ্বাস দল হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদ শক্তিশালীই থাকবে, তবে (তাকে নিয়ে) গত বছরের চেয়ে ভালো দল হবে কিনা জানি না। কেবল ঈশ্বরই তা জানেন।’
তবে দারুণ সব খেলোয়াড় নিয়ে দলটি এবারও অসাধারণ বলে উল্লেখ করেন ৩৯ বছর বয়সী আল নাসর তারকা।
বিলবাওয়ের বিপক্ষে হেরে ১৫ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় বার্সেলোনা। এছাড়া ১৫ ম্যাচে রিয়ালের চেয়ে ১ পয়েন্ট কম নিয়ে তৃতীয় আতলেতিকো মাদ্রিদ। আর রিয়ালকে হারিয়ে ১৬ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে এর্নেস্তো ভালভার্দের আথলেতিক বিলবাও।
আগামী শনিবার রাতে জিরোনার বিপক্ষে মাঠে নামবে বর্তমান লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা। তার আগে সন্ধ্যায় রিয়াল বেতিসের মাঠে খেলতে নামবে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
২ সপ্তাহ আগে
প্রথম দেখাতেই রিয়ালকে হারিয়ে দিল লিল
ভিনিসিউস, বেলিংহ্যাম, এন্দ্রিক; এরপর কিলিয়ান এমবাপ্পেকে মাঠে নামালেন কার্লো আনচেলত্তি, কিন্তু কোনোভাবেই প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে পেল না রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ফুটবলাররা। আর এর ফলে এক মৌসুমের বেশি সময় পরে অবশেষে হারের স্বাদ পেল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে বুধবার রাতে লিলের ঘরের মাঠে খেলতে গিয়ে ১-০ গোলে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে জয়সূচক ও ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন লিলের কানাডিয়ান স্ট্রাইকার জনাথন ডেভিড। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক অসাধারণ সব সেভ করে রিয়ালকে কোনোভাবেই সমতায় ফিরতে দেননি ক্লাবটির ফরাসি গোলরক্ষক লুকা শেভালিয়ে।
আরও পড়ুন: অভিষেক ম্যাচে গোল করে রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসের পাতায় এন্দ্রিক
এর ফলে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর হারল রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও গত আসর অপরাজিত কাটানোর পর চলতি আসরে এর আগ পর্যন্ত অপরাজিত ছিল দলটি।
অপরদিকে, রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচই জিতে দিনটি স্মরণীয় করে রাখল লিল। শুধু তাই নয়, ঘরের মাঠে কোনো স্প্যানিশ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এটিই প্রথম জয় ফরাসি ক্লাবটির।
কিলিয়ান এমবাপ্পে ইনজুরি থেকে ফেরায় এদিন তাকে শুরুর একাদশে রাখেননি রিয়াল বস কার্লো আনচেলত্তি। এর ফলে প্রথমবারের মতো রিয়ালের জার্সিতে ম্যাচ শুরু করেন এন্দ্রিক। আর এতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ম্যাচ শুরু করেন এই ব্রাজিলীয় তরুণ।
১৮ বছর ৭৩ দিন বয়সে ইউরোপের সফলতম ক্লাবটির হয়ে শুরুর একাদশে থেকে ম্যাচ শুরু করেন এন্দ্রিক। এর ফলে তিনি ভেঙে দেন ১৯৯৫ সালে গড়া ক্লাবটির সাবেক অধিনায়ক রাউল গন্সালেসের রেকর্ড। আয়াক্সের বিপক্ষে মাঠে নামা ওইদিন তার বয়স ছিল ১৮ বছর ৭৮ দিন।
২ মাস আগে
মাদ্রিদ ডার্বির আগে রিয়াল শিবিরে দুঃসংবাদ
মৌসুমের প্রথম মাদ্রিদ ডার্বি অনুষ্ঠিত হতে আর বাকি চার দিন। এমন সময়ে রিয়াল মাদ্রিদের জন্য এলো দুঃসংবাদ। ম্যাচটির আগে চোটের কারণে ছিটকে গেছেন দলটির ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে।
বুধবার এক বিবৃতিতে লা লিগা চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ জানিয়েছে, বাঁ পায়ের উরুতে চোট ধরা পড়েছে এমবাপ্পের। এর চেয়ে বেশি বিস্তারিত জানায়নি ক্লাবটি।
তবে ট্রান্সফার গুরু ফাব্রিৎসিও রোমানো জানিয়েছেন, অন্তত তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে এই ফরোয়ার্ডকে। এই সময়ে তিনি সপ্তাহান্তে আতলেতিকো মাদ্রিদ, এরপর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফরাসি ক্লাব লিল এবং লা লিগায় রিয়াল ভাইয়াদোলিদের বিপক্ষে ম্যাচগুলো খেলতে পারবেন না।
গতরাতে আলাভেসের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে একটি গোল করেন এমবাপ্পে। তবে ম্যাচের পুরোটা সময় খেলতে পারেননি ২৫ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। ৮০তম মিনিটে অস্বস্তি নিয়ে তাকে মাঠ ছাড়তে দেখা যায়। এরপর আজ ক্লাবের পক্ষ থেকে মেডিকেল পরীক্ষায় তার চোট ধরা পড়ল।
আরও পড়ুন: জয়ে আনচেলত্তির ৩০০তম ম্যাচ রাঙাল রিয়াল মাদ্রিদ
পিএসজি থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়ে দলটিতে মানিয়ে নিতে যথেষ্ট ভুগতে হচ্ছে এমবাপ্পেকে। লা লিগায় শুরুর তিন ম্যাচে কোনো গোল পাননি তিনি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে মেলে ধরছেন; পরের চার ম্যাচে পাঁচ গোল করেছেন তিনি। পাশাপাশি সতীর্থদের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়তে শুরু করেছিল তার। এরইমাঝে এলো ছন্দপতন।
আলাভেসের বিপক্ষে জয়ের পর লা লিগায় সব মিলিয়ে টানা ৩৯ ম্যাচ অপরাজিত রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সেলোনার ৪৩ ম্যাচের রেকর্ডটি স্পর্শ করতে মাদ্রিদ ডার্বিতে ভালো করার বিকল্প নেই বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। ম্যাচটির আগে এমবাপ্পের ছিটকে যাওয়াটা তাই রিয়ালের জন্য বড় ধাক্কা।
লা লিগায় ৭ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এক ম্যাচ কম খেলে এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থাকা বার্সেলোনা নিজেদের সপ্তম ম্যাচে গেতাফের বিপক্ষে মাঠে নামছে আজ রাতে।
২ মাস আগে
বকেয়া অর্থ নিয়ে পিএসজির সঙ্গে আপস চান না এমবাপ্পে
পাওনা অর্থ নিয়ে প্যারিস সেন্ত জার্মেইর (পিএসজি) সঙ্গে আপস করতে রাজি নন গত দলবদল মৌসুমে ফ্রি ট্রান্সফারে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়া তারকা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পে।
বেতন ও বোনাস নিয়ে সাবেক ক্লাবের সঙ্গে বিরোধের অবসানে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ফরাসি ফুটবল লিগের আইনি কমিশনের দেওয়া মধ্যস্থতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন এই সুপারস্টার।
জটিলতা নিরসনে এমবাপ্পে কমিশনের সহযোগিতা চাওয়ার পর তাদের উপস্থিতিতে প্যারিসে পিএসজি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ডের প্রতিনিধিরা। পিএসজির কাছে ৫৫ মিলিয়ন ইউরো পাওনা রয়েছে বলে দাবি এমবাপ্পের।
এক বিবৃতিতে তার প্রতিনিধিরা বলেছেন, তাকে তিন মাসের বেতন দেয়নি পিএসজি। এছাড়া আনুগত্য বোনাসের শেষ কিস্তিও পরিশোধ করেনি ক্লাবটি। এসব বিষয়ে কমিশনকে জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কমিশন এ বিষয়ে (পিএসজির সঙ্গে) মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয়। তবে এমবাপ্পের প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে সেই সম্ভাবনা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ মধ্যস্থতা করতে গেলেই পাওনা অর্থের পরিমাণ কমে যাবে।’
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের বেতন-বোনাস আটকে দিয়েছে পিএসজি
তবে বুধবার দুই ঘণ্টার শুনানির পর কমিশনের এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে পিএসজি।
এক বিবৃতিতে ক্লাবটি পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্যারিসে অসাধারণ সাতটি বছর কাটানোর সময় এমবাপ্পে বারবার প্রকাশ্যে ও ক্লাব কর্তাদের কাছে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, অবশ্যই তার সম্মান করা উচিত।
পিএসজির দাবি, ক্লাবের কাছে এমবাপ্পের কোনো অর্থ পাওনা নেই। ২০২৩-২৪ মৌসুমের শুরুতে তাকে যখন স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া হয়, তখন পুনরায়ে স্কোয়াডে ফিরতে তিনি তার (পাওনা) বোনাস ত্যাগ করেন।
পিএসজির এক মুখপাত্র বলেন, ‘কমিশন এখন মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া বিবেচনার জন্য তাকে (এমবাপ্পে) আমন্ত্রণ জানিয়েছে। খেলোয়াড়ের প্রতিনিধিরা এখন কী ব্যবস্থা নেবেন তা জানি না।’
তবে বর্তমান অচলাবস্থা চলতে থাকলে বিষয়টি শেষ পর্যন্ত কর্মসংস্থান আদালতে গড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় শিরোপা জিতে রিয়াল মাদ্রিদ অধ্যায় শুরু এমবাপ্পের
গত মৌসুমে গভীর উত্তেজনার মধ্যে পিএসজির সঙ্গে এমবাপ্পের সম্পর্কের অবসান ঘটে। ২০২২ সালে নতুন চুক্তিতে সই করার সময় এমবাপ্পেকে ক্লাবের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অঙ্কের চুক্তির প্রস্তাব দেয় পিএসজি, কিন্তু লিওনেল মেসি, নেইমারদের মতো মহাতারকাদের ছেড়ে দেওয়ায় হতাশ হন এমবাপ্পে। এর মাধ্যমে ক্লাব তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি বলে অভিযোগ ছিল তার।
এমনকি নতুন চুক্তিতে সই করার সময় ২০২৫ সালের জার্সি হাতে সমর্থকদের সামনে বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলারকে উপস্থাপন করা হয়। অথচ মূল চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০২৪ সাল পর্যন্ত, আরেক বছর বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছিল নতুন চুক্তিতে। এই নিয়েও এমবাপ্পে বিরক্ত ছিলেন জানা যায়।
এরপর গত বছরের জুনে পিএসজিকে চমকে দিয়ে এমবাপ্পে জানান, ওই এক বছরের জন্য তিনি চুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছেন না। সে সময় বিনামূল্যে ছাড়ার আশঙ্কায় তাকে দলবদলের বাজারে তোলার চেষ্টা করে পিএসজি। তবে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ে তার কথাবার্তা একপ্রকার পাকা হয়ে যাওয়ায় অন্য কোনো ক্লাব তার দিকে হাত বাড়ায়নি।
এরপর সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলালের ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেন ২৫ বছর বয়সী এই মহাতারকা। একপর্যায়ে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় পিএসজির প্রাক-মৌসুম সফর থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়। এছাড়া মূল দলের অনুশীলন থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় এমবাপ্পেকে, এমনকি মৌসুমের প্রথম ম্যাচেও তাকে দলে রাখেনি ক্লাবটি।
পিএসজি সে সময় জানিয়েছিল, দুই পক্ষের অচলাবস্থা অব্যাহত থাকায় প্রথম লিগ ম্যাচ থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে ‘গঠনমূলক ও ইতিবাচক’ আলোচনা শেষে তাকে লাইনআপে ফেরানো হয়েছে।
৩ মাস আগে
ব্যালন দ’র: ফেভারিটদের তুলনামূলক বিশ্লেষণ
২০০৩ সালের পর এবারই প্রথম বিশ্ব ফুটবলের সেরা ব্যক্তিগত পুরস্কার ব্যালন দ’রের জন্য মনোনীত ৩০ ফুটবলারার সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর কেউ। ফলে ফুটবলের নতুন যুগের শুরুতে কে বা কারা হবেন পোস্টার বয়, এ বছরের ব্যালন দ’র জেতার মাধ্যমেই তা অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
আগামী ২৮ অক্টোবর প্যারিসে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। ক্রীড়া সাংবাদিকদের ভোটে এই পুরস্কার বিজয়ী নির্বাচিত হয়ে থাকে।
রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন লিগ জেতার পর ব্যালন দ’র জয়ের পর সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ক্লাবটির ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র ও অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যাম। তবে ইউরোতে ইংল্যান্ড টেনেটুনে ফাইনালে উঠে স্পেনের কাছে হারের পর বেলিংহ্যামের নাম পরবর্তীতে ফিকে হয়ে গেছে।
এছাড়া ঘরোয়া লিগে অসাধারণ পারফর্ম করেছেন আরও বেশ কয়েকজন। কিলিয়ান এমবাপ্পে, আর্লিং হালান্ড, হ্যারি কেইনের মতো তারকারা রয়েছেন এই কাতারে। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে তাদের কেউই নজর কাড়তে না পারায় পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকলেও ব্যালন দ’রের লড়াই তারা বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়বেন বলেই মনে হয়।
আরও পড়ুন: ২১ বছর পর ব্যালন দ’র লড়াইয়ে নেই মেসি-রোনালদো
এদের মধ্যে কিলিয়ান এমবাপ্পের নাম আসে সবার আগে। পিএসজিতে থাকাকালে গত মৌসুমে ৫২ গোল ও ২১টি অ্যাসিস্ট করেছেন চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়া এই স্ট্রাইকার। জিতেছেন লিগ-১, ফেঞ্চ কাপ ও ফরাসি সুপার কাপ। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন লিগের সেমিফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে হেরে পিএসজির বিদায় নেওয়ার পর ইউরোতেও সেমিফাইনালে হারে এমবাপ্পের ফ্রান্স। এছাড়া নাকে আঘাত লেগে অসুস্থ থাকায় ইউরোয় তার পারফরম্যান্সও ছিল সাদামাটা।
বায়ার্ন মিউনিখের হ্যারি কেইনও গত মৌসুমে করেছেন ৫২ গোল, সেই সঙ্গে ১৪টি অ্যাসিস্ট রয়েছে তার নামের পাশে। কিন্তু গাদা গাদা গোল করেও বায়ার্নকে বুন্দেসলিগা জেতাতে পারেননি এই স্ট্রাইকার। শুধু বুন্দেসলিগা কেন, ঘরোয়া-চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে গত মৌসুমে জার্মান জায়ান্টদের কোনো ট্রফিই জেতাতে পারেননি কেইন। এরপর টুর্নামেন্টজুড়ে বিবর্ণ ফুটবল খেলে ইউরোর ফাইনালে উঠলেও সেখানে স্পেনের কাছে হেরে হতাশ হতে হয় ইংল্যান্ড অধিনায়ককে।
তাদের মতো আরও একজন ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড। ৪৫ গোল, ৬ অ্যাসিস্টের মাধ্যমে গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ, ক্লাব বিশ্বকাপ ও উয়েফা সুপার কাপ জিতলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হন তিনি। এছাড়া ইউরো বাছাইপর্বই উৎরাতে ব্যর্থ হয়েছে হালান্ডের নরওয়ে। ফলে প্রিমিয়ার লিগের গোল্ডেন বুট জিতলেও জাতীয় দলের জার্সিতে প্রাপ্তির খাতায় কিছুই না থাকায় ব্যালন দ’র প্রতিযোগিতায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়বেন তিনি।
সার্বিক দিক বিবেচনা করলে এবারের ব্যালন দ’র জয়ের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র, ক্লাবটির স্প্যানিশ অধিনায়ক দানি কারভাহাল, ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ অধিনায়ক রদ্রি এবং ইন্টার মিলানের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্তিনেস।
ভিনিসিউস জুনিয়র
গত মৌসুমে লা লিগা, স্প্যানিশ সুপার কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতায় এবারের ব্যালন দ’র জয়ের দৌঁড়ে ভিনিসিউসকে অনেকেই এগিয়ে রাখছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে দলের ২-০ ব্যবধানের জয়ে একটি গোল ছিল তার। পাশাপাশি মোট ৬ গোল করে টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন তিনি।
আরও পড়ুন: ব্যালন দ’র: ভিনিসিউস, বেলিংহ্যামকে ফেভারিট মনে করেন না কারভাহাল
২০২৩-২৪ মৌসুমে লা লিগায় ভিনিসিউসের গোলসংখ্যা ১৫টি। এছাড়া স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। সব মিলিয়ে গত মৌসুমে ২৬ গোল ও ১২টি অ্যাস্টি করেছেন এই উইঙ্গার।
তবে ক্লাবের হয়ে আলো ছড়ালেও জাতীয় দলের জার্সিতে মোটেও ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি ভিনিসিউস। সর্বশেষ কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয় ভিনির ব্রাজিলকে।
দানি কারভাহাল
সেদিক থেকে হিসাব করলে ব্যালন দ’রের দৌড়ে এগিয়ে থাকার কথা ভিনিসিউসেরই ক্লাব সতীর্থ দানি কারভাহালের। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ভিনির সমপরিমাণ ট্রফি জেতার পাশাপাশি জাতীয় দলের হয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কারভাহাল। ফুটবলের পাশাপাশি রিয়াল মাদ্রিদের অধিনায়ক হিসেবে মাঠে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন ৩২ বছর বয়সী এই উইংব্যাক।
ডিফেন্ডার হয়েও গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে সব মিলিয়ে ৪১ ম্যাচে ৭টি গোল ও ৮টি অ্যাসিস্ট রয়েছে তার নামের পাশে।
লাউতারো মার্তিনেস
দলীয় ও ব্যক্তিগত অর্জনের হিসাব ধরলে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকবেন লাউতারো মার্তিনেস। ইতালির ঘরোয়া ফুটবলে সেরি-আ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তার ইন্টার মিলান। লিগে ৩৩ ম্যাচ খেলে ২৪ গোল ও ৬টি অ্যাসিস্ট করেছেন এই আর্জেন্টাইন। সেরি-আয় গত মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি লিগের গোল্ডেন বুটও (সর্বোচ্চ গোলদাতা) জিতেছেন তিনি। এ ছাড়াও ইন্টারের হয়ে গত মৌসুমে ইতালিয়ান সুপার কাপ জিতেছেন মার্তিনেস।
এরপর জাতীয় দলের জার্সিতে আর্জেন্টিনার টানা দ্বিতীয় কোপা আমেরিকা জয়ে তার ছিল বড় ভূমিকা। ফাইনালে ২৭ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারের একমাত্র গোলেই চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে জেতেন কোপা আমেরিকার গোল্ডেন বুটও।
সব মিলিয়ে গত মৌসুমে ৫৮ ম্যাচে ৩৫ গোল ও আটটি অ্যাসিস্ট করেছেন এই আর্জেন্টাইন।
রদ্রি
এবারের ব্যালন দ’রের লড়াইয়ে সমানে টক্কর দেবেন রদ্রিও। গত মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, উয়েফা সুপার কাপ ও ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ জিতেছেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে গেলেও মাঠের খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী ভিনিসিউসের দলের বিপক্ষে দারুণ পারফর্ম করেন এই কন্ট্রোলিং মিডফিল্ডার। ওপেন প্লেতে ড্র করে শেষে টাইব্রেকারে রিয়ালের কাছে হারে সিটি।
আরও পড়ুন: রদ্রির ব্যালন দ’র নিশ্চিত হয়ে গেছে
এরপর স্পেনের জার্সিতে ইউরো আসরজুড়ে আলো ছড়ান ২৮ বছর বয়সী এই ফুটবলার। ইউরোর সাত ম্যাচের সাতটিই জিতে স্পেনকে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন করতে মূলত নাবিকের ভূমিকা পালন করেন রদ্রি।
প্রতিটি ম্যাচের রাশ তার হাতে দিয়েছিলেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে, আর নিখুঁতভাবে ম্যাচের গতি কমানো-বাড়ানো, চুলচেরা সব পাস, বল দখলে দলকে নেতৃত্ব দেওয়াসহ প্রতিপক্ষের পাল্টা আক্রমণগুলো মাঝমাঠেই নিষ্ক্রিয় করে দিয়ে স্পেনকে রেকর্ড চতুর্থবারের মতো ইউরো চ্যাম্পিয়ন করতে মাঝমাঠে সতীর্থ ও প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের ওপর ছড়ি ঘোরান তিনি। তাই এবারের ব্যালন দ’রের ভোটে তাকে নির্বাচিত না করতে সাংবাদিকদের যে ঘাম ছুটবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত।
সর্বোপরি, পরিপূর্ণ একটি মৌসুম কাটাতে পারেননি ফেভারিটদের কেউই। কেউ ক্লাব ফুটবলে নজর কাড়লেও কেউ কেড়েছেন আন্তর্জাতিক ফুটবলে। আবার ঘরোয়া টুর্নামেন্টে কেউ দাপট দেখালেও অন্যজন দেখিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। কেউ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ঘরোয়া ফুটবল মাতালেও জাতীয় দলের জার্সিতে তার অর্জন নেই বললেই চলে, যেখানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে না পারলেও ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ফুটবলে অন্যজন ছিলেন অসাধারণ। ফলে শিরোপা জয়ের পাশাপাশি মাঠের খেলায় কে কতটা ভূমিকা রাখতে পেরেছেন, তা বিবেচনায় নিয়েই এ বছরের সেরা ফুটবলার নির্বাচন করতে হবে ভোটারদের। আর এক্ষেত্রে ফেভারিট যে কারও হাতে ব্যালন দ’র উঠলেই অবাক না হওয়ার যথেষ্ট কারণ থাকবে।
৩ মাস আগে
দ্বিতীয়ার্ধের জমজমাট লড়াইয়ের পরও ফের পয়েন্ট খোয়াল রিয়াল মাাদ্রিদ
নতুন মৌসুমে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে গিয়েই বারবার নিজেদের হারিয়ে ফেলছে বর্তমান লা লিগা চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম ম্যাচে মায়োর্কার মাঠ থেকে জয় আনতে ব্যর্থ হওয়া দলটি তৃতীয় ম্যাচেও একইরকমভাবে হতাশ হয়েছে।
বুধবার রাতে স্পেনের কানারি দ্বীপের গ্রান কানেরিয়া স্টেডিয়ামে তারকায় ঠাসা রিয়াল মাদ্রিদকে ১-১ গোলের ড্রয়ে রুখে দিয়েছে পুঁচকে লাস পালমাস।
ম্যাচজুড়ে বল দখলের লড়াইয়ে রিয়ালকে সমানে চ্যালেঞ্জ দিয়ে গেছে স্বাগতিকরা। তাছাড়া আক্রমণাত্মক রক্ষণ গড়ে চ্যাম্পিয়নদের আক্রমণগুলোও একের পর এক প্রতিহত করে গেছে তারা। শেষ মুহূর্তে গোল পেয়ে ম্যাচটি জিতে নেওয়ারও ভালো সম্ভাবনা জাগায় তারা, তবে ভাগ্য রিয়ালের পক্ষে থাকায় ১ পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে লুইস মিগেল কারিয়নের শিষ্যদের।
এদিন ম্যাচ শুরুর পর পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় লাস পালমাস। হঠাৎ আক্রমণে উঠে অরেলিয়েঁ চুয়ামেনিকে পরাস্ত করে আলবার্তো মলেইরোকে পাস দেন অলিভার ম্যাকবার্নি। পাস ধরে প্রথম শটেই লক্ষ্যভেদ করেন ২০ বছর বয়সী এই তরুণ উইঙ্গার।
গোল খেয়ে আক্রমণাত্মক ফুটবলে লাস পালমাসকে চেপে ধরার চেষ্টা করে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে সম্মিলিত প্রচেষ্টা, কাউন্টার প্রেসিং ও জমাট রক্ষণে রিয়ালের সেসব প্রচেষ্টা অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দিতে থাকে স্বাগতিকরা। শুধু তা-ই নয়, প্রতিপক্ষের পা থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে পজেশনাল ফুটবলে বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার চেষ্টা করে লাস পালমাস, পাশাপাশি আক্রমণ তৈরির চেষ্টা করে রিয়ালকেও অস্বস্তিতে রাখে তারা।
২৫তম মিনিটে প্রথম গোলে শট নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ফাউল আদায় করেন ভিনিসিউস। সেখান থেকে ফেদেরিকো ভালভার্সে দারুণ একটি ফ্রি কিক নিলেও অসাধারণ দক্ষতায় শটটি প্রতিহত করে ব্যবধান ধরে রাখেন লাস পালমাস গোলরক্ষক জ্যাসপার সিলিসেন।
২৮তম মিনিটে আক্রমণে উঠে বক্সের বাইরে থেকে শট নেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে শটে জোর না থাকায় সহজেই বলটি লুফে নেন সিলিসেন।
মিনিট দশেক পর বক্সের বেশ বাইরে থেকে দূরপাল্লার শট হানেন আন্টোনিও রুয়েডিগার, তবে বাঁ পাশের পোস্টঘেঁষে বল গোলের ঢোকার মুখে ঝাঁপিয়ে হাত প্রসারিত করে সেটি বাইরে বের করে দেন সিলিসেন।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পে না পারলেও অভিষেকে গোল এন্দ্রিকের, জয়ে ফিরল রিয়াল
এরপর ৪১তম মিনিটে রিয়াল মাদ্রিদের আরও একটি পাল্টা আক্রমণ সঠিক সময়ে এগিয়ে এসে শেষ পর্যন্ত নিস্ফল করে দেন ৩৫ বছর বয়সী এই সাবেক বার্সা গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধের ত্রিশ মিনিটের পর থেকে একের পর এক গেম ডেভেলপ করে সমতায় ফেরার চেষ্টায় ব্রতী হয় রিয়াল মাদ্রিদ। তবে জমাট রক্ষণ ও সিলিসেনের নৈপুণ্যে তাদের সব প্রচেষ্টা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই নিস্ক্রিয় হয়ে যায়। ফলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় লাস পালমাস।
প্রথমার্ধে রিয়ালের ছয়টি শটের তিনটি ছিল লক্ষ্যে, অন্যদিকে লাস পালমাস দুটি শটের একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে, যেটি থেকে গোল আদায় করে তারা।
তবে বল দখলের লড়াইয়ে একদমই পিছিয়ে ছিল না লাস পালমাস। রিয়ালের ৫২ শতাংশ সময় বলের ওপর নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ৪৮ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের সমানে টক্কর দেয় তারা।
৩ মাস আগে
এমবাপ্পে না পারলেও অভিষেকে গোল এন্দ্রিকের, জয়ে ফিরল রিয়াল
প্রথম ম্যাচে ড্র করার পর লা লিগায় চলতি মৌসুমে প্রথম ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে মাঠে নামে রিয়াল মাদ্রিদ। তুলনামূলক দুর্বল রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে ম্যাচের বেশিরভাগ সময় ধীরগতির ফুটবল খেলেও দারুণ জয়ে মাঠ ছেড়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
রবিবার (২৫ আগস্ট) বের্নাবেউতে ভায়াদোলিদের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতে জয়ে ফিরেছে লস ব্লাঙ্কোসরা।
ম্যাচের ৫০তম মিনিটে ফেদেরিকো ভালভার্দের ফ্রি কিক থেকে করা গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। এরপর ৮৮ ও যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে দুই গোল করেন বদলি হিসেবে নামা দুই খেলোয়াড় ব্রাহিম দিয়াস ও এন্দ্রিক।
এদিন নতুন মৌসুমে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামে রিয়াল মাদ্রিদ। এর মাধ্যমে লা লিগায় ঘরের মাঠে অভিষেক হয় কিলিয়ান এমবাপ্পের। এছাড়া ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে অভিষেক হয় এন্দ্রিকের। তবে ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময় খেলে এমবাপ্পে গোল না পেলেও তার পরিবর্তে মাঠে নেমে অভিষেক ম্যাচেই গোল আদায় করে নিয়েছেন এন্দ্রিক।
রিয়ালের নতুন নম্বর ৯ এবং ব্রাজিলের পরবর্তী সম্ভাব্য মহাতারকা হিসেবে আলোচনায় আসা এন্দ্রিকের অভিষেক ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন লস ব্লাঙ্কোসদের সাবেক নম্বর ৯ ব্রাজিল গ্রেট রোনালদো নাজারিও। তবে প্রতিপক্ষ দলের হয়ে মাঠে এসেছিলেন তিনি। ভায়াদোলিদের মালিকদের একজন রোনালদো।
আরও পড়ুন: মৌসুমের শুরুতেই বেলিংহ্যামকে হারাল রিয়াল মাদ্রিদ
ম্যাচের শুরু থেকেই তুলনামূলক শক্তিশালী রিয়াল মাদ্রিদ আক্রমণে উঠতে থাকে, আর রক্ষণাত্মক ফুটবলে মনোযোগী হয় ভায়াদোলিদ।
ম্যাচের নবম মিনিটে প্রথম সুযোগ তৈরি করে রিয়াল। মাঝমাঠে নিজেদের অর্ধ থেকে উড়ন্ত লম্বা পাস দিলে দ্রুগতিতে বলের কাছে পৌঁছে প্রতিপক্ষের বক্সের মধ্যে বাঁ পাশ থেকে বল ধরেন এমবাপ্পে। প্রথম ছোঁয়াতেই তিনি লক্ষ্যে শট নিলে ঝাঁপিয়ে তা প্রতিহত করেন লা লিগার প্রথম রাউন্ডে গোল না খাওয়া একমাত্র গোলরক্ষক কার্ল হাইন।
৩ মাস আগে