চিনি
দাম স্থিতিশীল রাখতে চিনির আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক কমলো ৫০ শতাংশ
দেশের বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে পরিশোধিত ও কাঁচা চিনি আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৫০ শতাংশ কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
ভোক্তাদের জন্য চিনির দাম আরও সহনীয় করতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানায় এনবিআর।
এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, সম্প্রতি চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পেছনে বিভিন্ন বৈশ্বিক ও দেশীয় কারণ দায়ী। বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বাংলাদেশি মুদ্রার উল্লেখযোগ্য অবমূল্যায়নের কারণে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। বেবি ফুডের মতো পণ্যও সাধারণ মানুষের কাছে ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও চলমান বন্যা পরিস্থিতি অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করেছে, যা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর ও সচিব আমিনুল ৩ দিনের রিমান্ডে
রেগুলেটরি ডিউটি ১৫ শতাংশ কমানোর ফলে অপরিশোধিত চিনির শুল্ক এখন প্রতি কেজিতে ১১ টাকা ১৮ পয়সা এবং পরিশোধিত চিনির ওপর আমদানি পর্যায়ে ১৪ টাকা ২৬ পয়সা শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
ভোক্তা পর্যায়ে চিনির দাম একই পরিমাণে কমবে বলে আশা করছে এনবিআর।
শুল্ক কমানো হলে অবৈধ চ্যানেলে চিনি চোরাচালান নিরুৎসাহিত হবে এবং বৈধ আমদানি বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেছে এনবিআর।
বাংলাদেশে চিনির বার্ষিক চাহিদা ২ থেকে ২২ লাখ টন, যেখানে দেশের চাহিদার মাত্র ১ দশমিক ৫ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত চিনি দিয়ে পূরণ করা হয়।
বর্তমানে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই), সিটি গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, আব্দুল মোনেম লিমিটেড ও দেশবন্ধু সুগার মিলস- এই পাঁচটি বেসরকারি চিনিকল দেশের বার্ষিক পরিশোধিত চিনির চাহিদার ৯৮ শতাংশের বেশি আমদানি করে। আর অপরিশোধিত চিনি বেশিরভাগই ব্রাজিল থেকে আসে।
আরও পড়ুন: রাজস্ব মামলার জট কমাতে জোরদার উদ্যোগ এনবিআরের
১ মাস আগে
চিনি ভেবে বিষ খেয়ে বোনের মৃত্যু, ভাই মৃত্যুশয্যায়
কুষ্টিয়ায় চিনি ভেবে ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে মিম (৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মিমের ভাই আলিফকে (৫) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা সোনাইকুন্ডি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে ২ জনের মৃত্যু
প্রতিবেশি জুয়েল আলী বলেন, দুপুরে বাড়ির লোকজন যার যার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ দিকে ওই দুই শিশু ঘরের মধ্যে খেলছিল। এক পর্যায়ে চিনি ভেবে তারা ঘরে রাখা ইদুর মারার বিষ খেয়ে ফেলে।
পরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিমের মৃত্য হয়।
অসুস্থ আলিফ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
৪ মাস আগে
সিলেটে ৬৪ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২
সিলেটে ৬৪ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়েছে। এ সময় দুই ব্যক্তিকে আটকের দাবি করেছে সিলেট মহানগরীর পুলিশের (এসএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
শনিবার (১৬ মার্চ) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সিলেট এয়ারপোর্ট থানার বড়শালা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার পানাইল পুরানপাড়া গ্রামের তাহির উল্লাহর ছেলে মো. আক্তার হোসেন (২৫) ও সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাও (নয়াবস্তি) গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৫)। এর মধ্যে আক্তার হোসেন পিকআপ চালক ও অপরজন চোরাকারবারী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিমানবন্দরে প্রবাসী আটক, সোয়া কেজি স্বর্ণ জব্দ
এসএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে একটি পিকআপ ভর্তি ৬৪ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করেছে। এসবের আনুমানিক মূল্য ৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এ সময় দুইজনকে আটক করা হয়।
পরে আটক দুজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে ১০৫ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, যুবক আটক
৮ মাস আগে
চিনির কিছু স্বাস্থ্যকর প্রাকৃতিক বিকল্প
অম্লত্বের ভারসাম্য বজায় রাখা, বরফের স্ফটিক গঠনে প্রতিরোধ সৃষ্টি এবং আর্দ্রতা ধরে রাখা; চিনির এই কার্যকারিতা শরবতসহ নানান ধরনের খাবারে মিষ্টি স্বাদ যোগ করে। এছাড়া চিনির মধ্যে থাকা গ্লুকোজ মানুষের শরীরের জন্য দরকারি একটি উপাদান।
বিপাকের সময় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং চর্বি জাতীয় খাদ্যের অণুগুলো ভেঙে শরীরের প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের চাহিদা পূরণ হয়। তাই আলাদা করে আর গ্লুকোজের দরকার পড়ে না। বরং এরপরেও খাবারে আলাদাভাবে চিনি নেওয়া হলে তা স্বাস্থ্যের জন্য উল্টো ক্ষতিকর। এই ক্ষতির কারণ যাচাইয়ের পাশাপাশি চলুন জেনে নেই কোন খাবারগুলো চিনির বিকল্প হিসেবে এই ক্ষতি থেকে দূরে রাখতে পারে।
চিনি কেন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর
মিষ্টি স্বাদযুক্ত খাবার গ্রহণের পর খাবারে থাকা চিনি মস্তিষ্কে ডোপামিন হরমোন নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে। এতে করে সেই ভালো লাগা স্বাদটি পুনরায় পাওয়ার অনুভূতি সৃষ্টি হয়। এভাবে মিষ্টি খাবার গ্রহণের পুনরাবৃত্তি থেকে সৃষ্টি হয় আসক্তি। ফলশ্রুতিতে, দেহের অভ্যন্তরে চিনির আধিক্য জনিত জটিলতাগুলো দেখা দিতে শুরু করে। এখানে সরাসরি প্রভাবক হিসেবে কাজ করে রক্তে শর্করার ভারসাম্যহীনতা।
শুরুটা হয় মেজাজের অস্থিরতা, ব্রণ ওঠা, ক্লান্তি এবং প্রদাহের মতো বিরক্তিকর উপসর্গ দিয়ে। ধীরে ধীরে প্রচন্ড মাথাব্যথা ও ক্ষুধামন্দার মাধ্যমে দৈনন্দিন শারীরিক অবস্থা আরও বেশি খারাপের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
আরও পড়ুন: সেহরি ও ইফতারে খেতে পারেন যেসব স্বাস্থ্যকর দেশি ফল
চরম অবস্থায় ওজন বৃদ্ধি, হৃদরোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, দাঁতের ক্ষয়, ফ্যাটি লিভার, দ্রুত বার্ধক্য এবং ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
চিনির ১০টি স্বাস্থ্যকর প্রাকৃতিক বিকল্প
কাঁচা মধু
শুধুমাত্র প্রাকৃতিগত মিষ্টতার জন্যই নয়, মধু দীর্ঘকাল ধরে তার পুষ্টিগুণের জন্যও ব্যাপকভাবে সমাদৃত। এই ঘন তরল পদার্থটি মধু-মৌমাছি দ্বারা উদ্ভিদের নির্যাস থেকে পরাগায়ন প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়। তাই স্বাভাবিক ভাবেই মধু বেশ কিছু উপকারী উদ্ভিদ যৌগ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হয়।
কাঁচা বা গাঢ় মধু কদাচিৎ প্রক্রিয়াজাত করা হয় বলে এর ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ফেনোলিক অ্যাসিড পুরোটাই পাওয়া যায়। এগুলো রক্ত, হৃদপিন্ড, পরিপাক এবং শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব রাখে। এমনকি এটি মৌসুমী অ্যালার্জি কমাতেও সক্ষম।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন বি-এর কারণে ঠান্ডা লাগার প্রতিকার স্বরূপ মধু চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে পান করা হয়। মধু-চা একই সঙ্গে ঠান্ডা লাগার প্রতিকার এবং মিষ্টি পানীয় হিসেবে জনপ্রিয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এই চা পানের পরিমাণ যেন অতিরিক্ত হয়ে না যায়।
আরও পড়ুন: যেসব কারণে রোজা রাখা ডায়েট করা থেকে বেশি উপকারী
৮ মাস আগে
চট্টগ্রামে এস আলম সুগার মিলের আগুনে পুড়ে গেছে এক লাখ টন চিনি
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এস আলম গ্রুপের এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলস লিমিটেডের কারখানার গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডে ১ লাখ মেট্রিক টন চিনির কাঁচামাল পুড়ে গেছে বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।
ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৪ ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত পৌনে ৮টায় বাইরের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিটের সঙ্গে কোস্টগার্ড ও বিমানবাহিনী কাজ করেছে। তবে কারখানার ভেতরে আগুন এখনো নেভানো সম্ভব হয়নি।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, বাইরের আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তবে গুদামের ভেতরে এখনো ধোঁয়াসহ আগুন জ্বলছে।
এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক বলেন, মিল চালু থাকা অবস্থায় আগুন চারদিকে ছড়িয়ে যায়। ভেতরে কেউ আটকা পড়েছে কি না বা কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত এর কিছুই জানতে পারিনি। আগুন নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, গোডাউনে থাকা ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ১ লাখ মেট্রিক টন চিনির কাঁচামাল ছিল, যা পুড়ে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কর্ণফুলী মর্ডান ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর শোয়াইব হোসেন মুন্সি বলেন, আগুনে আলম নামে একজন বেল অপারেটর আহত হয়েছেন। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে এখনো জানা যায়নি। তদন্ত রিপোর্টের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১ লাখ মেট্রিক টন কাঁচা চিনি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা প্রায়।
এর আগে আজ সোমবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণপাড়ে ইছানগর এলাকায় অবস্থিত ওই চিনি কারখানায় আগুন লাগে।
৮ মাস আগে
সিলেটে ৫৫ বস্তা ভারতীয় চিনি আটক
সিলেটের জৈন্তাপুরে ৫৫ বস্তা ভারতীয় চিনি এবং ১০ বস্তা পেঁয়াজসহ একটি ডিআই ট্রাক ও একটি এইচ পিকআপ গাড়ি আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের ফেরীঘাট এলাকা ও চাঙ্গীল এলাকার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে অভিযান চালিয়ে পণ্যগুলো জব্দ করে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিলেটে ১২ লাখ টাকার ভারতীয় পেঁয়াজ জব্দ, আটক ৪
তবে গাড়িচালক ও চোরাকারবারিদের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের প্রেক্ষিতে আমি পৃথক অভিযান পরিচালনা করি ৷ অভিযানে ২টি গাড়িসহ ৫৫ বস্তা ভারতীয় চিনি এবং ১০ বস্তা পেঁয়াজ আটক করেছি ৷ এবিষয়ে দু’টি পৃথক মামলা করা হবে ৷ আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ১৪০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, ৩ চোরাকারবারী আটক
৯ মাস আগে
রোজার আগেই ভারত থেকে আসতে পারে পেঁয়াজ-চিনি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
রমজানের আগেই সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি আমদানি করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও এক লাখ মেট্রিক টন চিনির চাহিদা দিয়েছি। এরমধ্যে ২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনির প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। প্রত্যাশা করছি, চাহিদার পুরোটাই আমরা নিয়ে আসতে পারব।’
আরও পড়ুন: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কানাডাসহ তিন দেশের প্রতিনিধির সৌজন্য সাক্ষাৎ
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রোজার আগেই ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি আসবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। ভারত সফরে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে আশ্বাস পেয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আশা করি, সোমবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে আমরা একটি ভালো খবর পাব। কীভাবে, কত তারিখ থেকে আমদানি করব, সেটা অনুমোদন পেলেই আমরা বাকি পণ্যগুলোর কথা জানাতে পারব।’
টিটু আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে তাদের (ভারত) মিনিস্টেরিয়াল বৈঠক ১৪ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জার্মানিতে আছেন। তিনি বিদেশ থাকায় বৈঠকটি হতে একটু দেরি হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: রমজানে সরবরাহ-দাম নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার প্রস্তুতি চলছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
২০০৯ সাল থেকে দেশে দৃশ্যমান প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
‘আশা করছি, সোমবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে কোনো এক সময় এই বৈঠক হবে। এখনো বিশ্বাস করি, ভালো ফল হবে।’
তিনি বলেন, শুধু একটি উৎস না, বিকল্প উৎস থেকেও আমরা চেষ্টা করছি। ভারতের আশপাশের দেশগুলো থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে। নেপাল থেকে ডাল আসে, মিয়ানমারে সীমান্ত পরিস্থিতি ভালো না হলেও সেখান থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আনার প্রক্রিয়া চলছে। সেটা দ্রুত আপনাদের জানাতে পারব।
আরও পড়ুন:
৯ মাস আগে
আলু, পেঁয়াজ, চিনি, সয়াবিন ও ডিমের দাম নির্ধারণ করেছে সরকার
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করেছে।
এ ছাড়া মন্ত্রণালয় প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৬৪-৬৫ টাকা, আলু ৩৫-৩৬ টাকা কেজি, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৯ টাকা লিটার, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৪৯ টাকা, প্রতি লিটার পাম অয়েল ১২৪ টাকা, চিনির (খোলা) দাম প্রতি কেজি ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ করেছে মন্ত্রণালয়।
এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এসব পণ্যের উৎপাদন ও বিপণন ব্যয়ের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়গুলোর কাছে সুপারিশ চেয়েছিল।
বাণিজ্য সচিব ইউএনবিকে বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে সারাদেশে অভিযান পরিচালনা এবং মনিটরিং বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিক্রেতাদের সঙ্গে দর কষাকষিতে হতাশ ক্রেতারা
প্রয়োজনে ডিম আমদানি করা হবে: মন্ত্রী
১ বছর আগে
স্বপ্নতে আলু, পেঁয়াজ ও চিনিতে বিশেষ ছাড়
ঢাকা, কুমিল্লা, সিলেট ও চট্টগ্রামের গ্রাহকদের জন্য আলু, দেশি পেঁয়াজ, চিনিতে বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে সুপারশপ স্বপ্ন। ১১ ও ১২ জুলাই এই দুই দিন পণ্য বিক্রির ঘোষণা নিয়ে এলে।
ঢাকা ও কুমিল্লার গ্রাহকদের জন্য থাকছে প্রতি কেজি আলু ৪৪ টাকায় (খোলা বাজারে যা ৪৮ টাকা প্রতি কেজিতে), বিশেষ ছাড়ে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৬ টাকায় (যা খোলা বাজারে ৭০-৭৫ টাকা প্রতি কেজিতে), চিনি (খোলা) স্বপ্নতে প্রতি কেজি বিক্রি হবে ১৩৬ টাকায় (বাজারে যা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়)।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে এক কোটি নিম্ন-আয়ের পরিবারের কাছে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি শুরু আজ
অন্যদিকে চট্টগ্রাম আউটলেটের জন্য প্রতি কেজি আলু ৪৭ টাকায় (খোলা বাজারে যা ৫০ টাকা প্রতি কেজিতে), বিশেষ ছাড়ে আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫৭ টাকায় (যা খোলা বাজারে ৬০ টাকা প্রতি কেজিতে), চিনি (খোলা) প্রতি কেজি বিক্রি হবে ১৩৬ টাকায় (বাজারে যা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়)।
সবশেষ সিলেটের স্বপ্ন গ্রাহকদের জন্য থাকছে বিশেষ ছাড়। প্রতি কেজি আলু ৪০ টাকায় (খোলা বাজারে যা ৪২ টাকা প্রতি কেজিতে), বিশেষ ছাড়ে আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪৭ টাকায় (যা খোলা বাজারে ৪৯-৫০ টাকায় প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে)।
আরও পড়ুন: রমজানকে সামনে রেখে টিসিবির ৫টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু
১ কোটি পরিবারের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে পণ্য বিক্রি শুরু টিসিবির
১ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাড়ে ১২ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানি করবে সরকার
অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ সরকার সাড়ে ১২ হাজার মেট্রিক টন চিনি এবং দুই লাখ ২০ মেট্রিক টন সার আমদানি করবে।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামারের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) ভার্চুয়াল একটি বৈঠকে এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব অনুসারে, তার অধীনস্থ সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) মোট খরচে একটি আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত টেন্ডার পদ্ধতির মাধ্যমে অ্যাকসেন্টুয়েট টেকনোলজি ইনকরপোরেশন, ইউএসএ (স্থানীয় এজেন্ট: ওএমসি লিমিটেড, ঢাকা) থেকে চিনি আমদানি করবে। এতে খরচসহ প্রতি কেজি চিনি ৮২ দশমিক ৮৫ টাকা হারে মোট খরচ হবে ৬৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বৈঠক সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, প্রস্তাবটি অনুমোদনের সময় বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা কোনো দেশ থেকে কোনো পণ্য আমদানি না করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়টি বৈঠকে আলোচনা করা হয়নি।
কমিটি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) কর্তৃক মোট ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার এবং ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড আমদানির জন্য দুটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন: সরকারের নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি না হলে অভিযান চালানো হবে: টিপু মুনশি
এর মধ্যে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ১২০ দশমিক ০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগযুক্ত দানাদার ইউরিয়া সংগ্রহ করা হবে। প্রতি মেট্রিকটন ৩৭১ দশমিক ২৫ ডলারে এবং আরও ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার হবে এসআইসি-গ্রিন্টেন্ট কোম্পানি থেকে। সৌদি আরব ১০৬ দশমিক ২৫ কোটি টাকা এবং প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ৩২৭ দশমিক ৩৩ মার্কিন ডলার।
বিসিআই টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেড, চট্টগ্রামের জন্য সান ইন্টারন্যাশনাল এফজেডই, ইউএই (স্থানীয় এজেন্ট: মেসার্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনপুট, ঢাকা) থেকে ৬০ দশমিক ৯৫ কোটি টাকায় ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক অ্যাসিড আমদানি করবে। প্রতি মেট্রিক টন অ্যাসিডের দাম হবে ৫৬৬ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার।
সিসিজিপি মোট এক লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের সার আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্থাপিত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মোট ছয়টি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
এর মধ্যে, বিএডিসি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির অধীনে ২২৯ দশমিক ৩৩ কোটি টাকা, ৫৩২ মার্কিন ডলার ব্যয়ে সৌদি আরবের ম্যাডেন থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করবে।
এটি মরক্কোর ওসিপি, এস.এ. থেকে ১২৬ দশমিক ৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানি করবে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির অধীনে যার প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ৩৯১ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার। এবং মরক্কোর একই কোম্পানি থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করা হবে। যার প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ৫৪১ দশমিক পাঁচ মার্কিন ডলার হারে মোট মূল্য ২৩৩ দশমিক ৪২ কোটি টাকা।
এছাড়া রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির অধীনে ২২৫ দশমিক ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বিএডিসি কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশন থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন মিউরিয়েট অব পটাশ (এমওপি) সার আমদানি করবে। এতে প্রতি মেট্রিক টটের মূল্য পড়বে ৪১৮ মার্কিন ডলার।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘বাংলাদেশের ২৩টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পের জন্য সিসিজিপি স্থানীয় সরকার বিভাগের পরামর্শকের ব্যয় ১১ দশমিক এক কোটি টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
প্রকল্পের পরামর্শক হিসাবে ১. রানহিল, ২. ফারহাত এবং ৩. ডিডিসি-এর যৌথ উদ্যোগকে নিয়োগ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: চিনি আমদানিতে শুল্কছাড়ের মেয়াদ বাড়াতে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হবে: বাণিজ্য সচিব
১ বছর আগে