উন্মুক্ত
১২ ক্যাটাগরিতে ওমানে শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়েছে: প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, ‘চিকিৎসক, প্রকৌশলী, নার্স, শিক্ষকসহ মোট ১২ ক্যাটাগরিতে শ্রমবাজার উন্মুক্ত করেছে ওমান সরকার।’
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে নিযুক্ত ওমানের রাষ্ট্রদূত আবদুল গাফফার বিন আবদুল করিম আল-বালুশীর সঙ্গে সাক্ষাত শেষে একথা বলেন।
আরও পড়ুন: দক্ষ কর্মী তৈরিতে ১০০ কোটি টাকা সহায়তা দিতে চায় কোরিয়া: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে অবস্থানরত অবৈধ ৯৬ হাজার বাংলাদেশিকে বৈধ করবে ওমান সরকার। অভিবাসীদের জরিমানা মওকুফের বিষয়েও ভাবছে তারা।’
তিনি বলেন, ‘এখন দক্ষ জনবল ভিসা পেলেও, অদক্ষ জনবল নেওয়ার বিষয়ে ওয়ার্কিং কমিটিতে প্রস্তাব দেওয়া হবে। ওমানকে একটি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) ডেডিকেট (উৎসর্গ) করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা ওমানের চাহিদামতো আমাদের একটি টিটিসিতে কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে চাই।’
সাক্ষাৎকালে বন্ধুপ্রতীম দুদেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছাড়াও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। দুই দেশের মধ্যে দ্রুত একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ট্রেড ডিজিটালাইজেশনে লেনদেন দ্রুত-নিরাপদ হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
সাংবাদিকদের মিথ্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৪ মাস আগে
‘ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন, ২০২৪’- এর খসড়া মতামতের জন্য উন্মুক্ত
ভূমির সুরক্ষায় ‘ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন, ২০২৪’ নামে নতুন একটি যুগান্তকারী আইনের খসড়া প্রস্তাব প্রণয়ন করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
আইনটির খসড়া জনসাধারণ ও অংশীজনের মতামতের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক পোর্টালে আপলোড করা হয়েছে। ই-মেইল কিংবা পত্রের মাধ্যমে মতামত জানানো যাবে।
ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে অপরিকল্পিত নগরায়ণ, আবাসন বাড়িঘর তৈরি, উন্নয়নমূলক কাজ, শিল্পকারখানা স্থাপন, রাস্তাঘাট নির্মাণ এবং প্রাকৃতিক কারণে প্রতিনিয়ত ভূমির প্রকৃতি ও শ্রেণিগত ব্যবহারের পরিবর্তন হচ্ছে।
আবার দেশের বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষিজমি, বনভূমি, টিলা, পাহাড় ও জলাশয় বিনষ্ট হয়ে খাদ্যশস্য উৎপাদনের নিমিত্তে কৃষি জমির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে এবং পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
এই আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন, আবাসন, বাড়ি-ঘর তৈরি, উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, শিল্প-কারখানা ও রাস্তাঘাট নির্মাণরোধ করা, ভূমির শ্রেণি বা প্রকৃতি ধরে রেখে পরিবেশ রক্ষা ও খাদ্য শস্য উৎপাদন অব্যাহত রাখা, কৃষিজমি, বনভূমি, টিলা, পাহাড়, নদী, খালবিল ও জলাশয় সুরক্ষাসহ ভূমির পরিকল্পিত ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা, এবং ভূমির ব্যবহার নিশ্চিত করে পরিকল্পিত জোনিং এর মাধ্যমে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহারে রাষ্ট্রীয় অনুশাসন নিশ্চিত করা।
এ আইনের মূল বিধানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য, ভূসংস্থান এবং উদ্দিষ্ট ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে জমিকে স্বতন্ত্র অঞ্চলে নিখুঁতভাবে শ্রেণিবদ্ধ করা।
আরও পড়ুন: শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের ৫ জন
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং স্থল মূল্যায়নের মাধ্যমে, সরকার ডিজিটাল ল্যান্ড জোনিং ম্যাপ তৈরি করছে।
ল্যান্ড জোনিং ম্যাপ তৈরি সংশ্লিষ্ট ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতায় চলমান প্রকল্পটির নাম ‘মৌজা ও প্লটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্প’।
বাংলাদেশের অর্থনীতি ও খাদ্যনিরাপত্তার মূল ভিত্তি কৃষিজমি সুরক্ষার বিষয়টি আইনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
এ আইনে জমির উর্বরতা শক্তির অননুমোদিত ব্যবহার থেকে রক্ষা করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যাতে টেকসই খাদ্য–ফসল উৎপাদন নিশ্চিত করা যায়।
উপরন্তু জীববৈচিত্র্য এবং পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়ে জলাভূমি, বন ও নদী–ব্যবস্থার মতো পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল অঞ্চলগুলো সংরক্ষণের জন্য বিশেষ বিধানগুলোর রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।
আইনের খসড়ায় ভূমি জোনিংয়ের জন্য ১০টি শ্রেণিবিন্যাসের প্রস্তাব করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- আবাদি, আবাসিক, বাণিজ্যিক, জলাভূমি, নদী, বন, পাহাড়, রাস্তা, শিল্প ও ধর্মীয় স্থান।
প্রবিধানের বাস্তবায়ন, নিয়ন্ত্রণ, পরিবীক্ষণ ও হালনাগাদকরণের জন্য প্রস্তাবিত আইনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি নিবেদিত ইউনিট প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়াটি, প্রশাসনিক প্রক্রিয়াগুলিকে সুবিন্যস্ত করবে, সমন্বিত পরিকল্পনা প্রচেষ্টাকে সহজতর করবে এবং দ্রুত এবং কার্যকর নিয়ন্ত্রক প্রয়োগ নিশ্চিত করবে।
এই আইনে নির্ধারিত ভূমি ব্যবহার বিধি লঙ্ঘনকারী ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রয়েছে। দণ্ডের মধ্যে জরিমানা থেকে শুরু করে কারাদণ্ড পর্যন্ত রয়েছে, যা শ্রেণি বহির্ভূতভাবে ভূমির অবৈধ ব্যবহার এবং অবৈধ ভূমি দখল রোধে সরকারের অঙ্গীকার।
এই আইনের অধীনে অনধিক দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশের অধিকতর টেকসই ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হওয়ার পথে ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন, ২০২৪ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দেশের ভূমি সম্পদ রক্ষায় সরকারের অবিচল অঙ্গীকারের প্রমাণ।
উন্নয়নমূলক চাহিদা বাস্তবায়ন, আবার একই সঙ্গে, পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় গৃহীত কার্যক্রমের মধ্যে এক সমন্বয়পূর্ণ ভারসাম্য বজায় রেখে এই আইনটি স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পথ প্রশস্ত করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে, ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের পথে ‘ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন, ২০২৪’ অন্যতম কার্যকরী আইন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভূমি মন্ত্রণালয় শিগগিরই দ্বিতীয় প্রজন্মের 'স্মার্ট মিউটেশন' ব্যবস্থা চালু করবে
৭৭৯টি জলমহাল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে হস্তান্তর করছে ভূমি মন্ত্রণালয়
৮ মাস আগে
গণতন্ত্রের স্বার্থেই জাতীয় নির্বাচন আ. লীগের সব সদস্যের জন্য উন্মুক্ত ছিল: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি যদি গত মাসে(৭ জানুয়ারি) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তার দলের সদস্যদের নির্বাচনে অংশ নিতে না দিতেন, তাহলে দেশের গণতন্ত্র হরণ করা হতো।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সবার জন্য নির্বাচন উন্মুক্ত না হলে শুধু নির্বাচনই কলঙ্কিত হতো না, দেশের গণতন্ত্রও ছিনতাই হয়ে যেত।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সূচনা বক্তব্যে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রাখতে এ নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আমরা যে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছিলাম, তা ভুলে গেলে চলবে না এই অর্জন ধরে রাখতে হবে। প্রতি বছর বাজেট প্রণয়নের সময় আমরা নির্বাচনি ইশতেহার অনুসরণ করি।’
আরও পড়ুন: টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে বিজ্ঞানে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো উচিত: প্রধানমন্ত্রী
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, তার দল আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে দলের সব সদস্যের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে ক্ষমতায় থাকাকালীন সাধারণ মানুষের জন্য কতটুকু কাজ করেছেন, কারা করতে পেরেছেন বা পারেননি তাও খতিয়ে দেখা হবে। এর মাধ্যমে আমরা দেখব জনগণ কাকে গ্রহণ করে।
আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যেকোনো ধরনের সংঘাতের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনো ধরনের সংঘাত চাই না। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিরা যেই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: আইএমও'র প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অব্যাহত সম্পৃক্ততা ও নেতৃত্বের প্রত্যাশা করছি: সংস্থাটির প্রধান
৯ মাস আগে
ডিপিএস এসটিএস মেরিট স্কলারশিপ টেস্টের নিবন্ধন উন্মুক্ত, টিউশন ফি’র ১০০ শতাংশ বৃত্তি পাওয়ার সুযোগ
আগামী সেশনে (২০২৪-২০২৫) গ্রেড ৯ ও ১১ এর শিক্ষার্থীদের জন্য ডিপিএস এসটিএস মেরিট স্কলারশিপ টেস্টের নিবন্ধন শুরু হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দেশের শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকায় শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ তৈরিতে ২০২১ সালে এই স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু করে।
দেশ কিংবা দেশের বাইরে বর্তমানে যেকোনো স্কুলে যেকোনো কারিকুলামে (কেমব্রিজ/আইবি/জাতীয় শিক্ষাক্রম/এডএক্সেল প্রভৃতি) অধ্যয়নরত গ্রেড ৮ ও ১০ (বর্তমান সেশন) এর শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপ প্রোগ্রামে নিবন্ধন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহ-৯ আসনে আ. লীগ প্রার্থী আবদুস সালামের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা হাইকোর্টের
এ বৃত্তি প্রোগ্রামের ডিসেম্বর সাইকেল চালু থাকবে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। আগামী ২০ জানুয়ারি উত্তরার ডিপিএস এসটিএস স্কুল ক্যাম্পাসে এ বৃত্তি প্রোগ্রামের মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা https://forms.gle/R5UfWZfEpUFCTSYUA - এ লিংকের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন।
অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী যারা এ বৃত্তি পরীক্ষায় সর্বনিম্ন ৮০ শতাংশ নম্বর পাবেন (লিখিত ও মৌখিক উভয় মূল্যায়ন পরীক্ষায়), তারা স্কলারশিপ পাওয়ার সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকবেন।
চূড়ান্ত পর্যায়ে স্কলারশিপের জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় স্কোরের ভিত্তিতে টিউশন ফিতে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃত্তি দেওয়া হবে।
স্কলারশিপ পরীক্ষার কারিকুলাম ও অন্যান্য তথ্য জানা যাবে- https://dpsstsdhaka.org/stsmeritscholarship/- এ লিংকের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩ আসনে ইসির সিদ্ধান্ত বহাল রাখলেন হাইকোর্ট
নবম গ্রেডে বৃত্তির জন্য ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সাম্প্রতিক বিষয়াবলী ও যৌক্তিক ব্যাখ্যা বা লজিক্যাল রিজনিংসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে, একাদশ গ্রেডে বৃত্তির জন্য পরীক্ষার্থীরা পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, অ্যাকাউন্টিং ও অর্থনীতি থেকে যেকোনো বিষয় নির্বাচন করতে পারবে।
মূল্যায়ন পরীক্ষার লিখিত অংশে নেগেটিভ মার্কিং থাকবে।
এ বৃত্তির বিষয়ে ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার অধ্যক্ষ ড. শিবানন্দ সিএস বলেন, অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্রুতির নিদর্শন হিসেবে এ বৃত্তি কর্মসূচি চালু করেছে ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকা। যেসব শিক্ষার্থী ডিপিএস- এ একাডেমিক সাফল্য অর্জন করতে চায়, সেসব মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে আমরা সুযোগ তৈরি করতে চাই।
উল্লেখ্য, গত সেশনে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী এ বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে নিবন্ধন করেন। এ স্কলারশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত দুইজন শিক্ষার্থীকে টিউশন ফি’র উপরে ৫০ শতাংশ বৃত্তি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি: কৃষিমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে কাদের
১১ মাস আগে
বাংলাদেশ ও ফ্রান্স সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মুক্ত হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ফ্রান্স কৌশলগত সম্পদ ও উন্নত প্রযুক্তিতে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মুক্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ফ্রান্স স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। আমরা দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক আচরণের উপর মনোযোগ দিয়ে একটি শক্তিশালী বাণিজ্য অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছি। আমরা কৌশলগত সম্পদ এবং উন্নত প্রযুক্তিতে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মুক্ত করছি।’
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ঢাকায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোনের সম্মানে আয়োজিত এক ভোজসভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলন: বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
হাসিনা বলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ইন্দো-প্যাসিফিক এবং এর বাইরেও সকলের জন্য ভাগাভাগি সমৃদ্ধির জন্য কৌশলগত ব্যস্ততায় যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অংশীদারিত্ব যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীবনযাত্রার ব্যয়ের একাধিক সংকট মোকাবিলায় একটি অর্থবহ শক্তি হতে পারে, যা আমাদের বিশ্ব মুখোমুখি হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের নভেম্বরে তার ফ্রান্স সফরের সময় এলিসি প্রাসাদে (ফরাসি প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন) যে উষ্ণ আতিথেয়তা পেয়েছিলেন তার কথা স্মরণ করেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ এখানে আপনাকে এবং আপনার প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানাতে আমার সঙ্গে যোগ দিয়েছে।’
হাসিনা বলেন, তার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফরাসি বিপ্লবের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘ফ্রান্স আমাদের হৃদয়ে ও অন্তরে একটি বিশেষ স্থান দখল।’
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু তার আত্মনিয়ন্ত্রণের লড়াইয়ে স্বাধীনতা, সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধের প্রচারে তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণেও এর প্রতিফলন ঘটেছে।
তিনি বঙ্গবন্ধুকে উদ্ধৃত করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বাধীনতার আহ্বান আন্দ্রে ম্যালরাক্সের মতো বিশ্ব বুদ্ধিজীবীদের মাঝেও প্রতিধ্বনিত হয়েছিল। যা বাংলাদেশে লড়াই করার জন্য অনেক তরুণকে সংগঠিত করেছিল।
তিনি ফ্রান্সে যে অনেক সাহসী সংস্কার করেছেন তার জন্য তিনি ম্যাক্রোঁর প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, আমরা আপনাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বিশুদ্ধ বাতাসের নিঃশ্বাস হিসাবে দেখি। কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের জন্য আপনার অবস্থান মূলত আমাদের নিজস্ব বৈদেশিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের দিয়েছিলেন- 'সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়'।
আরও পড়ুন: নয়াদিল্লিতে জি২০ সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আপনাকে আমাদের অনন্য কাচ্চি বিরিয়ানির স্বাদ নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আমাদের উভয় জাতিই আমাদের রন্ধনপ্রণালী, সংস্কৃতি ও ভাষাগত ঐতিহ্যের জন্য অত্যন্ত গর্বিত। আমাদের দুই জনগোষ্ঠীকে একে অপরের কাছাকাছি নিয়ে আসার জন্য আমাদের দুটি সংস্কৃতির মধ্যে আরও ইন্টারফেস এবং ফিউশন প্রচার করার সময় এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি কি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য আমাদের আরেকটি উপাদেয় জনপ্রিয় স্থানীয় ফল আমড়ার জুস প্রস্তাব করতে পারি’।
১ বছর আগে
৩ মাস পর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হলো সুন্দরবন
একটানা তিন মাস বন্ধ থাকার পর শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বনজীবী ও দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে সুন্দরবন।
ইতোমধ্যে জেলে, ট্যুর অপারেটর, লঞ্চ ও বোট চালকেরা সুন্দরবনের প্রবেশের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং সুন্দরবনের আশেপাশের এলাকার ইকো কটেজগুলোও প্রস্তুতি নিচ্ছে পর্যটক বরণের।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে মাছ ধরা ও পর্যটনে ৩ মাসের নিষেধাজ্ঞা ১ জুন থেকে
সুন্দরী ইকো রিসোর্টের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পর্যটকদের বরণে সব আয়োজন শেষ করেছি আমরা। রিসোর্টে বসে সুন্দরবনের পাখিদের ডাক, পায়ে হেঁটে সুন্দরবনের অপার সৌন্দর্য উপভোগ, নিরাপত্তার সঙ্গে নিশিযাপন এবং মানসম্মত খাবারগ্রহণ প্রভৃতি আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধার ডালি সাজিয়ে আমরা অপেক্ষায় আছি পর্যটকদের।’
মোংলা ঘাটের ট্রলার চালক রুবেল হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মোংলা থেকে করমজল পর্যন্ত ট্রলারে দর্শনার্থী বহন করেই আমরা জীবিকা নির্বাহ করতাম। সুন্দরবন বন্ধের তিন মাস মোটামুটি বেকার অবস্থায় ছিলাম। আশাকরি আবারও সেই কর্মজীবনে ফিরতে পারব। এজন্য ট্রলার পরিস্কার ও সাজ-গোজেরও কাজ করেছি।’
এদিকে, টানা তিন মাস বন্ধ থাকায় প্রাণ-প্রাচুর্যে ভরে উঠেছে সুন্দরবন। দর্শনার্থী, মৎস্যজীবী ও বনজীবীদের প্রবেশ না করায় প্রাণিকূল তাদের নিজের ইচ্ছেমত বিচরণ করেছে। গাছগাছালিও শাখা মিলেছে নিজেদের মত করে।
এরআগে, বন্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুম থাকায় ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে সকল প্রকার বনজীবী ও দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে গত ৫ বছরে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে
১ বছর আগে
জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত মেট্রোরেল, আগারগাঁও স্টেশনে দীর্ঘ সারি
সাধারণ মানুষের জন্য মেট্রোরেলের পরিষেবা উন্মুক্ত থাকায় বৃহস্পতিবার সকালে আগারগাঁও স্টেশনে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। সকাল থেকেই মেট্রোরেলে যাতায়াতের জন্য শত শত মানুষ স্টেশনে ভিড় করতে থাকে।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও সেকশনে ২১ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ এমআরটি লাইন-৬ চালু করার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ-চালিত মেট্রোরেলের মাধ্যমে যাতায়াতের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে, যার লক্ষ্য ঢাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করা।
আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশটি এক বছর পর চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যাত্রী বহনকারী সীমিত সংখ্যক ট্রেন প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: টিকিট কেটে মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী হলেন প্রধানমন্ত্রী
শুরুতে সব স্টেশনে ট্রেন থামবে না। ট্রেনটি উত্তরা স্টেশন থেকে ছেড়ে পল্লবীতে থামবে, তারপর না থামিয়ে আগারগাঁও যাবে। মধ্যবর্তী স্টেশনগুলোতে ট্রেন থামানো পরে শুরু হবে।
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীতে প্রথম মেট্রোরেল সার্ভিসের উদ্বোধন করেন। তিনি উত্তরা থেকে আগারগাঁও প্রকল্পের প্রথম ধাপের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
যেহেতু সরকার সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু করছে, তাই উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দূরত্ব যেতে ২০ মিনিট সময় লাগবে। তবে শিগগিরই তা ১৬-১৭ মিনিটে নেমে আসবে।
ভারত ও পাকিস্তানের পর বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের তৃতীয় দেশ যেখানে মেট্রোরেল পরিষেবা রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ট্রেনটি ২০০ থেকে ২৫০ যাত্রী বহন করবে এবং পরে এটি ৭০০ থেকে ৮০০ যাত্রী বহন করবে।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত যে ১২টি ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে, তার মধ্যে ১০টি নিয়মিত চলবে এবং যেকোনো সমস্যার জন্য দুটিকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল বাংলাদেশের গৌরব মুকুটে আরেকটি পালক যোগ করেছে: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে