সাধারণ মানুষের জন্য মেট্রোরেলের পরিষেবা উন্মুক্ত থাকায় বৃহস্পতিবার সকালে আগারগাঁও স্টেশনে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। সকাল থেকেই মেট্রোরেলে যাতায়াতের জন্য শত শত মানুষ স্টেশনে ভিড় করতে থাকে।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও সেকশনে ২১ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ এমআরটি লাইন-৬ চালু করার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ-চালিত মেট্রোরেলের মাধ্যমে যাতায়াতের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে, যার লক্ষ্য ঢাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করা।
আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশটি এক বছর পর চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যাত্রী বহনকারী সীমিত সংখ্যক ট্রেন প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: টিকিট কেটে মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী হলেন প্রধানমন্ত্রী
শুরুতে সব স্টেশনে ট্রেন থামবে না। ট্রেনটি উত্তরা স্টেশন থেকে ছেড়ে পল্লবীতে থামবে, তারপর না থামিয়ে আগারগাঁও যাবে। মধ্যবর্তী স্টেশনগুলোতে ট্রেন থামানো পরে শুরু হবে।
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীতে প্রথম মেট্রোরেল সার্ভিসের উদ্বোধন করেন। তিনি উত্তরা থেকে আগারগাঁও প্রকল্পের প্রথম ধাপের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
যেহেতু সরকার সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু করছে, তাই উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দূরত্ব যেতে ২০ মিনিট সময় লাগবে। তবে শিগগিরই তা ১৬-১৭ মিনিটে নেমে আসবে।
ভারত ও পাকিস্তানের পর বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের তৃতীয় দেশ যেখানে মেট্রোরেল পরিষেবা রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ট্রেনটি ২০০ থেকে ২৫০ যাত্রী বহন করবে এবং পরে এটি ৭০০ থেকে ৮০০ যাত্রী বহন করবে।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত যে ১২টি ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে, তার মধ্যে ১০টি নিয়মিত চলবে এবং যেকোনো সমস্যার জন্য দুটিকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল বাংলাদেশের গৌরব মুকুটে আরেকটি পালক যোগ করেছে: প্রধানমন্ত্রী