ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ভারতীয় একটি ট্রাকে করে এসব ডিম আমদানি করা হয়।
বেনাপোল কাস্টমস চেকপোস্টের কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা শেখ জাহিদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম ও মুরগি ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে হবে: উপদেষ্টা
দ্বিতীয়বারের মতো বন্দর দিয়ে ডিমের চালান আমদানি হলো। এর আগে, গত ৯ সেপ্টেম্বর ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম আমদানি হয় এ বন্দর দিয়ে।
কাস্টমস সূত্র জানায়, ১ হাজার ১০৪ বাক্স ডিম নিয়ে একটি ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। প্রতি বক্সে ২১০টি করে ডিম রয়েছে। এসব ডিমের মূল্য ৯ হাজার ৯৬৯ মার্কিন ডলার। প্রতি ডজন ডিমের আমদানি মূল্য শূন্য দশমিক ৪৩ ডলার, বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য ৫ টাকা ১৬ পয়সা। প্রতি ডজন ডিমের ইনভয়েস মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করে ও সব খরচ মিলিয়ে ১ টাকা ৮৪ পয়সা। প্রতিটি ডিমের মোট মূল্য দাঁড়ায় ৭ টাকা।
ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রো ল্যান্ড সলুশন ভারত থেকে এই ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি ডিম আমদানি করেছে। ডিমের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কোলকাতার শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ ভান্ডার। আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি খালাসের জন্য কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দাখিল করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।
বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বিনয় কৃষ্ণ বলেন, ‘আমদানি করা ডিম খাওয়ার উপযোগী কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। ফলাফল ইতিবাচক হয়েছে। আমদানিকারকের আমদানি ডকুমেন্টস পেয়েছি। ডিমের চালানটি দ্রুত খালাসের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিংহ বলেন, ডিমের চালান বেনাপোল বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে রাখা হয়েছে। রাজস্ব আদায় করে যত দ্রুত সম্ভব ডিমের চালানটি খালাসের অনুমতি দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, মাঠ পর্যায়ের বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডের কাস্টমস কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।