তাহিরপুর
তাহিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ আটক ৪
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আশ্রাউল জামান ইমনসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে বাড়ির সামনের শনির হাওরের পাড় থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক চারজন হলেন- তাহিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আশ্রাউল জামান ইমন, ইশতিয়াক আখঞ্জি রাহি, মো. মুরাদ মিয়া ও মাকসুদ হোসেন।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলেয়োর হোসেন বলেন, ‘৪ আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রবিবার মধ্যরাতে আশ্রাউল জামান ইমন নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ছেলেদের নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন এই তথ্যের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়। এ বিষয়ে তাদের নামে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
৬ দিন আগে
পর্যটকে মুখরিত হাওর; দুই মাসের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আশায় ব্যবসায়ীরা
তিন দফা বন্যা ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে প্রায় দুই মাসের মতো বন্ধ ছিল সুনামগঞ্জের হাওরের পর্যটন ব্যবসা। বড় রকমের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল পর্যটন ব্যবসায়ীদের। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকায় পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে টাঙ্গুয়ার হাওরসহ তাহিরপুর সীমান্তের কাছে পর্যটন এলাকাগুলোতে। এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামের কয়েকটি পর্যটন এলাকায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিখ্যাত জলরাশির হাওরের দিকে ছুটছেন অনেকে। পর্যটকদের আগম বাড়তে থাকায় দুই মাসের ক্ষতি কাটিয়ে নতুন করে শুরুর সাহস পেয়েছেন পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: ঢাকা ও নিকটবর্তী এলাকার ১০টি ঐতিহাসিক মন্দির
হাওরের বুকে ঘুরে বেড়ানো হাউজবোটগুলোর মালিকরা বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গেল ২ মাস পর্যটক আসেনি হাওরের জেলা সুনামগঞ্জে। এ কারণে প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে এখন পর্যটকের উপচে পড়া চাপে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। ২ মাসের আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার ভরসা পাচ্ছেন তারা।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দীর্ঘ সময় দেশের ভ্রমণপ্রেমী মানুষদের পর্যটন এলাকাগুলোতে যাওয়ার সুযোগ মেলেনি। অন্যদিকে গেল ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২৩ দিন বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি এই তিন পার্বত্য জেলায় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেছে প্রশাসন। এতে ভ্রমণপ্রিয় মানুষরা হাওরকেই বেছে নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: হাকালুকি হাওর ভ্রমণ: এক নিঃসীম জলজ মুগ্ধতা
হাউজবোট মালিকরা জানান, গত কয়েকদিন ধরেই হাউজবোটগুলো অগ্রিম বুকড হয়ে গেছে। শিডিউল মেনে ট্যুর পরিচালনা করতে হচ্ছে।
২ মাস আগে
সুনামগঞ্জে কে কোন প্রতীক পেলেন
সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর ও মধ্যনগর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রনজিত চন্দ্র সরকার নৌকা প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন কেটলি প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সদস্য মো. সেলিম আহমদ ঈগল প্রতীক, বাংলাদেশ কগ্রেসের নবাব সালেহ আহমদ ডাব প্রতীক, জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল মন্নান তালুকদার লাঙ্গল প্রতীক, তৃণমূল বিএনপির মো. আশরাফ আলী সোনালি আশঁ প্রতীক, গণফ্রন্টের মো. জাহানুর রশিদ মাছ প্রতীক, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) মো. হারিছ মিয়া একতারা প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে লড়বেন।
সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ নৌকা প্রতীক, মনোনয়ন বঞ্চিত বর্তমান এমপি ড. জয়া সেন গুপ্তা কাঁচি প্রতীকে এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সচিব মো. মিজানুর রহমান ঈগল প্রতীক নিয়ে ভোটে অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের ডিসিকে প্রত্যাহার, সুনামগঞ্জের ডিসিকে বদলির নির্দেশ ইসির
সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত বর্তমান এমপি এম. এ মান্নান নৌকা প্রতীক এবং তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ শাহীনুর পাশা চৌধুরী সোনালি আশঁ প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।
এছাড়া জাতীয় পার্টির তৌফিক আলী লাঙ্গল প্রতীক ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির তালুকদার মো. মকবুল হোসেন কাঠাল প্রতীক নিয়ে লড়বেন।
সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ সাদিক নৌকা প্রতীক এবং জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে লড়বেন।
এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত মো. এনামুল কবির ইমন প্রতীক ঈগল ও মো. মোবারক হোসেন প্রতীক কাচি এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মোহাম্মদ দিলোয়ার আম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন।
সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মহিবুর রহমান মানিক নৌকা প্রতীক ও দলের মনোনয়ন বঞ্চিত শামিম আহমদ চৌধুরী ঈগল প্রতীক নিয়ে ভোটের লড়াই করবেন।
এছাড়া, গণফোরামের আইয়ুব করম আলী উদীয়মান সূর্য প্রতীক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপির) আজিজুল হক আম প্রতীক, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)র আবু সালেহ একতারা প্রতীক, জাতীয় পার্টির (জেপি) আইনজীবী মনির উদ্দিন বাইসাইকেল প্রতীক, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) মো. আশরাফ হোসেন টেলিভিশন প্রতীক, জাতীয় পার্টির মো. নাজমুল হুদা লাঙ্গল প্রতীক এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হাজী আব্দুল জলিল গামছা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ওসিদের পর ইউএনওদের বদলি চেয়েছে ইসি
সুনামগঞ্জে গ্রেপ্তার ৩২ শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর
১ বছর আগে
তাহিরপুরে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে রাতের আধারে রাস্তা থেকে বাড়িতে নিয়ে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার মধ্য রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত যুবকের নাম মো. সাকিব মিয়া (২৫)। তিনি উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া টেকেরগাঁও গ্রামের খাটো মজিবুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া গ্রামের মোশারফ হোসনের সঙ্গে একই গ্রামের খাটো মজিবুর রহমানের দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দন্ধ চলে আসছিল। ইতোপূর্বে দুই পক্ষের মধ্যে আরও কয়েকবার রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের ঘটনাও ঘটেছে।
এছাড়া দুই পক্ষের মধ্যে থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে নিহত সাকিব বাড়ি থেকে চক বাজারে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে আসে। রাত ১টার দিকে সাকিবের পিতা খাটো মজিবুর রহমানের কাছে ফোন আসে সাকিবকে মোশারফের বাড়িতে মারপিট করছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২
এ সংবাদ পেয়ে খাটো মজিবুর রহমান গ্রামের তৃতীয় পক্ষের দুইজনকে সঙ্গে নিয়ে মোশারফ হোসেনের বাড়িতে গিয়ে তার ছেলেকে ফেরত চান।
মোশারফের লোকজন সাকিবকে তার পিতার কাছে না দিয়ে উল্টো খাটো মজিবুরকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে গেইট বন্ধ করে দেন।
পরে সংবাদ পেয়ে রাত দুইটার দিকে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মোশারফ ও মজিবুর রহমানের বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাকিবকে উদ্ধার করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় মোশারফের লোকজন তাকে প্রথমে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি করে। পরে এখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তার অবস্থা মমূর্ষ দেখে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠান।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পর মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাকিব মৃত্যু হয়।
নিহতের মা তেরাবজুন বেগম বলেন, সোমবার সন্ধ্যার দিকে চক বাজারে যাওয়ার কথা বলে সাকিব বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার ছেলেকে মোশারফের লোকজন রাস্তা থেকে ধরে বাড়িতে নিয়ে মারপিট করে হাত পা ভেঙ্গে মেরে ফেলেছে।
মোশারফ গংরা গত বছর আমার ছেলেকে রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছিল এবং আমার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলের খুনিদের বিচার চাই।
নিহতের বাবা খাটো মজিবুর রহমান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়িতে নিয়ে পিটিয়ে দুই হাত-পা ভেঙে ফেলে। খবর পেয়ে রাত ১টার দিকে মোশারফের বাড়িতে গিয়ে তাদের হা পা ধরে আকুতি মিনতি করেছি ছেলেকে উদ্ধারের জন্য। কিন্তু তারা আমার ছেলেকে ফেরত না দিয়ে উল্টো আমাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
পরে পুলিশ এসে আমার ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাটায়। সকালে শুনি আমার ছেলে মারা গেছে।
মোশারফ হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, গত কিছুদিন আগে আমার ছোট ভাই মোশাহিদের সরীলে পেট্রোল দিয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল সাকিব।
পরে বিষয়টি তার বাবাকে জানালে তিনি বলেন, আমার ছেলে মানসিক রোগী। গতরাত ১ টার দিকে আমার বাড়ির গেইটের বাহিরে এসে ঘরের বেড়া এবং গেইটে লাথি মারতে থাকে এবং পেট্রোল দিয়ে আগুন লাগিয়ে দিবে বলে চিৎকার চেচামেচি করতে থাকে।
পরে আমরা গেইটের ভিতর থেকে চিৎকার দিলে আশ পাশের মানুষ ডাকাত ডাকাত বলে তাকে মারপিট করে।
এক পর্যায়ে তার বাবা এসে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে হাসপাতালে যান।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, সাকিব নামে একজনকে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িতে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে শুনেছি।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। এছাড়া এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় কাপড়ের দরদামকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে দুই যুবক নিহত
লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতাকে গুলি করে হত্যা
১ বছর আগে
তাহিরপুরে বোরো খেতে ভয়াবহ ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণ, কৃষকেরা দিশেহারা
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ছোট-বড় বিভিন্ন হাওরে বোরো ধানখেতে ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ব্রি-২৮ ও ৮১ জাতের ধানে এর প্রকোপ বেশি দেখা দিয়েছে। রোগের প্রভাবে ধানে চিটা হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন হাওর পাড়ের কৃষকরা। ধান নষ্ট হওয়ায় সারাবছর খাদ্যের যোগান নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন হাওর পাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বছর উপজেলার ছোট-বড় ২৩ টি হাওরে ১৮ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে উচ্চ ফলনশীল ধান আবাদ হয়েছে হাওরে বেশি।
দিনে গরম ও রাতে ঠাণ্ডা থাকার কারণে ২৮ জাতের ধান নেক ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে কৃষি অফিস জানিয়েছে। ছত্রাক নাশক স্প্রে করেও এর সুফল পাচ্ছেন না কৃষকরা।
শনিবার সকালে মাটিয়ান হাওর পাড়ের কৃষক নিলু দাস বলেন, মাটিয়ান হাওরে এবার ১১ কিয়ার জমিতে ধান চাষ করেছেন তিনি। এরমধ্যে তিন কিয়ার জমির ব্রি-২৮ ধান ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে তার। আক্রান্ত তিন কিয়ার জমি থেকে কোনো ধান পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: বরগুনায় বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা
একই হাওরে সূর্য্যেরগাঁও গ্রামের বর্গাচাষী কৃষক আবুল কাশেম ২০ কিয়ার জমিতে বিভিন্ন জাতে ধান চাষাবাদ করেন এবার। এর মধ্যে ব্রি-৮১ জাতের ধান ছয় কিয়ার জমিতে চাষাবাদ করেন তিনি।
তিনি জানান, তার রোপিত ব্রি-৮১ জাতের ধান ছয় কিয়ার একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে।
শনির হাওর পাড়ের কৃষক মুক্তার আহমেদ বলেন, বর্তমানে হাওরে ধান পাকার সময়। এসময় ধানের শীষ সাদা হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, শুধু ২৮ ধানেই নয়, সুবর্ণ ধানেও এবার এরোগ দেখা দিয়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে তারা কীটনাশক দিয়েছেন, কিন্তু কোনো সুফল পাননি।
উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, এলাকার অনেক কৃষক আমাদের কাছে পরামর্শ চাচ্ছেন। আমরা তাদের পরামর্শ দিচ্ছি। অনেকে উপকৃত হচ্ছেন, আবার অনেকেই উপকৃত হচ্ছেন না।
বালিজুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আজাদ হোসেন জানান, তিনি নিজে হাওর ঘুরে দেখেছেন অনেকের ব্রি-২৮ ধান ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিষয়টি কৃষি বিভাগের গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান-উদ-দৌলা বলেন, ব্রি-২৮ ধান রোপণ না করার জন্য আমরা হাওর পাড়ের কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে কৃষকরা তা মানছে না। আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিক মাঠে রয়েছেন এবং কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা বলেন, হাওরের কিছু কৃষি জমিতে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণের বিষয়টি তিনি দেখেছেন। এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে
১ বছর আগে
সুনামগঞ্জে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুনের অভিযোগ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পারিবারিক কলহের জেরে ছোট ভাইয়ের পাথরের আঘাতে বড় ভাই খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (২৬ মার্চ) বিকালে উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বড়দল গ্রামের পুরানহাটিতে এ ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত ছোট ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত খোরশেদ আলম (৩৮) উপজেলার বড়দল গ্রামের পুরানহাটির সাবেক মেম্বার মৃত কনাই মিয়ার বড় ছেলে।
অভিযুক্ত ছোট ভাইয়ের নাম আশ্রাফুল আলম (৩৫)।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধ: ফুফাতো ভাইয়ের হাতে মামাতো ভাই খুন, আটক ৫
জানা গেছে, নিহত খোরশেদ আলম নিজ বাড়ির পূর্বপাশে থাকা টিউবওয়েলে পারিবারিক কাজে গেলে তার আপন ছোট ভাই আশ্ররাফুল আলম টিউবওয়েলে আসতে বাধা দেন এবং গালিগালাজ করতে থাকেন। পরে রেগে গিয়ে আশ্ররাফুল আলম টিউবওয়েলের পাশে থাকা পাথর দিয়ে বুকে আঘাত করলে এক পর্যায়ে খোরশেদ আলম মাটিতে লুঠিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক তার পরিবারের লোকজন তাকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. ইউনুস আলী বলেন, আমি ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে গিয়েছি, এ ঘটনায় আমি নিজেও মর্মাহত হয়েছি।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সৈয়দ ইফতেখার হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, হত্যার অভিযোগে নিহত খোরশেদ আলমের আপন ছোট ভাই আশ্ররাফুল আলমকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে ছুরিকাঘাতে প্রবাসী খুন, গ্রেপ্তার ২
নেত্রকোণায় খুনের ১৫ বছর পর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
তাহিরপুরে ভাইয়ের হাতে ভাই খুনের অভিযোগ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে আপন বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাইকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টায় উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন শ্রীপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত নুরুল আমিন(৬০) ওই ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মৃত তাহের আলীর ছেলে। তার অপর তিন ভাই নুরুল হক (৭০),শাহ আলম(৫০) ও শাহজাহান (৫৫)।
এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে তাহিরপুর থানার পরিদর্শক (এসআই)নাজমুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: খুলনায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন!
তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে বাবার সম্পত্তির ভাগ না দেয়া নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকত। একাধিক বার বিচার শালিস হলেও কোনো সমাধান হয়নি। কিছু দিন পূর্বে বোরো জমিন নষ্ট করে। আজ সকাল ৮টায় নিজ বাড়িতে সম্পত্তির বিষয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে নিহতের আপন অপর তিন ভাই নুরুল হক, শাহ আলম ও শাহজাহান তাদের ছেলে-মেয়েরা মিলে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এসময় পরিবারের সদস্য বাধা দিলেও থামাতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, নুরুল আমিনকে মাটিতে ফেলে রাখে পরে পরিবার লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: রূপসায় ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
১ বছর আগে
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে পানি কমছে, খাবার সংকট তীব্র
বন্যায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সীমান্ত এলাকায় চরম খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। তবে পানি কিছুটা কমছে। ফলে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা কেউ কেউ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। বন্যা কবলিত এলাকায় বসতঘর থেকে পানি নিচে নামলেও, বাড়ির উঠানে এখনও হাঁটু পানি বিরাজ করছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সামান্য ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হলেও সব ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন তা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তাহিরপুর সীমান্তের বীরেন্দ্রনগর থেকে লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ী, কলাগাঁও, চারাগাঁও, বাসতলা, লালঘাট, ট্যাকেরঘাট, বড়ছড়া, রজনী লাইন, চাঁনপুরসহ লাউড়েরগড় পর্যন্ত প্রায় ১৭টি পাহাড়ি ছড়া রয়েছে। ওপারে মেঘালয় পাহাড়। বৃষ্টি হলেই এসব পাহাড়ি চড়া দিয়ে প্রবল বেগে পানি এসে সীমান্তের বাড়ি ঘরে তাণ্ডব শুরু করে। ঢলের সঙ্গে চড়া দিয়ে বালি এসে ফসলি জমি, পুকুর ও বাড়িঘর ভরে গেছে। সীমান্তের রাস্তাঘাট ক্ষণে ক্ষণে ভেঙে খালে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বন্যার্তদের জন্য ১ লাখ লিটার বিশুদ্ধ পানির বোতল হস্তান্তর
গত দুইদিনে বন্যার পানি একটু কমলেও এখনও উজান থেকে প্রবল ঢল আসছে। যাদুকাটা, পাটলাই ও রক্তি নদীর তীরবর্তী এলাকার বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। হুমকিতে পড়েছে লাউড়েরগড় বিজিবি ক্যাম্প, স্কুল, মাদরাসা, বাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনা। কিছু অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও পুরো উপজেলা গত এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎ নেই। মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই।
সীমান্তবর্তী লালঘাট গ্রামের সরাফত আলী জানায়, বন্যায় শত শত পুকুরের মাছ ভেসে হাওরে চলে গেছে। পানি একটু কমলেও দুর্ভোগ কমছে না। সীমান্ত এলাকায় খাবার, বিশুদ্ধ পানি, মোমবাতি, ও সিলিন্ডার গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে। বাজারে একশ্রেণির অসাধু ব্যাসায়ীরা দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে বিক্রি করছেন।
চারাগাঁও গ্রামের সাবেক মেম্বার হাসান মিয়া জানান, একদিকে ভয়াবহ বন্যা, অপরদিকে পাহাড়ি ঢলে সীমান্তের লোকজনকে শেষ করে দিয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী কিছু বিতরণ করা হলেও বন্যায় আক্রান্ত সীমান্তের লোকজন বঞ্চিত হচ্ছেন।
লাকমা গ্রামের সাফিল মেম্বার জানান, বন্যায় পুকুর ডুবে মাছ চলে গেছে এবং পুকুরগুলো বালিতে ভরে গেছে। ট্যাকেরঘাট স্কুল অ্যান্ড কলেজে বন্যা কবলিত, লাকমা, দুধের আউটা, পুটিয়া, জামালপুর, ভোরাঘাট, মদনপুরসহ বেশ কয়েকটি বন্যা কবলিত গ্রামের আটশ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তারা এক কাপড়ে কোনরকম এখানে এসে জীবন বাঁচিয়েছেন। তারা এখন খাবার সংকট ভোগছেন।
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজারে বন্যার পানিতে ডুবে ব্যক্তির মৃত্যু
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির বলেন, সীমান্ত এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্রেসহ উপজেলাজুড়ে পাঁচটি টিম খাবার বিতরণ করছে। সরকারিভাবে ত্রাণ সামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণ আসতে শুরু করেছে। পর্যায়েক্রমে সীমান্ত এলাকাসহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণসামগ্রী দেয়া হবে। তিনি এই দুর্যোগে মুহূর্তে দেশ বিদেশের সবাইকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন।
২ বছর আগে
হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া ত্রাণ নিতে গিয়ে আহত একজনের মৃত্যু
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় বন্যা দুর্গতদের জন্য হেলিকপ্টারে করে বিমান বাহিনীর দেয়া ত্রাণ সামগ্রী নিতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে আহত ছয়জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সিলেটের রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে গুরুতর আহত বিপ্লব মিয়ার (৪৫) মৃত্যু হয়। তিনি তাহিরপুর উপজেলা সদরের উজান তাহিরপুর গ্রামের শহীদ আলীর ছেলে।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সুহেল রানা বলেন, ত্রাণ বিতরণের জন্য এয়ারফোর্সের একটি হেলিকপ্টার তাহিরপুরে এসেছিল। বন্যার পানির জন্য সদরের কোনো স্থানে নামতে না পারায় আকাশ থেকেই তারা ত্রাণের বস্তা মাটির দিকে নিক্ষেপ করেছিল। ত্রাণ গ্রহণ করতে গিয়ে আরও অনেকেই আহত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা সদরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে হেলিকপ্টারের ওপর থেকে বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ সময় শতাধিক বন্যার্ত শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে ত্রাণ সহায়তা নিতে গিয়ে ওপর থেকে ছুড়ে দেয়া ত্রাণ নিতে দৌড়াদৌড়ি করে ধরতে গেলে ৬ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ বন্যায় বন্দি সিলেটবাসী
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
সুনামগঞ্জে ঝুঁকিতে বোরো ফসল, আতঙ্কে কৃষক
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর হাওর এলাকার কৃষকরা আশঙ্কা করছেন যে তারা এই বছর বোরো ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কি না। ভারতের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সামনের দিনগুলোতে এখানে আরও আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলার বোরো ধান পাকতে শুরু করেছে। সাধারণত, হাওর এলাকার কৃষকরা ৭-১০ দিনের মধ্যে ফসল কাটা শুরু করবেন। তবে হাওরে অকালবন্যার পানি নামতে না নামতেই আরেকটি ঢল আসার আশঙ্কা ফসলের সম্পূর্ণ ক্ষতি করতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং অন্যান্য বৈশ্বিক আবহাওয়া সংস্থাসমূহের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১০ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশের উত্তর এবং উত্তরপূর্বাঞ্চল, তদসংলগ্ন ভারতের আসাম এবং মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটার কয়েকটি পয়েন্টের পানি বিপদসীমানা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। ফের আবহাওয়া অধিদপ্তরের এমন পূর্বাভাসে আতঙ্কে দিন-রাত কাটাচ্ছেন হাওরাঞ্চলের কৃষকরা।
গত এক সাপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার নজরখালীর বাঁধ ভেঙে টাংগুয়ার হাওর, এরালিয়াকোনা, গুন্নাকুড়ি হাওরের প্রায় ৭ হাজার হেক্টর বোরো ধান তলিয়ে গেছে। অবশিষ্ট বাঁধ গুলো পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। বিভিন্ন বাঁধে ধস ও ফাটল দিখা দিচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃক তাহিরপুর উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ফসল রক্ষা বাঁধ মেরামত ও সংস্কার করতে এবছর ৬৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) দ্বারা ৫৩ কিলোমিটার ডুবন্ত ফসল রক্ষা বাঁধ ও ১০টি ক্লোজার মেরামত করা হয়। এতে প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আর এসব বাঁধের কাজ সময় মতো শুরু ও শেষ না হওয়ায় বাঁধ গুলো মজবুত হয়নি। ফলে বাঁধ দুর্বল থাকায় পাউবো’র ৬৮টি বাঁধেই ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় রয়েছেন হাওরপারের কৃষকরা। আর বাঁধের ধসে পড়া ও ফাটলের স্থানে বাঁধ মেরামতের কাজ করছেন স্থানীয় কৃষকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এদিকে মাঘ মাসের শেষের দিকে স্থানীয়রা তাহিরপুর উপজেলার মহালিয়া হাওরের ময়নাখালি বিল সেচে মাছ ধরায় বর্তমানে ঝুঁকিতে রয়েছে ময়নাখালি বাঁধটি।
বাঁধ ভেঙে কৃষকের ক্ষতি হলেও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) নামে প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক দলের নেতারা গরিব কৃষকদের নাম ব্যবহার করে প্রকল্প নিয়ে সরকারি টাকা লুটপাট করে লাভবান হয়েছেন, এমন অভিযোগ এখন হাওরাঞ্চলের সর্বত্রই।
পড়ুন: হাওরে ফসলের ক্ষতির ঘটনায় গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে