রোহিঙ্গা ইস্যু
রোহিঙ্গা ইস্যুতে অতিমাত্রায় গুরুত্ব আসিয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে
সিঙ্গাপুরের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ ইয়েও বলেছেন, বাংলাদেশ যদি অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে চায়, তাহলে রোহিঙ্গা ইস্যুকে আঞ্চলিক ব্লকের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। কারণ এখানে মিয়ানমার পূর্ণ সদস্য।
ঢাকায় এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, 'রোহিঙ্গা ইস্যুর গুরুত্বকে উপেক্ষা না করে এবং এটিকে প্রভাবশালী ইস্যুতে পরিণত হতে না দিয়ে, আসিয়ানের দৃষ্টিভঙ্গি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে হোটেল রেনেসাঁয় 'বাংলাদেশ অ্যান্ড আসিয়ান ইন এ মাল্টিপোলার ওয়ার্ল্ড' শীর্ষক ডিস্টিংগুইশড স্পিকার সিরিজের অংশ হিসেবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে কসমস গ্রুপের জনকল্যাণমূলক সংস্থা কসমস ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতিসংঘের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখতে মহাসচিবের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ
জর্জ ইয়েও বলেন, এখন আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে চায় বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে একটি এজেন্ডাকে প্রাধান্য দিতে চায়।
কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিলে আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশকে তুলে ধরা সম্ভব। এক্ষেত্রে খুব বেশি অসুবিধা হবে বলেও মনে করেন না ইয়ো।
রোহিঙ্গা সংকটকে মানবিক ট্র্যাজেডি আখ্যা দিয়ে সিঙ্গাপুরের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার মূল প্রবন্ধে বলেন, 'এর কোনো সহজ সমাধান নেই। কারণ এসব সমস্যার শিকড় ইতিহাসের মধ্যেই রয়েছে এবং এর সমাধানও ইতিহাসের গভীরেই থাকতে পারে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা গণহত্যা সংঘটিত হওয়ার পর আসিয়ান এর নিন্দা জানায়নি। কারণ তারা মনে করে এটি অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমস্যা।
আসিয়ান তার সদস্য দেশগুলোর বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না উল্লেখ তিনি আরও বলেন, ‘আসিয়ান রাখাইন রাজ্যের মানবিক ইস্যুটিকে রাজনৈতিক ইস্যু থেকে আলাদা করার চেষ্টা করেছে।’
তিনি বলেন, আসিয়ানের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাই রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। তবে অন্যদের এরকম সহানুভূতি নেই। মিয়ানমারের সঙ্গে লাওসের ঐতিহ্যগত সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা মুখ্য ইস্যু হলেও মিয়ানমারে এটি গৌণ ইস্যু।
বাংলাদেশের উন্নয়নের বিষয় তুলে ধরে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে দেশের সাম্প্রতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন জর্জ ইয়ো।
আরও পড়ুন: ন্যাম সম্মেলন: রোহিঙ্গা ইস্যু মিয়ানমারের কাছে তুলবেন হাছান মাহমুদ
কসমস ফাউন্ডেশনের সভাপতি, প্রখ্যাত কূটনীতিক ও বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।
ড. চৌধুরী বলেন, আসিয়ান ও বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা সময়োপযোগী এবং মূলত দুটি কারণে আলোচনার উপযুক্ত সময় এটি।
প্রথম কারণটি উত্থাপন করে তিনি বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ বহুপাক্ষিক অর্থনৈতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার দিকে নজর দেবে বাংলাদেশ; এর মধ্যে আসিয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
অভিজ্ঞ এই কূটনীতিক বলেন, বিশেষ করে তারা আসিয়ান অর্থনৈতিক সম্প্রদায়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে প্রশংসনীয় হিসেবে দেখছেন। ‘এটি এই অঞ্চলকে একক বাজার ও উৎপাদনের ভিত হিসেবে মনে করে। এটি এই অঞ্চলকে প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে, ন্যায়সঙ্গত অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটাবে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে সম্পূর্ণরূপে যুক্ত করবে।’
তিনি বলেন, আসিয়ান কানেক্টিভিটি সম্পর্কিত মহাপরিকল্পনাটিও প্রশংসনীয় লক্ষ্য। ‘তাই আঞ্চলিক সংলাপের অংশীদার হতে চাওয়া এবং সিঙ্গাপুরসহ বন্ধু দেশগুলোর সমর্থন চাওয়ায় অবাক হওয়ার কিছু নেই।’
ড. চৌধুরী বলেন, দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে আসিয়ানের সদস্য দেশ মিয়ানমারে ব্যাপক অস্থিরতা বিরাজ করছে। যেহেতু বিরোধী পক্ষগুলোর প্রধানরা বাংলাদেশকে নিরাপদ স্বর্গ হিসেবে দেখছে, তাই বাংলাদেশেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার হুমকি রয়েছে।
আরও পড়ুন: খাদ্য, জ্বালানি ও রোহিঙ্গা ইস্যুর মতো বিষয়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের সঙ্গে আলোচনা করবে ঢাকা
ন্যাম সম্মেলন: রোহিঙ্গা ইস্যু মিয়ানমারের কাছে তুলবেন হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় আসন্ন ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে তিনি মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন।
তিনি বলেন, ‘দেখুন, আমরা সবসময় কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা করছি। আমরা তাদের (মিয়ানমার) সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছি। আমি ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনে যাচ্ছি। আমার মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আমরা কূটনৈতিকভাবে এই সমস্যার সমাধান করতে পারি।’
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৯তম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে বুধবার রাতে উগান্ডার উদ্দেশে রওনা দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: 'স্থিতিশীল, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ' বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত ভারত: প্রণয় ভার্মা
কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কেসি আগামী ১৯ থেকে ২০ জানুয়ারি জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন।
সোমবার প্রাথমিকভাবে শুরু হওয়া শীর্ষ সম্মেলনের জন্য বিশ্বের প্রায় ১২০টি দেশের নেতারা উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় জড়ো হয়েছেন।
বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্রের নেতারা সপ্তাহব্যাপী এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক ইস্যুগুলো সমাধান এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা করবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হাছান মাহমুদকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানালেন জয়শঙ্কর
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকার গত বছর প্রায় এক হাজার শরণার্থী নিয়ে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চেয়েছিল।
বাংলাদেশ মিয়ানমারকে তিন হাজারের বেশি রোহিঙ্গার একটি তালিকা দিয়েছে এবং পরিবারগুলো যেন বিচ্ছিন্ন না হয় তাও নিশ্চিত করতে চেয়েছিল।
বাংলাদেশ সরকার বলছে, একদিকে এই নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা ব্যাপকভাবে হ্রাস অন্যদিকে প্রতি বছর আশ্রয় শিবিরে প্রায় ৩০ হাজার নবজাতক জন্মগ্রহণ করছে। যা এই সংকটকে আরও জটিল করে তুলছে।
নিরাপদ, স্বেচ্ছাসেবী ও টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু করতে আরও বিলম্ব এবং মানবিক সহায়তার ঘাটতি পুরো অঞ্চলকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
এত দীর্ঘ সময় ধরে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আর্থ-সামাজিক, জনতাত্ত্বিক ও পরিবেশগত ব্যয় বাংলাদেশকে সীমাবদ্ধতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত এসব মানুষের নিরাপদ ও টেকসই উপায়ে স্বদেশে ফিরে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ও অধিকার রয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩ লাখ ইউরো সহায়তা দিচ্ছে ইইউ
‘বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে গুরুত্ব দেয় জাতিসংঘ’
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী (ইউএনআরসি) গুয়েন লুইস বলেছেন যে বিশ্বের অন্যান্য বড় ক্রমবর্ধণশীল সংকট সত্ত্বেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে মনোনিবেশ করে চলেছে জাতিসংঘ। একটি রাজনৈতিক সমাধানের চেষ্টা করছে।
‘এটি অবিশ্বাস্যভাবে চ্যালেঞ্জিং। সেখানে নজর রয়েছে।‘ তিনি বলেন, তারা মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য কাজ করছে। বর্তমানে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক স্পষ্ট করে বলেন, বাংলাদেশ ও সরকারের ওপর সিদ্ধান্ত নির্ভর করে।
তিনি বলেন, আয়োজক দেশ থেকে কোনও সুনির্দিষ্ট অনুরোধ থাকলেই জাতিসংঘ কাজ করবে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ডিক্যাবের শ্রদ্ধা
ইউএনআরসি বলেছে যে সহিংসতা ‘একেবারে উদ্বেগের বিষয়’ এবং তারা জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সকল স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলছে।
মঙ্গলবার ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন।
আরও পড়ুন: ডিক্যাবের নতুন সভাপতি লোটাস, সাধারণ সম্পাদক মঈনুদ্দিন
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করবে জাতিসংঘ ও এডিবি: পরিবেশমন্ত্রী
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আশার বাণী শুনালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহে প্রকাশকে বাংলাদেশ আশার আলো দেখছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, কিছু রোহিঙ্গাকে যুক্তরাষ্ট্র আশ্রয় দিতে চায়। তাছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন ইস্যুটি নিয়ে জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে উত্থাপন করা হয়েছিল। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই সাড়া দিয়েছে।
শুক্রবার রাতে সিলেট জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বন্যা পরবর্তী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিতের লক্ষ্যে সিলেট সার্কিট হাউসে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত-বিনিময় সভা শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বার্মিজ সেনাদের নৃশংসতা মানবতার বিরোধী এবং গণহত্যার পর্যায়ে পড়ে: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. মোমেন বলেন, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রকে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের ব্যাপারে আমরা অনুরোধ জানিয়েছিলাম। তারা এতদিন এই ব্যাপারে কিছু না বললেও সম্প্রতি আমরা তাদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। এটি আমাদের জন্য একটি ভালো খবর।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ড. মোশাররফ হোসেন, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান।
আরও পড়ুন: বহির্বিশ্বে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধির আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার সিলেটের উপ পরিচালক মো. মামুনুর রশিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার সাদাত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মোবারক হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অবস) শাহরিয়ারসহ সিলেটের সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন দেবে: মিয়া সেপ্পো
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো মঙ্গলবার বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বিদায়ী সাক্ষাতকালে এ কথা বলেন মিয়া সেপ্পো।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শেখ হাসিনা মিয়া সেপ্পোকে বলেন, মানবিক কারণে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। তাদের উচিত নিজ দেশে ফিরে যাওয়া।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ চাইলে জাতিসংঘ নির্বাচনী সহায়তা দেবে: মিয়া সেপ্পো
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, যদি ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা এখানে বসবাস করতে থাকে তবে এটি বাংলাদেশে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা তৈরি করবে। তিনি আরও বলেন,যে এনজিওগুলো বাংলাদেশে তাদের জন্য কাজ করছে সেসব এনজিওগুলো রোহিঙ্গাদের জন্য তাদের দেশে কাজ করতে পারে।
বৈঠকে তারা জলবায়ু পরিবর্তন ও নারীর ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়েও আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সরকারি চাকরির প্রতিটি ক্ষেত্রে এমনকি সামাজিক রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে।
মিয়া সেপ্পো বাংলাদেশে অবস্থান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই সরকারের সাথে তার খুব ভালো সহযোগিতা রয়েছে।
বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মো. জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সহিংসতা সীমান্তের বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে: প্রধানমন্ত্রী
তাসখন্দের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রাধান্য পাবে রোহিঙ্গা ইস্যু
আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ‘মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া: সংযুক্তির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জবিষয়ক’ সম্মেলনে অংশ নিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বুধবার উজবেকিস্তানের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন।
সফরে ড. মোমেন উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিইয়োইয়েভের সাথে বৈঠক করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানাবো।’
সম্মেলনের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে ফেসবুকে ‘সুখবর’ দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তাসখন্দে রোহিঙ্গা ইস্যু, টিকা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রাধান্য পাবে বলে ড. মোমেন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার।’
মন্ত্রী বলেন, ‘চীন বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে সিনোফার্মের আরও ১০ লাখ ডোজ দেবে এ বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠককালে ভ্যাকসিন বিষয়ে আলোচনা হবে। এটি ভালো সংবাদ।’
ড. মোমেন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা-তাসখন্দ সরাসরি বিমান চলাচলের জন্য উজবেকিস্তানের বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করবেন।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে কোভ্যাক্সের ৩৫ লাখ টিকা পাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ আরও টিকা পাওয়ার ইঙ্গিত পেয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সংযুক্তির মাধ্যমে ঐতিহাসিক সম্পর্ক জোরদারের জন্য উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিইয়োইয়েভের দু'দিনের এই সম্মেলনের আয়োজন করছেন।
আগামী সোমবার (১৯ জুলাই) পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশে ফিরবেন।
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না সৌদি আরব: শাহরিয়ার
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম বুধবার বলেছেন, সৌদি আরবে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর কথা দেশটির সরকার বলেনি।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বড় দেশগুলোর সিদ্ধান্ত কৌশলগত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন রবিবার বলেছেন, রোহিঙ্গা বিষয়ে জাতিসংঘের রেজুলেশনে যেসব দেশ ভোট দিয়েছে এবং যারা এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে তাদের প্রতি কোনো অসন্তুষ্টি নেই। এটি দেশগুলোর কৌশলগত সিদ্ধান্ত।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের ভূমিকা নিয়ে মার্কিন মন্তব্য ‘অসঙ্গত’: চীন
চীন রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে সহায়তা করার জন্য খুব কম কাজ করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের করা মন্তব্যকে ‘অসঙ্গত ও গঠনমূলক নয়’ আখ্যায়িত করে প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকার চীনা দূতাবাস।
যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু প্রাধান্য পাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই. বিগানের ঢাকা সফরের সময় রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরা হবে এবং তাদের দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে বিশ্বের বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় সমর্থন চাইবে বাংলাদেশ।