সিদ্দিক বাজার
গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও একজনের লাশ উদ্ধার, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১
গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় একটি পাঁচতলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের দুই দিন পর ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের উপ-অতিরিক্ত পরিচালক শাহজাহান শিকদার জানান, নিহত মেহেদী হাসান স্বপন (৪০) একটি স্যানিটারি দোকানের ব্যবস্থাপক। তিনি নোয়াখালীর গোলাম রব্বানীর ছেলে।
দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে স্বপনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিস (ঢাকা জোন) এর সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা শুনেছি যে মঙ্গলবার গুলিস্তান এলাকায় বিস্ফোরণের পর থেকে স্বপন নিখোঁজ ছিল। আমরা ধরে নেই এটা স্বপনের লাশ।’
এদিকে, রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারের ওই ভবনে আজ তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: তৃতীয় দিনের মতো চলছে উদ্ধার অভিযান
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখনও উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তানে বিআরটিসি বাস কাউন্টারের কাছে একটি পাঁচতলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ১৭ জন নিহত ও শতাধিক আহত হন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুসা হায়দার (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ভবনের নিচতলায় একটি স্যানিটারি সামগ্রীর দোকান, অন্য তলায় ব্র্যাক ব্যাংকের অফিস এবং সংলগ্ন একটি সাততলা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো ভবন ধসে পড়েনি।
এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের উপ-অতিরিক্ত পরিচালক শাহজাহান শিকদার জানান, কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: ঢামেক হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে
১ বছর আগে
সিদ্দিক বাজারে চা খেতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন দুই খালাতো ভাই
গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারের ভয়াবহ বিস্ফোরণে মঙ্গলবার চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দুই যুবকও মারা যায়। নিহত দুইজন সমবয়সী এবং উভয় সম্পর্কে খালাতো ভাই।
এরা হলেন- মতলব উত্তরের পশ্চিম লালপুর গ্রামের মো. বিল্লাল হোসেন বেপারীর বড় ছেলে মো. আল-আমিন (২৩) এবং ছেংগারচর গ্রামের মোশারফ হোসেন মিয়াজির ছেলে মনসুর হোসেন (২৪)।
আরও পড়ুন : গুলিস্তান বিস্ফোরণ: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে
আলাপকালে মনসুরের ছোট ভাই কাওছার জানান, ফুলবাড়িয়া সুপার মাকের্টে তাদের বেডিং এর দোকান রয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) বিকালে সোয়া ৪টার দিকে খালাতো ভাই আল-আমিন আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসে।
ছোট ভাই কাওছারকে দোকানে রেখে ২০ মিনিটের জন্য বাইরে যান আল-আমিন ও মনসুর। এ সময় তারা বললেন, ‘সিদ্দিক বাজারের দিকে যাই, দু’জনে চা খেয়ে আসি।’ এই কথা বলে তাদের আর আসা হলো না। ২০ মিনিট আর শেষ হয়নি তাদের- এই কথা বলে অঝোরে কাঁদতে থাকেন কাওছার।
পরে এ বিস্ফোরণের খবর শুনে ফোনে তাদের পাচ্ছিলেন না কাওছার। হতাশ হয়ে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে যান। সেখানে সারি সারি রাখা অগ্নিদগ্ধ ১৬টি মৃতদেহ দেখতে পান।
এই ১৬ জনের মধ্যে আপন ভাই মানসুর ও খালাতো ভাই আল-আমিন দুইজনকে খুঁজে পান তিনি।
আল-আমিন একটি বেসরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দীন ইউএনবিকে জানান, আজ (বুধবার) সকালে দু’জনের লাশ বাড়িতে আনা হয়। পরে দাফন করা হয়। বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না দুই বাড়ির স্বজনদের আহাজারি।
তিনি আরও বলেন, আজ দুজনের বাড়িতে গেলে মানসুরের ছোট ভাই কাওছার এ সব তথ্য জানান। কাওছারসহ নিহত দুজনের স্বজনরা এ বিস্ফোরণের সুষ্ঠু তদন্ত করার দাবি জানান।
আরও পড়ুন : গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: তৃতীয় দিনের মতো চলছে উদ্ধার অভিযান
গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: ঢামেক হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে
১ বছর আগে
গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: তৃতীয় দিনের মতো চলছে উদ্ধার অভিযান
রাজধানীর গুলিস্তানে সিদ্দিক বাজারের ভয়াবহ বিস্ফোরণে ২০ জনের প্রাণহানির ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখনও উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে নতুন করে উদ্ধারের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তানে বিআরটিসি বাস কাউন্টারের কাছে একটি পাঁচতলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ১৭ জন নিহত ও শতাধিক আহত হন।
এদিকে গতকাল ধ্বংসস্তূপ থেকে দু'জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুসা হায়দার (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে।
আরও পড়ুন: সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ: আরও ২টি লাশ উদ্ধার, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯
মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ভবনের নিচতলায় একটি স্যানিটারি সামগ্রীর দোকান, অন্য তলায় ব্র্যাক ব্যাংকের অফিস এবং সংলগ্ন একটি সাততলা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো ভবন ধসে পড়েনি।
এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের উপ-অতিরিক্ত পরিচালক শাহজাহান শিকদার জানান, কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ গ্যাস লিকেজ থেকে হয়নি: তিতাস গ্যাস
১ বছর আগে
সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ: আরও ২টি লাশ উদ্ধার, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯
ঢাকার সিদ্দিক বাজার এলাকায় একটি পাঁচতলা ভবনে বিস্ফোরণের একদিন পর বুধবার ধ্বংসস্তূপ থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে পৌঁছেছে।
নিহতরা হলেন- স্যানিটারি দোকানের মালিক মমিন উদ্দিন সুমন (৪৪) এবং তার কর্মচারী রবিন হোসেন শান্ত (২০)।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, তারা ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের বেসমেন্ট থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করেছেন।
তিনি বলেন, ‘একটি ডগ স্কোয়াড লাশের অস্তিত্ব শনাক্ত করার পর বিকালে ভবনের ভেতরে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। ভারী সরঞ্জাম দিয়ে অভিযান চালানো হয়েছিল।’
আহতদের মধ্যে ১১ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ ঘটে।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে বিস্ফোরণের কারণ নমুনা পরীক্ষা করে জানা যাবে: র্যাবের পরিচালক
সিকদার আরও বলেন, ভবনের নিচতলায় একটি স্যানিটারি সামগ্রীর দোকান, অন্য তলায় ব্র্যাক ব্যাংকের অফিস এবং পাশের একটি ৭ তলা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো ভবন ধসে পড়েনি।
বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘পাঁচতলা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে এবং এতে চাপ সৃষ্টি হলে পুরো ভবনটি ধসে পড়তে পারে। তাই স্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে বেসমেন্টে উদ্ধার অভিযান শুরু করা উচিত।’
বিস্ফোরণের তদন্তে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড রক্ষণাবেক্ষণ) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের উপ-অতিরিক্ত পরিচালক শাহজাহান সিকদার জানান, কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ গ্যাস লিকেজ থেকে হয়নি: তিতাস গ্যাস
গুলিস্তানে বিস্ফোরণের কারণ নমুনা পরীক্ষা করে জানা যাবে: র্যাবের পরিচালক
১ বছর আগে
সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ গ্যাস লিকেজ থেকে হয়নি: তিতাস গ্যাস
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজধানীর সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণের সঙ্গে গ্যাস লিকেজের কোনো সম্পর্ক নেই।
বুধবার বিকালে বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনের পর তিতাস গ্যাসের পরিচালক (অপারেশন) সেলিম মিয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে আমাদের অনুসন্ধানে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে বিস্ফোরণের সঙ্গে গ্যাস লিকেজের কোনও সম্পর্ক নেই।’
তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিস্ফোরণের পর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে গ্যাসের কোনো উপস্থিতি খুঁজে পায়নি তিতাস দল।
তিনি বলেন, দলটি পুরো এলাকা পরীক্ষা করে দেখেছে, কিন্তু কোনো প্রাকৃতিক গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিল্ডিংটিতে একটি গ্যাস-রাইজার ছিল, কিন্তু সেটি অক্ষত ছিল। দ্বিতীয়ত, যদি কোনো গ্যাস লিকেজ হতো তাহলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটত।’
এর আগে মঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তান এলাকার সিদ্দিক বাজারে বিআরটিসি বাস কাউন্টারের কাছে একটি পাঁচতলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ১৯ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে বিস্ফোরণের কারণ নমুনা পরীক্ষা করে জানা যাবে: র্যাবের পরিচালক
আহতদের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১ জন।
সকাল ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন জানান, সকাল ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের উপ-অতিরিক্ত পরিচালক শাহজাহান সিকদার।
আরও পড়ুন: গুলিস্তান বিস্ফোরণ: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে
বিস্ফোরণের পর গুলিস্তানের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
গুলিস্তান বিস্ফোরণ: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে
ঢাকার গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারের বিস্ফোরিত ভবনে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে ফায়ারফাইটিং ইউনিট। বুধবার সকাল থেকে এই উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস।
গতকাল মঙ্গলবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন জানান, সকাল ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট উদ্ধারকাজ শুরু করলেও এখনও কাউকে উদ্ধার করা যায়নি।
এদিকে, গুলিস্তানের পাঁচতলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড রক্ষণাবেক্ষণ) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের উপ-অতিরিক্ত পরিচালক শাহজাহান সিকদার।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
গতকাল রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় বিআরটিসি বাস কাউন্টারের কাছে একটি ৫ তলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ১৭ জন নিহত এবং ৬০ জনের বেশি আহত হয়।
শাহজাহান সিকদার জানান, বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে বিস্ফোরণটি ঘটে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, সকালে কর্তৃপক্ষ ১৭ জনের লাশ হস্তান্তর করেছে।
নিহত ১৭ জন হলেন- সুরিটোলার মোমিনের ছেলে সুমন(২১)। যাত্রাবাড়ীর মোশাররফ হোসেনের ছেলে মুনসুর হোসেন(৪০); বরিশালের দুলাল মৃধার ছেলে ইসহাক মৃধা(৩৫); বংশালের হোসেন আলীর ছেলে মো. ইসমাইল(৪২), দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রাহাত(১৮), চাঁদপুরের বিল্লাল হোসেনের ছেলে আলামিন (২৩), কিশোরগঞ্জের হাসেম মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া(১৮); যাত্রাবাড়ীর কালা চান মীরের ছেলে ইদ্রিস মীর(৫০); চকবাজারের আবুল হাসেমের ছেলে মমিনুল ইসলাম (৩৮), মমিনুল ইসলামের স্ত্রী নদি বেগম (৩৪), মুন্সীগঞ্জের জমির উদ্দিনের ছেলে মঈন উদ্দিন(৫০), বংশালের ইউনুস হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন(২০), মানিকগঞ্জের সাহেব আলীর ছেলে ওবায়দুল হাসান (৫৫), মুন্সীগঞ্জের মোজাম্মেল হকের ছেলে আবু জাফর সিদ্দিক(৩৪), বংশালের আনোয়ারুল ইসলামের স্ত্রী আকুতি বেগম(৭০); যাত্রাবাড়ীর মোহাম্মদ ভূইয়ার ছেলে নুরুল ইসলাম ভূইয়া(৫৫), কেরানীগঞ্জের দুলালের ছেলে আব্দুল হাকিম সিয়াম(১৮)।
এদিকে হাসপাতাল সূত্রে স্বজনদের বরাতে জানা গেছে, বিস্ফোরণের পর থেকে ৩ থেকে ৪ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
আহতদের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১১ জন।
গুলিস্তান বিস্ফোরণের কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ১৫, আহত ৬০ জনের বেশি
১ বছর আগে