ঢাকার সিদ্দিক বাজার এলাকায় একটি পাঁচতলা ভবনে বিস্ফোরণের একদিন পর বুধবার ধ্বংসস্তূপ থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে পৌঁছেছে।
নিহতরা হলেন- স্যানিটারি দোকানের মালিক মমিন উদ্দিন সুমন (৪৪) এবং তার কর্মচারী রবিন হোসেন শান্ত (২০)।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, তারা ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের বেসমেন্ট থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করেছেন।
তিনি বলেন, ‘একটি ডগ স্কোয়াড লাশের অস্তিত্ব শনাক্ত করার পর বিকালে ভবনের ভেতরে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। ভারী সরঞ্জাম দিয়ে অভিযান চালানো হয়েছিল।’
আহতদের মধ্যে ১১ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ ঘটে।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে বিস্ফোরণের কারণ নমুনা পরীক্ষা করে জানা যাবে: র্যাবের পরিচালক
সিকদার আরও বলেন, ভবনের নিচতলায় একটি স্যানিটারি সামগ্রীর দোকান, অন্য তলায় ব্র্যাক ব্যাংকের অফিস এবং পাশের একটি ৭ তলা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো ভবন ধসে পড়েনি।
বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘পাঁচতলা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে এবং এতে চাপ সৃষ্টি হলে পুরো ভবনটি ধসে পড়তে পারে। তাই স্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে বেসমেন্টে উদ্ধার অভিযান শুরু করা উচিত।’
বিস্ফোরণের তদন্তে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড রক্ষণাবেক্ষণ) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের উপ-অতিরিক্ত পরিচালক শাহজাহান সিকদার জানান, কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ গ্যাস লিকেজ থেকে হয়নি: তিতাস গ্যাস
গুলিস্তানে বিস্ফোরণের কারণ নমুনা পরীক্ষা করে জানা যাবে: র্যাবের পরিচালক