ফাউন্ডেশন
ইউসিবিতে মোনাশ ইউনিভার্সিটি ফাউন্ডেশন ইয়ার ওরিয়েন্টেশন
বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ কলেজের এক্সক্লুসিভ পার্টনার ইউনিভার্সেল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবি) মোনাশ ইউনিভার্সিটি ফাউন্ডেশন ইয়ার (এমইউএফওয়াই) রবিবার (২১ জানুয়ারি) ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামটি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।
বছরের প্রথম ব্যাচের উদ্বোধন উপলক্ষে রবিবার রাজধানীর গুলশান ১-এর এসএ টাওয়ারে অবস্থিত ইউসিবি ক্যাম্পাসে এই প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়।
একাডেমিক অ্যাফেয়ার্সের ডিন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন এবং ইউসিবির সভাপতি ও প্রভোস্ট অধ্যাপক হিউ গিলের সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এরপর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মোনাশ ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ড্যানিয়েল লাম এবং মোনাশ অস্ট্রেলিয়ার ইন-কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ আজরা করিম।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
পরে ইউসিবি ও এমইউএফওয়াই প্রোগ্রামের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পরিচিত করিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে সেশনের আয়োজন করা হয়।
সেশনে মোনাশ প্রোগ্রামের পড়াশোনা, গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা, প্রয়োজনীয় অ্যাকাডেমিক টুল, মোনাশ ও ইউসিবি’র অ্যাকাউন্ট তৈরি ও ব্যবহার এবং এমওওডিএলই- এ (মডিউলার অবজেক্ট-অরিয়েন্টেড ডায়নামিক লার্নিং এনভায়রনমেন্ট) কোর্স পরিচালনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
শিক্ষাগত দক্ষতা, ভাষা দক্ষতা ও সংখ্যাগত (গাণিতিক) দক্ষতার উপরও সেশন আয়োজিত হয়।
এমইউএফওয়াই জানুয়ারি ২০২৪- এ ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম আয়োজিত হলেও ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত এমইউএফওয়াইতে ভর্তির সুযোগ থাকছে।
এ বিষয়ে ইউসিবির প্রেসিডেন্ট ও প্রভোস্ট অধ্যাপক হিউ গিল বলেন, ‘আমাদের নতুন শিক্ষার্থীরা তাদের চমৎকার এ শিক্ষা শুরু করতে প্রস্তুত। আমাদের নতুন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। প্রত্যেকের আলাদা লক্ষ্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যেতে চাই। এখানে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত এবং একটি সমৃদ্ধ আগামীর জন্য আশাবাদী আমরা।’
ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবি) মোনাশ কলেজ, অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র অংশীদার এবং দেশের প্রথম শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদিত আন্তর্জাতিক শিক্ষাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান।
শিক্ষার্থীরা তাদের ও/এএস/এ/এইচএসসি পাস করার পরপরই আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামে ভর্তির মাধ্যমে মোনাশ ইউনিভার্সিটি বা ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন- এলএসইতে ডিগ্রি অর্জনে যাত্রা শুরু করতে পারবেন।
এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য একইরকম গ্লোবাল অ্যাকাডেমিক কারিকুলাম ও সাশ্রয়ী টিউশন ফি গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
এ প্রোগ্রাম ও কর্মশালা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://ucbbd.org/
আরও পড়ুন: প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হবে: শিক্ষামন্ত্রী
ফসলের পুষ্টি পরিমাপক অ্যাপ উদ্ভাবন করল ইউএসডিএ-বিএএস
১১ মাস আগে
ইউএনডিপি-এসএমই ফাউন্ডেশনের সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশে উদ্যোক্তা উন্নয়ন, পরিবেশবান্ধব উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশন।
বুধবার দুপুরে ঢাকায় এসএমই ফাউন্ডেশন এর কার্যালয়ে ইউএনডিপি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান গুয়েন এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান সমঝোতা স্মারকে সই করেন। আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হলেন জয়া আহসান
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউএনডিপি জানায়, এই সমঝোতা স্মারক এর আওতায় দুই সংস্থা যৌথভাবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে উদ্যোক্তা বিশেষত নারী উদ্যোক্তাদের জন্য উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। তারা বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করবে।
এছাড়া উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি বিষয়ক বিভিন্ন কর্মশালা এবং সেমিনারের আয়োজন করবে।
বাংলাদেশে উদ্যোক্তা বিষয়ক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত, পুনরুদ্ধার ও উন্নয়ন প্রচেষ্টার অগ্রগতি সাধন করাই এই অংশীদারিত্বের মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এসএমই খাত একটি বড় ভূমিকা পালন করছে এবং এই অংশীদারিত্ব এ খাতের প্রবৃদ্ধিকে আরও জোরদার করবে।
ভ্যান নুয়েন বলেন, ‘বাংলাদেশে শিল্পোদ্যোগ এবং পরিবেশবান্ধব উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন এর সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই সমঝোতা নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অধিক সুযোগ সৃষ্টি, আর্থিক খাত ও ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ এবং গ্রামাঞ্চলে এসএমই পরিষেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সাহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: ডিজিটাল লাইব্রেরি অ্যাপ চালু করল ইউএনডিপি
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান বলেন, ‘এই অংশীদারিত্বের উদ্দেশ্য হলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রদান এবং বাংলাদেশে উদ্যোক্তা বান্ধব পরিবেশকে শক্তিশালী করা। এই অংশীদারিত্ব আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে ও রপ্তানিমুখী দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যা আমাদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা করবে এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের মর্যাদা রক্ষায় অবদান রাখবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মাসুদুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, মহাব্যবস্থাপক ফারজানা খান, জাতীয় প্রকল্প স্বপ্ন এর পরিচালক কাজল চ্যাটার্জি, এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের উইং প্রকল্প, জেন্ডার টিম লিডার শারমিন ইসলাম, উইং প্রকল্প ন্যাশনাল কনসালটেন্ট সারাহ জিতা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের তরুণদের দক্ষতা বাড়াতে ইউএনডিপি ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের সমঝোতা চুক্তি
১ বছর আগে
টাঙ্গাইলে ১০ টাকায় গাছ বিক্রি
৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইলে ১০ টাকায় গাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন ও যুবদের জন্য ফাউন্ডেশন।
রবিবার (৪মে) সকালে শহরের নিরালা মোড়ে অবস্থিত শহীদ মিনার চত্বরে শতাধিক বৃক্ষপ্রেমী ১০ টাকায় গাছ বিক্রি শুরু করা হয়।
পরিবেশ রক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতেই এমন উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।
সেগুন, আকাশমনি, আমলকি, হরতকি, বহেরা, বাসক, শতমূলী, কাঁঠাল, পেয়ারা, জলপাই, কদবেল, আতা, চালতা, লটকন, ড্রাগন ফলসহ ২৪ প্রজাতির দেড় শতাধিক গাছ ১০ টাকা করে বিক্রি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে অনুমতি ছাড়াই বিদ্যালয়ের ৩০ গাছ বিক্রি
১০ টাকায় গাছ কিনতে পেরে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থী জান্নাতুর রহমান বলেন, ‘আমি পেয়ারা গাছ কিনেছি, এত কম দামে গাছ পাবো ভাবিনি।’
গৃহিনী রোকেয়া সুলতানা বলেন,‘মাত্র একটি গাছ কিনতে পেরেছি, আরও কেনার ইচ্ছা ছিল কিন্তু আয়োজকরা জানিয়েছেন একজন একটির বেশি গাছ কিনতে পারবেন না।’
শিক্ষার্থী রাইয়ান সম্রাট বলেন, ‘ড্রাগন ফল গাছ মাত্র ১০ টাকায় কিনতে পেরেছি, এমন আয়োজন নিয়মিত হওয়া উচিত।’
সংগঠনের উপদেষ্টা সংস্কৃতিকর্মী সাম্য রহমান বলেন, ‘আমরা যে পরিমাণ গাছ কাটছি তার অর্ধেক গাছও রোপণ হচ্ছে না। মানুষের মাঝে পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে আমাদের এ আয়োজন। পরবর্তীতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বল্পমূল্যে গাছ বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
১০ টাকায় গাছ কর্মসূচির উদ্যোক্তা মুঈদ হাসান তড়িৎ জানান,‘এ আয়োজনে দেড় শতাধিক ফলজ,বনজ ও ঔষধি গাছ স্বল্পমূল্যে বিক্রি করা হয়েছে। প্লাস্টিক দূষণ রোধ ও পরিবেশ রক্ষায় বেশি বেশি গাছ রোপণে জনগণ ও শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করতেই আমাদের এ উদ্যোগ।’
তিনি আরও জানান,‘অন্তত মাসে একবার আমরা ১০ টাকায় গাছ বিক্রি করবো। বিত্তবানেরা এগিয়ে এলে আরও বড় পরিসরে এই আয়োজন করতে চাই আমরা।’
এ সময় কর্মসূচিতে সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ মির্জা তৌহিদুল ইসলাম সুলভ, সমন্বয়কারী রাদিত আহমেদ, সামি খান, আহসান খান মিলন, রকিবুল রায়হান ও সামিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাছ কাটার প্রতিবাদ: পুলিশের বাধায় পণ্ড হলো নগর ভবন ঘেরাও কর্মসূচি
১ বছর আগে
বাংলাদেশে পানির নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন ও ওয়াটারএইড এর যৌথ উদ্যোগ
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ওয়াশ (ওয়াটার, স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন) সেবার উন্নয়ন এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে পানির ঘাটতি পূরণ ব্যবস্থা প্রচারের লক্ষ্যে এবার কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন ও ওয়াটারএইড বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করছে।
সাভার ও সুনামগঞ্জে পানি ও স্যানিটেশন নিরাপত্তার উন্নয়নের জন্য ‘প্রোমোটিং ওয়াটার রিপ্লেনিশমেন্ট অ্যান্ড ওয়াশ সার্ভিসেস’- শিরোনামের একটি প্রকল্পে কাজ করবে তারা।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১৮ মাস পর্যন্ত চলাকালীন প্রকল্পটি চলবে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজের উপযোগী অবকাঠামো তৈরি করতে হবে: মন্ত্রী
সোমবার (১৫ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় টেকসই পানির নিরাপত্তার জন্য সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি)-র ক্যাম্পাসে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে।
এছাড়া, পান করা ছাড়া অন্য প্রয়োজনের ক্ষেত্রে বৃষ্টির পানি ব্যবহার করার জন্য কার্যকর রিসাইক্লিং পদ্ধতি চালু করা হবে। সাভারের সিআরপি-তে কাজের পাশাপাশি জুলাই ২০২২-এর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সুনামগঞ্জ জেলায়ও সংস্কারের কাজ হাতে নেওয়া হবে।
কার্যকর স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের উদ্দেশ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দুইটি স্কুল ও পাঁচটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র বেছে নেওয়া হয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ৩০ হাজারের বেশি সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছানো যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট সাদিয়া ম্যাডসবার্গ বলেন, দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের কাছে নিরাপদ পানির টেকসই সহজলভ্যতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
তিনি আরও বলেন, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পানির সহলভ্যতা বাড়াতে ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কাজে সহায়তা করতে পেরে আমরা গর্বিত।
এই প্রকল্পটি সুনামগঞ্জে বসবাসকারী জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা তৈরি করবে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার পুনর্বাসন সহায়তার পাশাপাশি এর লক্ষ্য থাকবে বিশেষত যেকোনো দুর্যোগের সময় ওয়াশ সংস্থানগুলোর পরিচালনা বিষয়ে প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের জন্য স্থানীয় জনগোষ্ঠীর দক্ষতার উন্নয়ন করা।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশকনিধন কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে বিএনসিসি ও স্কাউট
প্রকল্পটি ৬০ হাজার এর বেশি প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। যাদের ৬০ শতাংশ-এর বেশি কিশোর-কিশোরী এবং/অথবা তরুণী।
ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, পরিবর্তিত জলবায়ুর কারণে বাংলাদেশের মতো দেশকে নানা ধরনের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। এর অন্যতম হলো জনগোষ্ঠী ও পরিবেশের জন্য পানির নিরাপত্তা।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি যে, টেকসই বাংলাদেশ এবং সংরক্ষণ ও সহনশীলতার মডেল গড়ে তোলার জন্য পানি ও স্যানিটেশন নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়াটারএইড এবং কোকা-কোলা বাংলাদেশের এই যৌথ প্রকল্পের মাধ্যমে জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য একটি বাস্তব পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব।
একইসঙ্গে পানির নিরাপত্তার জন্য বৃহৎ আকারের অভিযোজন সমাধান প্রদর্শন ও জনগোষ্ঠীর মাঝে ওয়াশ সহজলভ্য করে তোলাও সহজ হবে।
২০১৭ সালে সংস্থা দুইটি মিলিতভাবে একটি ওয়াশ উদ্যোগ নিয়ে কাজ করেছিল। এর লক্ষ্য ছিল স্কুল এবং কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য জলবায়ু-সহনশীল অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন সুবিধার বিকাশ করা, জনগোষ্ঠীর মাঝে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা, ওয়াশ অভিযোজন সম্পর্কে স্থানীয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জ্ঞান বৃদ্ধি করা এবং নির্দিষ্ট কাজের জন্য পানি প্রযুক্তি (ভূগর্ভস্থ পানি রিচার্জ সিস্টেম এবং রিভার্স অসমোসিস প্ল্যান্ট) স্থাপন করে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী পানযোগ্য পানির প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করা।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২৭টি বিদ্যালয় ও ৪০০টি পরিবারকে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা প্রদান করা হয়েছে, যার ফলে ১৯ হাজারের বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী পেয়েছে উন্নত স্যানিটেশনের সুবিধা।
সেই সঙ্গে ৭ হাজারের বেশি নারী ও মেয়ের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতেও কাজ করা হয়েছে।
এছাড়া জনগোষ্ঠীর ৫৩ হাজারের বেশি মানুষের জন্য স্যানিটেশন সুবিধা উন্নত করেছে প্রকল্পটি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখায় টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের ২ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, ১০ হাজার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত: প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
সার্ক লেখক ও সাহিত্যিকদের ফাউন্ডেশন বঙ্গবন্ধুকে প্রদান করল সার্ক সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩
মর্যাদাপূর্ণ দিল্লি-ভিত্তিক সাহিত্য প্ল্যাটফর্ম সার্ক লেখক ও সাহিত্যের ফাউন্ডেশন ৬৩তম সাহিত্য উৎসবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সার্ক সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ প্রদান করেছে।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার শতাধিক শীর্ষস্থানীয় গবেষক, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক এবং শিক্ষাবিদদের নিয়ে নয়াদিল্লিতে চলতি বছরের ২৬ থেকে ২৮ মার্চ তিন দিনব্যাপী এই উৎসবটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। হাই-প্রোফাইল সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে, ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাহিত্য একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত ঔপন্যাসিক ও পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত অজিত কোর বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার এবং বিশিষ্ট গবেষক ও লেখক মফিদুল হকের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার ও কাউন্সেলর (রাজনৈতিক)।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর জনগণের কাছে পরিচিত ‘বঙ্গবন্ধু’ বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের জাতীয় মুক্তির এক সুউচ্চ ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী এবং আমেরিকার নাগরিক অধিকার নেতা মার্টিন লুথার কিং-এর মতো, বঙ্গবন্ধুকে অশুভ শক্তি নির্মমভাবে হত্যা করেছিল, কিন্তু পৃথিবীর কোনো শক্তি তাকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে পারেনি। তার জীবনের একটি নতুন মাত্রা উন্মোচিত হয় যখন তার দীর্ঘদিনের হারিয়ে যাওয়া জেলখানার ডায়েরি এবং নোটবুক প্রকাশিত হয় এবং পরবর্তীকালে প্রকাশিত হয়।
ফোসওয়াল উল্লেখ করেছেন যে ট্রিলজির একটি রাজনৈতিক দলিল এবং একটি মানবিক সনদ রয়েছে যা প্রেম ও সহানুভূতির সঙ্গে লেখা, একজন ব্যক্তি যিনি ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করেছেন এবং তার জনগণকে স্বাধীনতার দিকে নিয়ে গেছেন।
তার বক্তৃতায়, ফোসওয়াল অজিত কোর-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রবিবার স্বাধীনতা দিবস সারা বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে এবং এটি ফোসওয়াল -এর জন্য তাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্মান জানানোর জন্য একটি মহান সম্মান, যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছিলেন এবং তার জনগণকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে চালিত করেছিলেন।
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন অনুসারে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ভিন্ন এবং অনন্য ছিল। কারণ, এটি ছিল 'মানুষের প্রাণবন্ত আত্মা' সংরক্ষণের জন্য যা শুধুমাত্র নিজস্ব সংস্কৃতি এবং নিজস্ব ভাষায় স্পন্দিত এবং বিকাশ লাভ করে।
১ বছর আগে