তীব্র তাপপ্রবাহ
ভারতে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই কিছু অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস
ভারতের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে আগামী পাঁচ দিন তীব্র তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। অন্যদিকে দক্ষিণ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কথা জানানো হয়েছে।
দিল্লি ও এর আশেপাশের এলাকায় গত তিন দিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। শুক্রবার তাপমাত্রা ৪৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় শত শত মানুষের মৃত্যু, নিখোঁজ অনেক
শনিবার দিল্লির তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৫ থেকে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাতের তাপমাত্রা ৩২-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রেকর্ড করা হয়।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয় এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ু, কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশের কিছু জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের প্রদেশে বন্যা সতর্কতা জারি, বহু প্রাণহানির আশঙ্কা
৭ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ কমলেও পুড়ছে তীব্র রোদে
গত কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রার পারদ সামান্য কমলেও প্রখর রোদ ও গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে বাসিন্দাদের।
বুধবার (১ মে) বিকালে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১২ শতাংশ।
গতকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ জেলার ৩৬ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যেটি বাংলাদেশের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমলেও রোদের উত্তাপ কমেনি। যে কারণে বিপর্যস্ত সময় পার করছে সব শ্রেণির মানুষ।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রসঙ্গত, চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে ২০০২ সালের পর থেকে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ২০০৫ সালের ২ জুন ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১২ সালের ৪ জুন ৪২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০০৪ সালের ১৩ মে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
আর ২০০৯ সালের ২৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এছাড়া ২০২৩ সালের ১৯-২০ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড রয়েছে এই জেলার।
৭ মাস আগে
তাপপ্রবাহের কারণে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্কুল বন্ধ
চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাইল্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট স্কুল ও শিক্ষা ব্যুরোর আওতাধীন লার্নিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের সব প্রতিষ্ঠান এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম সোমবারের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৪ জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের নন-এসি স্কুল বন্ধ থাকবে সোমবার
রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়েরের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
তবে ওই ঘোষণায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়।
তাপপ্রবাহ পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন না হলেও রবিবার (২৮ এপ্রিল) থেকে সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে ক্লাস শুরু হয়েছে। এর আগে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে সারাদেশে তাপপ্রবাহের কারণে ঈদুল ফিতরের পর ফের ছুটি বাড়ানো হয়েছিল।
রবিবার রাত পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দেশনা না দেওয়ায় সোমবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়েছে।
তবে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলেও পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় অভিভাবকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বেশি উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই স্কুল-কলেজে ক্লাস শুরু
মূলত, ঈদের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধের মেয়াদ ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
পরিস্থিতির উন্নতি হলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার দিকে খেয়াল রাখতে পিতামাতা এবং অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই ২৮ এপ্রিল খুলছে মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ
৭ মাস আগে
প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই স্কুল-কলেজে ক্লাস শুরু
তাপপ্রবাহ পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন না হলেও রবিবার (২৮ এপ্রিল) থেকে সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে ক্লাস শুরু হয়েছে।
এর আগে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে সারাদেশে তাপপ্রবাহের কারণে ঈদুল ফিতরের পর ফের ছুটি বাড়ানো হয়েছিল। তবে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় অভিভাবকরা উদ্বেগ করেছেন। বিশেষ করে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বেশি উদ্বিগ্ন।
এদিকে রবিবার সকাল থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে ‘হিট স্ট্রোকে’ দুই শিক্ষকের মৃত্যু
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আর্দ্রতা বাড়ার কারণে ভ্যাপসা গরম বাড়তে পারে।
চলতি মাসে চতুর্থবারের মতো তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঈদের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধের মেয়াদ ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
ইউএনবির খুলনা প্রতিনিধি জানান, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তাদের সন্তানরা কীভাবে ছয় ঘণ্টা শ্রেণিকক্ষে থাকবে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
মশিউর রহমান নামে এক অভিভাবক বলেন, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে আমার সন্তান কীভাবে দীর্ঘ সময় ক্লাসে থাকবে? সরকার ছুটি আরও বাড়িয়ে দিলে ভালো হতো।
মেয়েকে নিতে গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের সামনে অপেক্ষমাণ হীরা খাতুন বলেন, 'আমার সন্তান ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী এবং তার ক্লাস সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। স্কুল কর্তৃপক্ষের উচিত সকালের শিফটে ক্লাস নেওয়া।’
আরও পড়ুন: আবারও ৩ দিনের তাপপ্রবাহের সতর্কতা
দৌলতপুরের মুহসিন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জোয়ার্দার বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ২০-২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছে।
এদিকে দীঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ ফরহাদ হোসেন জানান, ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে তিনি সন্তুষ্ট এবং দুই শিফটে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।
এদিকে শনিবার সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম রবিবার থেকে শুরু করতে ঘোষণা দিয়েছিল।
স্কুলের সময় সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সকালের সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। দুই শিফটে পরিচালিত স্কুলের ক্ষেত্রে প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে।
এছাড়া পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিক স্তরের ক্লাস বন্ধ থাকবে এবং তাপমাত্রা না কমা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই ২৮ এপ্রিল খুলছে মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ
৭ মাস আগে
তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে ‘হিট স্ট্রোকে’ দুই শিক্ষকের মৃত্যু
তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে চট্টগ্রাম ও যশোরে ‘হিট স্ট্রোকে’ দুই শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ের মোহরা এলাকার বাসা থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে অচেতন হয়ে পড়েন মাদ্রাসাশিক্ষক মাওলানা মোস্তাক আহমেদ কুতুবী আলকাদেরী (৫৫)।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার খিতাপচর আজিজিয়া মাবুদিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক কুতুবী আলকাদেরী কক্সবাজারের কুতুবদিয়া লেমশীখালীর মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। তার দুটি ছেলে ও একটি মেয়ে আছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে হিট স্ট্রোকে ইজিবাইক চালকের মৃত্যু
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৯টার দিকে কালুরঘাটে ফেরিতে ওঠার পর হঠাৎ পড়ে যান ওই মাদ্রাসা শিক্ষক।
পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে যশোর সদর উপজেলায় ‘হিট স্ট্রোকে’ আহসান হাবিব নামে আহমেদাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ জেড এম পারভেজ মাসুদ জানান, সকাল ৯টার দিকে মাঠে কাজ করার পর স্কুলে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন হাবিব।
আরও পড়ুন: আরও ৭২ ঘণ্টার জন্য হিট অ্যালার্ট জারি
পরে তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
৭ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি
প্রকৃতি পুড়ছে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে। ঘরে ও বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। একটানা অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার মানুষ।
বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে জনজীবন অস্থির হয়ে পড়ছে।
এরই মধ্যে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: পাবনার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি
এছাড়া বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) মধ্যরাতে ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হলেও গরম কিন্তু কমেনি।
চুয়াডাঙ্গা কোর্টপাড়ার বাসিন্দা ইমরান শেখ বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে কিছুই করা যাচ্ছে না। বিকাল হলেই আকাশ মেঘলা হয়ে আসে। কিন্তু আবার সেই সকাল হয়, তখন প্রচণ্ড রোদে অসহ্য গরম অনুভূত হয়।
চা বিক্রেতা শাহজালাল বলেন, এই গরমে বিক্রি কম। প্রচুর মানুষ আমার দোকানের বেঞ্জে শুয়ে-বসে সময় কাটাচ্ছে। তাড়াতাড়ি এই গরম কমুক।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, শুক্রবার বিকালে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যেটা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ এবং দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর এই অসহ্য গরম অনুভূতি হওয়ার কারণ বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি। এ পরিস্থিতি থাকবে আরও কয়েকদিন। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা জেলার অবস্থান কর্কটক্রান্তি রেখার কাছাকাছি হওয়ায় প্রতি বছর এপ্রিলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, সাধারণত তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তা মৃদু তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা যদি ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, তবে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ।
আর তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে তা হয় তীব্র বা প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। আর ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে তা হয় চরম বা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
এদিকে, এই ধারাবাহিক তাপপ্রবাহে জনজীবনে অস্বস্তি আর ভোগান্তি নেমে এসেছে। এই তাপমাত্রায় অতিষ্ঠ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এদিকে, গরমের কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গরমজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে গরমজনিত কারণে ২৫০ এর বেশি রোগী ভর্তি রয়েছেন।
এ অবস্থায় অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আউলিয়ার রহমান।
তিনি বলেন, বেশি বেশি পানি ও ফলমূল খেতে হবে। তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। তাই যতটা সম্ভব ঠান্ডা স্থানে থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে শিশু রোগীসহ ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তাপমাত্রা কমে এলে রোগীর সংখ্যা কমে যাবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় রাতে বৃষ্টি দিনে সূর্যের চোখ রাঙানি, রেকর্ড তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি
তাপমাত্রা বৃদ্ধি: পিরোজপুরে এক সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি ৫৬৮ ডায়রিয়া রোগী
৭ মাস আগে
তীব্র তাপপ্রবাহে অনলাইন ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জবির
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এই সময়ে কোনো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থী হত্যা: ৭ জনের যাবজ্জীবন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় ভার্চুয়ালি সব ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে চলমান তাপপ্রবাহে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে শিক্ষার্থীদের বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল জরুরি সভায় এক সপ্তাহের জন্য সব ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জবি শিক্ষক শাহেদ ইমনকে বরখাস্ত ও চেয়ারম্যান জুনায়েদ হালিমকে অব্যাহতি
৭ মাস আগে
তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই ২৮ এপ্রিল খুলছে মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ
শিগগিরই তাপপ্রবাহ কমার সম্ভাবনা না থাকলেও এর মধ্যেই আগামী রবিবার (২৮ এপ্রিল) থেকে খুলছে মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজগুলো।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
তবে এ সময় তাপপ্রবাহ সহনীয় না হওয়া পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।
এছাড়াও এ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষের বাইরে বা সূর্যের আলোতে যেসব কার্যক্রম থাকে সেগুলো সীমিত করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ ও অন্যান্য কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও ক্লাস চলবে।
ঈদের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে বন্ধের মেয়াদ ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চলমান তাপপ্রবাহ পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনার মোংলায় ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৭ মাস আগে
চুয়াডাঙ্গায় রাতে বৃষ্টি দিনে সূর্যের চোখ রাঙানি, রেকর্ড তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি
টানা ২৫ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় তাপপ্রবাহ বইছে। এপ্রিলের শুরুতে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থাকলেও গত ১০ দিন ধরে তীব্র থেকে অতি তীব্র রূপ নিয়েছে। এর মধ্যেই গতকাল মধ্যরাতে জেলায় ঝড়ো বৃষ্টি হয়। কিন্তু এতেও কমেনি তাপমাত্রা। বরং বৃষ্টির পর বেড়ে গিয়েছে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকালে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর বাতাসের আর্দ্রতা ১৪ শতাংশ।
এছাড়া গতকাল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্র ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। সেসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২১ শতাংশ।
৭ মাস আগে
শিশুদের হাইড্রেটেড-নিরাপদ রাখতে বাড়তি সতর্ক হওয়ার আহ্বান ইউনিসেফের
দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ ও উত্তপ্ত তাপমাত্রার কারণে শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে ইউনিসেফ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট।
বুধবার(২৪ এপ্রিল) ইয়েট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আপনার প্রতিবেশীদের দিকে নজর রাখুন- দুর্বল পরিবার, প্রতিবন্ধী শিশু, গর্ভবতী নারী এবং বৃদ্ধরা তাপপ্রবাহের সময় অসুস্থতা বা মৃত্যুর উচ্চ ঝুঁকিতে থাকে। সময় নিয়ে প্রতিবেশীদের খোঁজখবর নিন- বিশেষ করে যারা একা থাকেন।’
ইউনিসেফের ২০২১ সালের শিশুদের জলবায়ু ঝুঁকি সূচক (সিসিআরআই) অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের 'অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকিতে' রয়েছে বাংলাদেশের শিশুরা।
তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে, বিশেষ করে নবজাতক, শিশু এবং ছোট বাচ্চাদের জন্য যারা তাপজনিত অসুস্থতা যেমন হিট স্ট্রোক এবং ডিহাইড্রেশনের কারণে বিশেষভাবে ডায়রিয়া ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যা হিসেবে বিবেচিত হয়।
আরও পড়ুন: সার্বজনীন জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিতে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা ইউনিসেফের
ইয়েট বলেন, ‘যেহেতু শিশুদের ওপর ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার প্রভাবের উদ্বেগের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে, তাই ইউনিসেফ অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের হাইড্রেটেড ও নিরাপদ রাখতে অতিরিক্ত সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।’
এই তাপপ্রবাহের তীব্রতা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।
তাপমাত্রা নজিরহীনভাবে বাড়তে থাকায় অবশ্যই শিশু এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে জানান ইয়েট।
এই তাপপ্রবাহ থেকে ইউনিসেফ কর্মী, বাবা-মা, পরিবার, যত্নগ্রহণকারী এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে শিশু ও গর্ভবতী নারীদের রক্ষায় নিম্নের পদক্ষেপগুলো নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে-
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা: শিশুরা যেখানেই থাকুক না কেন, শিশুদের বসার বা খেলার জন্য শীতল জায়গা তৈরি করুন। গরমের দুপুর এবং বিকালের সময় বাইরে থাকা এড়িয়ে চলুন। নিশ্চিত করুন যে শিশুরা হালকা, বাতাস প্রবেশ করে এমন পোশাক পরবে এবং সারা দিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবে।
প্রাথমিক চিকিৎসা: যদি কোনো শিশু বা গর্ভবতী নারীর হিটস্ট্রেসের লক্ষণগুলো দেখা যায়, যেমন- মাথা ঘোরা, অতিরিক্ত ঘাম, বমি বমি ভাব, হালকা জ্বর, নাক দিয়ে রক্তপাত, পেশি খিঁচুনি, ফুসকুড়ি), ব্যক্তিকে ভালো বায়ু চলাচলসহ শীতল, ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখুন এবং ভেজা তোয়ালে বা শীতল পানি দিয়ে শরীর মুছে দিন।
পানি বা ওরাল রিহাইড্রেশন লবণ (ওআরএস) গ্রহণ করুন।
হিটস্ট্রেসের গুরুতর লক্ষণগুলোতে (যেমন বিভ্রান্তি বা প্রতিক্রিয়া জানাতে অক্ষমতা, অজ্ঞান হওয়া, শরীরের উচ্চ তাপমাত্রা, দ্রুত হৃদস্পন্দন, খিঁচুনি এবং চেতনা হ্রাস) হলে জরুরিভিত্তিতে হাসপাতালে নেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।
আরও পড়ুন: শিশু শিক্ষায় বাংলাদেশের অর্জনের প্রশংসা ইউনিসেফের
৭ মাস আগে