ঘূর্ণিঝড় মোখা
ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে বাংলাদেশের পাঠানো ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর
ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জনগণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো ত্রাণসামগ্রী দেশটির সরকারের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) ইয়াঙ্গুনে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এএসএম সায়েম ইয়াঙ্গুন রিজিয়ন সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী অং উইন থেইন-এর কাছে এসব ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পাঠানো প্রায় ১২০ টন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘সমুদ্র জয়’ ৩ জুন চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা করে ৫ জুন বিকালে ইয়াঙ্গুনস্থ থিলাওয়া বন্দরে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ
ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে শুকনা খাবার, তাঁবু, বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট।
প্রতিবেশি দেশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের দুর্গত জনগণের জন্য এই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
অতীতে ২০১৫ সালে মিয়ানমারে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’ এবং ২০০৮ সালে ঘূর্ণিঝড় ‘নার্গিস’ পরবর্তী সময়েও বাংলাদেশ মিয়ানমারের জনগণের জন্য বিপুল পরিমাণ জীবন রক্ষাকারী ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে।
ত্রাণসামগ্রী গ্রহণের সময় অং উইন বাংলাদেশ সরকারের এই সময়োপযোগী মানবিক সাহায্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে এই সাহায্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় 'মোখা'র জরুরি ত্রাণ সহায়তায় আড়াই লাখ ডলার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ত্রাণ-সহায়তা প্রদান করে আসছে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী কোভিড অতিমারি এবং সিরিয়া, তুরস্ক ও আফগানিস্তানে সংঘটিত ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বাংলাদেশ ত্রাণসামগ্রী এবং চিকিৎসা দল প্রেরণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষে পাঠানো এসব মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে এবং বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মিয়ানমারের পক্ষে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইয়াঙ্গুনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিএনএস ‘সমুদ্র জয়’ এবং সিট্যুয়েস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে স্বেচ্ছায় ফিরতে রাজী ২৩ রোহিঙ্গার খাদ্য সহায়তা বন্ধ করল ইউএনএইচসিআর
১ বছর আগে
শাহ আমানত বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দর চালু
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব কেটে যাওয়ায় পর সোমবার (১৫ মে) সকাল থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়মিত ফ্লাইট ওঠানামা শুরু হচ্ছে সোমবার থেকে।
রবিবার (১৪ মে) রাতে বিষয়টি করেছেন বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে চট্টগ্রামে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারির পর শনিবার (১৩ মে) সকাল ৬টা থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সকাল ৬টা থেকে শাহ আমানতে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ছিল। সোমবার থেকে নিয়মিত ফ্লাইট ওঠানামা করবে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-২ জারি
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে ক্ষতির আশঙ্কায় শুক্রবার রাত থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে বন্দরের মূল জেটি ও বহির্নোঙর থেকে সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া জাহাজগুলো আজ সোমবার (১৫ মে) ভোরের জোয়ারে পুনরায় জেটি ও বহির্নোঙরে আনা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব কেটে যাওয়ার পর রবিবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে। এতে করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসার পর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অ্যালার্ট-৪ প্রত্যাহার করে বন্দর কার্যক্রম স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। ফলে আজ সকাল থেকে বন্দরে কাজ পুরোপুরি চালু হচ্ছে বলে জানান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, বন্দরের জেটিতে আনার জন্য ২৪টি জাহাজের তালিকা করা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব পাইলটদের তত্ত্বাবধানে ভোর সাড়ে ৪টার জোয়ারের সময় এসব জাহাজ বহির্নোঙর থেকে জেটিতে আনা হবে।
আরও পড়ুন: জাপান-সিঙ্গাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো ১ হাজার ২৬৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: সিলেটে ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ভারি বর্ষণ ও ভূমিধসের আশঙ্কায় পাহাড় ও টিলার পাদদেশে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সিলেট জেলা প্রশাসন। শনিবার (১৩ মে) বিকালে এক দাপ্তরিক আদেশে জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে সিলেটের পাহাড় ও টিলার পাদদেশ এবং নদীর তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদেরকে অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে মাইকিং করে জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাবে শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিলেট জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। অতিভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে পাহাড় ও টিলার পাদদেশে নদীর তীরবর্তী স্থানে ভূমিধস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী লোকদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা লাইভ অনুসরণ করবেন যেভাবে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: উপকূলবাসীদের পাশে দাঁড়াতে নেতাকর্মীদের আহ্বান বিএনপির
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মোখা লাইভ অনুসরণ করবেন যেভাবে
ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করছে। কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও টেকনাফ উপজেলায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা লাইভ অনুসরণ করুন:
মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ রবিবার জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা রবিবার সকালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলে পৌঁছেছে এবং বিকালের মধ্যে ঝড়টির কেন্দ্রস্থল সিটওয়ে টাউনশিপের কাছে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: উপকূলবাসীদের পাশে দাঁড়াতে নেতাকর্মীদের আহ্বান বিএনপির
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার অতিক্রম করতে শুরু করায় উপকূলবাসীদের পাশে দাঁড়াতে সব পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগের এই সময়ে জনগণের পাশে দাঁড়াতে এবং উপকূলবাসীকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা ইতিমধ্যেই আমাদের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: অবিলম্বে ডিএসএ বাতিল ও এই আইনের সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রবিবার এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ অতীতের মতো সাহসিকতার সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করবে।
ফখরুল বলেন, ‘একই সঙ্গে আমরা সরকারকে রাজনীতিকরণের ঊর্ধ্বে উঠে সব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই।’
তিনি বলেন, টেকনাফ, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের মানুষ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব অনুভব করতে শুরু করেছে। যা বিকালে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় মোখা ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমারের উত্তর উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ১৯, ২০, ২৬ ও ২৭ মে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি
শনিবার ঢাকায় ‘বড় শোডাউন’ করবে বিএনপি
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: সেন্টমার্টিন দ্বীপে বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস এখনও শুরু হয়নি
ঘূর্ণিঝড় মোখা আজ (রবিবার) সকালে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করার পরপরই সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও নিকটবর্তী টেকনাফ উপজেলায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, দ্বীপের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ ইতোমধ্যে হোটেল, মোটেল ও সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছে। বাকিরা তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র রেখে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে অনিচ্ছুক।
তিনি আরও বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাস এখনও শুরু হয়নি। দ্বীপে দমকা হাওয়া ধীরে ধীরে শক্তিশালী হচ্ছে।
কক্সবাজারের বাকি উপজেলাগুলোতেও হালকা দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, প্রায় দুই লাখ মানুষ ৫৭৬টি ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে অবস্থান করছে যেখানে পাঁচ দশমিক পাঁচ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ থাকতে পারে।
জনগণকে সাইক্লোন সেন্টারে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জানমাল রক্ষায় তারা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় মোখার কোনো প্রভাব নেই
ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে কক্সবাজার অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় মোখা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানতে শুরু করায় ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানতে শুরু করায় রাজধানীর বাতাসেও এর প্রভাব দেখা দিয়েছে। ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ অবস্থায় রয়েছে। রবিবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৮৬ নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শহরটির অবস্থান ২৬তম।
ভারতের দিল্লি, কুয়েত সিটি ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ১৯৮, ১৭১ ও ১৫৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। তবে ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে স্কোর থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: মে দিবসে ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে: একিউআই
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: শুক্রবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: খুবি ও খুকৃবিতে রবিবার সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনের আলোকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাবজনিত কারণে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সব ডিসিপ্লিনের পরীক্ষাসহ সকল শিক্ষা কার্যক্রম রবিবার (১৪ মে) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে অফিস যথারীতি চালু থাকবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে রবিবার খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের নির্দেশে রেজিস্ট্রার ডা. খন্দকার মাজহারুল আনোয়ারের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসসমূহ যথারীতি চালু থাকবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: ছয় শিক্ষাবোর্ডের ১৪ ও ১৫ মে’র এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত
ঘূর্ণিঝড় মোখা: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলোর রবিবারের পরীক্ষা স্থগিত
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে বিটিআরসির জরুরি টিম গঠন
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগপরবর্তী সময়ে যাতে সকল ধরনের টেলিযোগাযোগ সেবা অব্যাহত থাকে তা নিশ্চিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনসহ অধীনস্থ সকল সংস্থাসমূহকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিটিআরসি থেকেও সংশ্লিষ্ট সকল লাইসেন্সি সমূহকে এবং টেলিযোগাযোগ সেবাপ্রদানকারী সকল টেলিকম অপারেটর কর্তৃক ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন ও কন্ট্রোল রুম স্থাপনের জন্য শনিবার (১৩ মে) নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
বিটিআরসি কর্তৃক ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। উক্ত টিম ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকাগুলোতে টেলিযোগাযোগ সেবা ব্যবস্থা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণসহ নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিতের জন্য টেলিকম অপারেটরদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গেও নিবিড় যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে।
এছাড়া তিন সদস্যের সমন্বয়ে বিটিআরসি একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষও চালু করেছে। নিয়ন্ত্রণকক্ষের নম্বর দুটি হচ্ছে ০১৫৫২২০২৮৫৪ ও ০১৫৫২২০২৮৮৬।
বিটিআরসি’র কন্ট্রোল রুম মূলত বিটিআরসিতে গঠিত মনিটরিং টিম এবং মোখা মোকাবিলায় উপকূল এলাকায় কার্যরত লাইসেন্সিসমূহ কীভাবে কাজ করছে তার মধ্যে সমন্বয় সাধন করছে। এছাড়া মোবাইল অপারেটর, এনটিটিএন, আইএসপি এবং সংশ্লিষ্ট অনান্য লাইসেন্সি উপকূলীয় এলাকায় কার্যক্রম গ্রহণে যেকোনো প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হলে তাও কন্ট্রোল রুমকে অবগত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: কন্ট্রোল রুম খুলেছে বিটিআরসি
বিটিআরসির নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে উপকূলীয় অঞ্চলসহ আশপাশের এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে টেলিকম অপারেটরসমূহ নিজ নিজ কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে এবং নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা সচল রাখতে পাওয়ার ব্যাকআপ নিশ্চিতকরণের জন্য পর্যাপ্ত ব্যাটারি, ডিজেল জেনারেটর, পোর্টেবল জেনারেটর ও দুর্যোগকালীন সময়ে যাতায়াতের জন্য অতিরিক্ত যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকার জনগণের বিনামূল্যে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের জন্য বিশেষ প্যাকেজ প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। গ্রামীণফোনের জরুরি যোগাযোগ নাম্বার হলো- ০১৭১১৫০৫৩৬৮, ০১৭১১০৮১১০১, ০১৭১১০৮১৮০৪।
ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন করতে খুদে বার্তা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণার পাশাপাশি মুঠোফোনে রিচার্জ সহজ করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে বাংলালিংক। বাংলালিংকের জরুরি যোগাযোগ নাম্বার হলো- ০১৯৬২৪২৪৫৬৫, ০১৯১১৩১০৭৯৫, ০১৯৬২৪২৪৭০৬।
রবির গ্রাহকরা যেকোনো সময় *৮# ডায়াল করলেই পাবেন ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স, মিনিট ও ইন্টারনেট। রবির হটলাইন নাম্বার হলো- ০১৮১৭১৮৩৬৮, ০১৮১৯২১০৩৫০।
টেলিটকের কোর সাইট ও হাব সাইটের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে সব জেনারেটরের যান্ত্রিক ত্রুটি দূর করে পর্যাপ্ত জ্বালানি সরবরাহের পাশাপাশি বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া একটি রেসপন্স টিম গঠন ও কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের নাম্বার- ০১৫৫০১৫৫০৪৫, ০১৫৫০৫১৫৫০৩৪, ০১৫৫০১৫৫০৫৩। কন্ট্রোল রুমের নম্বর-০২৩৩৩৩১৫৯০০, ০১৫৫৫১৫৫২১১।
মোখা মোকাবিলায় নিয়ন্ত্রণকক্ষ খুলেছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। কন্ট্রোল রুমের যোগাযোগ নাম্বার-০২৪৮৩১৭৭৮৮।
টাওয়ার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ইডটকো’র জরুরি যোগাযোগ নাম্বার- ০১৮৭১০০৬৭৩০। সামিটের জরুরি যোগাযোগ নাম্বার-০১৭৯১০৪০৩৮৫, ০১৭১১০৮০৪৮৪। কির্তনখোলার জরুরি যোগাযোগ নাম্বার- ০১৪০১১৫৯৫৭২( চট্টগাম ও কক্সবাজার), ০১৭১৩৪৭৯৯১২(বরিশাল)। ফ্রন্টিয়ারের জরুরি যোগাযোগ নাম্বার- ০১৮১০১৬৯৫৪০, ০১৮১০১৬৯৫৪৮।
আইএসপি, এনটিটিএনসহ অন্যান্য টেলিকম অপারেটরসমূহ দুর্যোগকালীন সময়ে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার সম্ভাব্য এলাকায় তাদের নেটওয়ার্ক সচল রাখতে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে এবং সার্বক্ষণিকভাবে সচেষ্ট রয়েছে।
আরও পড়ুন: রবিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করতে পারে
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উপকূলের ৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান শনিবার জানিয়েছেন, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উপকূলের ছয় জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুক্রবার (১২ মে) সকালে মোখা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এখনো উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, আশঙ্কা করছি এটি মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় আঘাত হানবে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, ভোলা ও বরগুনাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
আরও পড়ুন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ডব্লিউএফপিএ'র কান্ট্রি ডিটেক্টরের সাক্ষাৎ
শনিবার (১২ মে) সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, টেকনাফ ও কক্সবাজারের জন্য সুনির্দিষ্ট করে ২-৩ মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, বরগুনা ও ভোলার জন্য দুই মিটারের কম উচ্চতার জন্যতে জলোচ্ছ্বাস হ পারে। এছাড়া তিন মিটারের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হলে আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজনের জন্য একটি আশঙ্কা থেকে যায়।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি রবিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আঘাত হানতে পারে। এখন পর্যন্ত যে দূরত্ব আছে, রবিবার সকাল থেকেই উপকূল স্পর্শ করতে থাকবে।
এনামুর রহমান বলেন, এটির অবস্থান, গতিপথ ও গতি বিবেচনা করে আমরা স্থির করেছি, কক্সবাজার বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেওয়ার জন্য।
আর চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি রাখা হবে। মোংলায় ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত থাকবে।
১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত কখন থেকে কার্যকর হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শনিবার (১৩ মে) দুপুর আড়াইটা থেকে এটি কার্যকর হবে। এখন সেন্টমার্টিনের সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হলেও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের শতভাগ আনা সম্ভব হয়নি।
মন্ত্রী বলেন, যেহেতু রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ১২ লাখ, সেহেতু তাদের সরিয়ে নিয়ে কোনো আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা আমাদের নেই।
এছাড়া রোহিঙ্গাদের জন্য শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের নেতৃত্বে সাড়ে চার হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে।
সেখানে যেহেতু পাহাড় তাই জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা নেই। কিন্তু বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধস হতে পারে।
এই আশঙ্কা মাথায় রেখে স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত থাকতে বলেছি।
আরও পড়ুন: চীন বাংলাদেশের পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ মোকাবিলায় টেলিযোগাযোগ সেবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে