বন
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
সত্যিকার অর্থেই যদি বনভোজনের স্বাদ পেতে হয়, তাহলে জীববৈচিত্র্যে ভরপুর বন-জঙ্গলের কোনো বিকল্প নেই। অরণ্যের আনাচে-কানাচে কিছু পাহাড়ি টিলা উঁকি দিলে মন্দ হয় না। এমন প্রাকৃতিক নিদর্শনের সন্ধান পাওয়া যায় সিলেটের পথে বাংলাদেশের চা বাগানগুলোতে। আর তা যদি হয় বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বৃষ্টিবন এলাকা তাহলে তো কথাই নেই! বলছি দেশের ১০টি জাতীয় উদ্যান এবং ৭টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের মধ্যে অন্যতম লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের কথা। চলুন, জেনে নেওয়া যাক- এই বুনো বাস্তুতন্ত্রে পদচিহ্ন এঁকে দেওয়ার উপায়।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের নামকরণ
ভানুগাছ অঞ্চলে জুম চাষকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল ত্রিপুরা গ্রাম। ত্রিপুরা ভাষায় লাউয়াছড়া বনকে মৈলপতুইসা বলা হয়। মৈলপ মানে লাউ, আর তুইসা শব্দের অর্থ পাহাড়ি ছড়া। যে বনের ছড়ার ধারের জুমে লাউয়ের ফলন ভালো হয়, সেই এলাকাকে বলা হতো মৈলপতুইসা।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের নাফাখুম জলপ্রপাত ভ্রমণ: বাংলার নায়াগ্রাতে যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
১৯২৫ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার পুরো অঞ্চলটি অধিকার করে এখানে বৃক্ষায়ন শুরু করে। ইতোমধ্যে অরণ্যে রূপ নেওয়া মৈলপতুইসা ঘোষিত হয় সংরক্ষিত বন হিসেবে। ভানুগাছের পশ্চিমে থাকার কারণে এর নাম ছিল পশ্চিম ভানুগাছ সংরক্ষিত বন। ১৯২৭ সালে উপনিবেশিক বন আইন জারির পর এখানকার বিভিন্ন স্থানের নামে পরিবর্তন আনা হয়। আর এ সময়েই মৈলপতুইসা বদলে হয়ে যায় লাউয়াছড়া।
১৯৯৬ সালে ১৯৭৪-এর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংশোধন আইন অনুসারে বনের নামের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয় জাতীয় উদ্যান শব্দ দুটি।
১ বছর আগে
সংরক্ষিত বনে মাটি খননের অভিযোগে ইউনিটেক্স গ্রুপের পরিচালক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বন বিভাগের করা মামলায় ইউনিটেক্স গ্রুপের পরিচালক ফারনাহ আহমেদকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রবিবার (১৬ জুলাই) রাতে নগরীর চকবাজার এলাকা থেকে র্যাব-৭ এর একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক মিডিয়া নুরুল হুদা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
তিনি জানান, সীতাকুণ্ডে অবৈধ মাটি খনন করে বাঁধ নির্মাণ, আধিপত্য বিস্তার ও বন দখল সিন্ডিকেটের প্রধান ও আদালত কর্তৃক ওয়ারেন্টভুক্ত প্রধান আসামি পলাতক ফারহান আহমেদকে গোপন সংবাদের ভিক্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বছরের ৬ জুন সীতাকুণ্ড রেঞ্জ এর বাঁশবাড়িয়া বিট কর্মকর্তা সংরক্ষিত বনে ইউনিটেক্স গ্রুপ লিমিটেড সংলগ্ন বেড়িবাঁধের পাশে একদল বনদস্যূ স্কাভেটর দিয়ে মাটি খনন করে বাঁধ নির্মাণ করছে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় আসামি ফারহান আহমেদেরে নেতৃত্বে তার অন্যান্য সহযোগীরা স্কাভেটর দিয়ে মাটি খনন করছে। বিট কর্মকর্তা ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছালে ফারহান আহমেদ তার অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে সীতাকুণ্ড রেঞ্জ, উপকূলীয় বন বিভাগ বাদী হয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম, বন আদালতে ফারহান আহমেদকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এ মামলায় আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ৩৩.৪ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
কিশোরগঞ্জে দুই ভাইবোনকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
১ বছর আগে
গাজীপুরে বনের ভেতর থেকে যুবকের পোড়া লাশ উদ্ধার
গাজীপুরের হোতাপাড়া এলাকার বনের ভেতর থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্ব পাশ থেকে লাশটি উদ্ধারের পর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন জানান, স্থানীয় এক ব্যক্তি প্লাস্টিকের বোতল সংগ্রহ করতে গিয়ে ওই যুবকের আগুনে পোড়া লাশ দেখতে পায়। পরে আশপাশের লোকজনকে জানিয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আব্দুল খালেক ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
তিনি জানান, ধারণা করা হচ্ছে, কে বা কারা ওই যুবককে হত্যার পর তার পরিচয় গোপন করতে দু-একদিন আগে লাশে আগুন লাগিয়ে চেহারা বিকৃত করার চেষ্টা করেছে।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: নওগাঁর মান্দায় হাত-পা বাঁধা শিশুর লাশ উদ্ধার
হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
গাজীপুরে পরিত্যক্ত বাড়িতে মিললো কিশোরের লাশ
২ বছর আগে
বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে গবেষণার পর লাঠিটিলায় হচ্ছে সাফারি পার্ক
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, পরিবেশ, বন, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যেই লাঠিটিলায় সাফারি পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বার বার যাচাই-বাছাই ও গবেষণার পরেই লাঠিটিলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এটি নির্মিত হলে লাঠিটিলা বনাঞ্চল অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে রক্ষা পাবে এবং বন সংরক্ষিত থাকবে।রবিবার মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে প্রণীত মহাপরিকল্পনা ও ডিপিপি অনুমোদনের লক্ষ্যে আগারগাঁওস্থ বন অধিদপ্তরে আয়োজিত জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় সাফারি পার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে প্রণীত মহাপরিকল্পনা কর্মশালায় উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো অন্তর্ভুক্তি সাপেক্ষে অনুমোদন করেন বনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সাফারি পার্ক এলাকায় বসবাসরত মানুষের ঐক্যমত এবং এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের মতামত বিবেচনায় নিয়ে এখানে সাফারি পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোপূর্বে নির্মিত দুটি সাফারি পার্কের অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লাগানো হবে, যাতে আর কোনও বন্যপ্রাণীর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু না হয়।
তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকা ও বিদেশ থেকে আসা পর্যটকরা এ সাফারি পার্কে এসে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি প্রাণীর বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে পারবে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব জলবায়ু কূটনীতিতে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা রাখছে: পরিবেশমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সরকারি এ বনভূমির অভ্যন্তরে অবৈধভাবে বসবাসরত পরিবারগুলোর মধ্যে ৩৭ টি পরিবারকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন এবং অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক প্রমুখ। সাফারি পার্কের মহাপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক স্থপতি ইশতিয়াক জহির এবং প্রকল্প পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী।
এছাড়া, বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, প্রস্তাবিত মহাপরিকল্পনায় সাফারি পার্কের মোট আয়তন পাঁচ হাজার ৬৩১ একর যার মধ্যে মূল সাফারি পার্কের আয়তন ২৭০ একর। ৮৭০ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২২-২০২৬ সালের মধ্যে সাফারি পার্কটি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকার দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করছে: পরিবেশমন্ত্রী
সাফারি পার্কের প্রাণী মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে: পরিবেশমন্ত্রী
২ বছর আগে
বন উজার বন্ধে ১২৪ দেশের চুক্তি, নাম নেই বাংলাদেশের
২০৩০ সালের মধ্যে বন উজাড় বন্ধ করতে ঐক্যমতে পৌঁছেছে বিশ্বের ১২৪টি দেশ। এই সংক্রান্ত চুক্তিও স্বাক্ষর করেছে দেশগুলো। তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ এখনও একাত্মতা প্রকাশ করেনি।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, বন রক্ষায় সবার ঐক্যের সাথে বাংলাদেশও একমত। ২৬তম কপ সম্মেলনের তৃতীয় দিনে আলোচনার মূল বিষয় ছিল বিশ্বের বনভূমি রক্ষা করা। এতে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় পৃথিবীর বন রক্ষায় ঐক্যমতে আসে প্রভাবশালী দেশগুলো। পাশাপাশি এজন্য তহবিলও ঘোষণা করা হয়েছে।
অ্যামাজন বন ধ্বংসের অভিযোগ যে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে, বন রক্ষার উদ্যোগে তারাও একমত হয়ে স্বাক্ষর করেছে। তালিকায় নাম লেখানো দেশগুলোর দখলে আছে পৃথিবীর মোট বনের ৮৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহনশীলতা বাড়াতে সহায়তা দিতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া
বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা বলছেন, দেশের সংবিধানেই বন রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা আছে। সেই আলোকে সরকারের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আছে। কাজেই তালিকায় বাংলাদেশ থাকবে কি না তা নিয়ে আলোচনা চলছে। বন রক্ষায় ১৪ বিলিয়ন পাউন্ডের একটি তহবিল গঠনের ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেন,পরিবেশ রক্ষা করেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ শিল্পায়ন হচ্ছে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবন থেকে অনেক দূরে রয়েছে। নতুন নতুন যে সকল প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে সেগুলো পরিবেশ রক্ষা করেই বাস্তবায়ন করা হবে। শিল্পায়নের জন্য যেন পরিবেশের ক্ষতি না হয় সে বিষয়গুলো আলোচনায় তুলে ধরছে বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন,শুধু প্রাকৃতিক বনভূমি রক্ষা নয়, জলবায়ু মোকাবিলায় শহরগুলোতে সামাজিক বনায়ন বাড়ানোর প্রস্তাবও এসেছে সম্মেলনে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী নারীরা: প্রধানমন্ত্রী
বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সংবিধানে বন রক্ষায় যে আইন রয়েছে তা অনুযায়ী বন রক্ষা করতে হবে। আমরা প্রতিনিয়ত বন রক্ষা করে চলছি বরং বিভিন্ন এলাকায় বনের সংখ্যা আরও বাড়ছে। উপকূলীয় বনসহ সামাজিক বনায়ন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি যেহেতু একটি ঘোষণাপত্র আমাদের আরও ভাবার জন্য সময় রয়েছে। আমরা বিষয়টি আরও পর্যালোচনা করে দেখবো।
এদিকে বাংলাদেশের এমন অবস্থানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতাকাল বুধবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এই উদ্বেগের কথা জানান।
তিনি বলেন, গ্লাসগো জলবায়ু সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে বন ধ্বংস বন্ধে বিশ্বের ১২৪টি দেশের ঘোষণার সাথে বাংলাদেশের একাত্মতা প্রকাশ না করা চূড়ান্ত হতাশাজনক। বিশেষ করে, ব্রাজিলসহ আফ্রিকার বহুদেশ এই ঘোষণায় যুক্ত হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে শীর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সাড়া না দেয়া অবিশ্বাস্য।
জলবায়ু সম্মেলনে গ্লাসগোতে অবস্থানরত বাপার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার ইউএনবিকে বলেন, এটা খুবই হতাশাজনক যে বাংলাদেশে যেখানে জলবায়ু মোকাবিলায় প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখছে বিশ্বের কাছে, বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে প্রশংসিত হচ্ছে, সেখানে এ ধরনের একটি ঘোষণাপত্রের সাথে একমত হচ্ছে না। এর ফলে এই ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করা দেশগুলো ক্ষতিপূরণ পাবে সেই ক্ষতিপূরণ বাংলাদেশ পাবে না। এর মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয় যে বাংলাদেশ বন উজাড় বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে না।
আরও পড়ুন: শক্তিশালী রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে জলবায়ু কর্মকাণ্ড কার্যকর হচ্ছে না: প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
যুক্তরাজ্যে হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিবেশমন্ত্রীর মতবিনিময়
লন্ডন সফররত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ‘দ্য জুলাই মিনিস্টিরিয়াল’ শেষে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিমের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ হাইকমিশন পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুনঃ রোহিঙ্গাদের ছেড়ে যাওয়া স্থানে গাছ লাগানো হবে: পরিবেশ মন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী হাইকমিশনে কর্মরত সকল কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। মতবিনিময়কালে তিনি যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে আগামী নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিতব্য ২৬তম জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন বিষয়ে বাংলাদেশের জোরালো প্রস্তুতির বিষয়ে হাইকমিশনারকে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি এ উপলক্ষ্যে আয়োজক দেশ যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুনঃ দেশে কোনো মানুষই গৃহহীন থাকবে না: পরিবেশ মন্ত্রীপরিদর্শনকালে পরিবেশমন্ত্রী হাইকমিশনের মুজিব কর্নারে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর প্রতিকৃতিতে সম্মান জানান এবং দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন, হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা ।
৩ বছর আগে
আমাজনে আগুন: ৭ দেশের বন সুরক্ষা চুক্তিতে সই
ঢাকা, ০৭ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- আমজন নদীর অববাহিকা রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে একমত হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার সাত দেশ। সেখানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বনে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের মাঝে এ পদক্ষেপ নেয়া হলো, খবর বিবিসি।
৫ বছর আগে
আমাজনে দাবানল- পরিস্থিতি কতটা গুরুতর?
ঢাকা, ২৩ আগস্ট (ইউএনবি)- হাজারো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জ্বলছে ব্রাজিলের আমাজন বনাঞ্চল। প্রায় এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র দাবানলের শিকার হয়েছে এ বনভূমি। খবর বিবিসি।
৫ বছর আগে