সিএসই
পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক বাড়লেও ব্যাংক খাতে সুখবর নেই
সাপ্তাহিক লেনদেন শেষে ঢাকার পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক বাড়লেও বেহাল দশা ব্যাংক খাতে। এ খাতে শেয়ারের দাম এবং লেনদেনের পরিমাণ—দুটোই কমেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সাপ্তাহিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৮ পয়েন্ট। ৫২০১ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তাহ শুরু করে তা শেষ হয়েছে ৫২১৯ পয়েন্টে।
সবচেয়ে বেশি সূচক বেড়েছে বাছাইকৃত ভালো কোম্পানির শেয়ারে। এক সপ্তাহের লেনদেনে ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২৬ পয়েন্ট। অন্যান্য সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১০ পয়েন্ট ও এসএমই সূচক বেড়েছে ১.৬৩ পয়েন্ট।
তবে সপ্তাহজুড়ে সূচক বাড়লেও লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। আগের সপ্তাহে যেখানে গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৭৬ কোটি টাকা, সেটি এ সপ্তাহে কমে হয়েছে ৪০৬ কোটি টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকার বাজারে মোট লেনদেন কমেছে ১৪ শতাংশের বেশি।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানিরই দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ১৯৩ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১৬১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪২টি কোম্পানির শেয়ারের দর।
এদের মধ্যে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৬ ব্যাংকের দর বৃদ্ধির বিপরীতে ১২ ব্যাংকের শেয়ারের দাম কমেছে, আর অপরিবর্তিত আছে ৮ ব্যাংকের।
প্রতিদিনের গড় দর বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ২০ শতাংশের বেশি। দর পতনের পাশাপাশি এই খাতে মোট লেনদেনের পরিমাণ কমেছে ৩৩ শতাংশেরও বেশি।
ব্যাংক খাত সুবিধা করতে না পারলেও সপ্তাহান্তে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত। ২৩ কোম্পানির সমন্বয়ে এই খাতে এক সপ্তাহে গড় দরবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৪০ শতাংশ। অন্যদিকে, এই খাতের শেয়ারের মোট লেনদেন বেড়েছে ১৩৩ শতাংশ।
ইনস্যুরেন্স খাতে সাধারণ বীমা হোঁচট খেলেও উত্থানের ধারা বজায় আছে জীবন বীমায়। তালিকাভুক্ত ৪৩ সাধারণ বীমা কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম বাড়লেও গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে গড় মূল্যবৃদ্ধির পরিমাণ।
সাধারণ বীমা খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ৬৪ শতাংশ এবং লেনদেন কমেছে ৬৩ শতাংশ। অন্যদিকে, জীবন বীমা খাতে ১৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯টির, কমেছে ৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম। খাত হিসাবে এই খাতে এক সপ্তাহে দর বেড়েছে ৫৪ শতাংশ এবং লেনদেন বেড়েছে ২৭ শতাংশ।
লেনদেন হওয়া অন্যান্য খাতের মধ্যে দাম কমেছে সিরামিক, প্রকৌশল, খাদ্য, জ্বালানি, আইটি, পাট, মিউচুয়াল ফান্ড, কাগজ, রিয়েল স্টেট, চামড়া, টেলিকম ও টেক্সটাইলের। অন্যদিকে, দাম বেড়েছে সিমেন্ট, করপোরেট বন্ড, ঔষধ ও পর্যটন খাতে।
সারা সপ্তাহের লেনদেনে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন এসেছে মিউচুয়াল ফান্ড থেকে এবং সবচেয়ে কম রিটার্ন দিয়েছে কাগজ শিল্পের কোম্পানিগুলো।
পুরো সপ্তাহজুড়ে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের। কোম্পানিটির গড় লেনদেন ছিল ২৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সবশেষ ৩৯১ টাকায় কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে অস্থির সপ্তাহ: সূচকের পতন, কমিশনে বিশৃঙ্খলা
সাধারণ লেনদেন ছাড়াও ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি শেয়ার বিক্রি করেছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। কোম্পানিটি এক সপ্তাহে ব্লক মার্কেটে ৩৪ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ওরিয়নের পর ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো, ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, রেনেটা ও লাভেলো।
সারা সপ্তাহের লেনদেনে শীর্ষ দশে আছে ‘এ’ ক্যাটাগরির ৬টি, ‘বি’ ক্যাটাগরির একটি ও ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৩টি কোম্পানি। ১৮ দশমিক ৪২ শতাংশ রিটার্ন দিয়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারে জায়গা করে নিয়েছে এবি ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে তলানিতে থাকা শীর্ষ দশ কোম্পানির মধ্যে সর্বাগ্রে উঠে এসেছে ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের নাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির রিটার্ন কমেছে ১২ শতাংশের বেশি।
পিছিয়ে আছে চট্টগ্রাম
ঢাকায় সূচক বাড়লেও সুবিধা করে উঠতে পারেনি চট্টগ্রাম। এক সপ্তাহের লেনদেনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট। সেখানে লেনদেন হওয়া ২৮২ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। সিএসইর ১০০টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৯টি কোম্পানির এবং দাম অপরিবর্তিত ছিল ২৩টি কোম্পানির।
সিএসইতে লেনদেনে শীর্ষ দশে থাকা পাঁচ কোম্পানিই ‘জেড’ ক্যাটাগরির। বাকি একটি ‘বি’ ও চারটি ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি। সপ্তাহজুড়ে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানি মিডাস ফাইন্যান্সিং লিমিটেডে।
অন্যদিকে সিএসইতে তলানিতে নেমে এসেছে এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস লিমিটেড। সপ্তাহখানেক আগেও কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তি থাকলেও, অবশেষে মুখ থুবড়ে পড়েছে ‘বি’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটি।
সারা সপ্তাহে সিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে উত্তরা ব্যাংকের শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে ব্যাংকটির ৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
ছুটির আগে টাস্কফোর্সের বার্তা
ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবসে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সংবাদ সম্মেলন করেছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং (আইপিও) সংক্রান্ত বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরেন তারা।
সুপারিশে বাজারে নতুন কোম্পানি আসার ক্ষেত্রে আইপিও অনুমোদনের প্রাথমিক ক্ষমতা স্টক এক্সচেঞ্জের হাতে ন্যস্ত করার সুপারিশ করা হয়। পাশাপাশি যেসব কোম্পানি ব্যাংক থেকে এক হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নেবে, তাদের বাধ্যতামূলক আইপিও অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিও উঠে আসে।
স্থির মূল্য পদ্ধতিতে ৩০ কোটি টাকার কম মূলধনের কোনো কোম্পানিকে মূল বাজারে তালিকাভুক্ত না করা এবং বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৫০ কোটি টাকার কম মূলধনের কোনো কোম্পানিকে মূল বাজারে তালিকাভুক্ত না করার পরামর্শ দেন টাস্কফোর্স সদস্যরা।
এর বাইরে আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বাকি ৫০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছে টাস্কফোর্স।
আরও পড়ুন: সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে: গভর্নর
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০ শতাংশের মধ্যে পাঁচ শতাংশ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এবং বাকি ৪৫ শতাংশ দেশে বসবাসকারী বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
পুঁজিবাজারে আইপিওর মাধ্যমে কোন কোম্পানি বাজারে আসবে এবং কোন কোম্পানি অনুমোদন পাবে না—এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেবে স্টক এক্সচেঞ্জগুলো। স্টক এক্সচেঞ্জ যদি কোনো কোম্পানির আইপিও প্রস্তাব বাতিল করে দেয়, তাহলে বিএসইসি সেই কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দিতে পারবে না। আইন সংশোধনের মাধ্যমে এই বিধান পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে টাস্কফোর্স।
টাস্কফোর্সের এসব সুপারিশকে সাধুবাদ জানিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএসইর পরিচালক পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘টাস্কফোর্স আইপিও গ্রহণ ও বাতিলের যে ক্ষমতা এক্সচেঞ্জ হাউজের কাছে ন্যস্ত করার সুপারিশ করেছে, এটি পুরো বাজারকে বদলে দিতে সক্ষম।’
তিনি বলেন, ‘গত দেড় দশকে বিএসইসির হাত ধরে বাজারে যেসব আইপিও এসেছে, তাদের বেশিরভাগই এখন বাজে কোম্পানির শেয়ারে পরিণত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, আইপিও বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপে পিছু হটতে হয়েছে এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোকে।’
তবে টাস্কফোর্সের সুপারিশ অনুযায়ী এসব ক্ষমতা এক্সচেঞ্জকে দিলে বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে বলে মনে করেন ডিএসইর ওই কর্মকর্তা।
১৯ ঘণ্টা আগে
পুঁজিবাজার: সূচকের পতন দিয়েই শেষ হলো সপ্তাহ
উত্থান দিয়ে শুরু হলেও ঢাকা ও চট্টগ্রাম পুঁজিবাজারে পতনের মধ্য দিয়েই শেষ হয়েছে সপ্তাহ। সপ্তাহের শেষ দিনে এসে দুই পুঁজিবাজারের সবকটি সূচক কমেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) লেনদেন শেষে কমেছে ৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৬ এবং বাছাইকৃত ব্লু-চিপ কোম্পানির ডিএস-৩০ কমেছে ২০ পয়েন্ট।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। গতকালের (বুধবার) ৪৬৩ কোটি টাকার বিপরীতে আজ লেনদেন বেড়ে হয়েছে ৪৮৭ কোটি টাকা।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯৩টির, কমেছে ১৩৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’ প্রতিটি ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া ৩৭ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২টির, কমেছে ১১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিন পাঁচটি করপোরেট বন্ডের মধ্যে একটিরও দাম বাড়েনি, তবে কমেছে ৩টির এবং দুটির দাম অপরিবর্তিত আছে।
ব্লক মার্কেটে আজ মোট ৩০টি কোম্পানির ৫৪ লাখ শেয়ার ১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে বিচ হ্যাচারি একাই ৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
ডিএসইতে ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে বাংলাদেশ ল্যাম্পস পিএলসি। অন্যদিকে, ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
পতনের মুখে চট্টগ্রামও
সারা দিনের লেনদেনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫০ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ২১৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৭টির, কমেছে ৯১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক কমলেও ঢাকার মতো সিএসইতেও বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট লেনদেন হয়েছে ১০৩ কোটি টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে চট্টগ্রামের বাজারে শীর্ষে আছে হামিদ ফেব্রিক্স পিএলসি। অন্যদিকে, ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ দাম কমে তলানিতে মীর আখতার হোসাইন লিমিটেড কোম্পানি।
২৯ দিন আগে
সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৭ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু দেশের পুঁজিবাজারে
লেনদেনের শুরুতেই দাম বেড়েছে ২৭২ কোম্পানির, কমেছে ২৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম আধা ঘণ্টায় ডিএসইতে মোট ৮০ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তবে কিছুটা সূচক কমেছে চট্টগ্রামের বাজারে। লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৪০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৫, কমেছে ৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম। শুরুতেই মোট শেয়ার এবং ইউনিটের লেনদেন ছাড়িয়েছে ২৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: প্রথম কার্যদিবসে উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে
৫৪ দিন আগে
প্রথম কার্যদিবসে বড় পতনের মুখে দেশের দুই পুঁজিবাজার
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রাম দুই পুঁজিবাজারেই সূচকের বড় পতন হয়েছে। দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। চট্টগ্রামে লেনদেন বাড়লেও কমেছে ঢাকার বাজারে।
রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিনের প্রথম ঘণ্টা থেকেই দেশের দুই পুঁজিবাজার সমানতালে সূচক হারাতে থাকে। অবশেষে সূচকের পতনের ধারা অব্যাহত রেখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৪ পয়েন্ট এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৬৫ পয়েন্ট।
সূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৪০৩ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ২৬১, বেড়েছে ৭৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে ১৮৮ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১০৩, বেড়েছে ৫৫ এবং অপরিবর্তীত আছে ৩০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
গেল কার্যদিবসের তুলনায় ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩৮ কোটি টাকা। সিএসইতে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে ৭ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে পতন, কমেছে সবকটি সূচক
ঢাকার পুঁজিবাজারে মোট লেনদেন হয়েছে ৩১৮ কোটি টাকা, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৫৬ কোটি টাকা। চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
ডিএসইতে ‘এ’ ক্যাটাগরির ২২৪ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১৪৭, বেড়েছে ৩৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে দাম কমেছে ৫৯, বেড়েছে ২৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘জেডে’ দাম কমেছে ৫২, বেড়েছে ১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ৩৭ মিচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম কমেছে ২১, বেড়েছে ৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ব্লক মার্কেটে ১৫ কোম্পানির ৩২ লাখ ২৬ হাজার ৩৯৪ শেয়ার বিক্রি হয়েছে ১৮ কোটি ৩২ লাখ টাকায়।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া সিমেন্ট, সিরামিক, টেলিযোগাযোগ এবং পাটখাতের কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়েনি। ব্যাংকখাতে ১৭ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত এবং কমেছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ওষুধশিল্প খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। খাতটিতে ৭ কোম্পানির দাম বাড়লেও, কমেছে ২৭ কোম্পানির দাম।
পতনের বাজারে তুলণামূলক ভালো অবস্থানে আছে প্রযুক্তি, আবাসন, টেক্সটাইল এবং পর্যটনখাত। আইটিখাতে তালিকাভুক্ত দুটি কোম্পানির মধ্যে দুটিরই দাম বেড়েছে।
ডিএসইতে ৬ কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের গত বছর তৃতীয় প্রান্তিকের লভ্যাংশ দিয়েছে। এছাড়া আরেক কোম্পানি ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেড বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-চট্টগ্রাম দুই পুঁজিবাজারের লেনদেন শুরু পতন দিয়ে
সারাদিনের লেনদেনে ডিএসইতে দরবৃদ্ধিতে শীর্ষে আছে শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। একদিনের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।
অন্যদিকে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে কেয়া কসমেটিকসের নাম। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১০ শতাংশ। ডিএসইকে কোম্পানিটি জানিয়েছে পর্যাপ্ত মূলধন না থাকায় কারখানা বন্ধ করে দিলেও আপাতত কোম্পানিটির অন্যান্য কার্যক্রম চলমান থাকবে।
ডিএসইর এসএমই খাতেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা। এসএমই খাতে একদিনে সূচক কমেছে ১৭ পয়েন্ট। তালিকাভুক্ত ১৮ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১৩, বেড়েছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
৬১ দিন আগে
লেনদেনের সময় বাড়াচ্ছে সিএসই, প্রতিবাদ ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের
চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময়সূচি ৪৫ মিনিট বাড়ানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ)।
সম্প্রতি ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে পাঠানো এক চিঠিতে সিএসই জানিয়েছে, ‘২৬ জানুয়ারি থেকে সকাল ১০টার পরিবর্তে সকাল সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরু হবে। অন্যদিকে দুপুর ২টা ২০ মিনিটের বদলে ২টা ৩৫ মিনিটে শেষ হবে লেনদেন।’
আরও পড়ুন: বড় পতন পুঁজিবাজারে, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সিএসইর নেওয়া এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিবিএ জানিয়েছে, একটি দেশে একই টাইম জোনে একাধিক স্টক এক্সচেঞ্জে পৃথক ট্রেডিং সময়সূচি থাকার বিষয়টি নজিরবিহীন ও চিন্তাবহির্ভূত।
ডিএসই ও সিএসই দুই এক্সচেঞ্জে একই সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয় হয়। প্রতিদিন একসঙ্গে ট্রেডিং শুরু হওয়ার ফলে বিনিয়োগকারী যাচাই-বাছাই করে প্রতিযোগিতামূলক উপযুক্ত দামে তাদের চাহিদামাফিক শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন। সময়ের পরিবর্তন করলে সেটি বিনিয়োগকারীদের প্রতি বৈষম্য করা হবে এমন দাবি ডিবিএর।
ডিএসইর তুলনায় সিএসইর শেয়ার ভলিয়্যুম ৫ শতাংশের মতো। ট্রেডিং কার্যক্রম ও ভলিয়্যুমের দিক থেকে সিএসইর অবস্থান বিবেচনা করলে ভলিয়্যুমের স্বল্পতা এবং সকল ব্রোকারদের অংশগ্রহণ সীমিত হওয়ার কারণে প্রারম্ভিক ট্রেডিং-এ শেয়ার প্রাইস ডিসকভারি বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা করছে ডিবিএ।
ডিবিএ জানিয়েছে, ‘দুই এক্সচেঞ্জে পৃথক ট্রেডিং সময়সূচির ফলে দ্বৈত সদস্যপদপ্রাপ্ত কোম্পানিতে ট্রেডিং সেবা ও কার্যক্রম ব্যহত হবে এবং হাউসগুলোতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। এতে করে বাজার ও বিনিয়োগকারীর আস্থায় এবং সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে পুঁজিবাজারে লেনদেন
সিএসসির পক্ষ থেকে ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে জানানো হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের জন্য নমনীয়তা এবং তারল্য সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে লেনদেনের সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে। চট্টগ্রাম পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময় পরিবর্তন হলেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের নির্ধারিত সময় অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানা গেছে।
৬৫ দিন আগে
নটরডেম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সিএসই ফেস্ট আয়োজন
নটরডেম ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এ ১২ দিনব্যাপী ‘এনডিইউবি সিএসই ফেস্ট’ শেষ হয়েছে।
নটরডেম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে বিশেষ সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরিটেলিং ফেস্টিভ্যাল আগ্রহী গল্পকারদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. বি এম মঈনুল হোসেন।
সম্মানিত অতিথি ছিলেন- ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবু জাফর।
আয়োজকরা বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এই আয়োজনকে অর্থবহ করে তুলেছে।
অনুষ্ঠানের শেষ দিনে বক্তা ছিলেন ড. নোভা আহমেদ।
বক্তারা বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে নটরডেম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের এমন আয়োজন প্রশংসনীয়।
বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, স্টেম অলিম্পিয়াড, ভিডিওগ্রাফিক প্রতিযোগিতা, প্রজেক্ট শো এবং আইডিয়াথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
আরও পড়ুন: ইউল্যাবে ‘ইয়ুথ ওয়েলনেস ফেস্টিভ্যাল’ আয়োজন করবে ঢাকা ফ্লো
দেশের সবচেয়ে বড় এডুকেশন এক্সপো সোমবার
৫৩১ দিন আগে
রুয়েটে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
রাজশাহী নগরীর সাধুর মোড় এলাকার একটি ছাত্রাবাস থেকে শনিবার রাতে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত সামিউর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার পরিচয় নিশ্চিত করেছেন রুয়েট ছাত্রকল্যাণ কার্যালয়ের পরিচালক মো. রবিউল আউয়াল।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, ওই শিক্ষার্থী কয়েকদিন আগে বাড়ি থেকে আসে।
আরও পড়ুন: নাটোরে নিখোঁজের ৬ মাস পর মাটিচাপা ব্যাংক কর্মচারীর লাশ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’
এর আগে গত বুধবার দুপুরে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষ ও ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীর ফাহাদ রুমির ঝুলন্ত লাশ শহীদ লেফটেন্যান্ট সেলিম হলে তার নিজ কক্ষে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিসিএস পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
৬৭৭ দিন আগে