চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময়সূচি ৪৫ মিনিট বাড়ানো সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ)।
সম্প্রতি ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে পাঠানো এক চিঠিতে সিএসই জানিয়েছে, ‘২৬ জানুয়ারি থেকে সকাল ১০টার পরিবর্তে সকাল সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরু হবে। অন্যদিকে দুপুর ২টা ২০ মিনিটের বদলে ২টা ৩৫ মিনিটে শেষ হবে লেনদেন।’
আরও পড়ুন: বড় পতন পুঁজিবাজারে, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সিএসইর নেওয়া এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিবিএ জানিয়েছে, একটি দেশে একই টাইম জোনে একাধিক স্টক এক্সচেঞ্জে পৃথক ট্রেডিং সময়সূচি থাকার বিষয়টি নজিরবিহীন ও চিন্তাবহির্ভূত।
ডিএসই ও সিএসই দুই এক্সচেঞ্জে একই সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয় হয়। প্রতিদিন একসঙ্গে ট্রেডিং শুরু হওয়ার ফলে বিনিয়োগকারী যাচাই-বাছাই করে প্রতিযোগিতামূলক উপযুক্ত দামে তাদের চাহিদামাফিক শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন। সময়ের পরিবর্তন করলে সেটি বিনিয়োগকারীদের প্রতি বৈষম্য করা হবে এমন দাবি ডিবিএর।
ডিএসইর তুলনায় সিএসইর শেয়ার ভলিয়্যুম ৫ শতাংশের মতো। ট্রেডিং কার্যক্রম ও ভলিয়্যুমের দিক থেকে সিএসইর অবস্থান বিবেচনা করলে ভলিয়্যুমের স্বল্পতা এবং সকল ব্রোকারদের অংশগ্রহণ সীমিত হওয়ার কারণে প্রারম্ভিক ট্রেডিং-এ শেয়ার প্রাইস ডিসকভারি বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা করছে ডিবিএ।
ডিবিএ জানিয়েছে, ‘দুই এক্সচেঞ্জে পৃথক ট্রেডিং সময়সূচির ফলে দ্বৈত সদস্যপদপ্রাপ্ত কোম্পানিতে ট্রেডিং সেবা ও কার্যক্রম ব্যহত হবে এবং হাউসগুলোতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। এতে করে বাজার ও বিনিয়োগকারীর আস্থায় এবং সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে পুঁজিবাজারে লেনদেন
সিএসসির পক্ষ থেকে ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে জানানো হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের জন্য নমনীয়তা এবং তারল্য সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে লেনদেনের সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে। চট্টগ্রাম পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময় পরিবর্তন হলেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের নির্ধারিত সময় অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানা গেছে।