নবনির্মিত
বার কাউন্সিলের ১৫ তলা ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ১৫ তলা ভবন উদ্বোধন করেছেন।
১৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ভবনটিতে পর্যাপ্ত অফিস স্পেস, মিটিং রুম, দু’টি কনফারেন্স রুম, রেকর্ড রুম, স্টোর রুম, ওয়েটিং এরিয়া, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, প্রদর্শনী স্থানসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
আইন ও বিচার বিভাগের তত্ত্বাবধানে নির্মিত এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের নকশায় বার কাউন্সিল ভবনে ৫টি ট্রাইব্যুনাল কক্ষ, মাল্টিপারপাস হল এবং পৃথক প্রার্থনা কক্ষ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নতুন ভবনের উদ্বোধন শনিবার
এছাড়া, এখানে টিভি লাউঞ্জ, কিচেন ও ডাইনিং হলসহ শতাধিক আইনজীবীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভবন উদ্বোধনের পর তিনি ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আইনজীবীদের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
আনিসুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সমাবেশে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং সারা দেশের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণকারী আইনজীবীরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: একদিনে ৩৯ জেলায় ১৫০টি সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ফের পেছাল আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের মেট্রোরেলের উদ্বোধন
১ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রী আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ম ধাপে সারা দেশে আরও ৫০টি নবনির্মিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন।
সারা দেশে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ২৫০টি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ৫০টি মসজিদের উদ্বোধন করেন।
এর আগে ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে, এ বছরের ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে, ১৬ মার্চ তৃতীয় ধাপে এবং ১৭ এপ্রিল চতুর্থ ধাপে ৫০টি করে মসজিদ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
অবশিষ্ট মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাসহ অজু ও নামাজের জন্য পৃথক স্থান রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, দাফনের পূর্বে আচার-অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হেফজখানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা, ইসলামী সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও ইসলামী দাওয়াতের জন্য সম্মেলন কক্ষ, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য বোর্ডিং সুবিধা থাকবে এসব মসজিদে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ইসলামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসলামী সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ প্রচারের পাশাপাশি চরমপন্থা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামের মর্ম বাণী প্রচার করা।
'এ' ক্যাটাগরির আওতায় ৬৪টি জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় লিফট সুবিধা এবং ২ হাজার ৩৬০ দশমিক ০৯ বর্গমিটারের জায়গাসম্পন্ন ৬৯টি চারতলা বিশিষ্ট মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।
'বি' ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৬৮০ দশমিক ১৪ বর্গমিটারের জায়গাসম্পন্ন ৪৭৫টি মসজিদ এবং উপকূলীয় এলাকায় 'সি' ক্যাটাগরির ২ হাজার ৫২ দশমিক ১২ বর্গমিটার জায়গাসম্পন্ন ১৬টি মসজিদ নির্মাণ করা হবে।
নতুন ৫০টি মসজিদের মধ্যে রয়েছে মাগুরা জেলা মডেল মসজিদ ও ৪৯টি উপজেলা মডেল মসজিদ।
আরও পড়ুন: দেশীয় টাকায় নির্মাণ হচ্ছে ৫৬০ মডেল মসজিদ: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
৪৯টি উপজেলা মডেল মসজিদ হচ্ছে - গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলা, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ ও হোসেনপুর উপজেলা, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর ও দৌলতপুর, শরীয়তপুরের ডামুড্যা, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা, বগুড়ার আদমদীঘি ও সোনাতলা, নওগাঁর রাণীনগর ও বদলগাছি ও সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, নাটোরের সিংড়া, পাবনার বেড়া, ঈশ্বরদী ও সদর, রাজশাহীর পুঠিয়া ও দুর্গাপুর, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, দিনাজপুরের বিরামপুর, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী ও সদর, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, ময়মনসিংহের ত্রিশাল, বরিশাল সদর, ভোলার দৌলতখান, ঝালকাঠির নলছিটি, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল, চাঁদপুরের হাইমচর ও হাজীগঞ্জ, কুমিল্লার নোয়াখালী সদর, নাঙ্গলকোট ও সদর, কক্সবাজার সদর, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, ফেনীর ছাগলনাইয়া, রাঙামাটির কাউখালী, নানিয়ারচর ও রাজস্থলী, খুলনার ফুলতলা ও পাইকগাছা, মাগুরা সদর, মেহেরপুর সদর ও সিলেটের গোলাপগঞ্জ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কক্সবাজার সদর উপজেলা ও খুলনা জেলার ফুলতলায় আলেম-ওলামা, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সঞ্চালনা করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।
আরও পড়ুন: সারাদেশে আরও ৫০ মডেল মসজিদের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
২০০টি মডেল মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ
১ বছর আগে
১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শেওলায় নবনির্মিত স্থলবন্দরের উদ্বোধন
বিয়ানীবাজারের শেওলায় নবনির্মিত স্থলবন্দর উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বুধবার বিকালে শেওলা স্থলবন্দরে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তপনার মাধ্যমে একটি গোষ্ঠি বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। তারা বহির্বিশ্বে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে চায়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে কার্যকর গণতন্ত্র বজায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর চেষ্টা থাকবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এই ধারা অব্যাহত রেখে আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফসানা তাসলিম এবং প্রকল্পের পরিচালক মো. সরোয়ার আলম অনুষ্টানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, ১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শেওলা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া হয়েছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রজেক্ট-১ এর আওতায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমকে সহজতর করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৩০ জুন শেওলা শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর ঘোষণা করা হয়।
বিশ্বব্যাংক ও সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট-১ এর আওতায় শেওলা স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে এ শুল্ক স্টেশনের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু রয়েছে।
এ বন্দর দিয়ে গবাদিপশু, মাছের পোনা, তাজা ফলমূল, গাছগাছরা, বীজ, গম, পাথর, কয়লা, রাসায়নিক সার, চায়না ক্লে, কাঠ, টিম্বার, চুনাপাথর, পির্ঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা ইত্যাদি আমদানি এবং সকল পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে।
ঢাকা থেকে এ বন্দরের দূরত্ব প্রায় ২৮৬ কিলোমিটার। এ বন্দরের বিপরীতে রয়েছে ভারতের আসামের করিমগঞ্জের সুতারকান্দি স্থলবন্দর। প্রায় ২৫ একর জায়গার ওপর শেওলা স্থলবন্দরটি নির্মাণ করা হয়।
এ প্রকল্পের আওতায় পূর্বের ১৫ একরের বাইরে নতুন করে ৯ একর জমি অধিগ্রহণসহ গোডাউন, ইয়ার্ড, নিরাপত্তা প্রাচীর, ওয়েটব্রিজ স্কেল, ট্রাক পার্কিং, ডমেস্টিক ব্যারাক নির্মাণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু
ভারতীয় ট্রাক চালকদের আকস্মিক ধর্মঘটে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি বন্ধ
১ বছর আগে