বিয়ানীবাজারের শেওলায় নবনির্মিত স্থলবন্দর উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বুধবার বিকালে শেওলা স্থলবন্দরে অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তপনার মাধ্যমে একটি গোষ্ঠি বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। তারা বহির্বিশ্বে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে চায়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে কার্যকর গণতন্ত্র বজায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর চেষ্টা থাকবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এই ধারা অব্যাহত রেখে আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফসানা তাসলিম এবং প্রকল্পের পরিচালক মো. সরোয়ার আলম অনুষ্টানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, ১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শেওলা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া হয়েছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রজেক্ট-১ এর আওতায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমকে সহজতর করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৩০ জুন শেওলা শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর ঘোষণা করা হয়।
বিশ্বব্যাংক ও সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট-১ এর আওতায় শেওলা স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে এ শুল্ক স্টেশনের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু রয়েছে।
এ বন্দর দিয়ে গবাদিপশু, মাছের পোনা, তাজা ফলমূল, গাছগাছরা, বীজ, গম, পাথর, কয়লা, রাসায়নিক সার, চায়না ক্লে, কাঠ, টিম্বার, চুনাপাথর, পির্ঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা ইত্যাদি আমদানি এবং সকল পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে।
ঢাকা থেকে এ বন্দরের দূরত্ব প্রায় ২৮৬ কিলোমিটার। এ বন্দরের বিপরীতে রয়েছে ভারতের আসামের করিমগঞ্জের সুতারকান্দি স্থলবন্দর। প্রায় ২৫ একর জায়গার ওপর শেওলা স্থলবন্দরটি নির্মাণ করা হয়।
এ প্রকল্পের আওতায় পূর্বের ১৫ একরের বাইরে নতুন করে ৯ একর জমি অধিগ্রহণসহ গোডাউন, ইয়ার্ড, নিরাপত্তা প্রাচীর, ওয়েটব্রিজ স্কেল, ট্রাক পার্কিং, ডমেস্টিক ব্যারাক নির্মাণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু
ভারতীয় ট্রাক চালকদের আকস্মিক ধর্মঘটে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি বন্ধ