ভোট চুরি
নির্বাচনে জিততে ভোট চুরিই শেখ হাসিনার একমাত্র ভরসা: আমির খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচনের নামে যা দেখিয়েছে, আমি এর নাম দিয়েছি ভোট চুরির প্রকল্প। নির্বাচনে জিততে এই ভোট চুরির প্রকল্পই তার একমাত্র ভরসা।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় রোডমার্চ উপলক্ষে শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে (বঙ্গবন্ধু স্কয়ার) অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গু, বন্যা, গুম, খুন যা কিছু হচ্ছে সবই কি গুজব: আমির খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, শেখ হাসিনার এই ভোট চুরির প্রকল্পে দুর্নীতিবাজ দলীয় কিছু কর্মকর্তা আছেন, আছেন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, দুর্নীতিবাজ পুলিশ ও দুর্বৃত্ত ব্যবসায়ী।
এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জীবনের বিনিময়ে হলেও ভোটচোরদের প্রতিরোধ করতে হবে।
আমির খসরু বলেন, এই সরকারকে আমেরিকা ভিসা স্যাংশন দিয়েছে তাতেই তাদের কম্পন শুরু হয়ে গেছে। এরপর বাংলাদেশের মানুষের যে ভিসানীতি আসবে সেটি আরও কঠিন হবে। এখানে মাফ পাওয়ার সুযোগ নাই।
আরও পড়ুন: দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা না থাকায় আমেরিকা ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে: আমির খসরু
১ বছর আগে
ভোট চুরির পরিকল্পনা আছে আ. লীগের: ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে বিএনপি
বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুককে বিএনপি বলেছে, বর্তমান সরকার ভোট কারচুপির পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। তাই নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে গুলশানের বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক বৈঠকে সারাহ কুককে এসব কথা বলেছেন দলের নেতারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনের ছয় মাস বাকি থাকলেও ভোট চুরির ষড়যন্ত্র চলছে। তাই নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তাদের বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ভোট চুরির পরিকল্পনা নস্যাৎ করার একমাত্র উপায় একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করা। ‘এই আলোচনা এখন সর্বত্র চলছে এবং এটি আজ (বৃহস্পতিবার) আমাদের আলোচনায় এসেছে।’
গত সপ্তাহের রাজনৈতিক অগ্রগতি ও প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দলের একজন নেতা নিহত হয়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেন, গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া ডিসি, ইউএনও ও পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলি ও নতুন পদায়ন করা হয়েছে। ‘এগুলো সবই নির্বাচনে ভোট চুরির পরিকল্পনার অংশ।’
আরও পড়ুন:আর নিপীড়ন সহ্য নয়, উপযুক্ত জবাব দিন: মির্জা আব্বাস
তিনি বলেন, বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক দেশ ও সংস্থার উদ্বেগ রয়েছে যে একটি 'অনির্বাচিত' সরকার ক্ষমতায় থাকায় ব্যাপক দুর্নীতির মধ্যে মানবাধিকার, আইনের শাসন এবং জনজীবনের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের একমাত্র উপায় হলো একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। বাংলাদেশের মতো গণতান্ত্রিক দেশগুলোরও এমনটাই প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কি না- তা নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের উদ্বেগ রয়েছে। যার মাধ্যমে জনগণ তাদের সংসদ ও সরকার নির্বাচন করবে। ‘ব্রিটিশ সরকারেরও সবসময় এই উদ্বেগ ছিল কারণ আমরা ওয়েস্টমিনস্টারকে অনুসরণ করি। বৈঠকে সেই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক অনুষ্ঠানের জন্য বিএনপির দাবিকে যুক্তরাজ্য সমর্থন করে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু গ্রেট ব্রিটেন নয়, আরও অনেক দেশ এতে সমর্থন দিচ্ছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘কেন গণতান্ত্রিক দেশের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসছে? তারা কী বার্তা পাঠাচ্ছে? কেন তারা একটি প্রতিনিধিত্বমূলক, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কথা বলছেন? তারা কি দক্ষিণ এশিয়ার অন্য কোনো দেশে যাচ্ছেন?
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এসব প্রশ্ন উঠত না এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এসব বিষয়ে আলোচনা করতে আসতেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ
খসরু বলেন, বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র, তাদের ভোটাধিকার, আইনের শাসন, গণতান্ত্রিক রাজনীতি এবং সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা সমান সুযোগ ও জীবনের নিরাপত্তা চায়। ‘এগুলো শুধু বিএনপির দাবি নয়, এদেশের কোটি মানুষের দাবি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকের পর ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিকাল ৩টার দিকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে যান। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রায় ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট বৈঠক করেন এই ব্রিটিশ কূটনীতিক।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
১ বছর আগে
আ. লীগকে ভোট চুরি করে জিততে হয় না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বলেছেন, জনগণের আস্থা থাকায় আওয়ামী লীগের কোনো নির্বাচনে জেতার জন্য ভোট চুরির প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, ‘বরং আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে, দেশবাসীর আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের মাধ্যমে জনগণের ভোট পায়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন যে যখনই তার দল কোনো নির্বাচনে হেরেছে, তখনই তা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ভোট ডাকাতির মাধ্যমে (ষড়যন্ত্রকারীরা) আওয়ামী লীগকে তার প্রকৃত ভোট বা আসন পেতে বঞ্চিত করেছে অথবা আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার চেষ্টা করেছে।’
আরও পড়ুন: ফিনল্যান্ডের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
তিনি বলেন, দেশের মানুষ যখনই অবাধে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে, তখনই তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটকে পরাজিত করে জয়লাভ করেছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল এবং একটি উপ-নির্বাচন থেকে আরেকটি আসন পেয়েছিল, অর্থাৎ মোট ৩০টি আসন। সবাইকে মনে রাখতে হবে যে জনগণ সন্ত্রাসী দল বিএনপিকে ভোট দেয়নি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হতাশাজনক ফলাফলের কারণে বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: সরকারের পদক্ষেপে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়তে পারে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ড ও কাতার সফর বহুমাত্রিক সম্পর্ককে ত্বরান্বিত করবে: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে