দম্পতি
প্রতিবেশীর বাড়িতে ছাগল যাওয়ায় দম্পতিকে কুপিয়ে জখম
মেহেরপুরে প্রতিবেশীর বাড়িতে ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে এক দম্পতিকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে।
মুজিবনগর উপজেলার ভবানিপুর গ্রামে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে জখম
আহতরা হলেন- মুজিবনগর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ইউনুস আলী (৫০) ও তার স্ত্রী নুরজাহান খাতুন (৪৫)।
স্থানীয়রা জানান, নুরজাহানের ছাগল প্রতিবেশী ইকরামুল হকের বাড়িতে গেলে ইকরামুলের ছেলে শাহিনের সঙ্গে নুরজাহানের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শাহিন ধারালো হাসুয়া দিয়ে নুরজাহান ও তার স্বামী ইউনুসকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন।
এরপর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক।
মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল আলম বলেন, ‘আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও সেনবাহিনীর টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।’
আরও পড়ুন: মসজিদে সাঈদীর জন্য দোয়া করায় ইমামকে কুপিয়ে জখম
৪ মাস আগে
চট্টগ্রাম থেকে পরোয়ানাভুক্ত সিলেটের দম্পতি গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত সিলেটের পলাতক এক দম্পতিকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার অর্নিজম রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নগরীর জিন্দাবাজার এলাকার মৃত ডা. আব্দুল ওয়াহিদ বড় ভূঁইয়ার ছেলে ডা. মো. রাহিদ নজরুল ইসলাম বড় ভূঁইয়া (৫০) ও তার স্ত্রী নূরজাহান মুনতাশা (৪৫)।
আরও পড়ুন: সিলেটে ২৬৫ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, গ্রেপ্তার ১
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী শেখের দিক-নির্দেশনায় চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার অর্নিজম রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, ডা. মো. রাহিদ নজরুল ইসলাম বড় ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ১৩টি মামলায় সাজা ও ৩০টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। নূরজাহান মুনতাশার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় ২০১৬ সালের একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ২৮ লক্ষাধিক টাকার মাদক জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
৫ মাস আগে
লালমনিরহাটে বাসচাপায় দম্পতি নিহত
লালমনিরহাটে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় বাবু মিয়া ও রোকসানা বেগম নামের মোটরসাইকেল আরোহী এক দম্পতি নিহত হয়েছেন।
রবিবার (১৬ জুন) রাত ১১টার দিকে কুড়িগ্রাম-রংপুর মহাসড়কের ফকিরের তকেয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৫
নিহতরা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগরাকুড়া এলাকার আজগার আলীর ছেলে বাবু মিয়া ও তার স্ত্রী রোকসানা বেগম। তাদের দুইটি শিশুসন্তান রয়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, বাবু তার স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেল করে বাড়ি ফেরার পথে ফকিরের তকেয়া এলাকায় পৌঁছালে ঢাকাগামী একটি বাস তাদের চাপা দেয়। এত ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহত ২
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের যুবক নিহত
৬ মাস আগে
পেঁয়াজ বীজ চাষে বদলেছে ফরিদপুরের এক দম্পতির জীবন
ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকায় লাভলী আক্তার ও ইমতিয়াজ মোল্লা দম্পতি পেঁয়াজ বীজ চাষে সাফল্যের বাতিঘর হয়ে উঠেছেন। যা স্থানীয়ভাবে ‘কালো সোনা’ হিসাবে খ্যাত।
ফরিদপুরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকার লাভলী আক্তার ও ইমতাজ মোল্লা দম্পতি গত একযুগ ধরে পেঁয়াজ বীজ চাষাবাদ করছেন। মাত্র দুই বিঘা জমিতে চাষাবাদ শুরু করে ৪০ বিঘায় প্রসারিত করেছেন এই দম্পতি। যার ফলে যথেষ্ট অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এতে তাদের নিজস্ব জমিতে বহুতল ভবনে যেমন বেড়েছে জৌলুস, তেমনি জীবনযাপনে এসেছে ঊর্ধ্বমুখী পরিবর্তন।
দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছেলে আর চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া একটি মেয়ে নিয়ে এখন তাদের ব্যয়বহুল সংসার। যা এই ‘কালো সোনা’ খ্যাত পেঁয়াজ বীজের বদৌলতে তাদের কাছে ধরা দিয়েছে। প্রতিবছর তারা উপার্জনের টাকায় নিজেদের স্থাবর সম্পত্তিও বাড়াতে পারছেন। নতুন করে কিনছে জায়গা-জমি।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্ডে ব্যয়করকে যৌক্তিক করতে চায় সরকার
লাভলী আক্তার বলেন, বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে এসে দেখি শ্বশুর বাড়ির লোকেরা পেঁয়াজ বীজের চাষ করছেন। তিনিও পুরোদস্তর স্বামীকে সহায়তায় নেমে পড়েন। এতে প্রথম বছরেই ভালো আয় হয় তাদের। এরপর আর থেমে থাকেননি তাদের সমৃদ্ধির যাত্রা।
তিনি আরও বলেন, আমি এই বীজের টাকা দিয়ে ৭৫ লাখ টাকা খরচ করে বাড়িতে বিল্ডিং দিয়েছি। প্রতিবছরই নতুন জমি কিনছি। এক সময় যা ছিল অকল্পনীয়, এখন তাই বাস্তব আমাদের কাছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার তারা বিঘা প্রতি দুই থেকে আড়াই মণ পেঁয়াজ বীজ পাবেন বলে আশা করছেন। প্রতি বিঘা জমিতে এই বীজের আবাদ করতে এক লাখ টাকারও বেশি খরচ হয়। সেই হিসাবে সবমিলিয়ে তাদের এবার প্রায় কোটি টাকার মতো লাভ থাকবে বলে তারা আশা করছেন।
আরও পড়ুন: অস্বাভাবিক বেশি দাম, ক্রেতা নেই কেরাণীগঞ্জের পাইকারি কাপড় বাজারে
৯ মাস আগে
বেনাপোলে দম্পতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
যশোরের বেনাপোলে ওড়নায় পেঁচানো দম্পতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ বাহাদুরপুর বাজারের আব্দুর রহিমের বাসা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তরুণ ওই দম্পতি হলেন- মৃত কালাম হোসেনের ছেলে মো. ইয়ামিন হোসেন (২৮) ও ইয়ামিনের স্ত্রী মোছা. তনু (২৪)।
পুলিশ বলছে, তারা ১ সপ্তাহ আগে উল্লিখিত বাসাটি ভাড়া নেন। ইয়ামিনের পোল্ট্রির ব্যবসা রয়েছে। দেনার দায়ে সে নিজের বাড়ি বিক্রি করে ভাড়া বাসায় থাকতেন। এই দম্পতির ৬ মাসের একটি সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: বনশ্রীতে বিয়ের তিন দিন পর গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
আজ ভোরে ঘরের ভেতর থেকে শিশুর কান্নার শব্দ শুনে এলাকাবাসী জানালার ফাঁক দিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। এরপর আশেপাশের লোকজন পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে লাশ দু’টি উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত বলেন, এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে বাহাদুরপুর বাজারে একটি ভাড়া বাসা থেকে স্বামীর-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দু’টি যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সাতক্ষীরায় পুলিশের উপপরিদর্শকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ দম্পতি দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে শিশুসহ দম্পতি দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- অরিজিৎ (৩৫), তার স্ত্রী রিংকু (২৮) ও তাদের ১৯ মাস বয়সী সন্তান কাব্য। অরিজিৎ একটি এনজিওতে চাকরি করেন। আর তার স্ত্রী গৃহিণী। তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।
আরও পড়ুন: ফেনীতে আগুনে ঘুমন্ত ২ শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ মা
তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশি আরমান আলী মোল্লা বলেন, রাত ৩টার দিকে আড়াইহাজারের নাগেরচর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়ির নিচ তলায় দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ওই বাসা থেকে দগ্ধ ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়।
তাদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, রাত ৩টার দিকে বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে রান্না ঘরে যান রিংকু। এরপর দিয়াশলাই জ্বালাতেই ঘরে আগুন ধরে যায়। এতে তারা ৩ জন দগ্ধ হন।
তার ধারণা- গ্যাস লিকেজের কারণে গ্যাস জমে ছিল। সেখান থেকেই আগুনের ঘটনা ঘটেছে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, রিংকুর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এছাড়া তার স্বামীর ১৪ শতাংশ এবং সন্তানের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ডাইং কারখানায় বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক দগ্ধ
সিলেটে ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ: দগ্ধ আরও ২ জনের মৃত্যু
১ বছর আগে
রামপুরায় দম্পতির লাশ উদ্ধার
রাজধানী থেকে দম্পতির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৬ জুলাই) পূর্ব রামপুরা এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে লাশ দুইটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত স্বামী-স্ত্রী হলেন- জুয়েল (২৮) ও তার স্ত্রী নাসরিন (২২)। জুয়েল দিনমজুরের এবং নাসরিন ওই এলাকায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: শৈলকুপায় সেচ খাল থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার
পূর্ব রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, প্রতিবেশিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ রাত ৩টার দিকে তিতাস রোডের বাড়ির ছাদ থেকে ঝুলন্ত লাশ দু’টি উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, আলামত সংগ্রহ করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিকের একটি দল। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন যে আর্থিক কারণে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিক সন্দেহ করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত থেকে নিখোঁজ ২ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে শঙ্খ নদীতে নৌকা ডুবে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
সাবেক ওসি ফিরোজ কবির দম্পতির কারাদণ্ড
দুদকের দায়ের করা মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় বরিশাল জেলার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবিরের ছয় বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদকে চার বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১২ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ায় যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
রায় ঘোষণা শেষে জামিনে থাকা দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি ফিরোজ কবিরকে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮৮ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে ৮৭ লাখ ১৭ হাজার ১৯৪ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ফিরোজ কবিরকে রায়ের দিন থেকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে ওই অর্থদণ্ডের টাকা পরিশোধ করতে হবে। তা দিতে না পারলে দণ্ডবিধির ৩৮৬ ধারা অনুযায়ী তা আদায়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান এ আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ফিরোজ কবির ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ৩১ মে র্পযন্ত এবি ব্যাংক গুলশান শাখার, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, গুলশান শাখার, এনআরবি কর্মাশিয়াল ব্যাংকের গুলশান শাখার, ইসলামী ব্যাংক, গুলশান শাখা, ব্র্যাক ব্যাংক, গুলশান শাখার চলতি হিসাবের এবং তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদ ইভার নামে পরিচালিত ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সর্বমোট ৩ কোটি ৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা জমা করেন।
তাদের ব্যাংক হিসাবে পেশার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিপুল অংকের লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। অধিকাংশ হিসাব খোলার সময় ফিরোজ কবির অর্থের উৎস চাকরি দেখিয়েছেন। কিন্তু যে ধরনের ও যে অংকের লেনদেন হয়েছে তা বেতন-ভাতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। অর্থের উৎস সম্পর্কে অভিযুক্তরা কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা বা প্রমাণ দাখিলে ব্যর্থ হয়েছেন।
এ অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ আতাউল কবির ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর গুলশান মামলা করেন।
মামলাটি তদন্তের পর ২০১৯ সালে দুদক এ মামলায় অভিযোগ দাখিল করে।
আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে শিয়ালের মাংস বিক্রির চেষ্টা, ২ জনের কারাদণ্ড
নাটোরে গৃহবধূ হত্যা মামলায় ৩ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
১ বছর আগে
বাগেরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দম্পতির মৃত্যু
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (০৮ জুলাই) সকালে উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের পূর্বজয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলেন- ওই গ্রামের মৃত পূণ্যচন্দ্র মণ্ডলের ছেলে বীরেন মণ্ডল (৬০) এবং তার স্ত্রী রীতা রানী মণ্ডল (৫৫)।
জানা যায়, এই দম্পতির দুটি ছেলে রয়েছে। এক ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী, আরেক ছেলে বাগেরহাট রামকৃষ্ণ আশ্রমে থেকে পিসি কলেজে পড়াশুনা করেন। ঘটনার সময় তাদের ছেলেরা বাড়িতে ছিলনা।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ীতে আম পাড়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
অন্যদিকে, এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ-এর গাফিলতি রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জানায়, বৃষ্টিতে সুপারি গাছ পরে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অনিতা হালদার নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, বীরেন মণ্ডলের ঘরের ওপর থেকে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন গেছে। সকালে গাছের ডাল পরে বৈদ্যুতিক তারে আগুন ধরে যায়। একপর্যায়ে একটি তার বীরেন মণ্ডলের ঘরের সামনে পরে। ওই তার সরাতে গিয়ে বীরেন মণ্ডল বিদ্যুতায়িত হন। এসময় তার স্ত্রী রীতা রানী নিজ ঘরের মেইন সুইচ অফ করতে গেলে তিনিও বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
অনিতা আরও বলেন, পল্লী বিদ্যুতের গাফিলতিতেই এই দুটি প্রাণ গেল। তারা যদি পাইপ দিয়ে বিদ্যুতের তার ঘরের ওপর দিয়ে নিত, তাহলে এই মৃত্যু হত না।
নিহতের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল বলেন, ‘আগুন ধরে একটা তার ছিঁড়ে নিচে পড়ে গেছে, তারপরও ট্রান্সফর্মার থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়নি। তাহলে ট্রান্সফরমারে কাটআউট কেন লাগাবে, এটাতো মানুষের জীবন বাঁচাতে লাগানো হয়। পল্লী বিদ্যুতের গাফিলতিতেই আমার বাবা-মা মারা গেছেন।’
বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহা-ব্যবস্থাপক (জিএম) সুশান্ত রায় বলেন, সঞ্চালন লাইনের খুব কাছেই বীরেন মণ্ডলের একটি সুপারি গাছ ছিল। গাছটি তারের ওপর পরার ঝুঁকিতে ছিল, যার কারণে আমাদের কর্মীরা ওই গাছটি কেটে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু বীরেন মণ্ডল ওই গাছ কাটতে না দিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন।
শনিবার সকালে বৃষ্টি ও বাতাসে সুপারি গাছ বাঁধা রশিটি ছিড়ে যায়। এতে গাছটি তারের ওপর পরে এবং তার ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে। ওই তার ওঠাতে গিয়েই বীরেন মণ্ডল বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার স্ত্রীও মারা যান।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় চিতলমারী জোনাল অফিসের উপ-মহা ব্যবস্থাপক মো. শহিদুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ঘটনা করা হয়েছে। এই কমিটি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দেবে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে মূল ঘটনা জানা যাবে।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়নি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু
মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদরাসা শিক্ষকের মত্যু
১ বছর আগে
শেরপুরে বন্ধ ঘর থেকে বৃদ্ধ দম্পতির লাশ উদ্ধার
শেরপুর সদরে বন্ধ ঘর থেকে এক বৃদ্ধ দম্পতির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকালে সদর উপজেলার বলাইয়েরচর ইউনিয়নের চকসাহাব্দী ফকিরগঞ্জ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-ওই এলাকার বাসিন্দা সামসুল হক (৭৫) এবং তার স্ত্রী ছয়রা বেগম (৭০)। ওই দম্পতির এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, সামসুল হক মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। সোমবার রাতের যেকোনও সময় তিনি তার স্ত্রীকে হত্যার পর নিজে বিষপানে আত্মহত্যা করেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে হোটেল থেকে তরুণীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
জানা যায়, স্বাভাবিকভাবেই রাতে বৃদ্ধ দম্পতি তাদের ঘরে ঘুমাতে যান। সকালে তার নাতি ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে ঘরের টিনের বেড়া ফাঁক করে ঘরের বিছানায় ছায়েরা বেগম ও মেঝেতে শামসুল হককে পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি জানান, তারা উভয়েই বয়স্ক। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে পারিবারিক কলহের জের ধরে তারা আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। কেননা ঘটনাস্থল থেকে একটি কীটনাশকের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। তাছাড়া ছয়রা বেগমের কান দিয়ে রক্তঝরার আলামত পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, দু’জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুবকর সিদ্দিক বলেন, আমরা ঘটনাস্থল থেকে একটি বিষের বোতল উদ্ধার করেছি। তবে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একটু ঝামেলা ছিলো।
তিনি আরও বলেন, তার ছেলে আমাদের জানিয়েছেন যে তার বাবা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। আমাদের একাধিক ইউনিট এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
দিনাজপুরে নদী থেকে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে