খোঁজ
সৌদি থেকে ফিরে পরিবারের খোঁজে সরোয়ার
সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন সরোয়ার নামে এক যুবক। মানসিক ভারসাম্যহীন হারিয়ে ফেলায় তার ঠিকানা জানাতে পারছেন না তিনি। তার পরিবারের লোকজনের খোঁজ করছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন)।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৩০ মার্চ) ৮টা ৩০ মিনিটে ফ্লাইট দুবাই বিমানযোগে সৌদি আরব থেকে দেশে পৌঁছান সরোয়ার।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ২ দিন পর পুকুরে ভেসে উঠে শিশুর লাশ
সেখানে জেলে ছিলেন সরোয়ার। দেশে ফেরে কিছুই বলতে পারছেন না। সরোয়ার সবসময় চুপচাপ থাকছেন। তার সঙ্গে থাকা বোর্ডিং পাস ও জেলখানার কাগজ থেকে জানা যায়, তার বাবার নাম আব্দুল বাশার।
ফ্লাইটে আসা অন্য প্রবাসী কর্মীরা সরোয়ারকে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) অফিসে দিয়ে যান।
তারা জানান, সরোয়ারের বাড়ি কুমিল্লার পদুয়ার বাজার। এছাড়া আর কোনো তথ্য তারাও জানেন না। সারোয়ার নিজেও কিছুই বলতে পারছেন না।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ার সরোয়ারের পরিবার খুঁজে তাকে নিরাপদে হস্তান্তরের জন্য রাতেই ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কাছে হস্তান্তর করেন।
বর্তমানে তিনি আশকোনায় ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে আছেন।
সরোয়ারের স্বজনের খোঁজে সবার সহযোগিতা কামনা করছে ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টার। কেউ এই মানুষটাকে চিনলে বা কোনো তথ্য পেলে তাদের জানানোর অনুরোধ করেছেন।
প্রয়োজনে আশকোনার ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার আল আমিন নয়নের সঙ্গে ০১৭১২১৯৭৮৫৪১ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ২ দিন পর নবম শ্রেণির ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
চরমোনাই মাহফিলে গিয়ে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
৭ মাস আগে
প্রাক্তন স্বামীর আগুনে দগ্ধ চিকিৎসকের খোঁজ নিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রাক্তন স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ চিকিৎসক লতা আক্তারের চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থার সরেজমিন খোঁজ নিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে উপস্থিত হয়ে লতাকে দেখতে যান তিনি।
এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা লতা আক্তারের শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয় বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানান।
আরও পড়ুন: কোটি টাকার অপারেশন দেশে বিনামূল্যে হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডা. লতার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানান শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
এদিকে পুরো ঘটনা শুনে এবং ঘটনার তীব্রতা অনুভব করে ঘটনাটিকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে অভিহিত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত কষ্টদায়ক, হৃদয়বিদারক ও দুঃখজনক। এমন ঘটনায় আসলে কেউই লাভবান হয় না, শুধু নিজেদেরই ক্ষতি হয়। পেট্রোলে পুড়ে যাওয়া আমাদের এই চিকিৎসক রোগীর প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তাকে সুস্থ করা বেশ কঠিন হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, তবে, রোগীকে সুস্থ করতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সব ধরনের চেষ্টাই আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা আমাদের সাধ্যের শেষ বিন্দু দিয়ে চাই এই রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুক।
চিকিৎসাধীন রোগীকে দেখার সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) প্রফেসর আহমেদুল কবীর, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক রায়হানা আউয়ালসহ অন্যান্য চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে ওষুধের মূল্য কমানো প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমকে ওষুধের মূল্য কমানোর ব্যাপারে করণীয় ঠিক করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ওষুধ কোম্পানি মালিক পক্ষের সঙ্গে আলাপ করার জন্য নির্দেশনা দেন।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওষুধের মুল্য নিয়ে পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি হচ্ছে। হঠাৎ করে এমনি এমনি তো ওষুধের মুল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যেতে পারে না। কেন বাড়ছে, কতটুকু বাড়ছে, তার যৌক্তিকতা কতটা সে ব্যাপারে আমাদেরকে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: খতনা করতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নির্দেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যখাতের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৮ মাস আগে
আহত পুলিশ ও সাংবাদিকদের খোঁজ নিতে হাসপাতালে যান আ.লীগের প্রতিনিধি দল
বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে আহত পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকদের খোঁজখবর নিতে শনিবার হাসপাতালে যান আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি।
শনিবার রাত ৮টার দিকে তারা প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। পরে রাত ৯টার দিকে তারা রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের খোঁজখবর নেন।
আরও পড়ুন: পুলিশকে পিটিয়ে হত্যার ছাত্রদল নেতার ভিডিও আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ শনিবার বিকালে সংঘর্ষে নিহত কনস্টেবল আমিনুল পারভেজের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন এবং হত্যার ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আইনজীবী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপির সন্ত্রাসীরা রাজধানীতে হামলা চালিয়েছে। তারা পুলিশের দু’টি অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেয়, একটি হাসপাতালে আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পাননি আমাদের ৪ নেত্রী। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
এই সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: রবিবার সারাদেশে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ
দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
কুড়িগ্রামে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে ২ বানর
কুড়িগ্রামে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে চলে এসেছে দুটি বানর। বানর দুটি দেখে ভয় ও আতঙ্কে আছে এলাকাবাসী। অন্যদিকে টিনের চাল,ঘরের সানসেটে, গাছের ডালে দাপিয়ে বেড়া বানর দুটিকে দেখতে উৎসুক জনতার ভীড় করছে। তবে কেউ বলতে পারছে না বানর দুটি কোন জায়গা থেকে এসেছে।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে কুড়িগ্রাম পৌর শহরের পলাশবাড়ী পাঠান এলাকায় বানর দুটি দেখে এলাকাবাসী।
ওই এলাকার বাসিন্দা মো. আলমগীর হোসেন বলেন,সকালে হঠাৎ আমার সুপারি বাগানে পাশাপাশি দুটি বানর চোখে পড়ে।বিভিন্ন গাছে পাতা ধরে টিনের চালে হাঁটাহাঁটি করছে।কখনো ঘরের সানসেটে বসে থাকছে।এর আগে বানর দুটি আমাদের চোখে পড়ে নাই। বানর দেখতে অনেক লোক জড়ো হয়েছে। কেউবা আবার বানর আতঙ্কে আছে।
আরও পড়ুন: খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে বানরের ছুটাছুটি
তবে এখন পর্যন্ত বানর দুটি কারো ক্ষতি করে নাই। এর পরেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা কুড়িগ্রাম বন বিভাগের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বানর দেখে মো. আদনান সিয়াম বলেন,আমি টিভিতে, চিড়িয়াখানায় বানর দেখছি।বানরের খেলা দেখেছি তবে এমন খোলামেলা পরিবেশ টিনের চাল থেকে গাছে, গাছ থেকে ঘরের সানসেটে দৌড়াদৌড়ি করা বানরের চলাফেরা দেখি নাই। দেখে খুব মজা করছি। আবার একটু ভয় লেগেছিল।
কুড়িগ্রাম জেলা সহকারি বন সংরক্ষক মোহাম্মদ রাশিদ আরিফ বলেন,কুড়িগ্রামে আশে পাশে বড় বন না থাকায় এ অঞ্চলে বানর আসার সুযোগ নেই। তবে সীমান্ত পেরিয়ে ফলের ট্রাকে ফল খাওয়ার লোভে আসতে পারে। এ বানরগুলো কোথাও স্থির থাকে না। একটু পর পর স্থান বদল করে। তারপরও আমরা বিষয়টি দেখতেছি।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার
১ বছর আগে